(ফ্যাক্টরী আইন ১৯৭৯ ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬)
১. নীতিমালা ও পরিকল্পনা (পলিসি)
১.১ কোম্পানির নাম সকল প্রচলিত শুল্ক আইন (কাষ্টমস সংক্রান্ত আইন) এবং আইনগত ট্রান্সশিপমেন্ট/পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত আইন মেনে চলেন।
২. সাধারন প্রক্রিয়াঃ
২.১ কোম্পানির নাম নিম্নে বর্ণিত রপ্তানী প্রক্রিয়া অনুসরন করা হয়।
- ক্রেতার কাছ হতে পন্য চাহিদার অর্ডার প্রাপ্তি।
- পার্চেস কন্ট্রাক্ট / ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি, লেটার-অব-ক্রেডিট, ক্রেতার কাছ হতে পাওয়ার পর কাঁচামাল আমদানী করা।
- কাঁচামাল বিদেশ হতে দেশের বন্দরে পৌঁছানোর পর, শুল্ক বিভাগ/কাষ্টমস বিভাগ হতে ছাড়িয়ে আনার (প্রয়োজনে শুল্ক/কাষ্টমস ডিউটি কর পরিশোধ করা যদি প্রযোজ্য হয়)
- পন্য বিদেশে রপ্তানী করার জন্য প্রয়োজনীয় রপ্তানী সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট/কাগজপত্র প্রস্তুত করা।
- দর-কষাকষি (নেগোশিয়েশন)।
- রপ্তানী সংক্রান্ত রিসিপ্ট।
২.২ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পার্চেজ অর্ডার ক্রয় সংক্রান্ত অর্ডার ও পরিকল্পনা পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য জেনারেল ম্যানেজার এর নিকট প্রেরন করেন।
২.৩ অর্ডার পাওয়ার পর ফ্যাক্টরী ম্যানেজার তখন পরিকল্পনা করেন যে কিভাবে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পন্য উৎপাদন করার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী পন্য উৎপাদন/সরবরাহ করা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর সাথে বিশদভাবে আলোচনা ও পরিকল্পনা করেন।
২.৪ পন্য উৎপাদনের পর, ক্রেতার কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগ বা এজেন্ট তখন উৎপাদিত পন্যের মান যাচাই/পরীক্ষা করেন এর পরে চুড়ান্ত পরীক্ষা করেন।
২.৫ পন্য শিপমেন্ট এর জন্য, রপ্তানীর জন্য, বাণিজ্যিক বিভাগ এর কর্মকর্তাগন ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, শিপমেন্ট এর অন্তত ৭ দিন পূর্বে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
২.৬ চূড়ান্ত পরিদর্শন এর পর, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে রপ্তানী ফরম ইস্যু করা হয় এবং শুল্ক সংক্রান্ত কাগজপত্র (কাস্টমস ডকুমেন্ট) প্রস্তুতকরা হয়। যথাঃ ইনভয়েস, প্যাকিং তালিকা এবং এসব কাগজপত্রের এক কপি ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এর নিকট প্রেরন করা হয়।
২.৭ ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ড এজেন্ট এর নিকট, কাস্টমস ডকুমেন্ট সহ পন্য হস্তান্তর করেন শিপিং লাইন/তার এজেন্ট তখন কন্টেইনার প্রদান করেন যাতে পন্য সুন্দররূপে/গুছিয়ে বোঝাই করার পর, গন্তব্যে বন্দরের অভিমুখে পন্য যাত্রা করে।
২.৮ পন্য যে কনন্টেইনারে বোঝাই করা হয়, তার বহনকারী জাহাজ যাত্রা করার পর, শিপিং লাইন বিল অব লোডিং (বি/এল) ইস্যু করেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ ইনভয়েস প্যাকিং লিষ্ট ও অন্য দলিলপত্র সহ জমা দেন/ দাখিল করেন।
২.৯ রপ্তানী প্রক্রিয়া তখন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াধীন।
২.১০ পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা। পন্যের মূল্য বাবদ ও চুক্তি অনুযায়ী যাবতীয় খরচ বাবদ টাকা পাওয়া ও একাউন্টে জমা করা এবং এরপর নথিভুক্তকরণ সম্পন্ন হয়।
৩. দায়িত্ব অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা ও যোগাযোগ, দায়িত্ব এবং অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাঃ
৩.১ বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, প্রধান কার্যালয় হতে, কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা আইনকানুন, ব্যবসার প্রয়োজনীয় কার্যপদ্ধতি সমূহ সংশোধনী ইত্যাদি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করবেন।
৪. দায়িত্বসমূহঃ
সংশ্লিষ্ট দলিল/ ডকুমেন্টসমূহ
- প্যাকিং লিষ্ট/ প্যাকিং তালিকা
- কাস্টমস ইনভয়েস/শুল্ক সম্পর্কিত মূল্য তালিকা
- রপ্তানীর জন্য ফরম
- মূল্য লেটার-অফ-ক্রেডিট
- বাণিজ্যিক মূল্যতালিকা / ইনভয়েস
- বিল-অব-এক্সচেঞ্জ খোসড়া
- বিল অব লেডিং
- সার্টিফিকেট অফ অরিজিন (উৎপাদনের মূল জায়গার সনদ)
- জি.পি.এস ফরম ‘‘এ’’
- যিনি সুবিধা পাবেন তার সনদ/ সার্টিফিকেট
- পরিদর্শন এর রির্পোট
৫. অর্গানাইজেশন চার্ট এ অবস্থান।
৬. দায়িত্ব, ক্ষমতা ও যোগাযোগঃ
........................... (বাণিজ্যিক কর্মকতা)
৬.১ যেখানে প্রয়োজন, উপ-মহব্যবস্থাপক (প্রশাসন, মানব সম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স), সংশ্লিষ্ট লোকজন/কর্মচারী/কর্মকর্তাদেরকে সংশোধনী সহ আইন এবং বিষয়টি অবহিত করনের জন্য প্রশিক্ষনে উপস্থিত থাকার রেজিষ্টার খাতায় তা লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষিত থাকবে।
নোটঃ আমরা সাব-কন্ট্রাক্ট কাজ করলে আমাদের প্রিন্সিপাল উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে।