স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা _____________________________-এর সকল শ্রমিগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _____________ইং, রোজঃ _______________ সকাল __________ টা থেকে _________ ঘটিকা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের এডমিন সেকশনের শ্রমিকদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিমোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণে উল্লেখিত বিভাগ/সেকশনের সকল শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ ঘুষ ও দুর্নীতি পরিহার বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষন ।।
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১. উদ্দেশ্য, ২. পরিধি, ৩. কেন দুর্নীতি, ৪. দুর্নীতি দমন পদ্ধতি, ৫. দুর্নীতি প্রমাণিত হলে করনীয়, ৬. অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণ, ৭. সরকারি অফিস নিয়ন্ত্রণ, ৮. লক্ষ্য, ৯. উপসংহার, ১০. বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) সম্পর্কে আলোচনা।
অতএব, উল্লেখিত সেকশ/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
ঘুষ বা দুর্নীতি পরিহার বিষয়ক ম্যানুয়াল
উদ্দেশ্যঃ উৎকোচ বা ঘুষ সম্পর্কীয় নীতিমালাটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ________________ এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উৎকোচ বা ঘুষ সম্পর্কীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে সচ্ছ ধারনা দেওয়া।
পরিধিঃ উৎকোচ বা ঘুষ সম্পর্কীয় নীতিমালাটি ___________________ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বাংলাদেশ প্রচলিত শ্রম আইন ২০০৬ এবং বিভিন্ন বায়ারদের নীতিমালা মোতাবেক পরিচালিত হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সকল কর্মীর মধ্যে দুর্নীতি ও চোরাচালান বিরোধী মনোভাব তৈরী ও জাতীয় উন্নয়নের অংশীদারিত্ব করা।
কেন দুর্নীতিঃ দুর্নীতি একটি মারাত্মক অপরাধ, কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির প্রভাবে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়, নিম্নমানের কাঁচামাল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার এর ফলে উৎপন্ন পণ্যের গুনগতমান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। দুর্নীতি পরায়ন কর্মীগণ চোরাচালানের মত মারাত্মক কাজে জড়িয়ে পরতে পারে।
দুর্নীতি দমন পদ্ধতিঃ __________________ এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সকল কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য সততা, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে। _________________ এর কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক কর্মী সকলেই আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আইনের পরিপন্থী কোন ধরনের কাজ যেমন, কোন প্রকার অবৈধ পণ্য ব্যবহার, বিতরণ বা চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার করা মোটেই সমর্থন করে না।
_____________________ স্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও চোরাচালান প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলে ঃ
১. কোম্পানীর নীতি অনুযায়ী ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ কোন ধরনের উপহার, আপ্যায়ন, ঘুষ গ্রহণ /প্রদান সমর্থন করে না।
২. সকল প্রকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে পণ্যের গুনগত মান অক্ষুন্ন রাখতে ব্র্যান্ডের পণ্য ক্রয় এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের বাহিরে সকল প্রকার ক্রয়, ক্রয় কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমোদন গ্রহণ করা।
৩. কমপ্লায়েন্স অডিটর বা অন্য কোন অডিটরকে অথবা সরকারী-বেসরকারী কোন পরিদর্শককে কোন রকম ভুল তথ্য বা নথি দেওয়া হয় না।
৪. কোম্পানী সম্পর্কিত কোন কাজের জন্য মূল্য, ভাড়া, অফিস সময়ের পর খাবার বা বিনামূল্যে আহার, ভ্রমনের জন্য টিকিট ইত্যাদি দাবি বা গ্রহণ সমর্থন করে না। তবে অফিস চলাকালীন সময়ে যে কোন ভিজিটর অথবা অডিটর খাবার সময় পর্যন্ত অবস্থান করিলে তাহাকে কোম্পানীর তরফ হইতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। সে ক্ষেত্রে কোন অডিটর উক্ত আপ্যায়নের বিপরীতে তাহার প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুসরণ পূর্বক মূল্য পরিশোধের আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে রশিদ প্রদান পূর্বক উক্ত মূল্য সাদরে গ্রহণ করা হয়।
৫. কোম্পানীতে কোন অবস্থায় কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা হয় না।
৬. কোম্পানী সম্পর্কিত কোন বিষয়ে কোম্পানীর বাহিরে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা হয় না।
৭. কোম্পানী সম্পর্কিত যে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন, শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
৮. কোন সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কখনও কোন ধরনের ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে, আমরা সাথে সাথে তাদের সংঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন /শাস্তি ব্যবস্থা নেয়া হয়।
দুর্নীতি প্রমাণিত হলে করনীয় ঃ
(ক) ঘটনা ধরা পরলে কারণ দর্শানো নোটিশ করা।
(খ) তদন্ত কমিটি দ্বারা তদন্ত করা এবং সেই সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত শ্রম আইনের ধারা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তার কপি গ্রহণ করা ও ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণ করা।
উপরোল্লেখিত নীতিমালা অনুসরণে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এই নীতি মালা মেনে সর্বাতœক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
________________________ যে কোন প্রকার দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়াকে দুই ভাগে ভাগ করে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ঃ
অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণ ঃ
১. কারখানার অভ্যন্তরে বিশেষ করে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া যদি উধর্¦তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়,তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
২. কোন কর্মকর্তা, কর্মচারীর বা কোন শ্রমিক যদি চুরির দায়ে অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়, তাহলে তাহার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সরকারি অফিস নিয়ন্ত্রণ ঃ
ঘুষ নেওয়া এবং দেওয়া ________________________ প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কোন ক্ষেত্রে সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
১. যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স/ পারমিটের প্রয়োজন হয়। এসব লাইসেন্স/ পারমিট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/ অধিদপ্তর ইস্যু করে থাকে। যদি কখনও কোন সমস্যা হয়, তাহলে সরকারি অফিসের কর্মকর্তাগণের সহিত আলোচনার মাধ্যমে উক্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।
২. ব্যবসায়ীক কাজে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য ___________________- এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/ অধিদপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে।
৩. অনেক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক বজায় রেখেও যথাসময়ে কাজ হয় না, কারণ সরকারী কর্মকর্তাগণ অহরহ এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে স্থানান্তর হয়। তখন কিছুটা সমস্যা হলেও পরবর্তীতে সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
৪. অবস্থার প্রেক্ষিতে ঘুষ/ দুর্নীতি কেউ নিতে চায়/প্রস্তাব দেয় তার বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা হয়।
লক্ষ্যঃ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নিরাপদ ও ট্রান্সপারেন্ট কর্মস্থল বাস্তবায়ন ও সুস্থ স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ আনয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান মেনে চলে ভবিষৎ এ এর প্রতিকার বাস্তবায়নে _____________________ কর্তৃপক্ষ সর্বদায় নিয়োজিত থাকিবে ।
উপসংহারঃ কর্তৃপক্ষ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
____________________________
ঘুষ ও দুর্নীতি পরিহার বিষয়ক প্রশিক্ষনের স্থীর চিত্র
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
ঘুষ ও দুর্নীতি পরিহার বিষয়ক সচেতনতামূক সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের নামের তালিকাঃ
তারিখঃ স্থানঃ________ সময়ঃ________
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(প্রশিক্ষক) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)