ভূমিকাঃ ....................................... শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যশীল হয়ে সকল শ্রমিকের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। ....................................... তৎকর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক শ্রমিককে, শ্রম আইনের অধীন পাওনাদি পরিশোধ করতে এবং কোম্পানীতে কর্মরত সকল শ্রমিকের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে থতাকে। চাকুরীর অবসান, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, অপসারণ, পদত্যাগ, অবসর, বরখাস্ত অথবা অন্য যেভাবেই হউক না কেন, কোম্পানী শ্রমিকের আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধ করে থাকে। সুতরাং ....................................... সকল শ্রমিকের যে সকল পাওনাদি আইন সম্মত উপায়ে পরিশোধ করে থাকে তাহা নিরুপঃ
ক্ষতিপূরণের পরিমাণঃ
ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তাহার চাকুরির স্বাভাবিক ছাঁটাই, বরখাস্ত, অবসান, পদত্যাগজনিত ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত হইবে।
লে-অফকৃত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণঃ
বদলী বা সাময়িক শ্রমিক ব্যতিত সকল শ্রমিক যার নাম মাষ্টার রোলে অন্তর্ভূক্ত আছে এবং ১ বৎসর কাল চাকুরী সম্পন্ন করেছেন তিনি সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাতিত লে-অফের সকল দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন।
যদি কোন পঞ্জিকা বৎসরে কোন শ্রমিককে অবিচ্ছিন্নভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে ৪৫ দিনের অধিক সময়ের জন্য লে-অফ করা হয়, এবং উক্ত ৪৫ দিনের পর লে-অফের সময় যদি আরোও ১৫ দিনের বা তদুর্ধ্ব হয়, তাহা হইলে উক্ত শ্রমিককে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে ভিন্নরূপে কোন চুক্তি না থাকিলে, পরবর্তী প্রত্যেক ১৫ বা তদুর্ধ্ব দিনসমূহের লে-অফের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে হইবে।
ক্ষতিপূরণ (প্রথম ৪৫ দিন পর্যন্ত)ঃ
* মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে এর অর্ধেক।
* পূর্ণ বাসাভাড়া;
পরবর্তী ৪৫ দিনঃ
* মোট মূল মজুরী এবং মহার্ঘভাতা এবং এডহক বা অন্তবর্তী মজুরী, যদি থাকে এর অংশ;
* পূর্ণ বাসাভাড়া।
মৃত্যুজনিত ক্ষতিপুরণঃ
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীন অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ ০২ (দুই) বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত থাকা অবস্থায় মুত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে মৃত শ্রমিকের কোন মনোনীত ব্যক্তি বা মনোনীত ব্যক্তির অবর্তমানে তাহার কোন পোষ্যকে তাহার ক্ষতিপূরণ হিসাবে-
* প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ০৬ (ছয়) মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরী; এবং
* কর্মরত অবস্থায় অথবা কর্মকালীন দূর্ঘটনার কারণে পরবর্তীতে মুত্যুর ক্ষেত্রে ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মজুরী অথবা গ্র্যাচুইটি, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিবেন এবং এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিলে যে অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।
ছাঁটাইজনিত ক্ষতিপূরণঃ কোন শ্রমিককে প্রয়োজন অতিরিক্ততার কারণে কোন প্রতিষ্ঠান হইতে ছাঁটাই করা যাইবে।
ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হলে যে দিন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয়েছে তার পরবর্তী ত্রিশ কমদিবসের মধ্যে নি¤েœাক্ত পাওনা পরিশোধ করতে হবে;
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যূন্য ১ বৎসর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে মালিককে-
* ১ মাসের লিখিত নোটিশ অথবা নোটিশ মেয়াদের জন্য নোটিশের পরিবর্তে মজুরী প্রদান করিতে হইবে;
* প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরী বা গ্র্যাচুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে।
* বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও অন্যান্য ভাতা (যদি থাকে)।
* বর্তমান মাসের বেতন, ওভারটাইম ও অন্যান্য ভাতা (যদি থাকে)।
* যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী; (যদি থাকে)।
* ভবিষ্য তহবিল (যদি থাকে)।
ডিসচার্জজনিত ক্ষতিপূরণঃ
অপসারণ (উরংপযধৎমব) অর্থ-হল শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে অথবা অব্যাহত ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে মালিক কর্তৃক কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান।
অপসারণ বা ডিসচার্জের মাধ্যমে শ্রমিকের চাকুরী অবসান করা হলে যে দিন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয়েছে তার পরবর্তী ৩০ কমদিবসের মধ্যে শ্রমিক নিন্মোক্ত পাওনা পাওয়ার অধিকারীঃ
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্যূন্য ১ বৎসর চাকুরী সম্পূর্ণ করিলে তাহাকে মালিক তাহার-
* প্রত্যেক বৎসর চাকুরীর জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিনের মজুরী বা গ্র্যাচুইটি যদি প্রদেয় হয়, যাহা অধিক হইবে, প্রদান করিতে হইবে।
* বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও অন্যান্য ভাতা (যদি থাকে)।
* চলতি মাসের বেতন, ওভারটাইম ও অন্যান্য ভাতা (যদি থাকে)।
* অর্জিত ছুটির ভাতা (যদি থাকে)।
অব্যাহতি বা টার্মিনেশন (ঞবৎসরহধঃরড়হ নু ঊসঢ়ষড়ুবৎ)ঃ
যখন কোন স্থায়ী শ্রমিককে ছাঁটাই, বরখাস্ত, অপসারণ ইত্যাদি অপরাধ ছাড়া চাকুরীর সমাপ্তি ঘটানো হয় তখন তাকে অব্যাহতি বা টার্মিনেশন বলা হয়। যেকোন সময় তার কারখানার স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে শ্রমিকের প্রাপ্য টাকা-পয়সা প্রদান করে যে কোন শ্রমিককে চাকুরী হইতে অব্যাহতি দিতে পারে।
একজন স্থায়ী শ্রমিককে মালিক অবশ্যই ১২০ দিন বা ৪ মাস আগে শ্রমিককে নোটিশ দেন অথবা আদেশটি সাথে সাথে কার্যকর করতে চাইলে নোটিশের পরিবর্তে ৪ (চার) মাস বা ১২০ দিনের মজুরী দিয়ে দেন। তবে মাসিক বেতনে নিযুক্ত অস্থায়ী শ্রমিককে ১ মাসের নোটিশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১৪ দিনের লিখিত নোটিশ বা নোটিশ সময়ের মজুরী দিয়ে দেন।
ক্ষতিপূূরণঃ
অব্যাহতি বা টার্মিনেশনের মাধ্যমে শ্রমিকের চাকুরী অবসান করা হলে যে দিন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করা হয়েছে তার ৩০ (ত্রিশ) কর্মদিবসের মধ্যে শ্রমিক নিচের পাওনা পেয়ে থাকেনঃ
* বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা (যদি থাকে);
* বর্তমান মাসের মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা;
* শ্রমিক যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকেন তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী;
* শ্রমিক যতদিন কাজ করেছে তার প্রতি পূর্ণ বছরের জন্য ৩০ দিনের মজুরী হারে ক্ষতিপূরণ অথবা গ্রাচুইটি থাকলে এর মধ্যে যেটি বেশী হবে সেটি;
* অব্যাহতির জন্য ১২০ দিন বা ৪ মাস পূর্বে যদি নোটিশ না দিয়ে থাকে তাহলে ১২০ দিন বা ৪ মাসের মজুরী;
* প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা (যদি থাকে)।
বরখাস্তঃ
বরখাস্ত হল-অসদাচরণের কারণে মালিক কর্তৃক কোন শ্রমিকের চাকুরীর অবসান। নি¤œলিখিত অসদাচারণের কারণে মালিক কর্তৃক শ্রমিককে চাকুরী হতে বরখাস্ত করতে পারেনঃ
ক) উপরস্থের কোন আইন সঙ্গত বা যুক্তিসঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা বা অমান্য করা;
