ভূমিকা (Introduction)ঃ
_____________________-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ স্বাধীন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। উৎপাদনের সকল স্তরে বল প্রয়োগ শ্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা ________________ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ____________________ ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
কোম্পানী নীতিমালা (Company Policy)ঃ
_________________ একটি ১০০% রপ্তানীমূখী সোয়েটার্স পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কর্মচারীর যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ সুবিধা ILO কনভেনশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রম বিধিমালা-২০১৫ ও সম্মানিত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (Buyer Code of Conduct) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
উদ্দেশ্য (Objective)ঃ
_________________ এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারী যেন স্বেচ্ছায়, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করে।
নীতিমালার আওতা (Scope)ঃ
_________________ এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে ______________________ এর সাথে যারা ব্যবসায়ীক বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র (Reference)ঃ
এই নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রম-বিধিমালা-২০১৫, সম্মানীত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (Buyer Code of Conduct) এবং ILO কনভেনশন বিবেচনা পূর্বক গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি (Commitment)ঃ
_________________ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা জোর করে কার্য সম্পাদন করতে বাধ্য করে না অথবা কোন চুক্তি আদায় করে না বা কোন জামানত রাখেনা। ________________ কর্তৃপক্ষ বলপূর্বক বা জবরদস্তিমূলক শ্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
Organogram:
নীতিমালা বাস্তবায়ন পদ্ধতি (Policy Implementation Procedure):
ক) কোন শ্রমিককে কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে কিংবা শারীরিক নির্যাতন করে অথবা আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে বা বলপূর্বক কাজ আদায় করা যাবে না।
খ) কোন শ্রমিককে নিয়োগদানকালে তার নিকট হতে কোন প্রকার অঙ্গিকারনামা নেয়া যাবে না।
গ) কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় চাকুরীতে যোগদান এবং স্বেচ্ছায় কাজ করার অধিকার থাকবে।
ঘ) কাজ চলাকালীন সময়ে ফ্যাক্টরীর প্রতিটি প্রবেশ/বাহির পথ খোলা রেখে কাজ করতে হবে।
ঙ) কর্মঘন্টা চলাকালীন সময়ে শ্রমিকগণকে পানি পান করা, খাবার খাওয়া কিংবা টয়লেটে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না।
চ) কোন কোন সময় জরুরী শিপমেন্টের কারণে অতিরিক্ত কাজ করানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই শ্রমিকদের মতামত নিতে হবে। শ্রমিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অতিরিক্ত কাজ করানো যাবে না।
ছ) কোন শ্রমিককে জোরপূর্বক চাকুরী হতে অবসর নিতে বাধ্য করানো যাবে না।
জ) কোন প্রকার মূল সনদপত্র (শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতীয় পরিচয়পত্র, জম্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি) চাকুরীর পূর্ব শর্ত হিসাবে সংরক্ষণ করা যাবে না।
ঝ) মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে চাকুরীর পূর্ব শর্ত হিসাবে কোন ধরনের গর্ভধারণ পরীক্ষা করানো যাবে না।
ঞ) কোন মহিলা শ্রমিক গর্ভবতী থাকা অবস্থায় চাকুরীতে যোগদান করতে চাইলে তার সাথে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না।
গোপণীয় অনুযোগ পদ্ধতি (Confidential Grievance Procedure):
যদি কোন শ্রমিক ও কর্মচারী এ নীতিমালার পরিপন্থি কোন আচরণের সম্মূখীন হন তবে তিনি নিজে বা টয়লেটে সংরক্ষিত অভিযোগ বাক্স, অংশগ্রহণকারী কমিটি, কারখানায় কর্মরত কল্যাণ কর্মকর্তা, কারখানায় উচ্চপদস্থ যেকোন কর্মকর্তা (যাকে তিনি নির্ভরযোগ্য মনে করেন) অথবা কোম্পানীর মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে সরাসরি অথবা হটলাইনের মাধ্যমে (নাম্বারঃ ০১-------------) ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টা অথবা পত্র (চিঠি) মারফত জানাতে পারেন। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ অঙ্গিকারাবদ্ধ। অভিযোগ বাক্স প্রতি সপ্তাহে শনিবার মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগের মনোনীত প্রতিনিধি খোলেন এবং কোন অভিযোগ থাকলে তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করেন এবং প্রাপ্ত অভিযোগ যদি থাকে প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধান এর নিকট উপস্থাপন করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজ (Responsibilities of Assigned Persons)ঃ
ঊদ্যবস্থাপনা পরিচালকঃ প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা/ব্যবস্থাপনা পরিচালক হচ্ছে অত্র নীতিমালা অনুমোদনকারী।
প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধান নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
ব্যবস্থাপক (এইচ,আর ও কমপ্লায়েন্স)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবস্থাপক নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবগত করবেন।
মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিকগণকে যাতে বল প্রয়োগ করে কোন কাজ আদায় করা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাগন সদা সজাগ থাকবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিবেন এবং কোথাও এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন। নীতিমালা পরিপন্থি কোন ঘটনা যদি ঘটে তবে তা নিম্নলিখিত উপায়ে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করবেন।
অভিযোগ (Complain) ঃ- ________________ এ কর্মরত যে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা পরিপন্থী কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তদন্ত (Investigation)ঃ এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নথিপত্র সংরক্ষণ (Documentation)ঃ এ সংক্রান্ত সমুদয় নথিপত্রাদি মানব সম্পদ বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী যেকোন সময়ে তা যাচাই করার জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসমুহ (Sanctions)ঃ এই নীতিমালা পরিপন্থি কোন কাজে কেহ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরাসরি পর্যবেক্ষণ (Directly Monitoring)ঃ কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক (এইচ,আর), প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবহিত করবেন।
প্রশিক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণ (Training & Documentation)ঃ
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণকে জবরদস্তিমূলক শ্রম সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং শ্রমিকদের মৌলিক মানবধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের দিক নির্দেশনা দিবেন এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দলিলাদী সংরক্ষণ পদ্ধতি (Documents Keeping Procedure)ঃ
শ্রমিক কর্মচারীদেরকে বলপূর্বক শ্রম নীতিমালা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণের যাবতীয় দলিলাদী যেমন প্রশিক্ষণের ছবি, প্রশিক্ষণে উপস্থিতির স্বাক্ষর প্রভৃতি মানবসম্পদ বিভাগ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করবে।
নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি (Policy Implementation & Awareness Create)ঃ
ক) কল্যাণ কর্মকর্তা এই নীতিমালা সম্পর্কে সকলের মধ্যে সচেতন কারার জন্য ইহা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন।
খ) কারখানার মানবসম্পদ এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
গ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঘ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং গোপনীয় অনুযোগ এর ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফলাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ (Feed Back & Control)ঃ
ক) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি চেকলিস্ট তৈরী করা হয়েছে। কারখানার মানবসম্পদ প্রতিনিধি এবং কল্যাণ কর্মকর্তা এই চেকলিস্ট অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
খ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই প্রশাসন, মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও উক্ত চেকলিস্ট থেকে ফিডব্যাক নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
গ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এবং গোপনীয় অনুযোগ এর ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘ) কারখানা হতে এ সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগকারীকে তার অভিযোগের সত্যতা জানানো এবং কেউ মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপসংহার (Conclusion)ঃ উপরোক্ত আলোচনা হতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, কোন শ্রমিককেই তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না। বিনা অপরাধে কোন আর্থিক দন্ড প্রদান করা যাবে না। শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে বা বল প্রয়োগ করে কাজ করানো যাবে না। অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ এই নীতিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন এবং কর্মস্থলে শৃংখলা বজায় রাখবেন।