ভূমিকা (Introduction)ঃ
_____________________-এর সকল স্তরের শ্রমিক-কমচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য সুন্দর কর্ম-পরিবেশ গড়ার জন্য ব্যবস্থাপনা হয়রানী ও উৎপীড়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। কোন অবস্থাতেই কোন শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা তার অধঃস্তন বা উর্ধতন বা সমপর্যায়ের কাউকে হয়রানী বা উৎপীড়নের পর্যায়ে পড়ে এমন কাজ করিতে পারিবে না। এই নীতিমালা _______________-এর সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ____________________________-ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
কোম্পানী নীতিমালা ঘোষণা (Company Policy Statement)ঃ
অতি আবশ্যকীয় শ্রমিক কল্যাণমুখী ব্যবস্থানাধীনে একটি হয়রানি ও গালগালিমুক্ত সুন্দর পরিবেশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও পন্যের সুষ্ঠু মান রক্ষার সহায়ক বলে ___________________ বিশ্বাস করে। একটি সুষ্ঠু নীতিমালার অধীনে হয়রানি ও গালগালিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি ___________________ করণীয় কাজগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার দাবী করে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা প্রণয়ণ করা হল।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (Objective & Target)ঃ
________________________এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারী যেন যেকোন ধরনের হয়রানী ও গালগালি যেমন-দৈহিক, মৌখিক, মানসিক, যৌন ইত্যাদি মুক্ত কর্মপরিবেশে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারে এ লক্ষ্যে ________________________ কর্তৃপক্ষ হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন করা হল।
নীতিমালার পরিধি (Scope of the Policy)ঃ
__________________ এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে ______________ এর সাথে যারা ব্যবসায়িক বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র (Law Reference)ঃ
_____________________ এর হয়রানি ও উৎপীড়ন নিরোধ নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এবং এর সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৩ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ ও আই এল ও কনভেনশন (ILO Convention) এর বিধি-বিধান এবং সম্মানিত গ্রাহক/ক্রেতাবৃন্দের আচরণবিধি (Code of Conduct) বিবেচনাপূর্বক যথাযথভাবে গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি (Commitment)ঃ
_____________________ কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সুন্দর ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে কারখানায় হয়রানি ও গালাগালি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে দৃঢ প্রতিজ্ঞ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজ (Responsibilities of Assigned Persons)ঃ
প্রধান কর্মকর্তা পরিচালকঃ হয়রানি ও উৎপীড়ন নিরোধ সংক্রান্ত যেকোন বিধির পরিবর্তন, পরিবর্ধনে নির্দেশনা প্রদান ও সর্বোপরি নীতিমালা অনুমোদনকারী।
প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ
হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন।
এ সংক্রান্ত সকল প্রকার অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কোন ধরনের হয়রানি ও গালাগালিমূলক আচরণ কারো বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী কমিটির সাথে সরাসরি আলোচনা বা পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান নিম্মোক্ত ব্যাক্তিগণের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
প্রোডাকশন প্রধানঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ)ঃ
হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালার ভিত্তিতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
কাহারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ পরিপন্থী অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা।
সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ গড়তে দূর্বল দিকগুলো পর্যালোচনা করে বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে পরামর্শক্রমে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
সহঃ ব্যবস্থাপক (উৎপাদন)ঃ
সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা বাস্থবায়নের জন্য ব্যবস্থাপক এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করবেন যে, কোন শ্রমিক কর্মচারী যাতে করে কোন প্রকার হয়রানীর স্বীকার না হয়। এ সংক্রান্ত সকল ধরনের অভিযোগ, অনুযোগ ও বস্তু নিষ্ট পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা ও এর প্রতিকারের জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে শ্রমিকদের কাজের তদারকি করবেন এবং মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
মানব সম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য “হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা” নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং “হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা ” অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ, প্রশাসন এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ সদা সজাগ থাকবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য “হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা” সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন এবং কোথাও এই নীতিমালা পরিপন্থী কিছু পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
ইনচার্জ (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে তার অধিনস্থদের কাজের তদারকি করবেন এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
সুপারভাইজার (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে তার অধিনস্থদের কাজের তদারকি করবেন এবং ইনচার্জ (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
কার্যসূচী ও পদ্ধতি (Routines & Procedure)ঃ
বাস্তবায়ন কার্যসূচী (Implementation Routine)ঃ
ক) দায়িত্বঃ সংগঠনের বর্ণিত কার্যধারাক্রম এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ পলিসি বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবেন।
খ) কার্যসূচীঃ হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা নিম্নোক্ত উপায়ে নির্ধারণ করা হবেঃ
হয়রানি বা অপব্যবহার এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহঃ
মৌখিক হয়রানিঃ তীব্র চিৎকারে ভৎর্সনা করা, চিৎকারে/শব্দাবলী প্রয়োগে ভীতি প্রদর্শন করা বা সম্মানহানীর প্রচেষ্টায় অশ্রাব্য ভাষা/শব্দাবলী প্রয়োগ করা।
দৈহিক/শারীরিক অপমানঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল শাস্তি যা শারিরিক অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।
মানসিক হয়রানিঃ কর্মচারীর আত্ম-সম্মান হানী ঘটানোর উদ্দেশ্যে শব্দাবলী, ভঙ্গি, ইঙ্গিত ব্যবহার অথবা কার্যের ব্যবহার।
যৌন হয়রানিঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/গ্রহণ। এমন কোন শারীরিক বা মৌখিক আচরণ যা যৌনতার সংজ্ঞায় পড়ে।
অন্যান্যঃ যৌক্তিক বিরতি, পানি, শৌচাগার, স্বাস্থ্য সেবা অথবা অপর অন্যান্য মৌলিক মানবিক প্রয়োজনীয়তাসমূহ বাধাগ্রস্থ করার মাধ্যমে হয়রানি।
কর্মক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রকারের হয়রানি বা অসদাচরণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধঃ
মৌখিকভাবে গালিগালাজ করে কোন শ্রমিককে হয়রানি করা যাবে না।
কোন শ্রমিককে শারীরিক নির্যাতন কিংবা মারধর করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
একটি যৌন সম্পর্কের বিনিময়ে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে সুবিধাজনক কার্যে নিয়োগ করার অথবা উত্তম বা পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।
যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার প্রতিশোধ স্বরূপ কর্মচারীকে যেকোন ধরনের অন্যায় ব্যবহারের সম্মুখীন করা।
অবাঞ্ছিত যৌন উক্তি, পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গ-ভঙ্গী করা।
নারী-পুরুষের ভেদাভেদের প্রতি লক্ষ্যহীন অসংবেদনশীল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহিলা চেকার দ্বারা মহিলা শ্রমিক/কর্মচারী চেক এবং পুরুষ নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা পুরুষ শ্রমিক/কর্মচারী চেক করবে।
মানিসক পীড়াদায়ক কোন আচরণ করা যাবে না।
অঙ্গ ভঙ্গীর সাহায্যে কোন শ্রমিকের সাথে উদ্ধত্য আচরণ করা যাবে না।
কোন শ্রমিকের প্রতি কোন প্রকার বস্তু নিক্ষেপ বা ভয়ভীতি প্রদর্শন করানোর জন্য কোন বস্তু প্রদর্শন করা যাবে না।
কোন শ্রমিককে কোন অন্যায় কাজের জন্য শাস্তিস্বরূপ কারখানার বাইরে অবস্থান করতে যাবে না।
কোন শ্রমিককে কোন প্রকারেই খাবার পানি গ্রহণ করতে বাধা দেয়া যাবে না।
কোন শ্রমিককে কোন অবস্থাতেই টয়লেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়া যাবে না।
কোন শ্রমিককে কোন অস্থাতেই শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না।
কোন শ্রমিককে যেকোন ধরণের অন্যায় আচরণের জন্য মজুরী কর্তন বা মজুরী কর্তনের ব্যাপারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ, আঞ্চলিকতা, শারিরিক অক্ষমতা ইত্যাদিকে উদ্দেশ্য করে কোন রকম হয়রানী, গালমন্দ বা অপমাপ/অসম্মান করা যাবে না।
অভিযোগ পদ্ধতিঃ
ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীগণ অন্যায় আচরণ ও হয়রানিমূলক ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে তাদের অভিযোগ পেশ করতে পারেনঃ
সরাসরি মৌখিক অভিযোগ (Verbal Complain)ঃ
যেকোন শ্রমিক তার অভিযোগ প্রথমে তার রিপোর্টিং কর্তৃপক্ষ এবং ক্রমান্বয়ে উবর্ধতন কর্তৃপক্ষের (সর্বোচ্চ উবর্ধতন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত) বরাবরে সরাসরি উত্থাপন করতে পারেন।
শ্রমিকরা সরাসরি অংশগ্রহণকারী কমিটি, কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগ বরাবরে সরাসরি উত্থাপন করতে পারেন।
সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় বরাবরে সরাসরি অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন।
শ্রমিক হট লাইনের মাধ্যমে শ্রমিকেরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন (০১----------------)।
লিখিত অভিযোগ (Written Complain)ঃ
উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকোন শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তা তাদের যেকোন অভিযোগ লিখিতভাবে রিপোর্টিং কর্তৃপক্ষ এবং ক্রমান্বয়ে উবর্ধতন কর্তৃপক্ষের (সর্বোচ্চ উবর্ধতন কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত) বরাবরে সরাসরি উত্থাপন করতে পারেন।
এছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় এবং মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধানের ঠিকানা যেমন-ডাক ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি যেকোন শ্রমিক তার অভিযোগ যেকোন মাধ্যমে জানাতে পারেন।
এছাড়াও কোন লিখিত অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য কারখানার টয়লেটসমূহে শ্রমিকের সহজে গমনযোগ্য স্থানে তালাবদ্ধ অবস্থায় স্থাপিত অভিযোগ বাক্সে ফেলতে পারেন। অভিযোগ বাক্সের চাবি মানবসম্পদ ও প্রশাসন প্রধান এবং কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট রক্ষিত থাকে। শ্রমিকদের কেউ ইচ্ছে করলে তার/তাদের পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ পেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের এরূপ নিশ্চয়তা এবং উৎসাহ দেয়া হয়ে থাকে যে, কেউ অভিযোগ বাক্সে লিখিত অভিযোগ জানালে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না।
প্রতি সপ্তাহের শনিবার কারখানার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং শ্রমিক পক্ষের একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে অভিযোগ বাক্সসমুহ খুলতে হবে।
অভিযোগ বাক্সে প্রাপ্ত অভিযোগসমুহ নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যত দ্রæত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করতে হবে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে পরিপূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে নিরপেক্ষতার সাথে সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং গৃহীত সমাধান সংশি¬ষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে।
অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াঃ
উপরোল্লেখিত পদ্ধতিতে কারখানায় অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে সেক্ষেত্রে তার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্তে বিশ্বাসী। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য ____________________ কয়েকটি ধাপে তদন্তকার্য সম্পন্ন করেন যা নিম্নরূপঃ
প্রাথমিক তদন্ত (Primary Investigation)ঃ
কোন ব্যক্তির ব্যাপারে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথেই ঐ ব্যক্তিকে চার্জ করা হয় না বরং কল্যাণ কর্মকর্তা অথবা পার্সোনেল অফিসারের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ ঘটনাটির প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার যৎ সামান্য সত্যতা পাওয়া গেলেই তদন্তের পরবর্তী ধাপগুলো দ্রæততার সাথে গ্রহণ করে অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান করা হয়।
পূর্ণ তদন্ত (Full Investigation)ঃ
প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের কিঞ্চিৎ সত্যতা পাওয়া গেলে এইচআর ম্যানেজার অথবা এ জি,এম (প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) অনুমতি সাপেক্ষে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এক বা একাধিক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তদন্ত কার্যাদি সম্পন্ন করার পূর্বে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য ও অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ পত্রাদি পর্যালোচনা করে সত্যতার নিরীখে এ.জি.এম (প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) নিকট সুপারিশ পেশ করেন। উল্লেখ্য, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করা হয়।
মতামত/পরামর্শ বাক্স (Complain/opinion/suggestion box)ঃ
_______________________ এর সকল ফ্যাক্টরীতে নিরাপদ, গোপনীয় অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যেক টয়লেট এলাকায় অভিযোগ বাক্স সরবরাহ করা হয়েছে।
পরামর্শ বাক্সে একজন শ্রমিক কোন প্রকার ভয়-ভীতি, দ্বিধাদন্দ ছাড়া সহজেই তাদের অভিযোগ/পরামর্শ/মতামত পেশ করতে পারে।
পরামর্শ বাক্সে একজন শ্রমিক তার পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ জমা করতে পারবে।
পরামর্শ বাক্স সর্বদা তালাবদ্ধ থাকে এবং এর চাবি শুধুমাত্র কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা থাকে।
প্রতিটি অভিযোগ একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি লিখিত অভিযোগগুলো পৃথক একটি ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়। এইচআর ম্যানেজার সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে প্রতিটি অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতঃ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন।
উত্থাপিত অভিযোগ সাধারণ ধরনের হলে গৃহীত ব্যবস্থা নোটিশের মাধ্যমে সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। গোপনীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। গোপনীয় গুরুতর অভিযোগ পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয় যাতে করে অভিযোগকারী কোন প্রকার হয়রানীর সম্মুখীন না হয় বা তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।
এছাড়া কারখানাকে আরো কর্ম চাঞ্চল্য করার লক্ষ্যে এবং শ্রমিকদের অনুযোগ অভিযোগ নিরসনের ক্ষেত্রে যেকোন মতামত পরামর্শ __________________ সাদরে গ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী কমিটি (Participation Committee) ঃ
শ্রমিকদের আশা আকাঙ্খা, অভিযোগ, অনুযোগ কোন প্রকার ভয়ভীতি, দ্বিধাদ্ব›দ্ব ছাড়াই যাতে কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে পারে এ লক্ষ্যে প্রত্যেকটি কারখানায় একটি শক্তিশালী অংশগ্রহণকারী কমিটি শ্রমিকদের মতামতের ও যথাযথ নির্বাচনী পদ্ধতি অবলম্বণের ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে। এই অংশগ্রহণকারী কমিটি প্রত্যেক দুই মাস অন্তর কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা ও অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তোলেন। তাই প্রত্যেকটি করখানার শ্রমিকগণ নির্দ্বিধায় অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের নিকট হয়রানী, অপমান বা অপব্যবহার সম্পর্কে অভিযোগ লিখিত ও মৌখিকভাবে বর্ণনা করেন। উক্ত আলোচনা সভায় উত্থাপিত সমস্যাবলী কর্তৃপক্ষ কার্যবিরণীর মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে জানানো হয়।
অভিযোগের সমাধানকরণঃ
প্রত্যেকে উপরোক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ/অনুযোগ উত্থাপন করতে পারে। শ্রমিকদের পরামর্শ বা অভিযোগসমূহ বেনামীভাবে নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শণ করা হয় এবং গোপনীয়তা রক্ষা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সিদ্ধান্তসমূহ জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ সাধারণত দুই ধরনের পাওয়া যায়। যথাঃ
সাধারণ অভিযোগ
জটিল/স্পর্শকাতর অভিযোগ।
তাই অভিযোগের গুরুত্বের ভিত্তিতে এর সমাধানেও দুই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যা নি¤œরূপঃ
সাধারণ অভিযোগ সমাধানকরণ (Solution of common Grievance)ঃ
যদি অভিযোগটি সাথে সাথে সমাধান করার মত হয় তাহলে অভিযোগটি যার নিকট করা হয়েছে তিনি তার সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন এবং সিদ্ধান্তটি সরাসরি অভিযোগকারীকে জানানো হয় অথবা ওয়েলফেয়ার অফিসার অথবা অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে অভিযোগের ফিডব্যাক দেয়া হয়।
জটিল/স্পর্শকাতর অভিযোগ সমাধানকরণ (Solution of complex and sensitive Greievance)ঃ
যদি অভিযোগ/অনুযোগটি জটিল বা স্পর্শকাতর ধরনের হয় এবং অভিযোগটি তদন্ত বা যাচাই করা ব্যতীত এর সমাধান সম্ভব না হয়। তাহলে এই ধরনের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত করা দরকার। তাই তদন্ত শেষে সত্যতা উদঘাটন হলে কর্তৃপক্ষ স্তর ভেদে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। উক্ত সিদ্ধান্ত সরাসরি অভিযোগকারীকে জানানো হয় অথবা এইচআর অফিসার, ওয়েলফেয়ার অফিসার অথবা অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যের মাধ্যমে জানানো হয়।
