ভূমিকাঃ ................................. -এর সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্মস্থল, সু-স্বাস্থ ও নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকে। কর্তৃপক্ষ কর্মক্ষেত্রে সকল ধরনের ঢিলা পোশাক ও অলংকার ব্যবহার বর্জন করার পাশাপাশি শ্রমিকদের পোশাক ও ব্যবহারিক অলংকারাদি দ্বারা যাতে উৎপাদিত পণ্য ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয় সে ব্যপারে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট যত্নবান।
নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোন শ্রমিক বিশেষ করে মহিলা শ্রমিক ঢিলে-ঢালা পোশাকের কারণে কোন প্রকার দূর্ঘটনায় পতিত না হয় সেই জন্য ................................. এর কর্তৃপক্ষ নিন্মলিখিত নীতিমালা গ্রহণ করেছেন।
ঢিলে-ঢালা পোশাকঃ
কোন মহিলা শ্রমিক শাড়ি, মেক্সি পরিহিত অবস্থায় কারখানায় কাজ করানো যাবে না;
কোন শ্রমিক ঢিলা কাপড়, যেমন-পাঞ্চাবী, পায়জামা এই জাতীয় ঢিলে-ঢালা পোশাক পরে মেশিনে কাজ করানো যাবে না;
কোন মহিলা শ্রমিক চুল খোলা অবস্থায় কারখানায় কাজ করানো যাবে না। চুল বেঁধে এবং স্কার্ফ পড়ে কাজ করতে হবে;
কোন মহিলা শ্রমিক লম্বা কানের দুল, নাকে নথ বা ঝুলন্ত কোন অলংকার পরিধান করে কারখানায় কাজ করানো যাবে না;
এমন কোন হাতের রিং ব্যবহার করা যাবে না যাতে বিপদ ডেকে আনতে পারে;
প্যাকিং এরিয়াতে কোন শ্রমিক মেটাল জাতীয় পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করিতে পারবেন না;
প্যাকিং এরিয়ায় কর্মরত সকলকে এপ্রোণ পরিধান করিতে হবে;
এডজাষ্ট-ফ্যান-এর কাছে ওরনা খোলা অবস্থায় কাজ করা যাবে না, সকলকে ফ্যাক্টরী থেকে প্রদত্ত এপ্রোণ পরিধাণ করিতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে অলংকার ব্যবহারঃ
................................. শুধু পণ্য উৎপাদনই নয় যারা এ উৎপাদনের সাথে জড়িত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাদের কোম্পানীর নির্দিষ্ট আচরণ, আইন ও বিধিমালা মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করে থাকে। জীবন ধারনের জন্য মানুষের কাজ করতে হয়, কাজের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থের দ্বারাই চলে মানুষের প্রতিদিনের জীবন। তাই কাজের পরিবেশ, নিজের ব্যক্তিগত পোষাক-পরিচ্ছেদ ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত জিনিষপত্র যেমন- মানিব্যাগ, চশমা, আংটি, মালা, অলংকার ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। যেমন-
মেয়েদের ক্ষেত্রে অলংকার ব্যবহার কাজের জায়গায় সীমিত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। কেননা ভারি অলংকার পড়ে স্বাচ্ছন্দে কাজ করা যায় না;
অলংকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় মালা, কানের দূল ইত্যাদি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়;
কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের আঁটশাট পোষাক পরে কাজ করতে হবে যাতে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়;
পোষাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ে অত্যন্ত শালীনতার পরিচয় দিতে হবে এবং রুচিশীল পোষাক পরবে। দৃষ্টিকটু পোষাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে;
বিশেষ করে মানিব্যাগ, মোবাইল, চশমা, টাকা-পয়সা ইত্যাদি ব্যবহার্য জিনিষপত্র নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। যত্রতত্র ফেলে রাখা যাবে না;
ব্যক্তিগত জুয়েলারি যদি কোনভাবে হারিয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথে প্রশাসন বিভাগে জানাতে হবে।
উক্ত নীতিমালা ................................. -এ কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই এর সঠিক প্রয়োগই এ নীতিমালার সাফল্য নির্ভর করে। উক্ত নীতিমালা মেনে চলতে সকলকে উৎসাহিত করা হয়।