খ) মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, আত্মসাৎ, প্রতারণা বা অসাধুতা;
গ) মালিকের অধীন তাঁর বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ গ্রহণ বা প্রদান;
ঘ) বিনা ছুটিতে বা অভ্যাগত অনুপস্থিতি অথবা ছুটি না নিয়া এক সঙ্গে ১০ দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
ঙ) কর্মস্থলে অভ্যাসগত বিলম্বে উপস্থিতি;
চ) প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
ছ) প্রতিষ্ঠানে উচ্ছৃংখলতা বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুর;
জ) কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
ঝ) প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃংখলা বা আচরণসহ যেকোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন;
ঞ) মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরণ, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা উহা হারাইয়া ফেলা।
এক্ষেত্রে মালিক কর্তৃক নিচের কতিপয় পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। যেমনঃ-
* শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ লিখিতভাবে করা হয়;
* লিখিত অভিযোগের এক কপি শ্রমিককে দিতে হবে এবং জবাব দেওয়ার জন্য কমপক্ষে ৭ দিন সময় দেওয়া হয়;
* ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হয়;
* মালিক বা ম্যানেজার এরূপ আদেশ অনুমোদন করেন;
* এছাড়া অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত শ্রমিককে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্ত করা যেতে পারে এবং বিষয়টি কোন আদালতে বিচারাধীন না থাকলে এর মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি হবে না। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে গড় মজুরী, অর্ধেক খোরাকী ভাতা হিসেবে পাবেন।
বরখাস্তজনিত ক্ষতিপূরণঃ
* বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা (যদি থাকে);
* বর্তমান মাসের মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা;
* যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী কাটা যাবে না;
* শ্রমিক যতদিন কাজ করেছে তার প্রতি পূর্ণ বছরের জন্য ১৫ দিনের মজুরী হারে ক্ষতিপূরণ অথবা গ্রাচুইটি থাকলে এর মধ্যে যেটি বেশী হবে সেটি;
* প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা (যদি থাকে)।
(৩) উপ-ধারা (২) (ক) এর অধীন অপসারিত কোন শ্রমিককে, যদি তাহার অবিচ্ছিন্ন চাকুরীর মেয়াদ অন্যূন ১ (এক) বছর হয়, মালিক ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পুর্ণ চাকুরী বৎসরের জন্য ১৫ দিনের মজুরী প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন শ্রমিককে উপ-ধারা (৪) এর (খ) ও (ছ) এর অধীন অসদাচরণের জন্য বরখাস্ত করা হইলে তিনি কোন ক্ষতিপূরণ পাইবেন না। তবে এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক তাহার অন্যান্য আইনানুগ পাওনাদি যথা নিয়মে পাইবেন।
পদত্যাগঃ
কোন স্থায়ী শ্রমিক স্বেচ্ছায় যদি কারখানা থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চায় অর্থাৎ পদত্যাগ করতে চায় তবে তাকে অন্তত ৬০ দিন পূর্বে লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠানের মালিককে পদত্যাগপত্র বা নোটিশ দিতে হবে। যদি নোটিশ দিতে না পারেন তবে তিনি ৬০ দিনের মজুরীর সমপরিমাণ অর্থ তার মালিককে প্রদান করবেন।
পদত্যাগজনিত সুবিধাদিঃ
* বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা (যদি থাকে);
* ৫ বছরের বেশী কিন্তু ১০ বছরের কম কাজ করে থাকলে প্রতি বছর কাজের জন্য ১৪ দিনের মজুরী এবং ১০ (দশ) বছরের বেশী কাজ করে থাকলে প্রতি বছর কাজের জন্য ৩০ দিনের মজুরী, ক্ষতিপুরণ বা গ্রাচ্যুইটি যা বেশী হয় তা পাবেন;
* যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী;
* প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা (যদি থাকে)।
শ্রমিকের অবসর গ্রহণঃ
অবসর অর্থ এই আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী কোন শ্রমিকের নির্দিষ্ট বয়সে (অর্থাৎ ৬০ বছর) বয়সে উপনীত হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে চাকুরীর অবসান। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ২৫ বছর চাকুরী পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে শ্রমিকের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকেও অবসর বলিয়া গণ্য হইবে।
অবসরজনিত সুবিধাদিঃ
* বকেয়া মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা (যদি থাকে);
* বর্তমান মাসের মজুরী এবং ওভারটাইমের ভাতা;
* যদি অর্জিত ছুটি ভোগ করে না থাকে তাহলে পাওনা অর্জিত ছুটির মজুরী;
* শ্রমিক যতদিন কাজ করেছে তার প্রতি পূর্ণ বছরের জন্য ৩০ দিনের মজুরী হারে ক্ষতিপূরণ প্রদান;
* প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধান থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা (যদি থাকে)।
অব্যয়িত ছুটির মজুরী প্রদানঃ
যদি কোন শ্রমিকের ছাটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অবসর, পদত্যাগ বা অন্য কোন কারনে চাকুরী অবসান হয় এবং তার কোন বাৎসরিক ছুটি পাওনা থাকলে উক্ত ছুটির পরিবর্তে মজুরী দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাঃ
কোন প্রতিষ্ঠানের কোন শাখা বা বিভাগে বে-আইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারেন এবং এরূপ বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগহণকারী শ্রমিকগণ কোন মজুরী পাবেন না।
তবে, এরূপ ধর্মঘটের জন্য অন্য শাখা ক্ষতিগ্রস্থ হলে উক্ত বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে শ্রমিককে ৩ দিন পর্যন্ত লে-অফ এর ক্ষেত্রে প্রদেয় ক্ষতিপূরণের সমপরিমাণ মজুরী প্রদান করা হয়।
মৃত শ্রমিকের অপরিশোধিত মজুরী পরিশোধঃ
মৃত্যুজনিত কারণে অথবা তার খোঁজ না পাওয়ার কারণে তার সকল পাওনা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কতৃক মনোনীত ব্যক্তিকে দেওয়া হয় তাকে না পওয়া গেলে শ্রম আদালতে জমা দেওয়া হয়।
মৃত্যুকালীন সুবিধাঃ
যদি কোন শ্রমিক কোন মালিকের অধীনে অবিচ্ছিন্নভাবে অন্ততঃ ৩ বৎসরের অধিককাল চাকুরীরত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন, তাহলে তার মনোনীত ব্যক্তি বা পোষ্যকে প্রত্যেক পূর্ণ বৎসর বা উহার ৬ মাসের অধিক সময় চাকুরীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩০ দিনের মজুরী প্রদান করা হয়।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত অধিকার (আহত শ্রমিকের)ঃ
আহত শ্রমিকের মজুরী যাই হোক না কেন কারখানায় কর্মরত অবস্থায় যদি কোন শ্রমিক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে এবং তার যদি কোন অঙ্গহানী বা শারীরিক ক্ষতি হয় এবং এই ক্ষতি যদি স্থায়ী ধরনের হয় তাহলে উক্ত শ্রমিক কারখানা হতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ ১,২৫,০০০ (এক লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন। শারীরিক ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী আইনে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত রয়েছে।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত অধিকার (নিহত বা মৃত্যুবরণ)ঃ
নিহত শ্রমিকের মজুরী যাই হোক না কেন কারখানায় কর্মরত অবস্থায় যদি কোন শ্রমিক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করে তাহলে ঐ শ্রমিকের উত্তরাধিকারী বা তার উপর নির্ভরশীলগণ কারখানা হতে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে।
সুবিধাদিঃ
মজুরীঃ
* সরকারী নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক শ্রমিকের মাসিক ২০৮ ঘন্টা শ্রমকে তার মূল মজুরী হিসাবে ধরা হয়।
* বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত সর্ব-নিন্ম মজুরীর নিয়ম কাঠামো মেনে মজুরী প্রদান করা হয়।
মজুরীর পাঁচটি অংশঃ
ক) মূল মজুরী (টাকা);
খ) বাড়ি ভাড়া (মূল মজুরীর ৪০%);
গ) চিকিৎসা ভাতা ২৫০ টাকা;
ঘ) যাতায়াত ভাতা ২০০ টাকা ও
ঙ) খাদ্য ভাতা ৬৫০ টাকা।
মজুরীঃ
মাসিক প্রদানঃ
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিদেরকে পরবর্তী মাসের ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে মজুরী এবং ওভারটাইমের টাকা একসাথে প্রদান করা হয়।
মজুরী বৃদ্ধি (ওহপৎবসবহঃ)ঃ এক বছর চাকরী পূর্ণ হলে পরবর্তী বছর প্রত্যেক শ্রমিককের নূন্যতম ৫% মজুরী বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা আছে যা তাদের জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে করা হয়।
মজুরী প্রদানের রশিদঃ
................................. কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক মাসের মজুরী প্রদানের পূর্বে সকল শ্রমিকদের পে-¯িøপ প্রদান করে থাকে।
কার্যঘন্টা (ডড়ৎশরহম ঐড়ঁৎং)ঃ
* সাধারন কর্মঘন্টাঃ দৈনিক সকাল ৮.০০ টা থেকে ৫.০০ টা পর্যন্ত।
* অতিরিক্ত কাজের সময়ঃ বিকাল ৫.০০ টা থেকে ৭.০০ টা পর্যন্ত (যা স্বেচ্ছাধীন)।
সাপ্তাহিক কাজের সময়ঃ
দৈনিক ৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ২ ঘন্টা। সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা + ওভারটাইম ১২ ঘন্টা সপ্তাহে ওভার টাইমসহ সর্বোচ্চ মোট ৬০ ঘন্টা এবং বৎসরে গড়ে ৫৬ ঘন্টা।
বিশ্রামঃ
প্রতি কর্ম দিবসে দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের ও বিশ্রামের জন্য বিরতি দেয়া হয়।
অতিরিক্ত কাজঃ
কোন শ্রমিক দৈনিক নির্ধারিত ৮ ঘন্টার পর অতিরিক্ত কাজ করলে তা ওভারটাইম হিসেবে গণ্য করা হয়। সর্বমোট কার্যকাল ওভারটাইমসহ দৈনিক ১০ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা এবং তা বৎসরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫৬ ঘন্টা। ওভারটাইম সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক। নির্ধারিত কাজের সময়ের পরে ওভারটাইম কাজের ক্ষেত্রে কেউ কাজ করতে না চাইলে তাকে ছুটি প্রদান করা হয়।
ওভারটাইম হারঃ
অতিরিক্ত কাজের জন্য একজন শ্রমিকের প্রাপ্য মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ওভারটাইম হিসাব করা হয়।
ওভার টাইম নির্নয়ের সূত্রঃ
মূল মজুরী ২০৮ ২ অতিরিক্ত কর্মঘন্টা।
তরুণদের কর্মঘন্টা (বয়স ১৫-১৮ এর নীচে)ঃ
সাধারনতঃ তরুণ শ্রমিক নিয়োগ করা হয় না। যদি কখনও এধরণের শ্রমিক পাওয়া যায় তবে তা আমাদের দেশীয় প্রচলিত আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা ও মজুরী নির্ধারণ করা হয় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।
ছুটিঃ
সাপ্তাহিক ছুটিঃ প্রত্যেক শ্রমিককে সপ্তাহে ১ (এক) দিন (প্রতি শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে খোলা রাখা হয়, তবে সেক্ষেত্রে যথাশীঘ্র সম্ভব বিকল্প ছুটি প্রদান করা হয়
[
মজুরীসহ বার্ষিক বা অর্জিত ছুটি ঃ কারখানায় কোন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে চাকুরীর মেয়াদ এক বছর পূর্ণ করলে তিনি পরবর্তী বার মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বার মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ প্রতি ১৮ (আঠার) দিনে একদিন ছুটি অর্জন করবেন। যদি বার মাসের মধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণ ছুটি ভোগ না করে থাকেন, তবে পরবর্তী বার মাসের পাওনা ছুটির সঙ্গে তা যোগ হয়। এই অর্জিত ছুটির পরিমাণ ৪০ (চল্লিশ) দিন পর্যন্ত জমা হয়। প্রত্যেক শ্রমিককে বছরে অন্ততঃ ১১ (এগার) দিন পর্ব উপলক্ষ্যে মজুরীসহ ছুটি মঞ্জুর করা হয়। অনুরূপ পর্বের দিন ও তারিখ কারখানার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেন এবং তা নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
নৈমিত্তিক ছুটিঃ প্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১০ (দশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
অসুস্থতার ছুটিঃ প্রত্যেক শ্রমিক বছরে পূর্ণ মজুরীসহ ১৪ দিন অসুস্থতার ছুটি ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, প্রাপ্য নৈমিত্তিক ও অসুস্থতার ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যায় না।
মাতৃত্বকালীন ছুটিঃ কোন মহিলা শ্রমিক যিনি ছয় (৬) মাস কাজ করবেন তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন। মাতৃত্বকালীন ছুটির মোট সময় ১৬ সপ্তাহ (১১২ দিন), যা দুই ভাগে ভোগ করা হয়। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহ ও সন্তান প্রসবের পরে ৮ সপ্তাহ এই মোট ১৬ সপ্তাহ পূর্ণ বেতনে ছুটি ভোগ করতে পারবেন। সন্তান প্রসবের পূর্বে ৮ সপ্তাহের টাকা এবং সন্তান প্রসবের পরে অবশিষ্ট ৮ সপ্তাহের টাকা প্রদান করা হয়।
ছুটি কাটানোর পদ্ধতিঃ ছুটি পাবার ক্ষেত্রে যে কোন শ্রমিককে নিন্মলিখিত আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই সম্পন্ন করতে হয়। অন্যথায় ঐ ছুটি সাধারণতঃ গ্রহণযোগ্য হয় না। তবে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অতীব জরুরী প্রয়োজনে ছুটির অব্যবহিত পরেও অনুমোদন নেয়া যেতে পারে।
* কোন শ্রমিক ছুটি নিতে আগ্রহী হলে তাকে অবশ্যই কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
* ছুটির আবেদন পত্র সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজার/ইনচার্জ/কর্মকর্তা অনুমোদন দিলেই কেবলমাত্র কোন শ্রমিক ছুটি ভোগ করতে পারেন।
* ছুটিতে যাবার পূর্বে অবশ্যই কার্য-দায়িত্ব যথাযোগ্য ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দিতে হয় যেন কাজে কোন ব্যাঘাত না ঘটে।
* যে কোন অনুমোদিত ছুটি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
নিয়োগ কার্যকরী কালঃ
চাকরীতে যোগদানের তারিখ থেকে প্রত্যেক শ্রমিকেরই ৩ (তিন) মাস অবেক্ষকাল (চৎড়নধঃরড়হ চবৎরড়ফ) হিসেবে গণ্য হবে। অবেক্ষকাল চলাকালে কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে ও কোন রকম নোটিশ ছাড়া যে কোন শ্রমিককে চাকরী হতে অব্যাহতি দিতে পারবেন। অবেক্ষকাল এবং শিক্ষানবীসকাল শেষ হওয়ার পর একজন শ্রমিক স্বাভাবিকভাবে স্থায়ী শ্রমিকে পরিণত হবেন, যদি কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে তার অবেক্ষকালের সময় বৃদ্ধি না করেন।
কল্যাণমূলক ব্যবস্থাদিঃ
মেডিকেয়ার সেন্টারঃ
শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সেবা ও কর্মকালীন র্দূঘটনার তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নিজস্ব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র বা হেল্থকেয়ার (মেডিকেল) সেন্টার। হেল্থকেয়ার সেন্টারের দায়িত্বে আছেন একজন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার। হেল্থকেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে সারা বছর শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা-সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়াও কার্যকালীন অবস্থায় আহতদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যয়ভার কোম্পানী বহন করে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই সমান অধিকার প্রাপ্য।
শিশু পালন কেন্দ্রঃ
কর্মজীবি মায়েদের জন্য তাদের ৬ বছরের কম বয়সী সন্তানদের লালন-পালনের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টারের সুবিধা। এই সেন্টারে বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের খেলনা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে কোম্পানীর ডাক্তার সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
উৎসব বোনাসঃ
যে সকল শ্রমিক-কর্মচারী যাদের চাকুরী ন্যুনতম চাকুরীর বয়স ১ বছর পূর্ণ করিয়াছেন তাদেরকে বছরে দুই ঈদে দুটি উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়।
ট্রেণিং ঃ
প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য এখানে শুরু করা হয়েছে সারা বছর ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী। সকলকে সচেতন, মানসিক উন্নয়ণ, কাজে অধিতর দক্ষ ও গতিশীল, কোম্পানীর প্রতি একাত্মবোধ সৃষ্টি করাই ট্রেণিং এর মূল উদ্দেশ্য। ট্রেণিং কর্মসূচীতে প্রথমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সকল সুপারভাইজার, ইনচার্জ ও ম্যানেজারদের। যারা পরবর্তীতে প্রশিক্ষিত করেন তাদের তদারকিতে থাকা শ্রমিকগণকে এবং পরবর্তীতে উক্ত শ্রমিকগণকে আবার মূল প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে যে সকল বিষয়গুলো সম্বন্ধে অবগত করা হয় তা হলোঃ
* দেশীয় আইন ও কর্মস্থল সংক্রান্ত বিধি নিষেধ,
* শিশু শ্রম;
* কার্মঘন্টা;
* জোরপূর্বক শ্রম বা কাজ;
* বৈষম্য, হয়রানী ও নির্যাতন,
* পেশাগত দায়িত্ববোধ;
* পেশাগত নিরাপত্তা;
* অগ্নি নিরাপত্তা;
* হাউস কিপিং;
* ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গুরুত্ব;
* মজুরী ও ওভারটাইম;
* চাকুরী হতে অব্যাহতি ও বরখাস্ত;
* অভিযোগ পদ্ধতি ও পরামর্শ,
* সকল প্রকার ছুটি;
* ক্যান্টিন/খাবারের ব্যবহার বিধি।
প্রাথমিক চিকিৎসা এবং অনান্যঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) এবং শ্রম বিধি ২০১৫ অনুযায়ী কারখানার প্রতিটি বিভাগে আছে প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্স ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দেওয়া আছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিটি ব বাক্সের জন্য ২ (দুই) জন প্রশিক্ষিত প্রাথমিক চিকিৎস নিয়োজিত আছেন।
ডাইনিং হল বা খাবার কক্ষঃ
ফ্যাক্টরীতে কর্মরত সকলের জন্য ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে এক সাথে ৩০০ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ডাইনিং হল বা খাবার কক্ষ রয়েছে।
বাধ্যতামূলক গ্রুপ বীমা সুবিধাদিঃ
ফ্যক্টরীতে নিয়োগের পর প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের গ্রæপ বীমার আওতায় আনা হয়ে থাকে।
অনান্যঃ
* প্রত্যেক শ্রমিককে কোম্পানীর নিজস্ব খরচে পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়;
* শ্রমিকদের নিরাপদ পানি পান করার জন্য কর্মস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে;
* কারখানার পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকদের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক পর্যাপ্ত পরিমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে;
* প্রত্যেক শ্রমিককে হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য ইলেকট্রনিক ফেস পাঞ্চ কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে কারখানায় আসা-যাওয়া এবং ওভারটাইমের সময় রেকর্ড করা হয়;
* যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর নীতি অবলম্বন করা হয়।
উপসংহারঃ উক্ত নীতিমালা....................................... কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে পালন করে থাকে এবং উক্ত নীতিমালার উপর কারখানার সকল পরিচালকবর্গ,কর্মকর্তা,কর্মচারী ও শ্রমিকদেরকে অবহিত করা হয়ে থাকে।