ভূমিকাঃ .................. এর কর্তৃপক্ষ ইহার ক্রেতা সাধারণ ও সরবরাহকারীদের সাথে মান সম্পন্ন পণ্য নিয়ে সততার সাথে ব্যবসা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করে যে, ইহার সরবরাহ প্রণালী নিরাপদ, শ্রমিকদের সম্মান ও মর্যাদার সাথে মূল্যায়ন করা হয়, ইহার উৎপাদন পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ।
উল্লেখ যে, .............................. এর কর্তৃপক্ষ সব সময় বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান ও বায়ারের আচরণবিধি উপর কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ।
অঙ্গীকারঃ .......................................-এর কর্তৃপক্ষ কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বা প্রতিষ্ঠানের বাহিরে কোন প্রকার সুবিধা গ্রহণে বা সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ঘুষ গ্রহণে চরম নিষেধাজ্ঞার নীতি অনুসরণ করে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান ও নৈতিক আদর্শ ধারণে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধ পরিকর। যেকোন ধরনের দুর্নীতি বা ঘুষ বা এই সংক্রান্ত অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নীতিমালা এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কর্তৃপক্ষ কোন ধররেন ঘুষ/সুদ সর্মথন করে না বরংং প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনৈতিক লেনদেন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সর্বোচ্চ জরুরী পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করবো না।
উদ্দেশ্যঃ কর্তৃপক্ষ ইহার ব্যবহার পরিচালনার মূল্যবোধ নিয়ে গর্বিত। ইহার সকল লেনদেন ও অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ পরিচালনায় সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও ব্যক্তিগত স্বচ্চতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ঘুষ/সুদ সংক্রান্ত নীতিমালা নি¤œরূপঃ
ঘুষ/সুদ দমনঃ ঘুষ/সুদ দমনঃ সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখে বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দুর্নীতি বলে বিবেচ্য তা নি¤œরূপঃ
সরবরাহকারী বা তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে অর্ডার বা অন্য সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি বা পাইয়ে দেয়া;
নিয়োগের স্বচ্ছতা বজায় না রেখে পরিচিত লোকদের নিয়োগ প্রদান করা;
পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিচার না করে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে পদোন্নতি দেয়া;
অর্থের দ্বারা প্রলোভিত হয়ে পদোন্নয়ন করা বা অর্থ প্রদানের মাধ্যমে পদোন্নয়ন গ্রহণ করা;
নিজের ভুল ক্রুটি ঢাকার জন্য অর্থ বা ঘুষ বা অন্যের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে তার দোষ ক্রটি এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া;
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে শ্রমিকদের বিশেষত মহিলাদের ভাল কাজ দেয়া;
এক বিভাগ হতে অন্য বিভাগে স্থানান্তরের জন্য অর্থ বা ঘুষ গ্রহণ করা বা প্রস্তাব করা;
বেতন বা আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর কিংবা অবৈধভাবে ছুটি পাশ করানোর জন্য ঘুষ নেয়া বা দেয়া, ইত্যাদি।
দুর্নীতি দমনঃ
কর্তৃপক্ষ সব ধরনের দুর্নীতিকে দমন করার জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করে। কোন ধরনের ছোট-ঘাটে দুর্নীতিকেও এস.সুহি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিঃ-এর কর্তৃপক্ষ প্রশ্রয় দেয় না বরং দমন ও নিরুৎসাহিত করে। দুর্নীতি দমনের জন্য রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যেমন-
কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দুর্নীতি আওতায় পড়লে তার চাকুরীচ্যুতি;
ছোট-খাটো দুর্নীতি ও গ্রহণীয় নয়;
হিসাব তথ্যের ভুল উপস্থাপনা করা যাবে না;
ঘুষ দেয়া ও নেয়া যাবে না;
নিজের কাজ ফাঁকি দেয়া যাবে না বা দায়িত্ব এড়ানো যাবে না;
সকল কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে;
কোম্পানীর অর্থ আত্মসাৎ করা যাবে না;
পদোন্নতির ক্ষেত্রে/আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা;
নিজের অধীনস্থ কারো কাজ থেকে ধার নিয়ে তা পরিশোধ না করা;
স্বজনপ্রীতি বা কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা; ইত্যাদি।
যেকোন পদক্ষেপের সাথে সবার মনোযোগ নিয়ে একসাথে একটি মূল লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় এস.সুহি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিঃ উপরোক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বাস্তবায়নকারী দায়িত্বিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
বাস্তবায়নকারী দায়িত্বিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
মহা ব্যবস্থাপকঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি বিশ্লেষণ, নীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি, তার প্রতিকার সংক্রান্ত যাবতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদেক্ষপ গ্রহণ।
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন ও উর্ধ্বতন ব্যবস্থপনার সাথে যোগাযোগ।
কমিটি প্রদত্ত তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ।
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন, পরামর্শ, শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি প্রতিকার নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।
ফ্যাক্টরীর কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া মনিটরিং ও অন্যান্য বিভাগের সাথে আলোচনা এবং অবস্থা বিবেচনায় পদ্ধতিগত উন্নতিকরণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ।
অফিসার (মানব সম্পদ)ঃ
শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করা;
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেন কোন রকমেই কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির সুযোগ না পায় সে দিকে লক্ষ্য রাখা ও জোরদার করা।
এই নীতি সংক্রান্ত যেকোন প্রাপ্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা।
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতির সঠিক বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপককে সার্বিক সহায়তা করা।
এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগঃ
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি নিরসনে নিয়োগকারী দল, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ, প্রচারণা ও শাস্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ফ্লোর মনিটরিং, ইন্টারনাল অডিট পরিচালনা, নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা।
কল্যাণ কর্মকর্তা (ওয়েলফেয়ার অফিসার)ঃ
ফ্লোর মনিটরিং;
শ্রমিক, শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্য, ইনচার্জ, সুপারভাইজার ও এপিএম-এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কীকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত কোন অনুযোগ সৃষ্টি হলে তা তাৎক্ষণিক খতিয়ে দেখা, সমাধানকরণ এবং একই সমস্যা যেন বার বার না আসে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
সমস্যাগুলো নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন।
সিকিউরিটি ইনচার্জ ও সিকিউরিটি বিভাগঃ
সব সময় সচেষ্ট থাকা যেন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি যেন প্রতিষ্ঠানের ভিতরে করতে না পারে;
যদি কারও কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি করতে দেখা যায়, তবে তাকে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের আদেশ সাপেক্ষে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা।
অডিট টিমের সচেতনতা ও সাহায্যঃ
সব সময় সচেষ্ট থাকা কেউ যেন প্রতিষ্ঠানের ভুল বা প্রতারণামূলক কাজ দেখিয়ে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি করতে না পারে;
যদি কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি লেনদেন করতে দেখা যায় তবে তাকে পরিষ্কারের মাধ্যমে নিশ্চিত করে কাজ করার ব্যবস্থা করা।
রুটিন ও কর্ম পদ্ধতিঃ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াঃ
কাজ কিভাবে কে/পদবী কখন সময়
সমগ্র প্রতিষ্ঠানের ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি প্রতিষ্ঠাকরণ ও নিশ্চিতকরণ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতির প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন ও তার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে। মহা ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে সব সময় বলবৎ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমনকে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না করা নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ও ইন্টারনাল অডিট এবং ফ্লোর মনিটরিং-এর মাধ্যমে ব্যবস্থাপক (এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) প্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ বা চালু উভয় সময়ে সব সময় বলবৎ
নিয়োগের সময় মূল মূল্যায়ন সনদপত্র/ ভোটার আইডি কার্ড ইত্যাদি চেক করে স্বচ্ছতা সম্পর্কে সুনিশ্চিত হয়ে তারপর নিয়োগ করা প্রত্যেক নিয়োগকারী কর্মী প্রত্যেক শ্রমিক নিয়োগের সময় অবশ্যই প্রার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রমাণের সনদপত্র ছাড়া কোনক্রমেই নিয়োগ করবে না। ব্যবস্থাপক, এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়মিত নিয়মিত
মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট ও নিয়োগকারী দলকে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমনের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা প্রতি মাসে আয়োজিত মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ সেশনে এই নীতি সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে এবং ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি কুফল ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। এছাড়া কি করে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি পরিহার করা যায় সে সম্পর্কে ও আলোচনা করতে হবে। ব্যবস্থাপক, এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার প্রতি মাসে অন্তত এক বার প্রতি মাসে অন্তত এক বার
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির কুফল ও সচেতনতা প্রতিস্থাপন প্রতি বছরে অন্তত একবার প্রত্যেকটি ফ্লোরে নন কমপ্লায়েন্স চিত্র উপস্থাপনের আয়োজন করতে হবে যাতে অন্তর্ভুক্ত হবে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি, তার ভয়াবহতা, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষয় ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। ব্যবস্থাপক, এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার প্রতি বছরে অন্তত এক বার প্রতি বছরে অন্তত এক বার
সকল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হতে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি করব না এই মর্মে ঘোষণাপত্র গ্রহণ সকল বিভাগীয় প্রধানের নিকট হতে নির্ধারিত ফরমে এই মর্মে স্বাক্ষর নিতে হবে যে, তারা বা তাদের অধীনে কখনও কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি হবে না এবং যদি ভুলবশতঃ হয়ে যায় তবে তাকে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় সুবাধাদির ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে করে দিতে বাধ্য থাকবে। ব্যবস্থাপক, এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার অন্তত এক বার সব সময়
বাস্তবায়ন রুটিন-যোগাযোগ পদ্ধতিঃ
কাজ কিভাবে কে/পদবী কখন সময়
নিয়োগকারী দলের সাথে যোগাযোগ সাধারণ মিটিং-এর মাধ্যমে সবাইকে অবহিতকরণ এবং প্রত্যেক এই নীতিমালা বুঝে এই মর্মে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি প্রতিকারের অঙ্গীকার গ্রহণ এইচ.আর এন্ড কমপ্লােেয়ন্স অফিসার বছরে অন্তত একবার সব সময়
মিড লেবেল ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা সাপেক্ষে সময় উল্লেখপূর্বক একটি নোটিশ প্রেরণ, মিড লেভেল ফিডব্যকসহ একটি সভা কার্যবিবরণী সংরক্ষণ। উল্লেখ্য যে, একটি মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট ট্রেণিংয়ে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি ছাড়াও আরও অন্যান্য বিষয় আলোচনা করা যেতে পারে। ব্যবস্থাপক
(এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স) মাসে একবার সব সময়
কোড অব ইথিক্স-এর সংযোজন ও তা যোগাযোগ সম্পূর্ণ কোম্পানীর জন্য একটি কোড অব ইথিক্স তৈরী করা সাপেক্ষে তাতে অবশ্যই ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি অন্তর্ভূক্তকরতঃ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সকলের স্বাক্ষর নিতে হবে। এইচ.আর এন্ড কমপ্লােেয়ন্স অফিসার অন্তত একবার সব সময়
পুরাতন শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ প্রতি মাসে সচেতনতামূলক ট্রেণিং-এর মাধ্যমে পুরাতন শ্রমিকদের ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি, কুফলতা, প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব ইত্যাদি সচেতনতামূলক আলোচনা করতে হবে। এইচ.আর এন্ড কমপ্লােেয়ন্স অফিসার মাসে একবার সব সময়
নতুন শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ প্রতি মাসে নিয়োগপ্রাপ্ত নুতন শ্রমিকদের জন্য একটি ওরিয়েন্টেশন বা পরিচিতিমূলক ট্রেণিং-এর আয়োজন করে তাতে প্রয়োজনীয় সকল নীতিমালা, ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি, শ্রমিকদের অধিকার, বিভিন্ন কল্যাণমূলক সুবিধাসহ, নিরাপত্তা নীতিমালা, অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদি চালনা পদ্ধতিসহ জরুরী অবস্থায় করণীয় ইত্যাদি বিষয়াদি আলোচনা করতে হবে এবং যার একটি সভার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও পি.এ সিস্টেম ও কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চলবে। এইচ.আর এন্ড কমপ্লােেয়ন্স অফিসার মাসে একবার সব সময়
নোটিশ বোর্ড, পি.এ সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ অনুযোগ বা অভিযোগ নীতিসহ অন্যান্য নাীতমালা নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং পি.এ সিস্টেমের মাধ্যমেও এই প্রক্রিয়া চলবে। এখানে উল্লেখ্য যে, যেকোন পরিবর্তিত নীতি অবশ্যই নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে ও পরিবর্তন করতে হবে। ব্যবস্থাপক এইচ.আর এন্ড কমপ্লােেয়ন্স, কল্যাণ কর্মকর্তা সব সময় সব সময়
নিয়ন্ত্রণ ও ফলাফলঃ
কাজ কিভাবে কে/পদবী কখন সময়
ইন্টারনাল অডিট ইন্টারনাল অডিট যে সমস্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করা হবে তা নি¤œরূপঃ
ক) প্রতি ফ্লোর ঘুরে দেখা;
খ) নিয়োগকারী দলের সাক্ষাৎকার;
গ) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শ্রমিকের পার্সোনাল ফাইল চেক করা ও স্বশরীরে পর্যবেক্ষণ করা;
ঘ) ডকুমেন্টস্/নথিপত্র পরীক্ষা করা;
ঙ) প্রতিদিন ফ্লোরে কর্মরত সিওসি, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং কমপ্লায়েন্স, এডমিন ও এইচ.আর কর্মকর্তাবৃন্দ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন অবস্থান পর্যবেক্ষণ (খুঁজে দেখা) করবেন এবং কোন রকম সন্দেহ হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষাসহ নথিপত্র পরীক্ষা করতে হবে। ব্যবস্থাপক
(এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স) প্রতি তিন মাসে একবার সব সময়
নিয়মিত ফ্লোর মনিটরিং প্রতিদিন ফ্লোরে কর্মরত সিওসি, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং কমপ্লায়েন্স, এডমিন ও এইচ.আর কর্মকর্তাবৃন্দ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন অবস্থান পর্যবেক্ষণ (খুঁজে দেখা) করবেন এবং কোন রকম সন্দেহ হলে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষাসহ নথিপত্র পরীক্ষা করতে হবে। ব্যবস্থাপক
(এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স) প্রতি দিন সব সময়
প্রশিক্ষণ সেশনে আইডি কল ও পার্টিসেপেশন পদ্ধতি প্রতি মাসে আয়োজিত নতুন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ সেশনে আইডি নাম্বার হিসেবে সকল শ্রমিককে সরেজমিনে চেক করতে হবে এবং কোন প্রকার সন্দেহের সৃষ্টি হলে সাথে সাথে পূণরায় পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নথিপত্র চেক করতে হবে। এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগ প্রতি মাসে একবার সব সময়
প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ ও বহির্গমন পথ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডরা সাবক্ষণিক প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বা প্রবেশ মুখে যদি কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি পাওয়া যায় তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। সিকিউরিটি বিভাগ প্রতিদিন সব সময়
এছাড়াও যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা যেতে পারে তা নি¤œরূপঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি প্রতিকার সাধক নীতি সম্পর্কে সচেতন শ্রমিক তৈরি করতে হবে;
প্রত্যেক শ্রমিকের পার্সোনাল ফাইলে জন্ম সনদ অথবা ভোটার আইডি কার্ড-এর ফটোকপি নিশ্চিত করতে হবে;
প্রত্যেক শ্রমিকের ক্ষেত্রে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমনজনিত স্ব-ঘোষিত লিখিত নেয়া যেতে পারে;
পার্সোনাল ফাইলে সঠিক কাগজপত্র আছে কিনা তা ইন্টারনাল অডিটের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে;
শ্রমিক নিয়োগের সময় কোন ঘুষ/সুদ নেয়া হবে না এই মর্মে প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত য়ো যেতে পারে;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত কারখানা গড়তে পারলে দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে উঠবে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
যোগাযোগ এবং বাস্তবায়নঃ
যোগাযোগ ঃ পূর্বে উল্লেখিত যোগাযোগ পদ্ধতি অনুযায়ী।
বাস্তবায়ন ঃ পূর্বে উল্লেখিত বাস্তবায়ন রুটিন অনুযায়ী।
উদাহরণ ঃ মাসিক ট্রেণিং রুটিন।
রিপোর্টিং ও উদাহরণঃ
প্রাপ্ত সমস্যা সমস্যার মূল কারণ সংশোধন পদ্ধতি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পাদনের তারিখ (আনুমানিক) মতামত
মাসিক নিয়োগের সময় দেখা গেল একজন শ্রমিক হেলপার হিসেবে নিয়োগ পেতে আগ্রহী কিন্তু তার বয়স যোগ্যতা প্রমাণ দেয়ার জন্য কিছু টাকা দিতে বলা হয়েছে। তৎক্ষণাত নিয়োগকারী কর্মীরা ডাক্তার এর নিকট তাকে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে অযোগ্য বলে ঘোষণা দেয়, অথচ প্রমাণ ছাড়া চাকুরী করা যাবে না। চাকুরীটা তার প্রয়োজন বিধায় কিছু টাকা দিয়ে ভুয়া প্রমাণ পত্র নিতে চায়। নিয়োগ পদ্ধতি আরো জোরদার করতে হবে ও সব জায়গায় ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থাপক
(এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স) যত দ্রুত সম্ভব
লক্ষ্যঃ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নিরাপদ ও ট্রান্সপারেন্ট কর্মস্থল বাস্তবায়ন ও সুস্থ স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ আনয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান মেনে চলে ভবিষৎ এ এর প্রতিকার বাস্তবায়নে ..................... কর্তৃপক্ষ সর্বদায় নিয়োজিত থাকিবে ।
উপসংহারঃ কর্তৃপক্ষ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।