মূলনীতিঃ কোম্পানির নাম সর্বদা বিশ্বাস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্য সবসময়ই একটি নিরপেক্ষ, নিখুঁত ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যেকোন প্রকার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর কর্মযোগ্যতাকেই অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম সু-স্বাস্থের অধিকারী এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। সকল প্রার্থীকে ডাক্তার কর্তৃক বয়সযাচাই করা হয়। প্রার্থীর বয়স সঠিকভাবে প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষেই তাকে পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য মনোনীত করা হয়।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ কোম্পানির নাম কারখানার অভ্যন্তরে শিশু শ্রমমুক্ত কর্ম-পরিবেশ গড়ে তোলাই এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। কারখানার অভ্যন্তরে শিশু শ্রম নিরসন ও প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শিশু শ্রম নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কোম্পানির নাম কখনও প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিয়োগে উৎসাহিত করে না। এছাড়া ও প্রতিষ্ঠান যে কোন প্রকার শিশু শ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধ পরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির লক্ষ্য।
পরিধিঃ এই নীতিমালা কোম্পানির নাম -এর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি কোম্পানির নাম ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
অঙ্গীকারঃ কর্মক্ষেত্রে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ বা কোন শিশু শ্রমিক কর্তৃক কোন কাজ সম্পাদনের কোন অভিযোগ উত্তাপিত হলে কোম্পানির নাম -এর কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয়। তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়মও মানা হয়। কোম্পানির নাম -এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩), বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথভাবে অনুসরণ করবে।
শিশু-এর সংজ্ঞাঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) ইং অনুযায়ী-১৪ (চৌদ্দ) বৎসর বয়স পূর্ণ হয় নাই এমন কোন ব্যক্তিকে শিশু বলে।
ভূমিকাঃ
কোম্পানির নাম-এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা বিশ্বাস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা নিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কোমপানী নীতিমালাঃ
কোম্পানির নাম একটি ১০০% রপ্তানীমূখী সোয়েটার্স পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কর্মচারীর যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ সুবিধা ওখঙ কনভেনশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রম বিধিমালা-২০১৫ ও সম্মানিত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি ((ইুঁবৎ ঈড়ফব ড়ভ ঈড়হফঁপঃ) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
উদ্দেশ্যঃ
আন্তর্জাতিক শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ শিশু শ্রম নিষিদ্ধ। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজকের শিশু আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ এই নীতিতে বিশ্বাস করে।
নীতিমালার আওতাঃ
কোম্পানির নাম এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে কোম্পানির নাম এর সাথে যারা ব্যবসায়ীকভাবে বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্রঃ
এই নীতিমালা শিশু আইন-২০১৩, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (টঘঈজঈ) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম-বিধিমালা-২০১৫, সম্মানীত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি এবং ওখঙ কনভেনশন ১৮২ বিবেচনা পূর্বক গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রæতিঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা অনুসরণ করে থাকেন।
নীতিমালা বাস্তবায়ন পদ্ধতিঃ
ধারা-২(৬৩) মোতাবেক- শিশু অর্থ ১৪ (চৌদ্দ) বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সংগৃহীত ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা রেজিষ্টার্ড ডাক্তার দ্বারা বয়স নিরূপণ করে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। কোম্পানির নাম এর কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজঃ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছে অত্র নীতিমালা অনুমোদনকারী।
এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
ব্যবস্থাপক মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্সঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবস্থাপক নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবগত করবেন।
মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য শিশু শ্রম নীতিমালা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং কারখানায় যাতে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাগণ সদা সজাগ থাকবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য শিশু শ্রম নীতিমালা সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিবেন এবং কোথাও এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
ডাক্তারঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগের পূর্বে সকলকে শারিরীক সক্ষমতা যাচাইসহ প্রাপ্ত বয়স্ক কি না তা নিশ্চিত করবেন।
নার্সঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ডাক্তারকে সহযোগীতা করবেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে সকলকে গেইটের বাহির থেকে ভিতরে প্রবেশ করাবেন। নীতিমালা পরিপন্থি কোন ঘটনা যদি ঘটে তবে তা নিম্নলিখিত উপায়ে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করবেন।
অভিযোগঃ কোম্পানির নাম যেকোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে নীতিমালার পরিপন্থী কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তদন্তঃ এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নথিপত্র সংরক্ষণঃ এ সংক্রান্ত সমুদয় নথিপত্রাদি মানব সম্পদ বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী যেকোন সময়ে তা যাচাই করার জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসমুহঃ এই নীতিমালা পরিপন্থি কোন কাজে কেহ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরাসরি পর্যবেক্ষণঃ কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ, কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণঃ
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণকে শিশু শ্রম নিরুৎসাহিত বা নিরসন নীতিমালা ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং শ্রমিকদের মৌলিক মানবধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের দিক নির্দেশনা দিবেন এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দলিলাদী সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ
শ্রমিক কর্মচারীদেরকে শিশু শ্রম নিরুৎসাহিত বা নিরসন নীতিমালা ও পদ্ধতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণের যাবতীয় দলিলাদী যেমন প্রশিক্ষণের বিষয়বস্ত, প্রশিক্ষণের ছবি, প্রশিক্ষণে উপস্থিতির স্বাক্ষর প্রভৃতি মানবসম্পদ বিভাগ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করবে।
নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিঃ
ক) কল্যান কর্মকর্তাগন এই নীতিমালা সম্পর্র্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
খ) কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন।
গ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
ফলাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণঃ
ক) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে, কারখানার মানব সম্পদ প্রতিনিধি এবং কল্যাণ কর্মকর্তা এই নীতিমালা অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
খ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও ফিডব্যাক রিপোর্ট নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
গ) অত্র নীতিমালার প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রার কতটুকু অর্জিত হল সে ব্যাপারে মূল্যায়নের মাধ্যমে যাচায় করে দেখতে হবে লক্ষ্য কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে।
কিশোর শ্রমিক নিয়োগ নীতিমালা
কিশোর-এর সংজ্ঞাঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) ইং অনুযায়ী-১৪ (চৌদ্দ) বছর বয়স পূর্ণ করিয়াছেন কিন্তু ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ করেন নাই এমন ব্যক্তিকে কিশোর শ্রমিক বলে।
..............................-এর কর্তৃপক্ষ সাধারণত আঠার (১৮) বছর বয়সের নিচে কোন কিশোর শ্রমিক নিয়োগ করা হয় না। এরপরও যদি কখনও কোন কিশোর শ্রমিক (অর্থাৎ বয়স ১৮ বছরের নিচে) নিয়োগ পেয়ে থাকে, তাহলে নি¤œলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করে থাকিঃ
কিশোর শ্রমিকের দৈনিক কর্মঘন্টা ৫ (পাঁচ) ঘন্টার অধিক হবে না
৫ ঘন্টা কাজ করালে ৩০ (ত্রিশ) মিনিট বিরতি দিতে হবে
৬ ঘন্টা কাজ করালে ১ (এক) ঘন্টা মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি দিতে হবে
কিশোর শ্রমিকের কর্মঘন্টা সকাল ০৮ (আট) ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ০৭ (সাত) ঘটিকার মধ্যে নির্ধারিত করতে হবে
কিশোর শ্রমিককে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৭.০০ ঘটিকা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে না
কিশোর শ্রমিকের সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা ৩০ (ত্রিশ) ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না
কোন কিশোরতে অতিরিক্ত কাজসহ সপ্তাহে ৩৬ চত্রিশ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (তৃতীয় অধ্যায়) ধারা ৪১(৫) কারখানায় যদি কোন কিশোর শ্রমিক কাজে নিযুক্ত থাকে তাহলে কাজের সময় দুটি শিফটে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং কোন শিফটের সময় সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হবে না
কিশোর শ্রমিককে কেবলমাত্র এক শিফ্টে কাজ করাতে হবে
একজন কিশোর শ্রমিক অন্যান্য প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের ন্যায় কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা ও যাবতীয় ছুটি দিতে হইবে;
বাৎসরিক ছুটির গণনার ক্ষেত্রে তাহার পূর্ববর্তী ১২ মাসের কাজের জন্য প্রতি ১৫ (পনের) দিন কাজের জন্য ১ (এক) দিন বাৎসরিক ছুটি প্রাপ্য হবেন
