ভূমিকাঃ _____________________ এর কর্তৃপক্ষ ইহার ক্রেতা সাধারণ ও সরবরাহকারীদের সাথে মান সম্পন্ন পণ্য নিয়ে সততার সাথে ব্যবসা করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করে যে, ইহার সরবরাহ প্রণালী নিরাপদ, শ্রমিকদের সম্মান ও মর্যাদার সাথে মূল্যায়ন করা হয়, ইহার উৎপাদন পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ।
উল্লেখ যে, ____________________ এর কর্তৃপক্ষ সব সময় বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান ও বায়ারের আচরণবিধি উপর কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ।
অঙ্গীকারঃ _____________________ -এর কর্তৃপক্ষ কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বা প্রতিষ্ঠানের বাহিরে কোন প্রকার সুবিধা গ্রহণে বা সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ঘুষ গ্রহণে চরম নিষেধাজ্ঞার নীতি অনুসরণ করে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক সম্মান ও নৈতিক আদর্শ ধারণে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধ পরিকর। যেকোন ধরনের দুর্নীতি বা ঘুষ বা এই সংক্রান্ত অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ নিজস্ব নীতিমালা এবং বাংলাদেশ শ্রম আইনের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কর্তৃপক্ষ কোন ধররেন ঘুষ/সুদ সর্মথন করে না বরংং প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনৈতিক লেনদেন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সর্বোচ্চ জরুরী পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করবো না।
উদ্দেশ্যঃ কর্তৃপক্ষ ইহার ব্যবহার পরিচালনার মূল্যবোধ নিয়ে গর্বিত। ইহার সকল লেনদেন ও অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ পরিচালনায় সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও ব্যক্তিগত স্বচ্চতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ঘুষ/সুদ সংক্রান্ত নীতিমালা নিম্নরূপঃ
ঘুষ/সুদ দমনঃ ঘুষ/সুদ দমনঃ সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখে বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দুর্নীতি বলে বিবেচ্য তা নিম্নরূপঃ
সরবরাহকারী বা তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে অর্ডার বা অন্য সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস, প্রতিশ্রæতি বা পাইয়ে দেয়া;
নিয়োগের স্বচ্ছতা বজায় না রেখে পরিচিত লোকদের নিয়োগ প্রদান করা;
পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতার বিচার না করে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে পদোন্নতি দেয়া;
অর্থের দ্বারা প্রলোভিত হয়ে পদোন্নয়ন করা বা অর্থ প্রদানের মাধ্যমে পদোন্নয়ন গ্রহণ করা;
নিজের ভুল ক্রুটি ঢাকার জন্য অর্থ বা ঘুষ বা অন্যের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে তার দোষ ক্রটি এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া;
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে শ্রমিকদের বিশেষত মহিলাদের ভাল কাজ দেয়া;
এক বিভাগ হতে অন্য বিভাগে স্থানান্তরের জন্য অর্থ বা ঘুষ গ্রহণ করা বা প্রস্তাব করা;
বেতন বা আর্থিক সুবিধা বাড়ানোর কিংবা অবৈধভাবে ছুটি পাশ করানোর জন্য ঘুষ নেয়া বা দেয়া, ইত্যাদি।
দুর্নীতি দমনঃ
কর্তৃপক্ষ সব ধরনের দুর্নীতিকে দমন করার জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করে। কোন ধরনের ছোট-ঘাটে দুর্নীতিকেও __________________-এর কর্তৃপক্ষ প্রশ্রয় দেয় না বরং দমন ও নিরুৎসাহিত করে। দুর্নীতি দমনের জন্য রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যেমন-
কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দুর্নীতি আওতায় পড়লে তার চাকুরীচ্যুতি;
ছোট-খাটো দুর্নীতি ও গ্রহণীয় নয়;
হিসাব তথ্যের ভুল উপস্থাপনা করা যাবে না;
ঘুষ দেয়া ও নেয়া যাবে না;
নিজের কাজ ফাঁকি দেয়া যাবে না বা দায়িত্ব এড়ানো যাবে না;
সকল কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে;
কোম্পানীর অর্থ আত্মসাৎ করা যাবে না;
পদোন্নতির ক্ষেত্রে/আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা;
নিজের অধীনস্থ কারো কাজ থেকে ধার নিয়ে তা পরিশোধ না করা;
স্বজনপ্রীতি বা কাউকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা; ইত্যাদি।
যেকোন পদক্ষেপের সাথে সবার মনোযোগ নিয়ে একসাথে একটি মূল লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ______________________________ উপরোক্ত নীতিমালা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বাস্তবায়নকারী দায়িত্বিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
বাস্তবায়নকারী দায়িত্বিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
মহা ব্যবস্থাপকঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি বিশ্লেষণ, নীতি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি, তার প্রতিকার সংক্রান্ত যাবতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদেক্ষপ গ্রহণ।
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন ও উর্ধ্বতন ব্যবস্থপনার সাথে যোগাযোগ।
কমিটি প্রদত্ত তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ।
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চ‚ড়ান্ত অনুমোদন, পরামর্শ, শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি প্রতিকার নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।
ফ্যাক্টরীর কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া মনিটরিং ও অন্যান্য বিভাগের সাথে আলোচনা এবং অবস্থা বিবেচনায় পদ্ধতিগত উন্নতিকরণ ও ব্যবস্থা গ্রহণ।
অফিসার (মানব সম্পদ)ঃ
শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় তদারকি করা;
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেন কোন রকমেই কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির সুযোগ না পায় সে দিকে লক্ষ্য রাখা ও জোরদার করা।
এই নীতি সংক্রান্ত যেকোন প্রাপ্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা।
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতির সঠিক বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপককে সার্বিক সহায়তা করা।
এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগঃ
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি নিরসনে নিয়োগকারী দল, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ, প্রচারণা ও শাস্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ফ্লোর মনিটরিং, ইন্টারনাল অডিট পরিচালনা, নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা।
কল্যাণ কর্মকর্তা (ওয়েলফেয়ার অফিসার)ঃ
ফ্লোর মনিটরিং;
শ্রমিক, শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্য, ইনচার্জ, সুপারভাইজার ও এপিএম-এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমন নীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কীকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত কোন অনুযোগ সৃষ্টি হলে তা তাৎক্ষণিক খতিয়ে দেখা, সমাধানকরণ এবং একই সমস্যা যেন বার বার না আসে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা ও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
সমস্যাগুলো নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন।
সিকিউরিটি ইনচার্জ ও সিকিউরিটি বিভাগঃ
সব সময় সচেষ্ট থাকা যেন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি যেন প্রতিষ্ঠানের ভিতরে করতে না পারে;
যদি কারও কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি করতে দেখা যায়, তবে তাকে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের আদেশ সাপেক্ষে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা।
অডিট টিমের সচেতনতা ও সাহায্যঃ
সব সময় সচেষ্ট থাকা কেউ যেন প্রতিষ্ঠানের ভুল বা প্রতারণামূলক কাজ দেখিয়ে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি করতে না পারে;
যদি কোন ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি লেনদেন করতে দেখা যায় তবে তাকে পরিষ্কারের মাধ্যমে নিশ্চিত করে কাজ করার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা যেতে পারে তা নিম্নরূপঃ
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি প্রতিকার সাধক নীতি সম্পর্কে সচেতন শ্রমিক তৈরি করতে হবে;
প্রত্যেক শ্রমিকের পার্সোনাল ফাইলে জন্ম সনদ অথবা ভোটার আইডি কার্ড-এর ফটোকপি নিশ্চিত করতে হবে;
প্রত্যেক শ্রমিকের ক্ষেত্রে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতি দমনজনিত স্ব-ঘোষিত লিখিত নেয়া যেতে পারে;
পার্সোনাল ফাইলে সঠিক কাগজপত্র আছে কিনা তা ইন্টারনাল অডিটের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে;
শ্রমিক নিয়োগের সময় কোন ঘুষ/সুদ নেয়া হবে না এই মর্মে প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত য়ো যেতে পারে;
ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত কারখানা গড়তে পারলে দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে উঠবে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
যোগাযোগ এবং বাস্তবায়নঃ
যোগাযোগ ঃ পূর্বে উল্লেখিত যোগাযোগ পদ্ধতি অনুযায়ী।
বাস্তবায়ন ঃ পূর্বে উল্লেখিত বাস্তবায়ন রুটিন অনুযায়ী।
উদাহরণ ঃ মাসিক ট্রেণিং রুটিন।
লক্ষ্যঃ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি নিরাপদ ও ট্রান্সপারেন্ট কর্মস্থল বাস্তবায়ন ও সুস্থ স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ আনয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান মেনে চলে ভবিষৎ এ এর প্রতিকার বাস্তবায়নে ____________________________ কর্তৃপক্ষ সর্বদায় নিয়োজিত থাকিবে ।
উপসংহারঃ কর্তৃপক্ষ ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ/সুদ ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।