১.১) মূলনীতিঃ
_______________________-এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা বিশ্বাস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশু ও কিশোর শ্রম বা নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
যেকোন প্রকার নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর কর্মযোগ্যতাই অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম, সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং প্রাপ্ত বয়ষ্ক হতে হবে। সকল প্রার্থীকে ডাক্তার কর্তৃক বয়স নিরূপণ ও শারীরিক যোগ্যতা যাচাই করা হয়। প্রার্থীর বয়স সঠিকভাবে প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে তাকে পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য মনোনীত করা হয়।
১.২) উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ
_____________________ কোম্পানীর অভ্যন্তরে শিশু ও কিশোর শ্রমমুক্ত কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলাই এই নীতিমালার উদ্দেশ্য। কারখানার অভ্যন্তরে শিশু ও কিশোর শ্রম নিয়োগ পরিহার করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট শিশু ও কিশোর শ্রম পরিহার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ___________________ কখনও প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নিয়োগ উৎসাহিত করে না। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানে যেকোন প্রকার শিশু ও কিশোর শ্রম হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে এই প্রতিষ্ঠান বদ্ধপরিকর এবং ইহা বাস্তবায়ন করা এই নীতির লক্ষ্য।
১.৩) পরিধিঃ
এই নীতিমালা ____________________-এ কর্মরত বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি ___________________-এর ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
১.৪) অঙ্গীকারঃ
কর্মক্ষেত্রে কোন শিশু ও কিশোর শ্রমিক নিয়োগ বা কোন শিশু ও কিশোর শ্রমিক কর্তৃক কোন কাজ সম্পাদনের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে ____________________-এর কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারাবদ্ধ। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশু ও কিশোর শ্রম বা নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রধানত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে, তবে প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করে ক্ষেত্র বিশেষ ক্রেতাদের আচরণ বিধি (ঈঙঈ) মানা হয়। ________________________ এই নীতিমালা কার্যকর করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়ে থাকে।
সহঃ মহাব্যবস্থাপক ব্যবস্থাপনা পরিচালক
(প্রশাসন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
শিশু শ্রম পরিহার নীতিমালা
ভূমিকাঃ
_________________________-এর কর্তৃপক্ষ সর্বদা বিশ্বাস করে যে, দক্ষ জনবলের উপরই উৎপাদনশীলতা নির্ভরশীল। সঠিক কাজের জন্য সঠিক ব্যক্তি নিয়োগের উদ্দেশ্যে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নিয়োগ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। উৎপাদনের সকল স্তরে শিশুশ্রম বা নিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কোমপানী নীতিমালা (Company Policy) ঃ
___________________ একটি ১০০% রপ্তানীমূখী সোয়েটার্স পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কর্মচারীর যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ সুবিধা ILO কনভেনশন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রম বিধিমালা-২০১৫ ও সম্মানিত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (Buyer Code of Conduct) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
উদ্দেশ্য (Objective) ঃ
আন্তর্জাতিক শ্রম আইন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ শিশু শ্রম নিষিদ্ধ। __________________ কর্তৃপক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে “আজকের শিশু আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ” এই নীতিতে বিশ্বাস করে।
নীতিমালার আওতা (Scope)ঃ
__________________ এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে __________________ এর সাথে যারা ব্যবসায়ীকভাবে বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র (Reference)ঃ
এই নীতিমালা শিশু আইন-২০১৩, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (টঘঈজঈ) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম-বিধিমালা-২০১৫, সম্মানীত ক্রেতাগণের আচরণ বিধিBuyer Code of Conduct) এবং ILO কনভেনশন ১৮২ বিবেচনা পূর্বক গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি (Commitment)ঃ
_________________ কর্তৃপক্ষ শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। _____________________কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা অনুসরণ করে থাকেন।
নীতিমালা বাস্তবায়ন পদ্ধতি (Policy Implementation Procedure)ঃ
________________________কর্তৃপক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সংগৃহীত ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা রেজিষ্টার্ড ডাক্তার দ্বারা বয়স নিরূপণ করে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। ______________________এর কর্তৃপক্ষ কখনই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে না।
যদি ভুল বশতঃ যদি কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং তা পরবর্তিতে সনাক্ত করা হয় , সেক্ষেত্রে নি¤œ বর্ণিত পদক্ষেপসমুহ অনুসরণ করা হইয়া থাকে:
০১) তাহলে কোম্পানী দ্রæত তার অব্যহতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে এনে তার নিরাপওা নিশ্চিত করতে হবে।
০২) শিশুকে তার পিতামাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের নিকট অনতিবিলম্বে সোপর্দ করতে হবে।
