উদ্দেশ্যঃ আইডি কার্ড প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের পরিচিত বহন করে। তাই .................................-এর কর্তৃপক্ষ নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিককে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী প্রত্যেককে নিজস্ব খরচে পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। আইডি কার্ড’র যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।
আইডি কার্ড ব্যবহার নীতিমালাঃ
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিককে ফরম-৬ অনুযায়ী কোম্পানীর নিজস্ব খরচে ছবিসহ পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়;
ধারা-৫, বিধি-১৯ এবং ফরম-৬ অনুযায়ী শ্রমিককের নিজস্ব ছবি সম্বলিত নিন্মবর্ণিত তথ্যাদি উল্লেখপূর্বক পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়ে থাকে। যথাঃ-প্রথম পৃষ্ঠায় যে সমস্ত তথ্যাবলী রয়েছে-
০১) কারখানা/প্রতিষ্ঠানের নাম
০২) আইডি কার্ড নং
০৩) ইস্যুর তারিখ
০৪) শ্রমিকের নাম
০৫) পদবী
০৬) কাজের ধরন;
০৭) যোগদানের তারিখ,
০৮) টিকেট/কার্ড নং;
০৯) শ্রমিকের স্বাক্ষর;
১০) মালিক/ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর; এবং
১১) শ্রমিকের ছবি।
দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় যে সমস্ত তথ্যাবলী রয়েছে-
১২) মেয়াদ;
১৩) কারখানা/প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা;
১৪) টেলিফোন নম্বর;
১৫) জাতীয় পরিচয়পত্র নং;
১৬) রক্তের গ্রæপ;
১৭) স্থায়ী ঠিকানা;
১৮) মোবাইল নম্বর;
১৯) উক্ত পরিচয়পত্র হারাইয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
এক জনের আইডি কার্ড অন্য যে কেউ বহন ও পরিধান করা যাবে না;
ফ্যাক্টরীতে অবস্থানকালীন সময় আইডি কার্ড গলায় ঝুঁলিয়ে রাখতে হবে;
কোন শ্রমিকের নিয়োগপত্র হারাইয়া গেলে বা নষ্ট হইলে শ্রমিকের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫০ টাকা ফি পরিশোধ সাপেক্ষে তাহার ব্যক্তিগত ফাইলে রক্ষিত নিয়োগপত্রের ফটোকপি বা হুবহু নকল সরবরাহ অথবা নূতন পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে;
পরিচয়পত্র প্রদান সম্পর্কিত তথ্য রেজিস্টারে ফরম-৬(ক) অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হয়;
কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিককে যেকোন প্রকার চাকুরীচ্ছেদের পর পরিচয়পত্র কারখানা কর্তৃপক্ষকে (মানব সম্পদ) বিভাগে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে;
পরিচয়পত্রের যাবতীয় শর্তাবলী বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে।