উদ্দেশ্যঃ
_________________________ সর্বদাই ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ও ব্যবসার সাথে জড়িত সকলের প্রতি সম্মান ও উপযুক্ত মর্যাদা এবং কর্মীদের অধিকারের উপর ও সম্মান প্রদর্শন করে থকে। ব্যবসায় ক্ষেত্রে চরম উৎকর্ষ সাধনের জন্য বায়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বায়ার, ঠিকাদার ও শ্রমিক এই তিনটি বিষয় ব্যবসার ক্ষেত্রে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। তাই _______________-এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বাক-স্বাধীনতায় বা অ-প্রতিশোধমূলক ও ভয়ভীতিমুক্ত কর্মক্ষেত্র নীতিতে বিশ্বাসী। মূলতঃ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বায়ারদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বায়ার ও শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য শ্রমিকরা যেন অ-প্রতিশোধমূলক ও ভয়ভীতিমুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে _________________-এর কর্তৃপক্ষ অ-প্রতিশোধমূলক ও ভয়ভীতিমুক্ত কর্মক্ষেত্র নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
অ-প্রতিশোধমূলক নীতিমালা নিম্নরূপঃ
০১) শ্রমিকদের বাক স্বাধীনতায় কোনরূপ হস্তক্ষেপ না করা;
০২) শ্রমিকদের অধিকারের উপর যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও গুরুত্বারোপ করা;
০৩) শ্রমিকদের মতামতের উপর গুরুত্বারোপ ও সম্মান প্রদর্শন করা;
০৪) শ্রমিকদেরকে বায়ারদের আচরণ বিধি সম্পর্কে অবগত করা ও তাদের নিয়ম নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তা মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করা;
০৫) কর্মক্ষেত্রে সকলকে অপ্রতিশোধমুক্ত আচরণ করা ও সকলের সাথে মিলে মিশে কাজ করা;
০৬) যে কোন বিষয়ে বায়ারকে জানাতে উৎসাহিত করা; এবং
০৭) বায়ারের যে কোন ধরনের প্রশ্নের জবাব দিয়ে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
ভয়ভীতিমূক্ত কর্মক্ষেত্র নীতিমালাঃ (Violence Free Workplace Policy)
_________________________________-এর মূল্যবান সম্পদ হলো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মচারী। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য ভয়ভীতিমুক্ত নিরাপদ কর্মক্ষেত্র প্রদানে বদ্ধ পরিকর। ______________________-এর প্রধান লক্ষ্য হলো শ্রমিক ও কর্মচারীদের কাজের পরিবেশের উন্নতি সাধন করা। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা হলো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কর্তৃপক্ষ ভয়ভীতিমূক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে শূণ্য গ্রহণযোগ্য নীতি অবলম্বন করে থাকে। যেখানে কোন শ্রমিক কর্মচারী কারখানার অভ্যন্তরে যে কোন স্থানে কাজ করার সময় কোন ধরনের ভয়ভীতির সম্মুখীন হবে না।
_____________________এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক আচরণ উৎপাদনশীলতায় একটি বড় বাঁধা। এই ধরনের ব্যবহার কর্তৃপক্ষ নিরুৎসাহিত করে। যে শ্রমিক ও কর্মচারী এই ধরনের ব্যবহার প্রদর্শন করবে সে এই নীতিমালার অধীন দায়ী থাকবে। সব ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক আচরণ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে হবে এবং দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
নিম্নোক্ত কার্যাবলী এই নীতিমালার লংঘন হিসাবে বিবেচিত হবেঃ
ক) কাউকে শারিরীকভাবে আঘাত করা;
খ) কারো প্রতি মৌখিক বা শারিরীক আচরণ করা যাতে মানসিক আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে;
গ) কারো বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, বা গোত্র সম্পর্কে কটাক্ষ করা;
ঘ) প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি নষ্ট করা;
ঙ) কাউকে আঘাত করার জন্য হুমকি দেওয়া;
চ) প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য হুমকি দেওয়া;
ছ) যৌন হয়রানী করার জন্য হুমকি দেওয়া;
জ) অস্ত্র-শস্ত্র বা ধারালো বস্তুর প্রদর্শন করা;
ঝ) শ্রমিকদের প্রতি অশভ্য বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা;
ঞ) পাশের শ্রমিককে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন বা অশ্লীল ইঙ্গিত করা।
__________________________-এর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের যেকোন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে। যদি কোন শ্রমিক-কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের ভয়ভীতিমূলক আচরণের শিকার হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে সে তার উপরস্থ কর্মকর্তা বা তাদের অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবেন। এটি প্রতিটি কর্মচারীর দায়িত্ব যে কোন ধরনের হুমকি বা ভয়ভীতিমূলক আচরণকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে হবে।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ভয়ভীতিমূক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে দায়বদ্ধ থাকবে। এই বিভাগ ভয়ভীতিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করবে এবং নতুন ও পুরাতন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এর খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জন সচেতনা সৃষ্টি করবে এবং উচ্চ কর্তৃপক্ষকে এই আচরণগুলো সম্পর্কে অবহিত করবে।