উদ্দেশ্যঃ ..............................-এর কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের অর্জিত মজুরী হতে আইন সম্মত কর্তনের ক্ষেত্র ব্যতিত অন্য কোন খাত থেকে যাতে কর্তন করা না হয় এবং তাদের অর্জিত মজুরীর নিশ্চিয়তা প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষ মজুরী কর্তন নীতিমালা প্রণয়ন করছেন।
....................................-এর কর্তৃপক্ষ মজুরী কর্তনাদির বিষয়ে নি¤œলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে থাকেঃ
মজুরী হইতে কর্তনযোগ্য বিষয়াদিঃ
(১) এই আইন দ্বারা অনুমোদিত কর্তনের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কিছুই কর্তন করা যাইবে না।
(২) কেবলমাত্র এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন শ্রমিকের মজুরী হইতে কর্তন করা যাইবে, এবং উক্তরূপ কর্তন কেবলমাত্র নিন্মলিখিত প্রকারের হইবে, যথাঃ-
ক) ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত জরিমানা; যেমন-
(১) কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর (এক দশমাংশ)-এর অধিক পরিমাণ অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা যাইবে না;
(২) ১৫ বছরের কম বয়স্ক কোন শ্রমিকের উপর জরিমানা আরোপ করা যাইবে না;
(৩) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা উহা আরোপের তারিখ হইতে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর আদায় করা যাইবে না;
(৪) কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হইয়াছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখই উহা আরোপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
(৫) সকল জরিমানা এই উহার আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্টারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হইবে, এবং ব্যয়িত অর্থের ভাউচার বা রসিদ রেজিস্টারের সহিত সংযুক্ত করিয়া রাখিতে হইবে। আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা যাইবে।
খ) কর্তব্য কাজে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন;
গ) কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামালের ক্ষতি লোকসান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরূপ ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তাহার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ী হয়;
ঘ) মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসস্থানের জন্য কর্তন;
ঙ) চাকুরীর প্রয়োজনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যতিত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং মালিক কর্তৃক সরবরাকৃত সুযোগ-সুবিধা ও সেবার জন্য কর্তন;
চ) কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন;
ছ) শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন;
জ) কোন আদালতের আদেশে কর্তন, অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে কর্তন;
ঝ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সমবায় সমিতিকে প্রদানের জন্য অথবা বাংলাদেশ ডাকবিভাগ অথবা সরকারী কোন বীমা কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিত কোন বীমা স্কীমকে প্রদানের জন্য কর্তন;
ঞ) শ্রমিকগণের অথবা তাহাদের পরিবারের সদস্যগণের কল্যাণের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে মালিক কর্তৃক গঠিত কোন তহবিল অথবা তৎকর্তৃক প্রণীত কোন স্কীমের জন্য শ্রমিকগণের লিখিত সম্মতিতে চাঁদা কর্তন এবং
ট) চেক-অফ পদ্ধতিতে সিবিত্র ইউনিয়নের জন্য চাঁদা কর্তন।
ঠ) ..............................।।-এর কর্তৃপক্ষ যেকোন ধরনের মিটিং ও ট্রেইণিং-এর জন্য কর্মীর মাসিক বেতন থেকে কর্তন করা হয় না।
কর্তব্য কাজে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন (ধারা-১২৬)ঃ
০১) নিয়োগের শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও যদি কোন শ্রমিক অননুমোদিতভাবে উক্ত সময়ে অনুপস্থিত থাকে তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী তার ঐ সময়ের মজুরী কর্তন করা যাইবে।
০২) উক্তরূপ কর্তনের পরিমাণ কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাকে প্রদেয় মজুরীর চেয়ে বেশি হবে না।
ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য মজুরী কর্তন (ধারা-১২৭)ঃ
০১) কোন শ্রমিকের হেফাজতে প্রদত্ত মালিকের কোন মালামালের ক্ষতি বা লোকসান অর্থাৎ কোন শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলতির কারণে ঘটিত মালিকের ক্ষতি, বিনষ্টি এবং হারানোর ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিকের উপর শ্রম আইনানুযায়ী আর্থিক কর্তন আরোপ করা যাবে।