উল্লেখ থাকে যে, হয়রানী, গালাগালি অথবা অন্য যেকোন বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকলে অথবা কেউ যদি সন্দেহ পোষণ করে যে কেউ তাকে হয়রানি বা উৎপীড়ন করতে পারে বা করছে বা করা হয়েছে তা যেকোনভাবেই /মাধ্যমে হোক না কেন, তিনি ইচ্ছা করলে কর্তৃপক্ষকে অথবা যদি শ্রমিক/কর্মচারী মনে করেন যে ,তিনি তার অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বহিরাগত কোন স্টোক হোল্ডারের সাহায্য প্রয়োজন যেকোন মহিলা সমিতি বা কমিউনিটি মেম্বার বা লোকাল ব্রান্ড প্রতিনিধি বা অন্য কোন বেসরকারী সংস্থার বা যেকোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা স্থানীয় দায়িত্বশীল যেকোন প্রতিনিধির শরণাপন্ন বা সহযোগীতা নিতে পারবেন কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই করতে পারবে।
সর্বোপরি যদি কোন শ্রমিক কারখানা ছুটির পরে বাসায় বা বাহিরে কোথাও কারো দ্বারা হয়রানী, গালাগালি বা অন্য যেকোন বিষয়ে বা যেকোন প্রয়োজনে বা বিপদগ্রস্থ হয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা চায় তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সহয়োগিতা করে থাকেন। এ ব্যপারে সাইফুদ্দিন মিয়া (প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান) মোবাইল নাম্বারঃ ০১-------------- এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হইল।
এ ছাড়াও যদি কোন শ্রমিক কোন বিষয় বা কারো হয়রানী, গালাগালি অথবা অন্য যেকোন বিষয়ে বিরুদ্ধে অভিযোগ বা অনুযোগ করেন তাহলে কতৃপক্ষ বা কোন ব্যবস্থাপক বা বিভাগীয় প্রধান উক্ত শ্রমিককে কোন কিছু বলা বা তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না এবং ব্যবস্থাপক বা প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানগন অভিযোগকারী উপর কোন ধরনের ভয়/ভীতি/ হয়রানী প্রদর্শন না করে সেই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত প্রধান করবেন। এ ব্যপারে __________-এর কর্তৃপক্ষ সদা দৃষ্টি থাকেন।
নোটঃ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ/অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনের অভিযোগকারী নাম/পরিচয়/ তথ্য গোপন রাখা হবে।
গ) কার্যসূচী বাস্তবায়নের সময়সীমাঃ পলিসি নির্ধারণের সাথে সাথে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা অনুযায়ী হয়রানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কার্যসূচী বাস্তবায়নের পদ্ধতি (Routine Implementation Procedures)ঃ
কার্যসূচী বাস্তবায়নের পদ্ধতি সমূহ নিম্নরূপঃ
প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করাঃ
প্রতিষ্ঠানে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালাা সঠিক প্রয়োগ ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে এবং ব্যবস্থাপক এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স এর দায়িত্ব পালন করবেন।
আচার-ব্যবহার সংক্রান্ত শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থাঃ মধ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আচার-ব্যবহার উন্নয়নে কাজ করা হবে। ব্যবস্থাপক এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগ বা অনুযোগের সমাধানঃ অভিযোগ, অনুযোগের গুরুত্বানুসারে সমাধান করা হবে এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংরক্ষণ করা হবে। ব্যবস্থাপক ওয়েলফেয়ার এন্ড কমপ্লায়েন্স এই দায়িত্ব পালন করবেন।
যোগাযোগ কার্যসূচী (Communication Routine)ঃ
ক) দায়িত্বঃ
সচেতনতামূলক ট্রেনিং - ওয়েলফেয়ার অফিসার/ট্রেইনার
পিএ ঘোষণা - ওয়েলফেয়ার অফিসার
মেইল কমিউনিকেশন - প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান
নোটিশ বোর্ড - এইচ.আর অফিসার
পি.সি কমিটি - ওয়েলফেয়ার অফিসার
খ) যোগাযোগ কার্যক্রমঃ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগঃ জেনারেল মিটিংএ আলোচনার মাধ্যমে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে এবং সভার কার্য বিবরণী সংযোজন করে তা সংরক্ষণ করতে হবে এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাথে যোগাযোগঃ সাধারণ মিটিং এবং ট্রেনিং এর মাধ্যমে উক্ত পলিসি সবাইকে অবগত করা হবে এবং এর ডকুমেন্টস্ নথিভূক্ত করা হবে।
ষ্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগঃ কারখানার সকল কর্মকর্তা ও উৎপাদন কর্মকর্তা ও উৎপাদন স্টাফদের উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা হবে। তাছাড়াও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা সাধারণ মিটিং এর আয়াজনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করা এবং প্রত্যেকে উক্ত পলিসি বুঝতে পেরেছে বা অবগত হয়েছে এই মর্মে স্বাক্ষর গ্রহণ করা এবং প্রশ্ন উত্তর পর্বসহ সভার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক উক্ত দায়িত পালন করবেন।
শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগঃ পি.এ. সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা এবং নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে উক্ত পলিসি সম্পর্কে অবগত করা হবে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক/নির্বাহী উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন কর্মীদের সাথে যোগাযোগঃ ওরিয়েন্টেশন, রিফ্রেশার ট্রেনিং এ উক্ত নীতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা।
