সূচনা (Introduction)ঃ-
বর্তমান বিশ্বে করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। নিশ্চিতভাবেই এর প্রভাব নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ ও স্থবির করছে। আগামীতে এটি সর্বগ্রাসী রূপ ধারন করবে যদি না এখনই আমরা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হই। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি সাধারণত চীন থেকে। কোডিভ-১৯ হল সর্বাধিক সন্ধান পাওয়া করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগ। ২০১৯ ইং সালের ডিসেম্বর মাসের চীনের উহান শহর থেকে এর প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে এই নতুন ভাইরাস এবং রোগটি অজানা ছিল। কোভিড-১৯ এর লক্ষণ গুলি হল জ্বর, ক্লান্তি, শুকনো কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা এবং ডায়ারেটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই কাশি, জ্বর ও শ্বাস নিতে সমস্যা ব্যক্তিদের কে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারে পরামর্শ নেওয়া উচিত এরই ধারাবাহিকতায় ___________________ কর্তৃপক্ষ একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
করোনা কি? (What is CORONA Virus)ঃ-
করোনা ভাইরাস রোগ (কোডিভ-১৯) একটি নতুন স্ট্রেন যা ২০১৯ ইং সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং এর আগে মানুষের মধ্যে সনাক্ত করা হয়নি। করোনা ভাইরাস (সিওভি) হল ভাইরাস গুলির একটি বৃহৎ পরিবার যা সাধারণত ঠান্ডা থেকে মধ্যপ্রাচ্যেও রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম ( এম আর ই এস- সিওভি) এবং গুরুতর তীব্র শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোম (এসএআরএস-কোভি) এর মতো আরও মারাত্নক রোগের কারণ হতে পারে। করোনা ভাইরাস জুনোটিক, যার অর্থ এই ভাইরাস প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে সঞ্চালিত হয়।
করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয় কোথায় ঃ করোনা ভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বার মাসের প্রথম দিকে প্রথম চায়নার উহান প্রদেশের একজন ডাক্তারের শরীরে সনাক্ত হয়, এর পর থেকে সারা বিশ্বে এই মরণ ঘাতি ভাইরাস ছরিয়ে পরেছে। বাংলাদেশ তার বাইরে নয় অনেক মানুষ এই প্রাণঘাতি ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে আবার অনেক মানুষ চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সমূহ (Symptoms of CORONA Virus) ঃ-
করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো অন্যান্য শ্বাস-প্রশ্বাসে সংক্রান্ত রোগের লক্ষণ গুলোর মতোই। যেমন, আক্রান্ত ব্যক্তির নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, হাঁচি, কাঁশি, গলাব্যথা ও জ্বর হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা বুঝতে পারে না সে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, নাকি সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত এলাকায় সাধারণ সর্দি-কাঁশি হলেও নাক, গলা ও রক্তের পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে সেটা করোনা ভাইরাস কি না। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে করনীয় ঃ- (To prevent the infection by CORONA Virus)
_______________________ কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস রোধে কারখানার সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়া উপদেশগুলি প্রদান করে থাকে যেমন, ঘরের বাইরে মাষ্ক ব্যবহার করা, পশু পাখির সংস্পর্শে না যাওয়া এবং অসুস্থ প্রাণী ও অসুস্থতার কারনে মৃত প্রাণী খাওয়া পরিহার কারা, যে কোন খাবার সর্বোপরি সিদ্ধ করে খাওয়া, যেখানে সেখানে থুতু বা কফ না ফেলা, কাচা মাংশ বা আধা সিদ্ধ খাবার পরিহার করা, মুখে, নাকে হাত কম দেওয়া, যথা সম্ভব গণপরিবহন এড়িয়ে চলা, প্রচুর ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালভাবে হাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, কিছু খাওয়ার কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া, ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভাল করে সিদ্ধ করা, ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলা, নিয়মিত থাকার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, সু-রক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাষ্ক ব্যবহার করা, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আছে এমন স্থানে মাংস জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত তাপমাত্রায় রান্না করা, প্রাণী ও প্রাণীজ সামগ্রী স্পর্শ করার পূর্বে সুরক্ষাকারি কাপড় পরিধান করা, ব্যবহৃত কাপড় ও জুতা যেন পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে না আসে তা লক্ষ্য রাখা,নিজ আগ্রহে কাজের আশে-পাশের জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, যদি জ্বর ও সর্দি-কাশি থাকে তবে ভ্রমন থেকে বিরত থাকা, জ্বর ও সর্দি-কাশি আছে এমন ব্যক্তির কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, অসুস্থ প্রাণী থেকে দূরে থাকা, ভ্রমনের সময় আপনি অসুস্থবোধ করলে আাপানাকে ভ্রমন থেকে বিরত থাকা। এছাড়া ও সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন (৪০-৬০) সেকেন্ড, এবং অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন (২০-৩০) সেকেন্ড। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। সর্বোপরি __________________ কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এবং আই, ই, ডি, সি, আর কর্তৃক আরোপিত সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনে বদ্ধ পরিকর।
জরুরী মূহর্তে করণীয় ঃ কারখানা কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জরুরী মূহুর্তে কি করণীয় তার একটি প্লান তৈরী করেছে।
টাস্কফোর্স কমিটিঃ
১. ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ২৫ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট শারিরিক সমস্যা সনাক্ত ও মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। উক্ত কমিটিটি অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্য, সেইফটি কমিটির সদস্য, সেইফটি অফিসার,মেডিকেল সদস্যদের নিয়ে গঠিত। তবে সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার জন্য আরও কিছু সদস্যদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
২. প্রতি মাসে একবার করে মিটিং করার সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
৩. কারখানায় কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় ফ্লোরে যে সকল শ্রমিক/স্টাফ দ্বায়িত্ব পালন করবেন, তাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ভাইরাস মোকাকাবেলায় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ ঃ
১. সভাপতি (কারখানা)
২. সাধারণ সম্পাদক (সিকিউরিটি ম্যানেজার)
৩. সদস্যবৃন্দ ঃ
উক্ত কমিটির দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ
১. কারখানার প্রবেশের পূর্বে স্ব-স্ব আইডি কার্ড ও প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করে কারখানার মেইন ফটোক এ প্রবেশ করবে এবং সেখানে সিকিউরিটি গার্ড দ্বারা ইনফ্রাড থার্মমিটার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চত করা।
২. কারখানায় হাত, পা ধৌত করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানে এর পাশে ৬ (ছয়) ফুট পরপর হাত ধৈত করন কল এর পাশে রক্ষিত তরল সাবানের পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত পরিস্কার করছে কি না তা নিশ্চিত করা।
৩. কারখানার ফ্লোরে প্রবেশ করার পূর্বে জুতা/স্যান্ডেল প্রধান ফটক এবং শিড়ির নিচে বিøসিং পাউডার মিশ্রিত জীবানুনাশক পাপশে জুতা/স্যান্ডেল ডুবিয়ে নিজস্ব পলি ব্যাগ ঢুকিয়ে ফ্লোরে প্রবেশ করছে কি না তা নিশ্চিত করা।
৪. শরীরে তাপমাত্রা স্ক্যানার মেশিন দ্বারা চেক করার সময় যদি কোন ব্যক্তির অতিরিক্ত তাপমাত্রা পাওয়া যায়, তখন তাকে কারখানায় প্রবেশ করতে না দিয়ে বাসায় ফেরত পাঠানো সহ রেজিস্টারে রেকর্ড সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা।
৫. ভাইরাস সংক্রান্ত রের্কোডিং ও বাণী সমূহ প্রতিদিন অন্তত ৪ বার পি এ সিষ্টেমের মাধ্যমে ঘোষনা করার নিশ্চিত করা।
৬. কারখানার ভিতরে যে কোন গাড়ি প্রবেশ করলে তা স্প্রে এর মাধ্যমে পরিস্কার হচ্ছে কি না তা নিম্চিত করা।
৭. সকল/শ্রমিক কর্মচারীদের নিজ নিজ বাসার পরিবারকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
৮. কোন শ্রমিক/কর্মচারীর জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও প্রচন্ড ব্যাথাবেদনার লক্ষণ দেখা মাত্র কারখানা কর্তৃপক্ষকের তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করা, এবং ঐ ব্যক্তিকে আলাদা করে চিকিৎসা প্রদান করা।
৯. কারখানা/কর্মস্থল ফ্লোর,হ্যান্ড রেলিং ও সিঁড়িসহ সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা এবং প্রতি ২ ঘন্টা পরপর স্যাভলন/ডেটল/সাবান পাউডার যুক্ত পানি দ্বারা পরিস্কার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
১০. ফ্লোরে কাজ করার সময় প্রত্তেকে সামাজিক/শারীরিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ (তিন) ফুট আছে কি না তা নিম্চিত করা।
১১. করোনা ভাইরাস নিয়ে কেউ আতংকিত না হয়ে সচেতন বৃদ্ধি করার কৌাশল অবলম্বন করা।
১২. কর্মকালনি সময়ে ফ্লোরে উদ্ভুত কোন উপসর্গযুক্ত শ্রমিক বা স্টাফ পাওয়া যায় তবে, ফেøারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি দ্রূত মেডিকেলে পাঠাবে এবং সাথে সাথে টাস্কফোর্স কমিটির প্রধানকে অবহিত করবে। ডাক্তার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখার পর নির্দেশনা মোতাবেক টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
_____________________________ কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধের একটি লিখিত পরিকল্পনা করেছে।
ছুটির নীতিমালা ঃ
কারখানা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ্য ছুটির নীতিমাল বাস্তবায়ন করেছে।
১. যদি কারখানায় সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত কোন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাদেরকে বিশ্রামরে জন্যে ছুটির ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।
২. কারখানা কর্তৃপক্ষ (কোভিড-১৯) এর জন্যে অসুস্থ্য ছুটির নীতিমালা অনুমোদন করেছে। যেমন, কোন কর্মীর শ্বাস কষ্ট, কাশি/সর্দ্দি এবং তাপমাত্রা অতিরিক্ত পাওয়া গেলে এই ক্ষেত্রে মেডিকেল অফিসারের ছারপত্র সিথিল করে সাথে সাথে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. কারখানায় কর্মীদের অতিরিক্ত তাপমাত্রা পাওয়া গেলে তাদেরকে স্ব-বেতনে হোম কোয়ারেন্টাইন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৪. যে সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদেরকে বাড়ীতে/ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
৫. কারখানার কোন কর্মীর পরবারের সদস্য কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয় তাহলে উক্ত শ্রমিককে স্ব-বেতনে ছুটি দেওয়া হয়।
৬. কারখানার কোন শ্রমিক যদি বাসায় অবস্থান করে অসুস্থ অনুভব করেন তাহলে সুস্থ হয়ে কাজে যোগদানের জন্য ডাক্তারির কোন ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় না।
৭. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাচ্চাদের নিরাপত্তার সার্থে চাইল্ড কেয়ার বন্ধ রাখা হয়েছে এবং যে সকল মায়েদের বাচ্চার কারনে কারখানায় আসতে সমস্যা হবে তাদেরকে স্ব-বেতনে ছুটির ব্যবস্থা করা হবে অথবা ডিউটির ব্যাপারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
৮. যদি গর্ভবতী মহিলা শ্রমিক, বয়স্ক শ্রমিক,যদি কোন দূর্বল শ্রমিক থাকে এবং কোভিড -১৯ নিয়ে কাজ করা কোন কর্মী যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাদেরকে স্ব বেতনে ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
কোভিড-১৯ এর জন্য মেডিকেল অফিসার ও কল্যাণ কর্মকর্তার করণীয় ঃ
১. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কারখানার মেডিকেল অফিসার, নার্স, মেডিকেল সহকারী ও কল্যাণ কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
২. কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করণীয় সম্পর্কে মেডিকেল অফিসার, নার্স, মেডিকেল সহকারী ও কল্যাণকর্মকর্তাকে নিয়ে মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছে।
৩. সেনিটাইজেশন এবং রোগীর আশপাশ পরিস্কার করার জন্য মেডিকেল টিম এর সাথে সার্বক্ষনিক একজন ক্লিনারকে দ্বায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।
৪. কারখানায় মেডিকেল অফিসার, নার্স, মেডিকেল সহকারী এবং কল্যাণ কর্মকর্তাদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করোনীয় সম্পর্কে যথাযথ ধারনা রাখার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
৫. কারখানার মেডিকেল অফিসার, নার্স, মেডিকেল সহকারী এবং কল্যাণ কর্মকর্তাকে কোভিড-১৯ প্রতিােধে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এবং ডঐঙ কর্তৃক প্রদত্ব গাইডলাইন অনুযায়ী নিজেদের প্রশিক্ষিত করছে।
ঝুকি মূল্যায়ন ও যোগাযোগের ব্যবস্থা ঃ
১. কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এ সকল সেকশনের জন্য ঝুঁকি মূল্যান শিট বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২. কারখানর সকল শ্রমিকদের জন্য কি ভাবে কোাভড-১৯ মোকাবেলা করবে তার একটি ঝুঁকি মূল্যায়ন শিট করা হয়েছে বিশেষ করে (মহিলা শ্রমিক, পুরুষ শ্রমিক, গর্ববতি মহিলা, প্রতিবন্ধি ইত্যাদি)।
৩. কোভিড-১৯ ঝুঁকি নিরসনে ম্যানেজমেন্ট সহ সকল ডিপার্টমেন্ট হেড এবং শ্রমিকদেরকে নিয়মিত ভাবে প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
৪. কোভিড-১৯ এর উপরে যদি কোন আপডেট আসে তাহলে সাথে সাথে পি এ সিষ্টেমের মাধ্যমে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
৫. কারখানা কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ এর উপর শ্রমিকদের সামাজিক পারিবারিক ঝুঁকি নিরসনের ব্যপারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎসাহিত করে যাচ্ছে।
৬. কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির উপর বার বার পিসি কমিটি, সেইফটি কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে।
৭. কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এ কমপ্লায়েন্স এবং এ্যাডমিন টিম দ্বারা চেকলিষ্ট এর মাধ্যমে প্রত্তেক দিন ফ্লোর ভিজিট করা হচ্ছে।
প্রতিরোধ ও নিরোসনের ব্যবস্থা ঃ
কর্মীদের অনুপেরুনা ও সচেতনাতর ব্যবস্থাঃ
১. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সকল শ্রমিকদের সচেতনতার জন্য পি এ সিস্টেমে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক অডিও ক্লিপ বাজানো ও ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া ফ্লোরে বা ডাইনিং কক্ষে দূরত্ব বজায় রেখে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কিভাবে তারা ফ্যাক্টরীতে এবং বাসায় সচেতনতা অবলম্বন করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করবে প্রশিক্ষণে তা আলোচনা করা হয়।
২. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রত্যেকে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে লিপলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রকার ব্যানার ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন স্থানে দেয়া হয়েছে।
৩. করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) বাসায় করণীয় ঃ
১. জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্ম দেওয়া হয়।
২. বাহির থেকে বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথে হাত, মুখ ও ব্যবহত্ব সামগ্রী ভালো কারে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৩. কর্মস্থলে ব্যবহৃত কাপড় ভালোভাবে ডিটার্জেন্ট অথবা সাবান দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
