১.১) ____________________________-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৈনিক কর্মঘন্টা, সপ্তাহিক কর্মঘন্টা এবং সাপ্তাহিক বন্ধের দিন নির্ধারণ করে থাকে যা দেশের প্রচলিত আইনের সীমা লঙ্ঘন করে না। শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে যদি সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ফ্যাক্টরী খোলা থাকে তাহলে তা পরবর্তীতে দ্রæততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান করা হইবে। এই নীতিমালার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সকল ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এমনভাবে কর্মঘন্টা নির্ধারণ করিবেন যাহাতে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে।
১.২) উল্লেখ যে, ____________________ এর কর্তৃপক্ষ সব সময় বাংলাদেশ শ্রম আইন, আন্তর্জাতিক শ্রম বিধি বিধান ও বায়ারের আচরণ বিধি উপর কাজ করতে অঙ্গিকারবদ্ধ।
১.৩) উদ্দেশ্যঃ ______________________-এ শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের সময় সঠিকভাবে গণনা ও সেই অনুযায়ী ভাতা সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি সুনির্দিষ্ট “কর্মঘন্টা নীতিমালা” প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করার বিকল্প নাই। _________________-এ কর্মরত প্রতিটি শ্রমিক-কর্মচারী যাতে করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে প্রবেশ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারে। একটি সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের আস্থা অর্জন করে তাদের জন্য একটি উৎকৃষ্ট “কর্মঘন্টা নীতিমালা” নিশ্চিত করাই এই নীতিমালার লক্ষ্য।
১.৪) অঙ্গীকারঃ
___________________-এর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রণয়ন ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই লক্ষ্যে ________________-এর কর্তৃপক্ষ এই কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণবিধি ও নিয়মও মানা হতে পারে। ____________________ এই নীতি কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ যথাযথভাবে অনুসরণ করবে।
০২) নির্দেশিকাঃ
২.১) দৈনিক কর্মঘন্টাঃ সাধারণত দৈনিক ৮ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করবেন না বা তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিক দৈনিক ১০ (দশ) ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে অধিককাল কাজের জন্য তার মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ভাতা পাবেন।
২.২) বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতিঃ
দৈনিক ৫ (পাচ) ঘন্টার অধিক কাজ করতে বাধ্য থাকবেন না যদি না উক্ত দিনে তাকে আহার বা বিশ্রামের জন্য ৩০ মিনিট (আধা ঘন্টা) বিরতি দেওয়া হয়।
দৈনিক ৬ (ছয়) ঘন্টার অধিক কাজ করতে বাধ্য থাকবেন না যদি না উক্ত দিনে তাকে আহার বা বিশ্রামের জন্য ১ (এক) ঘন্টা বিরতি দেওয়া হয়;
৮ ঘন্টার অধিক কাজ করালে ২ দফা বিরতি দিতে হবে।
___________________-এর কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠ ও উত্তম ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নে উল্লেখিত সময়সূচী অনুযায়ী বিরতির সময় নির্ধারণ করেছেন।
২.২) সাপ্তাহিক কর্মঘন্টাঃ
কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিক সাধারণতঃ সপ্তাহে ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টার অধিক সময় কাজ করবেন না বা তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
ধারা ১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিক সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার অধিক সময়ও কাজ করতে পারবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সপ্তাহে উক্তরূপ কোন শ্রমিকের মোট কর্ম সময় ৬০ (ষাট) ঘন্টার অধিক হবে না এবং কোন বৎসরে ইহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার বেশী হবে না।
২.৩) অতিরিক্ত কর্মঘন্টাঃ
____________________-এর কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত কাজ করানোর নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম ও শিল্প আইন অনুযায়ী অনুসরণ করা হয়।
অধিককাল কাজ পুরোপুরি কর্মীদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। কোন শ্রমিককে বলপ্রয়োগে অতিরিক্ত কাজ করানো যাবে না। কোন বিভাগ এ ব্যাপারে কাউকে জোর জবরদস্তি করতে পারবে না।
কর্মীদের যে কোন সময় অতিরিক্ত সময়ের কাজ প্রত্যাখ্যান করার অধিকার থাকবে।
আমরা অতিরিক্ত সময়ের কাজকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ (দুই) ঘন্টা সময়ে সীমাবদ্ধ রাখতে চেষ্টা করব এবং সপ্তাহে চেষ্টা করব সর্বোচ্চ ১২ (বার) ঘন্টা সময়ে সীমাবদ্ধ রাখতে।
অতিরিক্ত সময়ের কাজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পূর্বেই এ ব্যাপারে শ্রমিকদের অবগত করা হবে এবং যারা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করতে আগ্রহী একমাত্র তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে রাখা হবে।
কোন আকস্মিক এবং অনিবার্য কারণে অতিরিক্ত সময়সহ সপ্তাহে ৬০ ঘন্টার বেশী কর্ম ঘন্টার প্রয়োজন দেখা দিলে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সংগে কর্মীদের সহযোগিতার মনোভাবকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
অতিরিক্ত সময়ের সকল পাওনা মূল বেতনের দ্বিগুণ হার হিসাবে পরিশোধ করা হবে এবং এই পাওনা বেতনের সাথে পরিশোধ করা হবে।
অতিরিক্ত কাজ শুরু করার ৩ ঘন্টা পূর্বে সংশিষ্ট শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজের শীট-এ তাদের সম্মতি নিতে হবে এবং তা ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিকাল ৪ ঘটিকার মধ্য অনুমোদন নিতে হবে।
২.৪) অতিরিক্ত ভাতার মজুরীঃ
অতিরিক্ত কর্মঘন্টার সকল পাওনা মুল বেতনের দ্বিগুণ হার হিসেবে পরিশোধ করা হয় এবং ইহা বেতন সাথে একত্রে একই দিন প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত ভাতা নির্ণয়ের সূত্রঃ
মূল মজুরী ২০৮ ২ অতিরিক্ত কর্মঘন্টা = অতিরিক্ত মজুরীর টাকা।
২.৫) সাপ্তাহিক ছুটিঃ
________________________-এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, প্রতিটি শ্রমিকরেই বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্রাম শরীরের ক্লান্তি ও অবসন্নতা দূর করে। ফলে কর্মে স্পৃহা জাগে এবং কাজে বেশি উৎসাহ পাওয়া যায়। কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টস বিভাগ জন্য সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার এবং অন্যান্য শিফট সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ সিডিউল মোতাবেক ধারাবাহিকভাবে সাপ্তাহিক ছুটি প্রদান করা হয়ে থাকে।
২.৬) ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটিঃ
অনেক সময় জরুরী প্রয়োজনে, যেমন-প্রাকৃতিক দুর্যোগ, লক আউট, ধর্মঘট, বৈদ্যুতিক বিপর্যয, যান্ত্রিক বা মেশিনারিজ সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা জরুরী শিপমেন্ট-এর কাজের কারণে কারখনার স্বাভাবিক কার্যক্রম সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা রাখতে পারবে। এক্ষেরেত্র কর্তৃপক্ষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন কারখানা খোলা রাখলে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণমূলক আইনের বিধান মোতাবেক বিধিমালা প্রণয়নের দ্বারা কোন কারখানাকে এই আইনের আওতা থেকে অব্যহতি দেয়ার ফলে কোন শ্রমিক উক্ত ধারার (১) উপধারা মোতাবেক প্রাপ্য সাপ্তাহিক ছুটি থেকে বঞ্চিত হলে যত শীঘ্র সম্ভব (পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে) বঞ্চিত ছুটির সমসংখ্যক ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।
২.৭) কর্ম সময় সংরক্ষণঃ
প্রতিদিনের কর্ম সময় ইলেক্ট্রনিক্স ডাটার মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিদিন শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ তাদের ফেস্ পাঞ্চের মাধ্যমে তাদের কাজের সময় সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকালীন সময় প্রতিটি নির্বাচিত প্রার্থীকে তাদের কর্ম সময় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এছাড়াও কাজের সময়সূচী নোটিশ বোর্ডে এবং ফ্লোরের দৃশ্যমান স্থানে বা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিতে হবে।
২.৮) দায়িত্বঃ
__________________________-এর বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আার এন্ড কমপ্লায়েন্স) অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানদের সহযোগীতায় কোম্পানীর কর্মঘন্টা নীতিমালা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবেন।
৩.২) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
৩.২.১) বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও মানব সম্পদ)ঃ
_____________-এর প্রশাসনিক প্রধান কর্মঘন্টা নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন।
এ সংক্রান্ত সকল প্রকার অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কোন ধরনের বৈষম্য কারোও বিরুদ্ধে প্রমাণিত হলে শ্রম আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
প্রয়োজনে শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটির সাথে সরাসরি আলোচনা বা পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
৩.২.২) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানব সম্পদ)ঃ
কর্মঘন্টা নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মঘন্টা নীতিমালার ভিত্তিতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় ভ‚মিকা পালন করা।
কর্মঘন্টা সংক্রান্ত কোন প্রকার অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা।
কর্মঘন্টা সংক্রান্ত কোন বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করে বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে পরামর্শক্রমে কর্মঘন্টা নীতিমালার বাস্তবায়ন তথা উন্নতি সাধন করা।
৩.২.৩) ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স)ঃ
