সূচনাঃ ....................................... একটি পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রিটি গ্রুপ অত্যন্ত পািরচিত নাম এর সুুনাম ও খ্যাতি আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত। ................................... সম সাময়িক এবং বাস্তব-সম্মত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করে। কর্তৃপপক্ষ বিশ্বাস করে, কোম্পানীর উন্নতি ও কোম্পানীকে গতিশীল রাখার জন্য ইহার নিয়োগ পদ্ধতির উপর বহুলাংশে নির্ভর করে। সুতরাং ....................................-কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। অত্র প্রতিষ্ঠানটি প্রধানত রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের (ইুঁবৎ) দের আচরণ বিধি মেনে চলে থাকে, যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়। বাংলােেদশ শ্রম আইন ২০০৬ইং (সংশোধিত-২০১৩), চাকুরীর রের্কড আইন ১৯৫২, আই এল ও কনভেনশন এবং ক্রেতাদের নিয়ম অনুসরণ করে এই গ্রুপের নিয়োগ নীতিমালা তৈরী করা হয়েছে।
উদ্দেশ্যঃ পোশাক শিল্পে সেরা হব এ আমাদের অঙ্গিকার, সারা বিশ্বে জ্বালবে আলো প্রিটি পরিবার এই শ্লোাগানকে সামনে রেখে ............................. এর সকল কারখানা সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্যে নিজেদের সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল সংগ্রহ করার লক্ষ্যে, সাথে সাথে দেশের জন্য দক্ষ জনবল তৈরী করার স্বার্থে, আর্ন্তর্জাতিক মানের ত্রেতাগণের আচরণ বিধির সকল চাহিদা পূরণ করতে এই নিয়োগ নীতিমালার উদ্দেশ্য। নিজ দেশ এবং সম্মানিত ক্রেতাগণের নির্দেশনা এবং তাদের আন্তরিক সহযোগিতা বাস্তবায়ন করাই এই নিযোগনীতির মূখ্য উদ্দেশ্য।
পরিধিঃ................................................ এর সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, বিভাগ এবং শাখাসমূহে এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
প্রতিজ্ঞাঃ দক্ষ জনবল এবং দক্ষ জনশক্তি উৎপাদনে, সম্মানিত ক্রেতাগণের সকল আচরণ বিধি, তাদের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ও সকল নিয়ম-নীতি যথাযথ পালন করতে ...................................................... দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দেশ, নিজ প্রতিষ্ঠান, জনগণ এবং সম্মানিত ক্রেতাগণের সঠিক উদ্দেশ্য কার্য্যে পরিণত করতে মানবাধিকার ও সমন্বয়ের মূল নীতি প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ।
নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানী গুরুত্ব সহকারে যে বিষয়টি মেনে চলে, তা হল যে কোন বয়স, জাতী, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষ, লিঙ্গ ভেদা ভেদ করে নিয়োগ করে না সবাইকে সমান ভাবে অগ্রধিকার দিয়ে নিয়োগ করে থাকে।
কোম্পানীর নীতিসমূহ বাস্তবায়ন করার নীতিমালাঃ .................................।-এর কর্তৃপক্ষ দক্ষ কর্মী বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বদা নিন্ম বর্ণিত নীতিসমূল অনুসরণ করে থাকেঃ
প্রার্থীকেই অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক, শারিরীক, ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম ও সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা থাকতে হবে;
১৮ বছরের নীচে কোন লোক নিয়োগ করা যাবে না;
চাকুরীর নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞাপনেই পুরুষ কিংবা নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না অথবা কোন ধর্ম, নির্দিষ্ট এলাকা, বর্ণ, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির উল্লেখ করা যাবে না;
কর্মী নিয়োগে নারী পুরুষ বা যে কোন প্রকার ভেদাভেদ না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে;
পারিশ্রমিক নির্ধারণে নারী পুরুষের ভেদাভেদ নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে;
সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী পুরুষের যোগ্যতার ভিত্তিতে করতে হবে;
নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ চুড়ান্ত করতে হবে;
সকল নিয়োগ ন্যায়-সঙ্গত উপায়ে করতে হবে;
নিয়োগকারী কমিটি ভিতরে বা বাহিরে কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারবে না;
কাউকে জোরপূর্বক াবে করে কাজে বাধ্য করা যাবে না। কোন প্রকার জামানত বা দায়বদ্ধতায় কর্মীকে নিয়োগ করা যাবে না;
নিয়োগকালীন সময়ে যৌন হয়রানী, মৌখিক হয়রানী ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করা যাবে না;
মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে চাকুরীর পূর্ব শর্ত হিসাবে কোন ধরনের গর্ভধারণ পরীক্ষা করানো যাবে না।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষঃ .............................................-এর কর্তৃপক্ষ দুইভাবে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। যেমন-
০১) কেন্দ্রীয় নিয়োগ কর্তৃপক্ষ কমিটি (হেড অফিস ভিত্তিক);
সকল ব্যবস্থাপক ও সকল অফিসার পদের নিয়োগ হেড অফিস কর্তৃপক্ষ দিবেন। এবং
০২) ফ্যাক্টরী ভিত্তিক নিয়োগ কমিটি দ্বারা।
ইনচার্জ এবং তদনি¤œ পদের নিয়োগ কারখানা কর্তৃপক্ষ দিবেন।
কেন্দ্রীয় (হেড অফিস ভিত্তিক) নিয়োগ কমিটিঃ ....................................-এর কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে একটি কেন্দ্রীয় (হেড অফিস ভিত্তিক) নিয়োগ কমিটি গঠন করেছেন। নি¤েœ কেন্দ্রীয় নিয়োগ কমিটি ফ্লো-চার্ট দেওয়া হলঃ
ফ্যাক্টরী ভিত্তিক নিয়োগ কমিটিঃ ...................................................-এর কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে একটি ফ্যাক্টরী ভিত্তিক নিয়োগ কমিটি গঠন করেছেন। নিন্মে নিয়োগ কমিটি ফ্লো-চার্ট দেওয়া হলঃ
কার্য পদ্ধতিঃ
০১) ফ্যাক্টরীর সকল ধরনের কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব থাকবে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগের উপর। ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ ভিন্ন অন্য কোন ব্যক্তি বা সেকশন বা বিভাগ কর্তৃক ফ্যাক্টরীর কোন কর্মী নিয়োগ করা যাবে না/করা হবে না।
০২) কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ কোম্পানীর অনুমোদিত সংগঠন কাঠামো (ঙৎমধহরুধঃরড়হ ঝঃৎঁপঃঁৎব) যথাযথভাবে অনুসরণ করে থাকে। ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ ফ্যাক্টরীর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় মানব শক্তি বজায় রাখবে এবং একই সাথে সংগঠন কাঠামোতে নির্ধারিত মানব শক্তির অধিক কর্মী যেন কোনভাবেই নিয়োগ করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে। কোন বিশেষ কারণে অনুমোদনের অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
০৩) কোন সেকশন/বিভাগে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সেকশনকে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগে নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে। ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ অনুমোদিত সংগঠন কাঠামোর (ঙৎমধহরুধঃরড়হ ঝঃৎঁপঃঁৎব) সাথে চাহিদা পত্রের সাথে মিলিয়ে দেখবে এবং উক্ত চাহিদার বিপরীতে কোন পদ শূণ্য থাকলে শূণ্য পদের বিপরীতে লোক নিয়োগ করবে। চাহিদাপত্রের বিপরীতে শূণ্য পদ না থাকলে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সেকশন প্রধানকে তা অবহিত করবে। শূণ্য পদ অবশিষ্ট না থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট সেকশন যদি অতিরিক্ত লোক নিয়োগের প্রয়োজন অনুভব করে তাহলে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ নির্ধারিত চাহিদাপত্র (জবয়ঁরংরঃরড়হ) ফরমে সংশ্লিষ্ট সেকশন কর্তৃক চাহিদাকৃত লোকবল, চাহিদার কারণ, সময় সীমা ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট প্রেরণ করবে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাহিদার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে লোক নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।
০৪) সকল ধরনের নিয়োগ হবে যথাযথ নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে। কোম্পানীর কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে কোন ধরনের বৈষম্য এবং স্বজন প্রীতির আশ্রয় নেয়া হবে না। পরিচালকবৃন্দের সুপারিশ/অনুমোদন ব্যতীত কোন ব্যক্তিগত অনুরোধ/সুপারিশের ভিত্তিতে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ কাউকে নিয়োগ দিতে পারবে না।
০৫) পরিচালকবৃন্দদের সুপারিশ/অনুমোদন ব্যতীত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনকে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা যাবে না।
০৬) গ্রæপের কোন কোম্পানী থেকে চাকুরিচ্যুত হয়েছে কিংবা চাকুরী ত্যাগ করেছে এমন ব্যক্তিকে ফ্যাক্টরীতে নিয়োগ দিতে হলে পরিচালকবৃন্দদের সুপারিশ বা অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
০৭) নিয়োগ চাহিদার উপর ভিত্তি করে ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ দৈনন্দিন নিয়োগের একটি সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা তৈরীতে ০৩ নং ধারায় বর্ণিত নিয়ম অনুসরণ করা হবে। প্রস্তুতকৃত তালিকার ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ নির্ধারণ করা হবে।
০৮) নিয়োগ তালিকা প্রস্তুতির পর ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ বিভাগ প্রাথমিক নির্বাচনের জন্য চাহিদার ভিত্তিতে সাক্ষাৎ প্রার্থীদের পদ নির্ধারণ করবেন, প্রাথমিক নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থীর প্রত্যক্ষ দক্ষতা এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সেকশনে পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা সেকশন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সমপন্ন করার জন্য পূুণরায় প্রাথমিক নির্বাচন কক্ষে (কাউন্সিলিং রুমে) ফিরিয়ে আনা হবে। অযোগ্য প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দেয়া হবে না।
০৯) সংশ্লিষ্ট সেকশন থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে কোম্পানীর নিয়ম এবং নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা হবে এবং একই সময়ে প্রার্থীদের বেতন এবং যোগদান তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ব্যক্তিগত ফাইল তৈরী করা হবে এবং প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর গ্রহণ করা হবে।
১০) প্রার্থীর কাজে যোগদানের সাথে সাথে তাকে পারিচয়পত্র এবং ফেইস পাঞ্চ সনাক্ত করণের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হবে। একই সাথে তার নামে একটি ফাইল তৈরী করা হবে যাতে তার সমস্ত দলিলাদী সংরক্ষিত থাকবে।
১১) যেকোন নিয়োগ লাভে আগ্রহী প্রার্থীকে নি¤েœাক্ত নথিপত্রসমূহ উপস্থাপন করতে হবেঃ
ক) চারটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও যথাযথভাবে পূরণকৃত চাকুরীর আবেদন পত্র (ফ্যাক্টরীর নির্ধারিত ফরমে) সহ সাক্ষাৎকারের জন্য সংশিষ্ট মানব সম্পদ বিভাগে উপস্থিত থাকতে হবে। পাসপোর্ট সাইজ ছবি ২টি পার্সোনাল ফাইলে, ১টি বয়স নিরূপণপত্রে এবং ১টি আই.ডি কার্ডের জন্য ব্যবহার করতে হয়। নি বর্ণিত কাগজপত্র ছাড়া কোন অবস্থায়ই চাকুরীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয় না।
খ) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ লক্ষ্য করতে হবেঃ
৮ম শ্রেণী উত্তীর্ণ অথবা তদনি¤œ শ্রেণীতে অধ্যয়নের বেলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে স্কুল পরিত্যাগপত্র/ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। নতুবা জে এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদ প্রদান করতে হবে।
যারা শুধুমাত্র অক্ষর চেনা ও নাম স্বাক্ষর করতে পারে তারা স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরুসভা চেয়ারম্যানের নিকট থেকে প্রার্থী অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন এই মর্মে সনদপত্র সংগ্রহ করবে যাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ থাকে।
৯ম শ্রেণী উত্তীর্ণ বা ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরতদের বোর্ডের রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র জমা দিতে হবে।
এস.এস.সি এবং তার সমমান ও তদুর্ধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষা বোর্ডের সনদপত্র জমা দিতে হবে।
যারা শিক্ষা বোর্ডের মূল সনদপত্র পায় নাই তারা সাময়িক সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
যারা সবেমাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে শিক্ষা র্বোড থেকে কোন সনদপত্র উত্তোলন করতে পারেনি। তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে প্রশংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
প্রার্থীকে আবেদনপত্র যাচাই শেষে মূল সনদপত্র ফেরত দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিটি সনদপকত্রের শুধুমাত্র ফটোকপি সংরক্ষণ করা হয় এবং এই ফটোকপি ফ্যাক্টরী ম্যানেজার কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।
মেকানিক/ইলেকট্রিশিয়ান বা তদ্রপ পদ যার জন্য কারিগরী শিক্ষা আবশ্যকীয় সেক্ষেত্রে কারিগরী শিক্ষায় সাফল্যজনক উত্তীর্ণ হওয়ার স্বপক্ষে সনদপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
প্রয়োজনে বিশেষ কোন পদের জন্য অভিজ্ঞতা সনদপত্র ও কারখানার ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই এবং শারীরিক যোগ্যতার সনদ (নির্ধারিত ফরমে)।
ক) যে সকল ক্ষেত্রে প্রার্থী নিশ্চিতভাবে প্রাপ্ত বয়স্ক (শারীরিক গঠন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে) এবং শিক্ষা বোর্ডের সনদ নিশ্চিতাবে প্রমাণ করে যে প্রার্থী প্রাপ্ত বয়স্ক সে ক্ষেত্রে পুনরায় ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই করার প্রয়োজন নাই। তবে শারিরীক যোগ্যতা সনদ পত্র নিতে হয়। এছাড়া অন্য সকল প্রাথীকে ডাক্তার কর্তৃক বয়স যাচাই করা হয়। এই বয়স যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে পুরুষ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে পুরুষ ডাক্তার এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য মহিলা ডাক্তার/নার্স নিয়োজিত রয়েছেন। অনেক প্রার্থীর সঠিক বয়স যাচাইয়ের লক্ষ্যে সু-প্রতিষ্ঠিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বোন টেস্ট (ইড়হব ঞবংঃ) এর জন্য পাাঠানো হয়।
খ) প্রার্থীর বয়স সঠিকভাবে প্রমাণিত হওয়া স্বাপেক্ষেই তাকে পরবর্তী স্বাক্ষাতের জন্য মনোনীত করা হয়।
গ) প্রার্থীর বয়স যাচাই-এর সময় ডাক্তারের নিকট আবেদনপত্র এবং বয়স যাচাই ফরম উভয়টিই উপস্থাপন করা হয়। ডাক্তার স্ব-হস্তে বয়স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি উলেখপূর্বক উভয় নথিতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত প্রার্থীর ছবিও সংশিষ্ট ডাক্তার কর্তৃক এমনভাবে সত্যায়িত করা হয় যাতে স্বাক্ষর আবেদনপত্র ও ছবি উভয়টিতে বিস্তৃত হয়।
১২) চড়ান্ত নির্বাচন ও চাকুরীতে যোগদানঃ
ক) সাক্ষাৎকার দক্ষতা পরীক্ষা এবং বয়স যাচাই-এ উত্তীর্ন প্রার্থীদের চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।
খ) কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণ করা হয়।
গ) যোগদানের তারিখ নিশ্চিত করা হয়।
ঘ) বেতন-ভাতা অন্যান্য সুবিধাদি ও প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক চাকুরীর শর্ত উল্লেখপূর্বক (কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে) নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। নিয়োগপত্রের সাথে শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য চাকুরীর বিধিমালা, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও নীতিমালা সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্বলিত একটি হ্যান্ডবুক প্রদান করা হয়। সকল নথিপত্র হস্তাতরের প্রমাণ স্বরূপ ফাইল কপিতে সংশিষ্ট শ্রমিকের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। নিয়োগপত্র হস্তান্তরের প্রাক্কালে সংশিষ্ট শ্রমিককে তার বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং চাকুরীর বিধিমালা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করা হয়।
১৩) অপেক্ষমান কাল (প্রবেশন প্রিয়ড)ঃ প্রতিটি শ্রমিককে তিন মাসের জন্য অবেক্ষমান রাখা হয়। এই সময়কালে তার শৃংখলা ও কাজের মান সন্তোষজনক প্রতীয়মান হলে তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। উলেখ্য, অবেক্ষমান কালের মধ্যে কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষের কাঙ্খিত সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যর্থ হলে তাহাকে আরও তিন মাস অস্থায়ীকাল বর্ধিত করা হয় এর জন্য কোন প্রকার চিঠি দেওয়া হয় না। বর্ধিত সময়ের পর তার শৃংখলা ও কাজের মান সন্তোষজনক প্রতীয়মান হলে তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয় অন্যথায় বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
যোগাযোগের রুটিনঃ
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান সাধারণ নোটিশের মাধ্যমে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবেন।
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান নিয়োগ নীতিমালা সম্পর্কিত যে কোন জরুরী প্রয়োজনে সভার আয়োজন করবেন।