কোন অবস্থায় কিশোর শ্রমিককে দিয়ে ওভারটাইম (অতিরিক্ত কাজ) করানো যাবে না
যদি কোন কিশোর শ্রমিক লেখাপড়া করতে ইচ্ছুক কিংবা লেখাপড়া করতে চায়, তাহলে তাকে লেখাপড়ার পূর্ণ সুযোগ এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করা হবে
কিশোর শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে দিয়ে শুধুমাত্র হালকা এবং সহজ কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
কোন কিশোর শ্রমিক দ্বারা কোন প্রকার ভারী, বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে এবং ধারা ৩৯(৩) ও ৪০ এ বর্ণিত বিপদজনক কাজে কিশোরদের নিয়োগ করা যাইবে না এবং বিধি ৬৮-তে উল্লিখিত বিপজ্জনক চালনাসমূহেও কোন কিশোরকে নিয়োজিত করা যাইবে না বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে না।
কিশোর শ্রমিকের ভূগর্ভে বা পানির নীচে কাজে বিধি নিষেধঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (তৃতীয় অধ্যায়) ধারা-৪২ মোতাবেক কোন কিশোরকে ভূগর্ভে বা পানির নীচে কোন কাজে নিয়োগ করা যাবে না।
অর্গানাইজেশন এবং বাস্তবায়নকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমúøায়েন্স)ঃ
* ....................................... এর বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কোম্পানীর শিশু এবং কিশোর শ্রম নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকিবেন;
* উক্ত নীতিামালা সংযোজন, সংশোধন, পরিমার্জন, নবায়ন এবং অনুমোদন সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
ব্যবস্থাপক (এইচ আর)ঃ
* শিশু এবং কিশোর শ্রম সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ;
* নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশু এবং কিশোর শ্রম সংক্রান্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করা;
* প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ।
ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স)ঃ
* উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে শিশু এবং কিশোর শ্রম নিরসনে ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ, প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
* নিয়মিত মিড-লেভেল মেনেজম্যান্ট এবং সুপারভাইজারদের সাথে মত বিনিময় করা;
* প্রতি ২ (দুই) মাস অন্তর অন্তর অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করা এবং উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট মতামত ও সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য প্রেরণ করা।
নির্বাহী (এডমিন এন্ড এইচ আর)ঃ
* শ্রমিক নিয়োগের সময় যথাযথভাবে নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করবে;
* ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
* ফ্লোর মনিটরিং করা;
* শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রধান এবং সুপারভাইজরদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা;
* শিশু এবং কিশোর নীতিমালা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কীকরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান;
* শিশু এবং কিশোর শ্রম সংক্রান্ত কোন অনুযোগ/অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিয়ে দেখা, সমাধান করা এবং সমস্যাগুলো উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন এবং মাসে একবার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মত বিনিময় করা।
নিরাপত্তা বিভাগঃ
* নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যগণ ফ্যাক্টরীর প্রধান গেটে নিশ্চিত করবে যে, কারখানায় কোন শিশু এবং কিশোর শ্রমিক প্রবেশ করে নাই। এই জাতীয় কোন সমস্যার উদ্ভব হলে তৎক্ষণাত প্রশাসনিক বিভাগে জানাতে হবে এবং প্রশাসনিক বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
মেডিকেল বিভাগঃ
* কারখানার নিয়োগকৃত রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক শ্রমিক নিয়োগের সময় প্রত্যেকটি প্রার্থীকে আলাদাভাবে যাচাই বাছাই
করবে এবং শারীরিক সক্ষমতা ও বয়স নিরূপণের ফরম পূরণ করে স্বাক্ষর ও সীল সম্বলীত সনদ প্রদান করবে।
বিভাগীয় প্রধান (সংশ্লিষ্ট বিভাগ)ঃ
* নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর শিশু এবং কিশোর শ্রম নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)-কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করিবে যে কারখানায় কোন শিশু এবং কিশোর শ্রমিক নেই।
বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাঃ
শিশু শ্রমিকের বেলায় দেশের প্রচলিত বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩)-এর বিধানসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
উপসংহারঃ শিশু এবং কিশোর ই দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাই জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিশু এবং কিশোরদের উন্নয়নে সার্বিক কার্যক্রম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ (সংশোধিত, ২০১৫) প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কর্তৃপক্ষ সব সময়ই শিশু এবং কিশোর শ্রমিক নিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।