ভূমিকাঃ শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩), বাংলাদেশ শ্রম বিধি-২০১৫ প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও আই.এল.ও জাতি সংঘ কনভেনশন এবং জাতীয় আইন দ্বারা শিশু শ্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। বাধ্যতামুলক স্কুল শেষ করে নাই অথবা ১৪ বৎসর হয় নাই এই রূপ কোন শিশুকে কর্মে নিয়োজিত করা যাবে না। .................................... তার নিজস্ব কারখানা অথবা সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানায় শিশু শ্রম সংক্রান্ত অনিয়মের দায় বহন করিবে না। কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, “শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড’’ তাই কোন শিশুর শিক্ষাকে ব্যাহত করে তাহাকে কারখানায় শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ পরিহার করে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (১৯৮৯) অনুযায়ী ১৮ বছরের নীচে সব মানব সন্তানকে শিশু বলা হবে, যদি না শিশুর জন্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় ১৮ বছরের আগেও শিশুকে সাবালক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
শিশুর সংজ্ঞাঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) ইং অনুযায়ী- ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর বয়স পূর্ণ হয় নাই এমন কোন ব্যক্তিকে শিশু বলে।
...................................................-এর কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রম নিয়োগ করে না। তারপরও যদি ভুলবশতঃ বা কারো অগগোচরে কোন কারণে কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগপ্রাপ্ত হয় তাহলে শিশু নিয়োগ পরিহারের জন্য নি¤েœাক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেঃ
* ১৪ বছর পূর্ণ হয় নাই এমন ব্যক্তিকে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয় না;
* শিশু শ্রমিক কাজে নিয়োজিত আছে এমন পাওয়া মাত্র কর্তৃপক্ষ সেই শিশু শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে দেয়;
* সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক তাকে কোম্পানীর নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি পৌঁছে দিবে;
* তার পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে চাকুরীর জন্য প্রস্তাব করবে;
* যদি ১৪ বছরের কম কোন শিশুকে পাওয়া যায় তা ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাহার স্কুলের লেখা-পড়ার যাবতীয় খরচ কোম্পানী তাহা বহন করিবে;
* যদি সম্ভব হয় কর্তৃপক্ষ নিকটস্থ কোন এনজিও এর মাধ্যমে ঐ শিশু শ্রমিকের স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে;
* যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাকে চাকুরীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে;
* নিয়োগ কমিটি কর্তৃক পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরীক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়;
* শিশু শ্রমকে এড়ানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় এবং সে অনুযায়ী নিয়োগ পূর্ববর্তী নিরীক্ষণ করা হয়।
* রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক বয়সের প্রত্যয়নপত্র আহবান করা এবং জমা রাখা হয়;
* কারখানার নিজস্ব রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়;
* শিশু শ্রমিক যাতে কারখানায় নিয়োগ না হতে পারে এজন্য নিয়োগের সময় তাহার বয়স নিরূপণ সনদ, স্কুলের সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সনদ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
আমাদের কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে শিশু অবস্থায় কাজ করার সময় নয়। শিশু এ বয়সে খেলাধুলা করবে এবং স্কুলে যাবে। একজন সু-নাগরীক হওয়ার জন্য অবশ্যই তাকে লেখাপড়া জানতে হবে। শিশুর বৃদ্ধির জন্য তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। আজকের শিশু আগামীকালের ভবিষ্যত। বাংলাদেশ জাতীয় শিশু নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কর্তৃপক্ষ সকল সময়ে শিশু শ্রমিক নিয়োগ নিরুৎসাহিত করে।