০৩) উক্ত শিশু স্কুলের বই, খাতা পত্র, স্কুলের বেতন ভাতা এবং আনুষাঙ্গিক যাবতীয় খরচ কারখানা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
০৪) উক্ত শিশু শ্রমিককে কাজে নিযুক্ত না করিলেও মাসিক হারে একটি ভাতা বৃওি প্রদান করা হইবে।
০৫) শিশু শ্রমিককে কারখানার কোন কাজে নিযুক্ত করা হইবে না তবে বাংলাদেশ প্রচলিত শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪৪ অনুযায়ী তাহার বয়স যদি ১২ বছরের অধিক হয় সেক্ষেত্রে তাহাকে হালকা কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে যাহা তাহার স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য বিপদজ্জনক নহে অথবা যাহা তাহার শিক্ষা গ্রহণকে বিঘিœত করিবে না এবং শিশু যদি বিদ্যালয়গামী হয় তাহলে তার কর্মসময় এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন কিশোর শ্রমিক সংক্রান্ত সকল বিধান প্রযোজ্য হইবে।
০৬) শিশু শ্রমিকের জন্য একটি আলদা রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিতে হইবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজ (Responsibilities of Assigned Persons)ঃ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছে অত্র নীতিমালা অনুমোদনকারী।
এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
ব্যবস্থাপক মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্সঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে ব্যবস্থাপক নিম্মোক্ত ব্যক্তিগণের মাধ্যমে নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানকে অবগত করবেন।
মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য শিশু শ্রম নীতিমালা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং কারখানায় যাতে কোন শিশু শ্রমিক নিয়োগ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাগণ সদা সজাগ থাকবেন।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য শিশু শ্রম নীতিমালা সম্পর্কে সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিবেন এবং কোথাও এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
ডাক্তারঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগের পূর্বে সকলকে শারিরীক সক্ষমতা যাচাইসহ প্রাপ্ত বয়স্ক কি না তা নিশ্চিত করবেন।
নার্সঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে ডাক্তারকে সহযোগীতা করবেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে সকলকে গেইটের বাহির থেকে ভিতরে প্রবেশ করাবেন। নীতিমালা পরিপন্থি কোন ঘটনা যদি ঘটে তবে তা নিম্নলিখিত উপায়ে তদন্ত সাপেক্ষে সমাধান করবেন।
অভিযোগ (Complain)ঃ _________________________ যেকোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে নীতিমালার পরিপন্থী কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তদন্ত (Investigation)ঃ এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নথিপত্র সংরক্ষণ (Documentation)ঃ এ সংক্রান্ত সমুদয় নথিপত্রাদি মানব সম্পদ বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে এবং পরবর্তী যেকোন সময়ে তা যাচাই করার জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসমুহ (Sanctions)ঃ এই নীতিমালা পরিপন্থি কোন কাজে কেহ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরাসরি পর্যবেক্ষণ (Directly Monitoring)ঃ কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ, কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণ (Training & Documentation)ঃ
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণকে শিশু শ্রম নিরুৎসাহিত বা নিরসন নীতিমালা ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং শ্রমিকদের মৌলিক মানবধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের দিক নির্দেশনা দিবেন এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দলিলাদী সংরক্ষণ পদ্ধতি (Documents Keeping Procedure)ঃ
শ্রমিক কর্মচারীদেরকে শিশু শ্রম নিরুৎসাহিত বা নিরসন নীতিমালা ও পদ্ধতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণের যাবতীয় দলিলাদী যেমন প্রশিক্ষণের বিষয়বস্ত, প্রশিক্ষণের ছবি, প্রশিক্ষণে উপস্থিতির স্বাক্ষর প্রভৃতি মানবসম্পদ বিভাগ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করবে।
নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি (Policy Implementation & Awareness Create)ঃ
ক) কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা সম্পর্র্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
খ) কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন।
গ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
ফলাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ (Feed Back & Control)ঃ
ক) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে, কারখানার মানবসম্পদ প্রতিনিধি এবং কল্যাণ কর্মকর্তা এই নীতিমালা অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
খ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও ফিডব্যাক রিপোর্ট নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
গ) অত্র নীতিমালার প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষমাত্রার কতটুকু অর্জিত হল সে ব্যাপারে মূল্যায়নের মাধ্যমে যাচায় করে দেখতে হবে লক্ষ্য কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে।
কিশোর শ্রম পরিহার নীতিমালা
কিশোরঃ “কিশোর” অর্থ-১৪ (চৌদ্দ) বছর বয়স পূর্ণ করিয়াছেন কিন্তু ১৮ বছর পূর্ণ করেন নাই এমন ব্যক্তিকে কিশোর বলে।
কিশোর শ্রমিকের কর্মঘন্টা (ধারা-৪১)ঃ
__________________-এর কর্তৃপক্ষ কিশোর শ্রমিক নিয়োগ করে না। যদি ভুলক্রমে কিশোর শ্রমিক নিয়োগ করা হয় এবং তা যদি পরবর্তীতে সনাক্ত করা হয় সেক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক তাহার বয়স নিরূপণ ও সক্ষমতার প্রত্যয়নপূর্বক নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপসমূহ অনুসরণ করা হয়ে থাকে। যেমন-
১) কোন কিশোর শ্রমিককে দিয়ে কারখানায় দৈনিক ৫ ঘন্টার অধিক এবং সাপ্তাহে ৩০ ঘন্টার অধিক কাজ করানো যাবে না;
