ভূমিকাঃ বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশে উৎকোচ ও দুর্নীতি সামাজিক সমস্যা হিসাবে বিরাজ করছে। পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ঘুষ ও দুর্নীতি ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই লক্ষ্যে ....................................-এর কর্তৃপক্ষ ঘুষ ও দুর্নীতিকে মারাত্মক অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং কারখানার সর্বত্র ঘুষ আদান প্রদান ও দুর্নীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ...........................-এর কর্তৃপক্ষ ঘুষ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নিমোক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।
কারখানার সর্বত্র যে কোন স্থানে ঘুষ আদান প্রদান এবং দুর্নীতি নিষিদ্ধ;
কাহারো কোন চাকুরী সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে ঘুষ নেওয়া বা কাহাকে ঘুষ দেওয়া যাবে না;
নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোন ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশকে অন্যায় ও ঘুষ নেওয়া হয়েছে হিসাবে গণ্য করা হবে;
কারখানায় কর্মরত কোন কর্মচারীর পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধি বা কোন অভিযোগনামার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট সুপারিশ দুর্নীতি হিসাবে গণ্য হইবে;
কোন পণ্য ক্রয় করিয়া বেশী বিল করিলে তা দুর্নীতি হিসাবে গণ্য হবে;
কোন একটি পণ্যের স্যাম্পল কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমোদন করিয়া একই ধরনের নিন্ম মানের পণ্য ক্রয় করা দুর্নীতি হিসাবে গণ্য হবে।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত নির্ধারিত কোন সাপ্লাইয়ের নিকট হইতে কোন পণ্য না কিনে অন্য কোন সাপ্লায়ারের নিকট হইতে পণ্য ক্রয় দুর্নীতি হিসাবে পরিগণিত হবে;
প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত সপ্লাইয়ার ব্যতিত অন্য কোন সাপ্লাইয়ারের জন্য সুপারিশ ঘুষ আদান প্রদানের সমতুল্য হিসাবে বিবেচিত হবে;
কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোন দলিল দস্তাবেজ হুবহু নকল দুর্নীতি হিসাবে গণ্য হবে;
কারখানায় নিরীক্ষণের কাজে নিয়োজিত অডিট বিভাগ এর কেন কর্মকর্তার নিকট কোন দালিলিক রদবদলের বিষয়ে কোন উৎকোচ গ্রহণ ঘুষ আদান প্রদানের সমতুল্য হিসাবে বিবেচিত হবে।
বর্তমানে আমাদের সমাজে ঘুষ ও দুর্নীতি একটি মারাত্মক ব্যাধি। কর্তৃপক্ষ ঘূষ ও দুর্নীতি ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে থাকে তাই দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাই ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকলে সততা ও সচ্ছতার ক্ষেত্রে নিন্মলিখিত নীতি মেনে চলেঃ
............................................................... কোম্পানী নীতি অনুযায়ী ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ কোন ধরনের উপহার, আপ্যায়ন, ঘুষ গ্রহণ অথবা সহায়তার জন্য কোন পুরষ্কার গ্রহণ সমর্থন করে না;
কোম্পানী সম্পর্কিত কোন কাজের জন্যে কোন দ্রব্যমূল্য, ভাউচার, হোটেল ভাড়া, অফিস সময়ের পর খাবার বা বিনামূল্যে আহার, ভ্রমণের জন্য টিকিট ইত্যাদি দাবি বা গ্রহণ করা সমর্থন করে না;
কোম্পানীতে কোন অবস্থায় কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা হয় না;
কোম্পানী সর্ম্পকিত কোন বিষয়ে কোম্পানীর বাহিরেও উৎকোচ লেনদেন করা সমর্থন করা হয় না;
কোম্পানী সর্ম্পর্কিত যে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে;
কোম্পানী সর্ম্পর্কিত যে কোন প্রকার উৎকোচ লেনদেন করার অভিযোগ যথাযথ ও সঠিক তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উপসংহারঃ কর্তৃপক্ষ দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে সব সময় সচেতন থাকে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করার জন্য সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । যদি কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।