_
........................................-এর কর্তৃপক্ষ মহিলা শ্রমিকদের অধিকার সম্বন্ধে সর্বদাই সচেতন। কর্তৃপক্ষ সব সময়ই চেষ্টা করেছেন ফ্যাক্টরীতে কর্মরত মহিলা কর্মীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৫ইং) অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ মহিলা কর্মীদের অধিকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।
.................................-এর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একজন নারীকে কর্মক্ষেত্রে কর্মরত অবস্থায় যে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে তা নিন্মে উল্লেখ করা হইলঃ
কর্মী নিয়োগঃ আমাদের ফ্যাক্টরীতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ও পুরুষ ভেদাভেদ করা হয় না। যোগ্যতা ও কর্ম দক্ষতার ভিত্তিতে মহিলা কর্মীরা সঠিক ও যথার্থ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। গর্ভবতী মহিলা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থাকে নিয়ে কোন প্রকার অবহেলা অথবা যেকোন ধরনের প্রশ্ন বা গর্ভকালীন পরীক্ষার কথা জানতে চাওয়া হয় না।
মাতৃত্বকালীন ছুটিঃ ................................-এ কর্তৃপক্ষ কর্মরত মহিলা শ্রমিকদের সন্তান প্রসবের পূর্বে যদি ৬ (ছয়) মাস কাজ করিয়া থাকেন তাহলে গর্ভবতী মহিলা কর্মীদেরকে স্ববেতনে ১৬ সপ্তাহ (সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ ও সন্তান প্রসবের পর ৮ সপ্তাহ) মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় সুযোগ-সুবিধাঃ গর্ভাবস্থায় কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে-
* গর্ভবতী মহিলাদের যতটা সম্ভব হালকা ও কম পরিশ্রমের কাজ প্রদান করা হয়ে থাকে;
* সাধারণ কর্ম ঘন্টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে অর্থাৎ ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ করাতে হবে;
* গর্ভাবস্থায় কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে তার সম্মতি ব্যতিরেকে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় না;
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করানো হয় না;
* যে সকল গর্ভবতী শ্রমিক কর্মরত আছে তাদের জন্য ভারী কাজ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ;
* অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ;
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে প্রচন্ড শব্দ হয় এমন জায়গায় কাজ করানো হয় না;
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত গরম এমন জায়গায় কাজ করানো হয় না;
* ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করানো হয় না;
* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করানো হয় না;
* অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের উপরে উঠার জন্য লিফট ব্যবহার করতে হবে (যদি থাকে);
* ডাক্তারের তত্ত¡াবধানে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ বার চেক করা এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়;
* কল্যাণ কর্মকর্তা গর্ভবতী মহিলাদের সার্বক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ খবর রাখেন;
* অগ্নি মহড়া বা জরুরী কোন অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের আলাদাভাবে কারখানা থেকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হয়;
* গর্ভবতী মহিলার কাজের সময় সমস্যা দেখা দিলে সাময়িক বিশ্রাম অথবা প্রয়োজনে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়;
* মার্তৃত্বকালীন ছুটির জন্য প্রাপ্য সমূদয় পাওনা যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয়ে থাকে।
স্বাভাবিক অবস্থায়ঃ স্বাভাবিক অবস্থায় ................................-এর কর্তৃপক্ষ-
* অতিরিক্ত কাজ বা ওভারটাইম পুরোপুরি কর্মীদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। কোন মহিলা শ্রমিককে বলপ্রয়োগ বা জোরপূর্বক অতিরিক্ত কাজ করানো হয় না;
* কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে তার সম্মতি ব্যতিরেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কাজ করানো হয় না;
* ক) কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে ওজন বহন করিয়া উপরে উঠানোর ক্ষেত্রে ২৫ কিলোগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়;
খ) কোন মহিলা শ্রমিককে দিয়ে যন্ত্রপাতি, হাতিয়ার বা সরঞ্জাম কাহারো সাহায্য ব্যতীত হাতে বা মাথায় করিয়া উত্তোলন, বহন বা অপসারণের উদ্দেশ্যে নিয়োগ করানো হয় না। কাজের স্বার্থে তাকে অবশ্যই ৩০ কিলোগ্রাম-এর বেশি বহন করানো হয় না।
বৈষম্যহীনতাঃ কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরীতে মহিলা ও পুরুষ কর্মীদের কর্মস্থলে যেকোন ধরনের বৈষম্যকে প্রশ্রয় দেয় না। মহিলা ও পুরুষ একই পরিবেশে, একই চিকিৎসা সেবায়, একই শৃংখলা আইনে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করছে।
পক্ষপাতমূলক আচরণঃ কর্মরত অবস্থায় পদোন্নতি, শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচন, চাকুরীচ্যুতি অথবা বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন প্রকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয় না।
সমবেতনঃ ফ্যাক্টরীতে একই কাজের জন্য সমান কর্মদক্ষতা সম্পন্ন একজন পুরুষ কর্মী যে পরিমাণ বেতন পেয়ে থাকেন একজন মহিলা কর্মীও সেই পরিমাণ বেতন পেয়ে থাকেন অর্থাৎ সম মজুরী নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
প্রতিনিধিত্বকারীঃ ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের বিভিন্ন কমিটি যেমন-“অংশগ্রহণকারী কমিটি”, “সেইফটি কমিটি” ও “হয়রাণি প্রতিরোধ কমিটি”তে অধিকাংশ সদস্যই মহিলা শ্রমিক মনোনীত করেছেন যাতে তারা তাদের সমস্যাগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে পারে।
ক্যান্টিন এবং ডাইনিংঃ ................................-এর কর্তৃপক্ষ কর্মস্থলে মহিলা কর্মীদের হালকা নাস্তা খাওয়া এবং কর্মীদের নিয়ে আসা খাবার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি পৃথক ক্যান্টিন এবং ডাইনিং হল বা খাবার কক্ষের ব্যবস্থা করেছেন।
মেডিকেল সুবিধাঃ ................................-এর কর্তৃপক্ষ কর্মক্ষেত্রে সকল মহিলা কর্মীদের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১জন মেডিকেল অফিসার, ১জন নার্স ও ২ মেডিকেল সহকারীর তত্ত¡াবধানে একটি পৃথক মহিলা ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে।
ডে-কেয়ার সেন্টারঃ আমাদের ফ্যাক্টরীতে ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা রয়েছে। এখানে মহিলা কর্মীরা কর্মকালীন সময়ে তাদের ৬ বছর পর্যন্ত বয়সের বাচ্চাদের নিরাপদে রাখতে পারেন। যেখানে ২ জন প্রশিক্ষিত পরিচর্যাকারীণি বাচ্চাদের পূর্ণ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।