২) কোন কিশোরকে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ৭ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ৪২ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করানো যাবে না;
৩) কোন কিশোর শ্রমিককে সন্ধ্যা ৭.০০ টা থেকে ভোর ৭.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে কোন কাজ করানো যাবে না;
৪) যদি কোন কিশোর অধিককাল কাজ করেন, তাহা হইলে অধিকালসহ তাহার কাজের মোট সময়-
ক) কারখানা বা খনির ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩৬ (ছত্রিশ) ঘন্টা;
খ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা; এর অধিক হবে না।
৫) কোন কিশোর শ্রমিককে কেবলমাত্র একটি রিলে বা শিফট্ েনিয়োগ দেওয়া হবে এবং উহার রিলের সময়সীমা ৭.৩০ ঘন্টার বেশি হবে না;
৬) বাংলাদেশ শ্রম আইনের সাপ্তাহিক ছুটি সংক্রান্ত বিধান কিশোর শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য হবে;
৭) কর্মঘন্টার নোটিশ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করা হবে।
ছ) ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক যন্ত্রপাতির কাজের কিশোর শ্রমিককে নিয়োগ করা হবে না।
জ) কিশোর শ্রমিকের জন্য ফরম-১৫(ক) “কিশোর শ্রমিকদের রেজিষ্টার” সংরক্ষণ করা হবে।
ঝ) কারখানার যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিষ্কারের জন্য, উহাতে তেল প্রদানের জন্য বা উহাকে সুবিন্যস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘূর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করতে অনুমতি দেয়া হবে না।
ঞ) কোন কিশোরকে দিয়ে যন্ত্রপাতির কোন করানো যাবে না, যদি না তাকে উক্ত যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত বিপদ সম্পর্কে এবং এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন সংক্রান্ত সম্পূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তিনি যন্ত্রপাতিতে কাজ করার জন্য যথেষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন, অথবা যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত অভিজ্ঞ এবং পুরোপুরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির তত্ত¡াবধানে কাজ করেন। (এই বিধান কেবল মাত্র ঐ সকল যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রযোজ্য হইবে যে সম্পর্ক সরকার বিজ্ঞপ্তি মারফত ঘোষণা করে যে, এইগুলি এমন বিপজ্জনক যেকোন কিশোরের পক্ষে কাজ করা উচিত নহে এবং সরকার সময়ে সময়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের যে তালিকা প্রকাশ করবে ঐ সকল কাজে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা হবে না)।
২.২.১) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)ঃ
____________________-এর বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কোম্পানীর শিশু শ্রম নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকিবেন।
উক্ত নীতিমালা সংশোধন, পরিমার্জন, নবায়ন এবং অনুমোদন সংক্রান্ত চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
২.২.২) ব্যবস্থাপক (এডমিন, এইচ.আর এন্ড সিএসআর)ঃ
শিশু শ্রম সংক্রান্ত নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশু শ্রম সংক্রান্ত কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করা।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ।
২.২.৩) ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স)ঃ
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে শিশু শ্রম নিরসনে ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ, প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নিয়মিত মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট এবং সুপারভাইজারদের সাথে মত বিনিময় করা।
প্রতি দুই মাস অন্তর ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করা এবং উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট মতামত ও সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য প্রেরণ করা।
২.২.৪) নির্বাহী (এডমিন এইচ.আর)ঃ
শ্রমিক নিয়োগের সময় যথাযথভাবে নিয়োগ নীতি অনুসরণ করতে হবে।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ।
২.২.৫) কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
ফ্লোর মনিটরিং করা।
শ্রমিক, অংশগ্রহণকারী কমিটির প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রধান এবং সুপারভাইজারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
শিশু বা কিশোর শ্রম নীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
শিশু বা কিশোর শ্রম সংক্রান্ত কোন অনুযোগ/অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিক খতিয়ে দেখা ও সমাধাক করা।
সমস্যাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন এবং মাসে একবার সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মত বিনিময় করা।
২.২.৬) নিরাপত্তা বিভাগঃ
নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যগণ ফ্যাক্টরীর প্রধান গেটে নিশ্চিত করবে যে কারখানায় কোন শিশু বা কিশোর শ্রমিক প্রবেশ করে নাই। এই জাতীয় কোন সমস্যার উদ্ভব হলে তৎক্ষণাত প্রশাসনিক বিভাগে জানাতে হবে এবং প্রশাসনিক বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
২.২.৭) মেডিকেল বিভাগঃ
কারখানায় নিয়োগকৃত রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক শ্রমিক নিয়োগের সময় প্রত্যেকটি প্রার্থীকে আলাদাভাবে যাচাই-বাছাই করবে এবং শারীরিক সক্ষমতা ও বয়স নিরূপণের ফরম পূরণ করে স্বাক্ষর ও সীল সম্বলীত সনদ প্রদান করবে।
২.২.৮) বিভাগীয় প্রধানঃ
নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর শিশু বা কিশোর শ্রম নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করিবে যে কারখানায় কোন শিশু বা কিশোর শ্রমিক নেই।