উন্নত ও কার্যকর কর্মঘন্টা নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও কর্ম-পরিবেশ সমুন্নত রাখা।
বায়ার নিরীক্ষণকারীদের সাথে কর্মঘন্টা নীতিমালা সার্বিক দিকগুলো উপস্থাপন করে এর দুর্বল দিকগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।
কর্মঘন্টার নীতিমালার বিষয়ে কারখানা শ্রমিক-কর্মচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ ও প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নিয়মিত মিড লেভেল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে উল্লেখিত নীতিমালায় কার্যকারিতা বিষয়ে মত বিনিময় করা।
যদি কর্মঘন্টার কোন ধরনের বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় সেক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত ও দিক নির্দেশনা মোতাবেক তা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩.২.৪) নির্বাহী (প্রশাসন ও মানব সম্পদ)ঃ
শ্রমিক কর্মচারীদের ফেস পাঞ্চ রেকর্ড মনিটরিং করে তাদের হাজিরা রেকর্ড নিশ্চিত করা।
হাজিরা সংক্রান্ত কোন প্রকার অভিযোগ বা সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তা যথাযথ পর্যবেক্ষণ বা তদন্ত সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক সমাধান করা এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা।
উপরোক্ত অভিযোগ/সমস্যা সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ সকলকে অবগত করা।
মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে মত বিনিময় করে কর্মঘন্টা নীতিমালা সম্পর্কে অবগত করানো এবং সকলকে নিয়ম অনুযায়ী ফেস পাঞ্চ করতে উৎসাহিত করা।
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মঘন্টা নীতিমালার উপর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ও সভার আয়োজন করা।
৩.২.৫) নির্বাহী (পে-রুল সেকশন)ঃ
শ্রমিক-কর্মচারীদের ফেস পাঞ্চ রেকর্ড সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।
প্রতিদিনের মিস পাঞ্চ রিপোর্ট সময় নিয়ন্ত্রণ বিভাগে প্রদানপূর্বক শ্রমিক-কর্মচারীদের হাজিরা নিশ্চিত করা।
সফটওয়্যারের নিয়মিত শ্রমিক-কর্মচারীদের ছুটি এন্ট্রি করে তার হাজিরা নিশ্চিত করা।
হাজিরা সংক্রান্ত কোন প্রকার সমস্যা বা বৈষম্য পরিলক্ষিত হলে তা বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও মানব সম্পদ) এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তা সমাধান করা।
মাস শেষে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন ও পে-স্লিপে তৈরি করে তাদের বেতন ভাতা প্রদান নিশ্চিত করা।
৩.২.৬) কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত হাজিরা সংক্রান্ত অভিযোগ সংগ্রহ করে তা বিভাগীয় প্রধান (মানব সম্পদ-এর নিকট প্রেরণ করা।
ফ্লোর মনিটরিং করে শ্রমিক কর্মচারীদের এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত সমস্যা একটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা এবং তা ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ)-কে অবহিত করা।
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মঘন্টা নীতিমালা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
শ্রমিক-কর্মচারী, মিড লেভেল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করা।
প্রয়োজনে ইউনিয়নের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারী সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করা।
৩.২.৭) অংশগ্রহণকারী কমিটির প্রতিনিধিঃ
নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থিত শ্রমিকদের সমস্যাগুলো অবহিত হয়ে সমাধানের চেষ্টা করা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এই বিষযে আলোচনা করা।
সমস্যাগুলো প্রতি ২ মাস অন্তর অন্তর অনুষ্টেয় মিটিং-এ আলোচনা করা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগ বা অনুযোগ ব্যবস্থা (মানব সম্পদ)-কে অবহিত করা।
৩.২.৮) সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানঃ
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী-কর্মকর্তাদের কর্মঘন্টা সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর কর্মঘন্টা নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও মানব সম্পদ)-কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করবেন যেকোন শ্রমিক কর্মচারী যাতে করে তার হাজিরা সংক্রান্ত অথবা ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার বৈষম্যের স্বীকার না হয়। এ সংক্রান্ত সকল ধরনের অভিযোগ, অনুযোগ ও উত্তম ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা এবং এর প্রতিকারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
লক্ষ্যঃ
এই নীতিমালা _____________ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ___________________________ ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে। প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এই নীতিমালা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে।