স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা ____________________________ -এর সকল শ্রমিকগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ____________ইং, রোজঃ ____________ সকাল ______________ ঘটিকায় _______________ এর ________ এর শ্রমিকদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিম্নোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণে ____________________ এর _____________ বিভাগের সকল শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ জন্ম নিয়ন্ত্রন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষন ।
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(মেডিকেল অফিসার)
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১ ভূমিকা, ২. পরিবার - পরিকল্পনা ও জন্ম নিয়ন্ত্রন কি?, ৩. প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ৪. প্রকারভেদ, ৫. জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধা, ৬. উপসংহার
অতএব, উল্লেখিত সেকশন/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
জন্ম নিয়ন্ত্রন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনঃ
ভূমিকাঃ বর্তমান বিশ্বে অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা। এ সমস্যা শুধু গোটা পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ না বরং হুমকি স্বরুপ। প্রতিনিয়তই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সুযোগ - সুবিধা। সেই সাথে প্রয়োজন - খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মত মৌলিক চাহিদাগুলো। মানুষের এই মৌলিক চাহিদাগুলো পূরন করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশের উন্নয়ন। তাই দেশের উন্নয়ন এবং নিজের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন পরিবার পরিকল্পনার। কেননা পরিকল্পিত পরিবারেই পারে একটি পরিবারের, একটি সমাজের সর্বোপরি একটি দেশের উন্নয়ন সাধন করতে। এজন্য পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে জন্ম নিয়ন্ত্রন সম্পর্কে জানতে হবে।
পরিবার - পরিকল্পনা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ কি?
পৃথিবীতে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে মানুষের ন্যুনতম মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না । মূলত সাংসারকে ছোট রেখে, পারিবারিক জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্য, সুখী ও আনন্দময় করার সচেতন প্রচেষ্টাই হলো পরিবার -পরিকল্পনা। আর একটি দম্পতির বিবাহের পর তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্তান জন্মদান থেকে বিরত থাকার প্রক্রিয়াই হলো জন্ম নিয়ন্ত্রণ ।
প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বঃ
পরিবার - পরিকল্পনা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পরস্পর ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। পরিকল্পনা ছাড়া যেমন উন্নয়ন করা সম্ভব না, তেমনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ছাড়া দেশের জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব। আর যে পরিবারে বা যেদেশে জনসংখ্যা যতবেশি কম সেদেশে ততবেশি উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। কোন পরিবারে আয়ের পরিমাণ কম অথচ পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী ব্যয়ের পরিমান বেশি তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সেই পরিবারকে স্বচ্ছল বলা যায় না । তাই পারিবারিক স্বচ্ছলতার জন্য পরিবারকে ছোট রাখা দরকার । আর পরিবারকে ছোট রাখার জন্য প্রয়োজন প্রতিটি দম্পতিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরন করা।
পরিবার - পরিকল্পনা / জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রকারভেদঃ
পরিবার - পরিকল্পনা / জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি দুই প্রকার যথাঃ - (ক) সনাতন ,(খ) আধুনিক
(ক) সনাতন পদ্ধতিগুলি নিম্নরুপঃ
১। দিন গননা পদ্ধতি
২। আজল পদ্ধতি
৩। ল্যাম পদ্ধতি
(খ) আধুনিক পদ্ধতিকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১. স্বল্প মেয়াদী , ২. দীর্ঘমেয়াদী, ৩. স্থায়ী পদ্ধতি।
১. স্বল্প মেয়াদী পদ্ধতির মধ্যে গ্রহন করা যেতে পারে , গর্ভনিরোধক বিভিন্ন খাবার পিল বা বড়ি, ইনজেকশন,এবং কনডম। এই পদ্ধতিগুলোর যে কোন একটি যে কোন সময় গ্রহন করতে পারেন দম্পতিরা। স্বল্প মেয়াদী পদ্ধতির সুবিধা হলো দম্পতিরা যেকোন পদ্ধতি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকলে তারা সন্তান জন্মদান করতে পারবেন।
২. দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির মধ্যে কপারটি গ্রহণ করা যেতে পারে । মূলত এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিটি যাদের একটি জীবিত সন্তান আছে তাদের জন্য। সাধারনত মহিলাদের জন্য এই পদ্ধতি।
এছাড়াও মহিলাদের আর একটি দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো ইমপ্লান্ট। যা ছোট অপারেশনের মাধ্যমে মহিলাদের বাহুতে চামড়ার নিচে স্থাপন করা হয়। আর এটি ক্যাপসুলের মত দেখতে। এটি ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। দম্পতি এই ক্যাপসুলটি খোলার কিছুদিন পরেই গর্ভধারণ করতে পারবেন।
৩. স্থায়ী পদ্ধতি হলো মূলত বন্ধ্যাকরণ প্রক্রিয়া। যা অপারেশন দ্বারা দম্পতিদের প্রজনন ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়।
বন্ধ্যাকরণ দুই প্রকার যথাঃ -
(ক) পুরুষ বন্ধ্যাকরন বা ভ্যাসেকটমী ঃ এটি পুরুষদের জন্য পদ্ধতি। এই পদ্ধতি গ্রহন করার পর দম্পতিরা চাইলে ও পরবর্তীতে সন্তান জন্মদান করতে পারেন না।
(খ) মহিলা বন্ধ্যাকরন বা টিউবেকটমীঃ এটি মহিলাদের জন্য স্থায়ী বন্ধ্যাকরন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ও দম্পতিরা চাইলে সন্তান জন্মদান করাতে সক্ষম হন না।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সুবিধাঃ
পরিবারের জন্য বেশি সদস্য কখনোই কল্যানকর নয়। কেননা , সংসারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যই তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে না। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ বা উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে । পরিবারে যদি সদস্য সংখ্যা কম থাকে তাহলে সকল সদস্যদের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তেমনি জনসংখ্যা অধিক হলে দেশের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং কর্মসংস্থান ও অপ্রতুল হয়। তাই বিভিন্ন সমস্যার প্রেক্ষাপটে বলা যায় প্রত্যেকের উচিত পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তোলা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করা।
উপসংহার ঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধি বর্তমান বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি সমস্যা। বিভিন্ন পত্রিকা, গনমাধ্যম কিভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় সে ব্যাপারে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রচারনা চালাচ্ছে। তাই “দুটি সন্তানের বেশি নয় একটি হলে ভালো হয়” এই শ্লোগানকে শুধু শ্লোগানে সীমাবদ্ধ না রেখে আমাদের ব্যক্তিগত তথা সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে শুধু সোনার বাংলা না বরং গোটা পৃথিবীই সোনার পৃথিবীতে রুপান্তরিত হবে।
জন্ম নিয়ন্ত্রন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনের স্থিরচিত্রঃ
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
জন্ম নিয়ন্ত্রন বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের নামের তালিকাঃ
তারিখঃ স্থানঃ________
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(মেডিকেল অফিসার) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)