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান অথবা অফিসার (কমপ্লায়েন্স/এইচআর) সকল বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অবহিত করবেন (প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের সময়, বিষয় এবং অন্যান্য তথ্য নোটিশের মাধ্যমে জানাতে হবে)।
উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভাপতিত্বে সকল বিভাগীয় প্রধান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে সাধারণ সভা করতে হবে (০৪ মাস অন্তর অন্তর)। (সভার সময়, বিষয় এবং অন্যান্য তথ্য নোটিশের মাধ্যমে জানাতে হবে)।
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান অথবা অফিসার (কমপ্লায়েন্স/এইচআর) মিড লেবেল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অবহিত করবেন। (প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের সময়, বিষয় এবং অন্যান্য তথ্য নোটিশ এর মাধ্যমে জানাতে হবে)।
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান নীতিমালা বিষয়ক কোন প্রকার পরিবর্তন, সংশোধন, বিয়োজন ইত্যাদি সময়ের প্রয়োজনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে তা করার ব্যবস্থা করবেন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দ্রæত যোগাযোগের জন্য ই-মেইল ব্যবহার করতে হবে।
সকল সেকশনে নীতিমালার একটি করে কপি প্রদান করতে হবে।
নীতিমালার একটি কপি নোটিশ বোর্ডে টানানো হবে।
প্রশাসন ও মানবসম্পদ প্রধান অথবা অফিসার (কমপ্লায়েন্স/এইচআর) নীতিমালা বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল ব্যক্তিবর্গকে ট্রেণিং ও সাধারণ সভার মাধ্যমে নীতিমালার সকল বিষয় অবহিত এবং নীতিমালার কোন প্রকার পরিবর্তন, সংশোধন, বিয়োজন ইত্যাদি সময়ের প্রয়োজনে তা করার ব্যবস্থা করবেন এবং তার রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
রুটিন ও প্রসিডিউর অনুযায়ী সকল প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সঠিক বাস্তবায়নের সকল প্রকার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
নিয়ন্ত্রণ রুটিনঃ
প্রার্থী বাংলাদেশের নাগরিক, শারিরীক, ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম ও সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী কিনা যাচাই করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে;
১৮ বছরের নীচে কোন লোক নিয়োগ করা হয়েছে কিনা নথীপত্র চেক করে ফিজিক্যালি চেক করে মেডিক্যাল অফিসার রির্পোট দিবেন;
চাকুরীর নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞাপনে পুরুষ কিংবা নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া আছে কিনা অথবা কোন ধর্ম, নির্দিষ্ট এলাকা, বর্ণ, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদির উল্লেখ আছে কিনা যাচাই করতে হবে;
কর্মী নিয়োগে নারী পুরুষ বা যে কোন প্রকার ভেদাভেদ করা হয়েছে কিনা এইচ আর অফিসার যাচাই করবে;
পারিশ্রমিক নির্ধারণে নারী পুরুষের ভেদাভেদ করা হয়েছে কিনা এইচ আর অফিসার যাচাই করবে;
সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী পুরুষের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে কি না এইচ আর যাচাই করতে হবে;
নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ চুড়ান্ত হয়েছে কিনা তা নথিপত্র খতিয়ে দেখতে হবে;
নিয়োগকারী কমিটি ভিতরে বা বাহিরে কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে;
কোন প্রকার মূল কাগজপত্র বা জামানত বা দায়বদ্ধতায় নিয়োগ করা হয়েছে কিনা অডিট করে দেখতে হবে;
মহিলা কর্মীর ক্ষেত্রে চাকুরীর পূর্বশর্ত হিসাবে কোন ধরনের গর্ভধারণ পরীক্ষা করা হয়েছে কি না কল্যাণ কর্মকর্তা তা খতিয়ে দেখবে।
প্রতিক্রিয়া এবং নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
এই নিয়োগ নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে চেকলিষ্ট তৈরী করা হয়েছে। কারখনার কমপ্লায়েন্স প্রতিনিধি এবং এইচ.আর অফিসার এই চেকলিষ্ট অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতিমাসেই জি.এম (এইচ.আর ও কমপ্লায়েন্স) অথবা হেড অফিস কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন এবং উক্ত চেকলিস্ট থেকে ফিডব্যাক নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
কারখানা হতে এ সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তা তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।