৪. বাইরে ব্যবহত্ব জুতা বাসার বাইরে রাখতে হবে।
৫. প্রতিবেশীদের সাথে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মুখে মাস্ক পরিধান করে কথা বলতে হবে।
৬. সকল প্রকার রান্না জাতীয় খাবার ভালোবাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
৪. কর্মীদের শরীরে কোন প্রকার কোভিড-১৯ এর উপস্বর্গ দেখাদিলে সাথে সাথে সেকশন প্রধানকে বলতে পারে তার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে।
মেডিকেল সেন্টার প্রস্তকরণ ঃ
১. সকল মেডিকেল স্টাফ ও গেটে ডিউটিরত সিকিউরিটিদের উপযুক্ত পিপিই প্রদান করা হয়েছে।
২. কোন শ্রমিকের ভিতরে কোভিড-১৯ এর প্রদূর্ভাব দেখা দিলে সাথে সাথে কারখানার মেডিকেল রুমে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবে।
৩. কোন শ্রমিকের শরীরে যদি অতিরিক্ত তাপমাত্রা পাওয়া বা কোবিড-১৯ এর সিমটম দেখা যায, তখন তাকে কারখানায় বাসায় ফেরত পাঠানো সহ রেজিস্টারে রেকর্ড সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়।
কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের সুরক্ষাঃ
১. কারখানার মেইন ফটোক এর পাশে ৫ (পাঁচ) ফুট পরপর হাত ধৈত করন কল এ রক্ষিত স্যাভলন/তরল সাবানের পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত পরিস্কার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. সামাজিক দূরুত্ব ও শারীরি দূরুত্ব মেইন্টেইন করে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশের আগে, লাঞ্চ বিরতির সময়, লাঞ্চ বিরতি শেষ করার সময়, অফিস ত্যাগ করার সময় তাদের কাজের জায়গা জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করা হয়। যেমন (কাজের ট্রলি) শিড়ি, হ্যান্ডরিল, যে কান সুইচ বাটন, সকল দরজা, সকল প্রকার হান্ডেল, ফায়ার দরজা, ফোটকপি ম্যাশিন, ফাস্ট এইড বক্স, ডাইনিং টেবিল এবং কিচেন রুম।
৪. কারখানায় প্রবেশ করার সময় সিকিউরিটি গার্ড দ্বারা স্ক্যানার মেশিন দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা চেক করা হয়।
৫. যদি কোন শ্রমিকের শরীরে কোভিড-১৯ সিমটম পাওয়া যায় তাহলে মেডিকেল এ পাঠানোর পর মেডিকেল স্টাফরা স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা চেক করবে যদি তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে তা রেজিস্টার এ সংরক্ষণ করে বাসায় প্রেরন করতে হবে।
৬. যে যে কর্মকর্তা অফিসের গাড়িতে আসেন তাদের গাড়িতে নামার সাথে সাথে হ্যান্ডসেনিটাইজার দিয়ে হাত ও পায়ের জুতা জীবানুমুক্ত করার পর অফিসে যেতে উৎসাহিত করা হয়।
৭. সকল কর্মীদের কোভিড-১৯ ঝুকি থেকে রক্ষার জন্য ফিঙ্গার পাঞ্চ এর পরিবর্তে ফেচ পাঞ্চ করা হয়েছে।
৮. কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে প্রবেশ করতে হবে, যদি কেউ মাস্ক আনতে ভুলে যায় তাহলে গেইট থেকে নতুন মাস্ক পরিধান করে কারখানায় প্রবেশ করে থাকে।
৯. যদি কোন কর্মী মাস্ক ব্যবহার করার পরে যদি পরিবর্তন করা দরকার হয় তাহলে ব্যবহারকৃত মাস্ক ফ্লোরে ওয়েস্ট বিন এ ফেলা হয়, এবং স্ব স্ব সুপারভাইজার এর কাছ থেকে নতুন মাস্ক নিয়ে পরিধান করানো হয়।
শ্রমিকের জন্য পিপিই ঃ
১. যদি কোন কর্মী মাস্ক আনতে ভুলে যায় তাহলে কারখানার গেইট থেকে নতুন মাস্ক প্রদান করা হয়।
২. যদি কোন কর্মী মাস্ক ব্যবহার করার পরে যদি পরিবর্তন করা দরকার হয় তাহলে ব্যবহারকৃত মাস্ক ফ্লোরে ওয়েস্ট বিন এ ফেলা হয়, এবং স্ব স্ব সুপারভাইজার এর কাছ থেকে নতুন মাস্ক নিয়ে পরিধান করানো হয়।
৩. প্রতিদিন ওয়েলফেয়ার টিম, প্রোডাকশন হেড ফ্লোর পরিদর্শন করে থাকে যদি কেউ পিপিই না পরিধান করে তাদেরকে পিপিই পরিধান এর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যেখানে মেডিকেল টিম সাহায্য করে থাকে।
৪. সকল মেডিকেল স্টাফদের উপযুক্ত পিপিই প্রদান করা হয়েছে।
৫. কর্মীদের কারখানায় নিরাপদে প্রবেশের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি টিম কাজ করে থাকে, শরীরের তাপমাত্রা মেডিকেল টিম এবং সিকিউরিটি টিম করে থাকে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে হাত পরিস্কার করছে কিনা তা কারখানার প্রশাসন বিভাগ প্ররিদর্শন করে থাকে, ম্যানেজার সিকিউরিটি টিম পর্যবেক্ষণ করে থাকে, উপযুক্ত পিপিই পরিধান করে কারখানার টয়লেট এবং ফ্লোর ক্লিনার এবং সুইপার পরিস্কার করে থাকে।
লাইন ম্যানেজমেন্ট এর কাজঃ
১. স্ইুং এবং ফিনিশিং সেকশনের প্রধান সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে ফ্লোর প্লানিং করেছে।
২. এপিম/ইনচার্জ/সুপারভাইজার শ্রমিকেরা কি ভাবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে কাজ করবে তার গাইড লাইন সর্বদা দিয়ে থাকেন।
টয়লেট ঃ
১. কারখানার প্রত্যেক টয়লেটে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. কারখানার প্রত্যেক টয়লেট প্রতি ঘন্টা পর পর পরিস্কার করা হয়ে থাকে।
৩. টয়লেট এ ব্যবহারকৃত স্যান্ডেল প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় পরিস্কার করা হয়ে থাকে।
৪. প্রত্তেক টয়লেটে তাওয়াল এর বদলে হাত শুকানেরা মেশিন প্রদান করা হয়েছে।
খাওয়ার পানিঃ
১. পানি খাওয়ার বেসিং প্রতিদিন পরিস্কার করা হয়ে থাকে।
২. সকল শ্রমিক যাহাতে গøাস ব্যবহার না করে নিজিস্ব পানির বোতল ব্যবহার করে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩. পিএ সিষ্টেমের মাধ্যমে প্রত্যেক দিন প্রশিক্ষন প্রদান করা হয় যাহাতে শ্রমিকেরা পানি খাওয়ার কল এ পানির বতল এর মুখ না স্পর্শ করে পানি নেয় ।
ক্যান্টিন ও ডাইনিংঃ
১. ডাইনিং এর প্রত্যেক ব্রেঞ্চ এ সামাজিক দুরুত্ব রেখে শ্রমিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. ক্যান্টিন ও ডাইনিং এ সামাজিক দুরুত্ব ব্যাপারে মার্কিং করা হয়েছে এবয় সময় ভাগ করে লাঞ্চ টাইম প্রদান করার নিয়ম চালুকরা হয়েছে।
৩. ডাইনিং এবং ক্যান্টিন এ হাত ধোয়ার যায়গা অন্তত ৩ (তিন) ফুট করা হয়েছে যাহাতে সামাজিক দুরুত্ব বজায় থাকে।
৪. শিফট অনুযায়ী শ্রমিকদরে লাঞ্চ টাইম নির্ধারন করা হয়েছে।
ভিজিটর ম্যানেজমেন্টঃ
১. ভিজিটিং পলিসি এবং গাইড লাইন কোভিড-১৯ এর জন্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
২. কারখানার গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় সকল ভিজিটরের তাপমাত্রা চেক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. যদি কোন ভিজিটরের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায় তাহলে ঐ ভিজিটরকে কারকানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
৪. যেহেতু কারখানায় প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন কাজ অব্যাহত থাকে তাই নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সেসাথে কারখানার শ্রমিকদের সংস্পর্শে যাতে তারা না আসে এজন্য তাদের প্রবেশ এবং বাহিরের আলাদা সময় দেয়া হয়েছে। অন্যান্য শ্রমিকের মত তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয় এবং আশঙ্কাজনক মনে হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৫. হাত ও পা জীবানুমুক্ত করার পর ফ্যাক্টরীতে ঢুকার অনুমতি দেওয়া হয়।
পণ্য সামগ্রী পরিবহন ঃ
১. পরিবহনের ড্রাইভার এবং তার সাথে কাজ করা লোডারদের কোভিড-১৯ এর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. পরিবহনের ড্রাইভার এবং তার সাথে কাজ করা সকল লোডারদের উপযুক্ত পিপিই প্রদান করা হয়েছে।
৩. শিপমেন্ট এর সময় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে পরিবহনে কার্টুন আনলোড করা হয় এবং সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে যাতায়াত করে থাকে।
৪. লোডিং করার আগে কনটেইনার জীবানুমুক্ত করা হয়ে থাকে।
শ্রমিক /কর্মচারীর পরিবহনঃ
১. কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন গাড়ি প্রদান করে থাকে না।
২. কারখানার ভিতর কোন গাড়ি প্রবেশ করলে জীবানুনাশক দিয়ে পরিস্কার করা হয়ে থাকে।
৩. সকল ড্রাইভার এবং হেলপারদের উপযুক্ত পিপিই প্রদান করা হয়ে থাকে।
৪. কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রত্তেক গাড়িতে হ্যান্ডসিনিটাইজার এর ব্যবস্থা করেছে।
৫. যদি ড্রাইভার বা হেলপারের শরীরের কোভিড-১৯ এর সিমটম পাওয়া যায় তাহলে তাদের হেলথ চেকআপ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৬. কারখানার সকল ড্রাইভার কারখানার বাইরে থাকেন।
ডে-কেয়ার ঃ
১. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাচ্চাদের নিরাপত্তার সার্থে চাইল্ড কেয়ার বন্ধ রাখা হয়েছে এবং যে সকল মায়েদের বাচ্চার কারনে কারখানায় আসতে সমস্যা হচ্ছে তাদেরকে স্ব-বেতনে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে বা কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান হরা হয়ে থাকে।
২. চাইল্ড কেয়ার এ কোন বাচ্চা থাকে, তাহলে কেয়ারগিভার এর উপযুক্ত পিপিই পরিধান করানো হয় নিয়মিত হেলথ চেকআপ করানো হয় এবং বাচ্চাদের জন্য নিয়মিত হেলথ চেকআপ এর ব্যবস্থা করা হয়।
৩. গর্ভবতি মায়েদের ছুটি বাড়িয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং সদ্য ভুমিষ্ট বাচ্চার মায়েরা অফিসে যাতে না আসে এর জন্য ছুটি বাড়ানো ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবে নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য ঃ
১. সকল শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ তাদের নিজিস্ব ব্যাগ ব্যবহার করে স্যান্ডেল এবং জুতা সংরক্ষণ করে।
২. পিএ সিষ্টেমের মাধ্যমে সকল শ্রমিকদেরকে টয়লেটে থুথু ফেলানোর ব্যাপারে ঘোষনা করা হয়ে থাকে।
৩. কারখানায় নেশা জাতীয় কোন জিনিস প্রবেশ নিষেধ।
৪. সকল কর্মীদের প্রতি মাসের বেতন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে, যদি কারো বেতন হাতে প্রদান করা হয় তাহলে অবশ্যই সাথে হ্যান্ডসেনিটাইজার ব্যবহারের জন্য রাখা হয়।
৫. কারখানায় শ্রমিকদের জন্য কোন খাদ্যর ব্যবস্থা নেই।
সন্দেহজনক এবং কোভিড-১৯ নিশ্চিত হলে তার ব্যবস্থাঃ
১. কারো যদি কোভিড-১৯ এ সন্দেহ বা আক্রান্ত হয় তাহলে জরুরী মূহুর্তে কি করণীয় তার জন্য একটি এসওপি এবং একটি প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে।
২. সন্দেহজনক/সংক্রামিত ক্ষেত্রে মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত রসদ রাখা হয়েছে যেমন আলাদা বিছানাযুক্ত রুম এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহন।
৩. যদি কোন শ্রমিকের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে এবং যদি কোভিড-১৯ এর সিমটম পাওয়া জায় তাহলে যত দ্রুত সম্ভাব তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়।
৪. কারখানায় জাতীয় হেলপ লাইন নাম্বার পোষ্টিং করা হয়েছে, যাতে শ্রমিকেরা সহজেই তা বুজতে পারে।
৫. যদি শ্রমিকদের পরিবারের কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে ঔ ব্যক্তি থেকে আলাদা থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।
৬. কারখানার সকল সেকশন প্রধান সকল শ্রমিকদের খোজখবর নিয়ে থাকেন কারখানা কর্তৃপক্ষ যা মনিটর করে থাকে।
উপসংহারঃ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশও করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিরলস পরিশ্রম করছে । কিভাবে এর সংক্রমন থেকে নিজেকে, নিজের পরিবার-পরিজনকে এমনকি নিজের দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখা যায় তার জোরালে প্রচেষ্টা চলছে। এদিকে বাংলাদেশের মত উন্নয়শীল রাষ্ট্র তার উন্নয়নের চাকাকে ঘুরিয়ে বিশ্বে টিকিয়ে রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের আয়ের বড় অংশ হল গার্মেন্টস শিল্প। এ শিল্পের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠী তেমন সচেতন না হওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রামক সহজেই ছড়াতে পারে। আর তাই ________________ এর কর্তৃপক্ষ কারখানার সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।