................................. গার্মেন্টস শিল্পে একটি সফল ব্যবসায়িক নাম এবং একটি সুপরিচিত পোষাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সামাজিক দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে আমরা আমাদের ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও সমাজের অসহায় মানুষদের সেবা করার লক্ষ্যে .................................-এর কর্তৃপক্ষ একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন।
সংগঠনঃ
বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
পরিচালক মহোদয়গণের দায়িত্বঃ পরিচালক মহোদয়গণ শ্রমিক, কর্মচারী, তাদের পরিবার এবং স্থানীয় কমিউনিটির প্রতি নৈতিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃত্তি অর্জন এবং জনসাধারণের প্রতি সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজ তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহণে অঙ্গীকার করেছে।
নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বঃ উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে শ্রমিক, কর্মচারী, তাদের পরিবার এবং স্থানীয় কমিউনিটির প্রতি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় ভুমিকা রাখবেন। এছাড়াও তিনি উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা এবং নীতিমালা সংশোধন, পরিমার্জন, নবায়ন ও অনুমোদন সংক্রান্ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্যে পরিচালক মহোদয়গণের সাথে পরামর্শ করে যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।
মহা ব্যবস্থাপক (এইচ.আর, এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স)-এর দায়িত্বঃ উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী অত্র প্রতিষ্ঠান সামাজিক দায়িত্বসমূহ সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কি না তা তদারকি করবেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কর্মসূচী, যেমনঃ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, উৎসাহমূলক শিক্ষাবৃত্তি, বিভিন্ন সামাজিক উৎসব ইত্যাদি আয়োজন করবেন।
কারখানার ইনচার্জের দায়িত্বঃ উক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্যে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। পাশাপাশি অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারি-কর্মকর্তাদেরকে উৎসাহিত করবেন।
সহঃ মহা ব্যবস্থাপক (এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) এর দায়িত্বঃ উক্ত নীতিমালা অনুযায়ী অত্র প্রতিষ্ঠান সামাজিক দায়িত্বসমূহ সঠিকভাবে পালন করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ড, যেমনঃ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শীতকালে পোশক বিতরণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, উৎসাহমূলক শিক্ষাবৃত্তি, বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি পরিচালনা করবেন।
সকল বিভাগীয় প্রধান এর দায়িত্বঃ সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সাথে কুশলাদি বিনিময় ও তাদের ব্যক্তিগত/পারিবারিক/সামাজিক সমস্যা যদি থাকে তার খোঁজ-খবর নিবেন এবং তার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন।
সিনিয়র আফিসার (ওয়েলফেয়ার এন্ড কমপ্লায়েন্স)-এর দায়িত্বঃ শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং অন্যান্য স্টক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা বা পরামর্শ করে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বা কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাথে আলোচনা করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। কোন পরামর্শ বা সাজেশন থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তা ব্যবস্থাপনাকে অবগত করবেন।
অফিসার/সিনিয়র অফিসার (এইচ.আর)-এর দায়িত্বঃ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের
আর্থ-সামাজিক এবং তাদের পরিবার-পরিজন ও স্থানীয় কমিউনিটির উপর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের সামাজিক/কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তার সুপারিশ করবেন।
আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নীতিমালার বিষয়বস্ত নিন্মরূপঃ
বিনামূল্যে চিকিৎসা;
শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ;
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী;
পোশাক ও শীত বস্ত্র বিতরণ;
আর্থিক অনুদান বা সহায়তা;
কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনুদান;
দূর্যোগকালীন সাহায্য সহযোগিতা;
শিক্ষা বৃত্তি;
প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচী;
স্থানীয় সামাজিক অনুষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদান;
র্দূঘটনা/দুর্যোগ কবলিত এলাকায় গাড়ীর ব্যবস্থাকরণ;
চাকুরীর সুযোগ প্রদান;
অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থাকরণ;
সামাজিক উন্নয়ন;
ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে সহযোগিতা;
রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের কাজে সহযোগিতকরণ।
সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা নীতিমালার উপর নিন্মে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ
বিনামূল্যে চিকিৎসাঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকল শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন।
শিক্ষা সামগ্রী বিতরণঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ শিক্ষিত জাতি গঠনে বদ্ধপরিকর। তাই প্রতি মাসে ফ্যাক্টরীর কাছাকাছি যে সমস্ত সরকারী প্রাইমারী স্কুল, কিন্ডার গার্টেন, এতিমখানা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতি মাসে বিনামূলে শিক্ষা সামগ্রী যেমন-খাতা, কলম, পেন্সিল বক্স, টিফিন বক্স, কম্পিউটার বিতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজনে করে পুরষ্কার বিতরণীর আয়োজন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ পরিবেশ রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন। তাই বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন-সরকারী প্রাইমারী স্কুল, কিন্ডার গার্টেন, এতিমখানা ও মাদ্রাসার খোলা প্রাঙ্গণে এবং রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফল-ফলাদি, বনজি ও ঔষধি গাছ রোপণ কর্মসূচীর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পোশাক ও শীত বস্ত্র বিতরণঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রতি ঈদে বিভিন্ন অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ ও প্রতি শীত মৌসুমে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণের করে আসছে।
আর্থিক অনুদান বা সহায়তাঃ .................................- সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিক অনুদান বা সহায়তা করে থাকে।
দূর্যোগকালীন সাহায্য সহযোগিতাঃ .................................-কর্তৃপক্ষ জাতীয় দূর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদাই সরকারী সংস্থার পাশাপশি থেকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। দূযোগকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে আসছে।
শিক্ষা বৃত্তিঃ কর্তৃপক্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বাবদ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান চলমান রয়েছে।
প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীঃ এ.সুহি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিঃ-এর সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, যেমন-নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, অধিকারসমূহ, অভিযোগ পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে।
সামাজিক উন্নয়নঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ কারখানার বাইরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। যেমন-রাস্তা মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। যাতে রাস্তার উড়ন্ত ধূলাবালি পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। এমনকি পথচারীদের যাতায়াতে সুবিধার্থে রাস্তার ধুলাবালি দূর করার জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে রাস্তায় পানি দিয়ে পরিস্কার করার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে সহযোগিতাঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ কারখানার বাইরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়রে বিভিন্ন সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজে সহযোগিতাঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ কারখানার আশে-পাশের রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের জন্য বিভিন্নভাবে ভরাট বা উন্নয়নে কাজ করে আসছে। যাতে পথিক এবং আশে-পাশের কারখানার শ্রমিকেরা নির্বিগ্নে যাতায়াত করতে পারে।
পর্যবেক্ষণে ইন্টারনাল অডিট টিম মহদয়গণঃ
রিপোটিংঃ ইন্টারনাল অডিট সম্পন্ন করার পর অডিট হতে প্রাপ্ত বিষয়দি নিয়ে একটি রির্পোট তৈরী করা হবে এবং উক্ত রির্পোট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
নিয়ন্ত্রণঃ কল্যাণ কর্মকর্তাসহ এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের সকল সদস্যবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
দায়িত্ব বাস্তবায়নে সময়ঃ সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ-এ প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পাদন করবে। ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের জনন্য নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহারঃ .................................-এর কর্তৃপক্ষ তার নিজস্ব দায়িত্ববোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মরত সকল কর্মীদের উন্নত পরিবেশে, জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও উৎপাদন কার্যক্রম সম্পাদন করাই প্রধান লক্ষ্য।