০২) ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরণ করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত না হলে তার বিরুদ্ধে কর্তন আরোপ করা যাবে না।
জরিমানার জন্য কর্তন (ধারা-২৫) অনুযায়ীঃ
০১) কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর (এক দশমাংশ)-এর অধিক পরিমাণ অর্থ কোন শ্রমিককে জরিমানা করা যাইবে না;
০২) ১৫ বছরের কম বয়স্ক কোন শ্রমিকের উপর জরিমানা আরোপ করা যাইবে না;
০৩) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা উহা আরোপের তারিখ হইতে ৬০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর আদায় করা যাইবে না;
০৪) কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হইয়াছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখই উহা আরোপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
সেবার প্রদানের জন্য কর্তন (ধারা-১২৮ অনুযায়ী)ঃ
০১) মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসস্থানের জন্য কর্তন;
০২) চাকুরীর প্রয়োজনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ব্যতিত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং মালিক কর্তৃক সরবরাকৃত সুযোগ-সুবিধা ও সেবার জন্য কর্তন করা যাবে।
কর্জ বা অগ্রিম আদায়ের জন্য কর্তন (ধারা-১২৯) অনুযায়ীঃ
কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন এবং এর অধীন সকল কর্তন নিন্মলিখিত শর্তাধীনে হইবে, যথাঃ
ক) চাকুরী শুরু হইবার পূর্বে প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম আদায় বাবদ কর্তন একটি পূর্ণ মজুরীকালের জন্য পরিশোধকৃত প্রথম মজুরী হইতে করা হইবে, কিন্তু অনুরূপ কোন কর্তন ভ্রমণ খরচের জন্য প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিমের ক্ষেত্রে করা যাইবে না;
খ) অর্জিত হয় নাই এমন কোন মজুরী বাবদ প্রদত্ত ঋণ বা অগ্রিম উহা কি পরিমাণে দেওয়া যাইবে এবং কত কিস্তিতে আদায় করা যাইবে তৎসম্বন্ধে সরকার কর্তৃক প্রণীত কোন কোন বিধি সাপেক্ষে নির্ধারিত হইবে।
মজুরী হইতে অন্যান্য কর্তন (ধারা-১৩০) অনুযায়ীঃ
সরকারি আদেশে কর্তনঃ
সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন সমবায় সমিতিকে প্রদানের জন্য অথবা বাংলাদেশ ডাক বিভাগ অথবা সরকারী কোন বীমা কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিত কোন বীমা স্কীমকে প্রদানের জন্য কর্তন করা যাবে।
স্কীমের জন্য কর্তনঃ
শ্রমিকগণের অথবা তাহাদের পরিবারের সদস্যগণের কল্যাণের জন্য সরকারের অনুমোদনক্রমে মালিক কর্তৃক গঠিত কোন তহবিল অথবা তৎকর্তৃক প্রণীত কোন স্কীমের জন্য শ্রমিকগণের লিখিত সম্মতিতে চাঁদা কর্তন করা যাবে।
আদালতের আদেশে কর্তনঃ
কোন আদালতের আদেশে কর্তন অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কোন কর্তৃপক্ষের আদেশে কর্তন করা যাবে।
আয়কর বাবদ কর্তনঃ
শ্রমিক কর্তৃক প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন করা যাবে।
রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাবদ কর্তনঃ
শ্রমিককে প্রদেয় বেতন বা মজুরী বা অন্য কোন প্রদেয় টাকার পরিমাণ ২৫০ টাকা বা তার অধিক হলে শ্রমিককে প্রদেয় টাকা হতে রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাবদ ১০ (দশ) টাকা কর্তন করা যাবে।
হাজিরা বোনাস কর্তনঃ
যদি কেউ মাসে ১ দিন বা তার বেশী অনুপস্থিত থাকে;
১ দিন এবং তার বেশি যেকোন ধরনের ছুটি ভোগ করলে;
১৫ মিনিটের বেশি কর্মস্থলে বিলম্বে উপস্থিত হলে;
লাঞ্চের পর বিনানুমিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে।
বিলম্বে প্রবেশ অথবা বিনা অনুমোতিতে কর্মস্থল ত্যাগের ক্ষেত্রে কর্তনের নিয়মাবলীঃ
সম্পূর্ণ মাসে ১৫ মিনিটের বেশি বিলম্বে কর্মস্থলে উপস্থিত হলে;
সম্পূর্ণ মাসে ১৫ মিনিটের বেশি পূর্বে কর্মস্থল ত্যাগ করলে;
লাঞ্চের পর বিনানুমিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে;
যদি কোন শ্রমিক বিলম্বে আফিসে প্রবেশ করে তাহার জন্য শ্রমিকের মূল মজুরী থেকে যত মিনিট লেট করেছেন তত মিনিট কর্তন করা হয়;
যদি কোন শ্রমিক মধ্যাহ্ন বিরতির পর বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে না আসেন তাহলে শ্রমিকের মূল মজুরী থেকে ঘন্টা হিসেবে কর্তন করা হয়।
অন্যান্য কর্তনসমূহঃ
লাঞ্চ বিরতির পর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী কর্মঘন্টার উপর ভিত্তি করে মূল মজুরি থেকে হাজিরা কর্তন করা হবে।
উপসংহার..............................। সর্বদা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই অত্র কোম্পানীতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ক্ষতিপূরণ এবং সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের বিধানকে অনুসরণ করে থাকে।