গ) যোগাযোগের মাধ্যমঃ
নিম্নোক্ত উপায়ে উক্ত পলিসি সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবেঃ
ট্রেনিং এর মাধ্যমে যোগাযোগঃ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক-কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণের নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচী/ পূণঃসচেতনতা কর্মসূচীর মাধ্যমে এইচআর বিভাগ থেকে পলিসি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে এবং নতুন শ্রমিকদেরকে পরিচিতিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে।
পি.এ সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগঃ পি.এ সিস্টেমে ঘোষণার মাধ্যমে উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
নোটিস বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগঃ নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
পি.সি কমিটির মাধ্যমে যোগাযোগঃ পি.সি কমিটির সাধারণ সভায় আলোচনার মাধ্যমে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। এছাড়াও উক্ত নীতিমালা রিভিও করার সময় তাদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগঃ ই-মেইলের মাধ্যমে মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যসূচী (Feedback & Control Routine)ঃ
ক) দায়িত্বঃ প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও এইচ আর ম্যানেজার এবং বিভাগীয় প্রধানগণ উক্ত পলিসি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানকে সহযোগীতা করবেন।
খ) ফিডব্যাক পদ্ধতিঃ
নিম্নোক্ত উপায়ে ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যসূচী পরিচালনা করা হয়-
শ্রমিক, কর্মচারীদের জন্য ফিডব্যাকঃ লিখিতভাবে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সম্পর্কিত যেকোন পরামর্শ, অভিযোগ রেকর্ড করা হবে। কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অংশগ্রহণ কমিটির মিটিং এ আলোচনার মাধ্যমে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালা সম্পর্কে কোন ধরনের পরামর্শ কিংবা অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়েলফেয়ার অফিসারকে অবহিত করার মাধ্যমে হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত কোন পরামর্শ কিংবা অসংগতি জানানো হলে ওয়েলফেয়ার অফিসার পরামর্শ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কর্তৃপক্ষীয় নিয়ন্ত্রণঃ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতি ছয় মাস পরপর হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট রিভিউ মিটিং আয়োজন করবেন। উক্ত মিটিংয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিগত ছয় মাসের হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ সংক্রান্ত সকল লিখিত ইস্যুগুলো রিভিউ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
অভ্যন্তরীণ অডিটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ও নিয়ন্ত্রণঃ ________________________ এ হয়রানি ও গালাগালি নিরোধ নীতিমালার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের জন্য ইন্টারনাল অডিট টিম ইন্টারনাল অডিট করবে। অডিটে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে লিখিত রিপোর্ট ম্যানেজম্যান্ট রিভিউ করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
রির্পোটিংঃ ইন্টারনাল অডিট সম্পন্ন করার পর অডিট হতে প্রাপ্ত বিষয়াদি নিয়ে একটি রির্পোট তৈরী করা হবে এবং উক্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
নিয়ন্ত্রণঃ কল্যাণ কর্মকর্তাসহ এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের সকল সদস্যবৃন্দ সার্বক্ষনিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
গ) বাস্তবায়নের সময়সীমাঃ সংগঠনের ব্যক্তিগণ এ প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পাদন করবে। ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের জন্য নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহার (Conclusion)ঃ উপরোক্ত আলোচনা হতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিত প্রাণ শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সবার জন্য যথাযথ সম্মান নিয়ে কাজ করার ব্যবস্থা করলে তা শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে। এ লক্ষ্যেই ___________________________ এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর যে পরিবেশ সকল প্রকার হয়রানী ও গালাগালিমুক্ত হবে। ____________________ এ ”হয়রানি ও গালাগালি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ”।