ভূমিকা (Introduction)ঃ
....................................... বাংলাদেশে একটি অনন্য রপ্তানীমূখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ থেকে শুরু করে, বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি ইত্যাদি সকল কার্যক্রমে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য শুধু মাত্র দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যাতে করে সকলের মধ্যে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক মনোভাব তৈরী না হয়ে একে অপরের সহকর্মী মনে করে দক্ষতার সাথে গুণগতমান সম্পন্ন কাজ করে। এর জন্যই এই বৈষম্যহীনতার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ..............................-এর মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ তাদের কর্মশক্তিতে সুন্দর, উন্নত ও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কর্মক্ষেতে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে কমক্ষেত্রে নিয়োজিত কোন শ্রমিক-কর্মচারী যাতে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের স্বীকার না হয়, কর্তৃপক্ষ সেদিকে সর্বদা দৃষ্টি রাখে। ....................................-এর কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই কোন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণকে সহ্য করে না এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধ পরিকর।
কোম্পানী নীতিমালা (Company Policy)ঃ
....................................... একটি ১০০% রপ্তানীমূখী সোয়াটার্স পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কর্মচারীর যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ILO কনভেনশন, বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬, শ্রম বিধিমালা ২০১৫ ও ২০২২ সম্মানিত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (Buyer Code Of Conduct) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।................................. কর্তৃপক্ষ বৈষম্যকরণের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতমালা অনুসরণ করে থাকেন।
উদ্দেশ্য (Objectives)ঃ
দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করে নিয়োগ করা হয় শুধুমাত্র দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। এখানে স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা, অধিকার সকল শ্রমিকের জন্য সমান। শ্রমিক কি নারী না পুরুষ এ বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয় না। নারী শ্রমিক দূর্বল এবং পুরুষ শ্রমিক সবল এরূপ কোন ধারণা .................................... কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে না। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোন প্রকার প্রসূতিজনিত প্রশ্ন বা পরীক্ষা করেন না। অর্থাৎ নিয়োগ, বেতন ও সুবিধা, পদোন্নতি, বহিষ্কার ও অবসরের ক্ষেত্রে কোন প্রকার বৈষম্য বা বিভেদ অথবা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, লিঙ্গ, গোষ্ঠি এমনকি শারীরিক অক্ষমতার ক্ষেত্রেও কোন প্রকার বৈষম্য করা হয় না অর্থাৎ “বৈষম্যকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ”।
নীতিমালার আওতা (Scope)ঃ
..............................।। এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে................................. এর সাথে যারা ব্যবসায়িক বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র (Reference)ঃ
এই নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রমবিধিমালা ২০১৫, সম্মানীত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (ইুঁবৎ ঈড়ফব ড়ভ ঈড়হফঁপঃ) এবং ওখঙ কনভেনশন বিবেচনাপূর্বক গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রæতি (Commitmentt )ঃ
....................................... কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সুন্দর ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা প্রণয়ন করেন।
অ-পক্ষপাতিত্বমূলক নীতিমালার ক্ষেত্রে .................................... কর্তৃপক্ষ কোন আপোষ করে না।
Organogram
নীতিমালা বাস্তবায়ন পদ্ধতি (Policy Implementation Procedure)ঃ
ক) আইনগত কর্মকাঠামো মেনে চলাঃ .......................................কর্তৃপক্ষ অবৈষম্যনীতি, নিয়োগ ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সমতা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, মাতৃকালীন সময়ে সম-অধিকার এবং যৌন হয়রানী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে দেশের সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইন মেনে চলে।
খ) বাছাই পদ্ধতিঃ লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স, রাজনৈতিক বিশ্বাস, ভাষা এবং এলাকার উপর ভিত্তি করে এখানে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় না। ............................................. কর্তৃপক্ষ সকল বৈষম্যমুলক আচরণের বিরোধীতা করে। এখানে প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রেও সম অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
গ) বেতনের ক্ষেত্রে অবৈষম্য নীতিঃ বেতন প্রদান ও অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করে না। মজুরীর ক্ষেত্রে শ্রমিক নারী কিংবা পুরুষ সেটা বিবেচনা না করে সম-কাজের জন্য সম-মজুরী প্রদান করা হয়। আমরা লিঙ্গ নিরপেক্ষতা মেনে চলি ও চাকুরী মূল্যায়নে তা প্রয়োগ করি। পদোন্নতি ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সমতানীতি গ্রহণ করা হয়
ঘ) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত পরিকল্পনাঃ শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে সম অধিকার নিশ্চিত করে।
ঙ) মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধাঃ প্রচলিত আইনানুযায়ী আমরা মার্তৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি। মহিলারা যেন ছুটির পর কোন রকম সমস্যা ছাড়া কাজে যোগদানের সুযোগ পায় এ জন্য অত্র কারখানা নমনীয়তার নীতি গ্রহণ করে।
চ) অন্তঃসত্ত¡া পরীক্ষাঃ ................................. কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, নিয়োগের পূর্বে কোন মহিলার অন্তঃসত্বা পরীক্ষা করা যাবে না।
ছ) বৈষম্য বিরোধী কমিটিঃ উপরের নীতিগুলো সতর্কতার সহিত বাস্তবায়নের জন্য কারখানা একটি কমিটি গঠন করবে।
এছাড়া ও শূন্য বা সৃষ্ট পদসমূহে (শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাসহ উচ্চপদস্থ যেকোন পদ) শ্রমিকগণ যেন আবেদন করতে পারে সে জন্য শূন্য বা সৃষ্ট পদসমূহের বিপরীতে নোটিশ বোর্ডে নোটিশ, পি.এ সিস্টেম, লিফলেট বিতরণ ইত্যাদি মাধমে শ্রমিকদের মধ্যে প্রচারণা চালনো হয়। যাতে করে উক্ত পদসমূহে যোগ্য ও মেধাবী শ্রমিকগণ নিয়োগ লাভ করতে পারে এবং কারখানার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
গোপণীয় অনুযোগ পদ্ধতি (Confidential Grievance Procedure)ঃ
যদি কোন শ্রমিক ও কর্মচারী এ নীতিমালার পরিপন্থি কোন আচরণের সম্মূখীন হন তবে তিনি নিজে বা টয়লেটে সংরক্ষিত অভিযোগ বাক্স, কারখানায় কর্মরত কল্যাণ কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী কমিটি, কারখানায় উচ্চপদস্থ যে কোন কর্মকর্তা (যাকে তিনি নির্ভরযোগ্য মনে করেন) অথবা কোম্পানীর মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগে সরাসরি অথবা হটলাইনের (নাম্বারঃ ) মাধ্যমে (২৪ ঘন্টা) অথবা পত্র (চিঠি) মারফত জানাতে পারেন। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ অঙ্গিকারাবদ্ধ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজ (Responsibilities of Assigned Persons)ঃ
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক হচ্ছে অত্র নীতিমালা অনুমোদনকারী।
প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবস্থাপক নিম্মোক্ত ব্যাক্তিগণের মাধ্যমে নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবগত করবেন।
সহ:ব্যবস্থাপক (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে শ্রমিকদের কাজের তদারকি করবেন এবং প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবগত করবেন।
ইনচার্জ (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে তার অধিনস্থদের তদারকি করবেন এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
সুপারভাইজার (উৎপাদন) ঃ- অত্র নীতিমালা অনুসরন করে তার অধিনস্থদের তদারকি করবেন এবং ইনচার্জ (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
“অংশগ্রহণকারী কমিটি”র দলঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে নিজ নিজ কাজে মনোনিবেশ করবেন এবং শ্রমিক “অংশগ্রহণকারী কমিটি” দলের সদস্য হিসেবে নীতিমালা পরিপন্থি কোন কাজ পরিলক্ষিত হলে তা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আলোচনা স্বাপেক্ষে সমাধান করবেন।
এইচ,আর কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য
“অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা” নোটিশবোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং “অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা” অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ ও প্রশাসন এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ সদা সজাগ থাকবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য
“অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা” সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন এবং কোথাও এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন। নীতিমালা পরিপন্থি কোন ঘটনা যদি ঘটে তবে তা নি¤œলিখিত উপায়ে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করবেন।
অভিযোগ (Complain)ঃ .................................... এ কর্মরত যেকোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে “অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা” পরিপন্থী কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তদন্ত (Investigation)ঃ এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নথিপত্র সংরক্ষণ (Documentation)ঃ এ সংক্রান্ত সমুদয় নথিপত্রাদি মানব সম্পদ বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী যেকোন সময়ে তা যাচাই করার জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসমুহ (Sanctions)ঃ এই নীতিমালা পরিপন্থী কোন কাজে কেহ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরাসরি পর্যবক্ষণ (Directly Monitoring)ঃ কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স), প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান।
প্রশিক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণ (Training & Documentation)ঃ
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণকে অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং শ্রমিকদের মৌলিক মানবধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের দিক নির্দেশনা দিবেন এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দলিলাদী সংরক্ষণ পদ্ধতি (Documents Keeping Procedure)ঃ
শ্রমিক কর্মচারীদেরকে অ-পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যহীনতা নীতিমালা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণের যাবতীয় দলিলাদী, যেমন-প্রশিক্ষণের বিষয়বস্ত, প্রশিক্ষণের ছবি, প্রশিক্ষণে উপস্থিতির স্বাক্ষর প্রভৃতি মানবসম্পদ বিভাগ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করবে।
নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি (Policy Implementation & Awareness Create)ঃ
ক) কল্যাণ কর্মকর্তা এই নীতিমালা সম্পর্কে সকলের মধ্যে সচেতন কারার জন্য ইহা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন।
খ) কারখানার মানবসম্পদ ও কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
গ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঘ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং গোপনীয় অনুযোগ এর ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফলাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ (Feed Back & Control)ঃ
ক) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি চেকলিস্ট তৈরী করা হয়েছে। মানবসম্পদ, প্রতিনিধি এবং কল্যাণ কর্মকর্তা এই চেকলিস্ট অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
খ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও উক্ত চেকলিস্ট থেকে ফিডব্যাক নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
গ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং গোপনীয় অনুযোগ এর ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘ) কারখানা হতে এ সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই করে অভিযোগকারীকে তার অভিযোগের সত্যতা জানানো এবং কেউ মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপসংহার (Conclusion)ঃ উপরিউক্ত আলোচনা হতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিত প্রাণ শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কোন রকম বৈষম্যকরণের স্বীকার না হয়ে সকলেই একই নীতিতে কাজ করে তবেই শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে সবাই পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যকরণের আওতা মুক্ত। এ লক্ষ্যেই ................................. এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর যে পরিবেশ সকলেই পক্ষপাতিত্বমূলক বা বৈষম্যকরণের আওতা মুক্ত থাকবে। পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ ।