ভূমিকাঃ
.......................................-এর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর। একটি সুষ্ঠ ও কার্যকর শৃংখলামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে শৃংখলা বিধান ও শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী ও সুষ্ঠ কর্মপরিবেশ তৈরী করবে।
কোম্পানী নীতিমালা ঘোষণাঃ
.......................................-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর। একটি সুষ্ঠ ও কার্যকর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরে শৃঙ্খলা বিধান ও শ্রমিক কর্মচারিদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও সুষ্ঠ কর্মপরিবেশ তৈরি করবে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ
.......................................এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারী যেন একটা সু-নির্দিষ্ট নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে থেকে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে সে লক্ষ্যে .......................................-এর কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করেন।
নীতিমালার পরিধি ঃ.....................................-এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্র ঃ
.......................................-এর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এবং এর সর্বশেষ সংশোধনী ২০১৩ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ ও আইএলও কনভেনশন (ওখঙ ঈড়হাবহঃরড়হ) এর বিধি বিধান এবং সম্মানিত গ্রাহক/ক্রেতাবৃন্দের আচরণবিধি (ঈড়ফব ড়ভ ঈড়হফঁপঃ) বিবেচনাপূর্বক যথাযথভাবে গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রæতিঃ
কর্মক্ষেত্রে কোন অসদাচরণ পরিলক্ষিত হলে বা কোন কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে .......................................কর্তৃপক্ষ তা যথাযথ প্রতিকারের জন্য সুষ্ঠ কর্মপরিবেশ বিরাজমান রাখার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাস্তবায়নঃ
.......................................-এর কর্তৃপক্ষ শৃংঙ্খলামূলক ব্যবস্থার নীতিমালা নি¤œলিখিত নিয়মানুযায়ী পরিচালিত হবে।
লঘু অপরাধঃ কার্যক্ষেত্রে কোন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যদি কোন সাধারণ নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তবে সংশ্লিষ্ট প্রাশাসনিক কর্মকর্তা উক্ত শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিভাগীয় প্রধানের সাথে মুখোমুখি আলোচনায় বসে বিষয়টি মীমাংসা বা সমাধান করা না যায়, তবে উক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন) কে বিষয়টি অবহিত করবেন। বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন) সাধারন শৃংখলা ভঙ্গের কারণে উক্ত শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তাকে তার কার্যদক্ষতা ও আচরণ সংশোধনের জন্য উদ্ধুদ্ধ করার উদ্দেশ্য তাকে মৌখিক আদেশ অথবা উপদেশ দিবেন। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কর্তৃক উক্ত শৃংখলা ভঙ্গের ঘটনা ও সেই উদ্দেশ্য প্রদানকৃত মৌখিক আদেশ অথবা উপদেশ লিপিবদ্ধ করা হবে।
সংগঠনঃ
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাজঃ
০১) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত যেকোন বিধির পরিবর্তন, পরিবর্ধনে নির্দেশনা প্রদান ও সর্বোপরি নীতিমালা অনুমোদনকারী।
০২) প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানঃ
প্রশাসন, এইচ.আর.এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন।
এ সংক্রান্ত সকল প্রকার অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং কোন ধরনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ কারো বিরুদ্ধে প্রমানিত হলে প্রচলিত শ্রম আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন।
প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী কমিটির সাথে সরাসরি আলোচনা বা পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
০৩) প্রডাকশন প্রধান (উৎপাদন)ঃ প্রোডাকশন প্রধান অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন।
০৪) ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স)ঃ
শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালার ভিত্তিতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।
কাহারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা।
সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ গড়তে দূর্বল দিকগুলো পর্যালোচনা করে বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে পরামর্শক্রমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
০৫) সহঃ ব্যবস্থাপক (উৎপাদন)ঃ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা বাস্থবায়নের জন্য ব্যবস্থাপক এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করবেন যে, কোন শ্রমিক কর্মচারী যাতে করে তার চাকুরী সংক্রান্ত বা আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার অসদাচারণের স্বীকার না হয়। এ সংক্রান্ত সকল ধরনের অভিযোগ, অনুযোগ ও বস্তু নিষ্ট পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা ও এর প্রতিকারের জন্য দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে শ্রমিকদের কাজের তদারকি করবেন এবং প্রোডাকশন প্রধানকে অবগত করবেন।
০৬) মানব সম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা/কল্যাণ কর্মকর্তাঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে কারখানার সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা নোটিশবোর্ডে টানিয়ে দিবেন এবং “নীতিমালা” অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য মানবসম্পদ ও প্রশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ সদা সজাগ থাকবেন।
ফ্লোর মনিটরিং করে শ্রমিক কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ করে শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ চিহ্নিত করা।
ফ্লোর থেকে শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ বিষয়ক সমস্যা ও অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা।
এ ব্যাপারে অভিযোগ/সমস্যা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ সকলকে অবগত করা।
মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষের সাথে মত বিনিময় করে অসদাচরণের কুফল সম্পর্কে অবগত করানো এবং সকলের সাথে ভালো আচরণ নিশ্চিত করার জন্য অনুপ্রাণিত করা।
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের শৃঙ্খলা মূলক ব্যসস্থা নীতিমালার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান ও সভার আয়োজন করা।
০৬) ইনচার্জ (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে তার অধিনস্থদের কাজের তদারকি করবেন এবং সহঃ ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
০৭) সুপারভাইজার (উৎপাদন)ঃ অত্র নীতিমালা অনুসরণ করে তার অধিনস্থদের কাজের তদারকি করবেন এবং ইনচার্জ (উৎপাদন) কে অবগত করবেন।
বাস্তবায়ন কার্যসূচী ঃ
ক) দায়িত্বঃ সংগঠনের বর্ণিত কার্যধারাক্রম এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ পলিসি বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবেন।
খ) কার্যসূচীঃ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা নি¤েœাক্ত উপায়ে নির্ধারণ করা হবেঃ
অসদাচারণসমূহঃ
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৩ (৪) ধারা মোতাবেক নি¤েœাক্ত আচরণ সমূহ অসদাচারণ হিসেবে গণ্য হবে-
উপরস্থের কোন আইন সঙ্গত বা যুক্তি সঙ্গত আদেশ মানার ক্ষেত্রে এককভাবে বা অন্যের সঙ্গে সংঘ বদ্ধ হইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্যতা;
মালিকের ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি, প্রতারণা বা অসাধুতা;
মালিকের অধীন তাহার বা অন্য কোন শ্রমিকের চাকুরী সংক্রান্ত ব্যাপারে ঘুষ প্রদান করা;
বিনা ছুটিতে অভ্যাসগত অনুপস্থিতি বা ছুটি না নিয়া একসঙ্গে ১০(দশ) দিনের অধিক সময় অনুপস্থিতি;
অভ্যাসগত বিলম্বে অনুপস্থিতি;
প্রতিষ্ঠানে প্রযোজ্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধানের অভ্যাসগত লংঘন;
প্রতিষ্ঠানে উশৃঙ্খল বা দাংগা হাংগামামূলক আচরণ, অথবা শৃঙ্খলা হানিকর কোন কর্ম;
কাজে কর্মে অভ্যাসগত গাফিলতি;
প্রধান পরিদর্শক দ্বারা অনুমোদিত চাকুরী সংক্রান্ত, শৃঙ্খলা বা আচরণসহ, যে কোন বিধির অভ্যাসগত লংঘন;
মালিকের অফিসিয়াল রেকর্ডের রদবদল, জালকরন, অন্যায় পরিবর্তন, উহার ক্ষতিকরণ বা হারাইয়া ফেলা।
অসদাচারণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তিঃ
অসদাচারণ এবং দন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাস্তিসমূহ নি¤œরূপঃ
০১) বিনা নোটিশে বরখাস্তঃ কোন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বা নোটিশের পরিবর্তে বিনা মজুরীতে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করা যাবে যদি তিনি ফৌজদারী অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত হন অথবা অসদাচারণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
০২) অসদাচারণের দায়ে শাস্তিসমূহঃ অসদাচারণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কোন শ্রমিককে বরখাস্তের পরিবর্তে বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নি¤েœাক্ত শাস্তি সমূহ প্রদান করা যাইবে:-
অপসারণ;
নীচের পদে, গ্রেডে বা বেতন স্কেলে অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত আনয়ন;
অনধিক এক বৎসর পর্যন্ত পদোন্নতি বন্ধ;
অনধিক এক বৎসরের জন্য মজুরী বৃদ্ধি বন্ধ;
জরিমানা;
অনধিক সাত দিন পর্যন্ত বিনা মজুরীতে বা বিনা খোরাকীতে সাময়িক বরখাস্ত;
ভৎসনা ও সতর্কীকরণ।
অসদাচারণের দায়ে শাস্তি প্রদানের পদ্ধতিঃ
অভিযোগ লিখিত আকারে থাকতে হবে। ইহার একটি কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিতে হবে ও ইহার জবাব দেওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে ০৭ দিন সময় দিতে হবে;
কারন দর্শানো নোটিশের প্রেক্ষিতে শ্রমিক কতৃক প্রদত্ত জবাব সন্তোষজনক হইলে অভিযোগ নিষ্পত্তি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই বিষয়টি শ্রমিকের পরবর্তী চাকুরির ক্ষেত্রে কোনরূপ প্রভাব ফেলিবে না। আর যদি সন্তোষজনক না হয় তাহলে মালিক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অনধিক ৬ সদস্য দ্বারা গঠিত তদন্ত কমিটি গঠন করিয়া নিরপেক্ষ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া তাহার নিকট ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করিতে হইবে। (৬০ (ষাট) দিন গননার ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ উথাপনের (কারন দর্শানোর) দিন হইতে অভিযোগ নিষ্পত্তির দিন পর্যন্ত বিবেচনা করিতে হইবে।
তদন্ত কমিটি উহার তদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করিবে।
তদন্ত কমিটিতে মালিক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক কারখানা বা প্রতিষ্ঠান হইতে মনোনীত হইবেন এবং শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি অভিযুক্ত শ্রমিকের লিখিত প্রস্তাবক্রমে উক্ত কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের পক্ষ হইতে মনোনীত হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নি¤œপদের কাউকে প্রতিনিধি মনোনয়ন করা যাইবে না। আরও শর্ত থাকে যে, অংশগ্রহণকারী কমিটির কোন শ্রমিক প্রতিনিধিকে তাহার প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন করিতে পারিবে।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে মালিক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাস্তির আদেশ দিবেন।
শাস্তি প্রদান করা হলে, শাস্তির একটি কপি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিতে হবে।
যদি কোন শ্রমিক মালিক কর্তৃক প্রেরিত নোটিশ, চিঠি, অভিযোগনামা নিতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে উহা তাকে প্রদান করা হয়েছে বলিয়া বুঝতে হবে এবং এর একটি কপি নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দিতে হবে ও একটি কপি শ্রমিকের ঠিকানায় রেজিষ্ট্রি করে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে মালিক সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের পূর্বতন নথিপত্র, অপরাধের গুরুত্ব, চাকুরীবলীর কৃতিত্ব, অবদান ও অন্য কোন বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আনবেন।
উল্লেখ থাকে যে, কোন শ্রমিক যদি মনে করেন যে তার শাস্তিমূলক/শৃঙ্খলাভিত্তিক সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সাহায্য প্রয়োজন/পর্রামশ /সিদ্ধান্ত/উপদেশ/তার প্রতিনিধির করা জন্য, এক্ষেত্রে তিনি শ্রমিক প্রতিনিধি অথবা যৌথ দর কষাকষি প্রতিনিধি/ যেকোন প্রতিনিধির শরণাপন্ন সহযোগীতা নিতে পারবেন সেক্ষেত্রে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই করতে পারবে।
পূণঃবিচারের জন্য অভিযোগ পদ্ধতিঃ
যদি কোন শাস্তিমূলক/শূঙ্খলাভিত্তিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন শ্রমিকের কোনরকম কোনও সিদ্ধান্তের অধিকার বা আপিল পূণঃবিচারের আবেদন থাকে সেক্ষেত্রে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই করতে পারবে।
এবং নি¤œলিখিত ধাপে তা পূণঃবিচারের বিধান থাকতে হবে।
যার উপর শাস্তি আরোপ হয়েছে এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তির যদি শাস্তির পরিমাণ বা অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে এবং তিনি যদি ইহার প্রতিকার পেতে চান তাহলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পূণঃবিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করতে পারবেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগের কারণ অবহিত হওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে পূণঃবিচার আবেদন লিখিত আকারে মালিকের বা মালিকের কোন প্রতিনিধির কাছে পেশ করবেন।
মালিক পূণঃবিচারের আবেদন প্রাপ্তির ত্রিশ (৩০) দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত বা পূণঃতদন্ত করবেন এবং সংশিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানীর সুযোগ দিয়ে তৎসম্পর্কে তাঁর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জানাবেন।
যদি মালিক কোন সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন বা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মালিকের উক্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন সেক্ষেত্রে মালিকের সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগটি জানাতে পারবেন।
শ্রম আদালত অভিযোগ প্রাপ্তির পর উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য শুনবেন এবং উহা বিবেচনাপূর্বক অবস্থাভেদে যা ন্যায়সঙ্গত সেরকম আদেশ প্রদান করবেন।
শ্রম আদালতের কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের নিকট আপীল দায়ের করতে পারবেন এবং এই আপীলের উপর উহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বরখাস্তকৃত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণঃ
বরখাস্তকৃত অথবা অপসারিত কোন শ্রমিককে যদি তাহার অবিচ্ছিন্ন্ চাকুরির মেয়াদ অন্যুন এক (০১) বৎসর বা তার বেশি হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেক সম্পূর্ণ চাকুরি বৎসরের জন্য পনের (১৫) দিনের মজুরী প্রদান করা হবে। তবে ব্যবসা বা সম্পত্তি সম্পর্কে চুরি এবং প্রতিষ্ঠানে উশৃঙ্খল বা দাঙ্গা হাঙ্গামা অপরাধের জন্য অপসারিত বা বরখাস্তকৃত শ্রমিক উক্ত সুবিধা পাইবে না।
আপীলে খালাস পেলে করণীয়ঃ
বরখাস্তকৃত কোন শ্রমিক যদি আপীলে খালাস পান, তাহা হইলে তাহার পূর্বতন পদে বহাল করা হইবে অথবা নতুন উপযুক্ত কোন পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হইবে। আর যদি ইহার কোনটাই সম্ভব না হয়, তাহা হইলে তাহাকে ডিসচার্জকৃত কোন শ্রমিকের প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হইবে।
গ) কার্যসূচী বাস্তবায়নের সময়সীমাঃ পলিসি নির্ধারনের সাথে সাথে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা অনুযায়ী অসদাচারণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কার্যসূচী বাস্তবায়নের পদ্ধতিঃ
কার্যসূচী বাস্তবায়নের পদ্ধতিসমূহ নি¤œরুপঃ
প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করাঃ প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালাা সঠিক প্রয়োগ ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে এবং ব্যবস্থাপক এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স এর দায়িত্ব পালন করবেন।
আচার-ব্যবহার সংক্রান্ত শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থাঃ মধ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আচার-ব্যবহার উন্নয়নে কাজ করা হবে। ব্যবস্থাপক এইচ.আর. এন্ড কমপ্লায়েন্স এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অভিযোগ বা অনুযোগের সমাধানঃ অভিযোগ, অনুযোগের গুরুত্বানুসারে সমাধান করা হবে এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংরক্ষণ করা হবে। জুনিয়র ব্যবস্থাপক ওয়েলফেয়ার এন্ড কমপ্লায়েন্স এই দায়িত্ব পালন করবেন।
যোগাযোগ কার্যসূচীঃ
ক) দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
ম্যানেজার এইচ.আর - মেইল কমিউনিকেশন করবে
ওয়েলফেয়ার অফিসার - এ্যাওয়ারনেস এন্ড ট্রেনিং আয়োজন করবে
ওয়েলফেয়ার অফিসার - পিএ সিষ্টেমে ঘোষণা দিবে
এইচ.আর অফিসার - নোটিশ বোর্ড আপডেট করবে
ওয়েলফেয়ার অফিসার - পি.সি কমিটির সাথে আলোচনা/সভার আয়োজন করবে
খ) যোগাযোগ কার্যক্রমঃ
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগঃ জেনারেল মিটিংএ আলোচনার মাধ্যমে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে আবহিত করতে হবে এবং সভার কার্য বিবরণী সংযোজন করে তা সংরক্ষণ করতে হবে এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাথে যোগাযোগঃ সাধারণ মিটিং এবং ট্রেনিংএর মাধ্যমে উক্ত পলিসি সবাইকে অবগত করা হবে এবং এর ডকুমেন্টস্ নথিভূক্ত করা হবে।
ষ্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগঃ কারখানার সকল কর্মকর্তা ও উৎপাদন কর্মকর্তা ও উৎপাদন স্টাফদের উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করা হবে। তাছাড়াও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা সাধারণ মিটিং এর আয়াজনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করা এবং প্রত্যেকে উক্ত পলিসি বুঝতে পেরেছে বা অবগত হয়েছে এই মর্মে স্বাক্ষর গ্রহণ করা এবং প্রশ্ন উত্তর পর্বসহ সভার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক উক্ত দায়িত পালন করবেন।
শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগঃ পি.এ. সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালাসম্পর্কে অবহিত করা এবং নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে উক্ত পলিসি সম্পর্কে অবগত করা হবে। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক/নির্বাহী উক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন কর্মীদের সাথে যোগাযোগঃ ওরিয়েন্টেশন, রিফ্রেশার ট্রেনিং এ উক্ত নীতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা।
গ) যোগাযোগের মাধ্যমঃ
নি¤েœাক্ত উপায়ে উক্ত পলিসি সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবেঃ
ট্রেনিং এর মাধ্যমে যোগাযোগঃ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক-কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণের নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচী/পূণঃসচেতনতা কর্মসূচীর মাধ্যমে এইচ.আর বিভাগ থেকে পলিসি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে এবং নতুন শ্রমিকদেরকে পরিচিতিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হবে।
পি.এ সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগঃ পি.এ সিস্টেমে ঘোষণার মাধ্যমে উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
নোটিস বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগঃ নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
পি.সি কমিটির মাধ্যমে যোগাযোগঃ পি.সি কমিটির সাধারণ সভায় আলোচনার মাধ্যমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত নীতিমালা সম্পর্কে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। এছাড়াও উক্ত নীতিমালা রিভিও করার সময় তাদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগঃ ই-মেইলের মাধ্যমে মধ্যম ও উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে।
ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যসূচী ঃ
ক) দায়িত্বঃ প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মূল দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও এইচ আর ম্যানেজার এবং বিভাগীয় প্রধানগণ প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান উক্ত পলিসি নিয়ন্ত্রণে সহযোগীতা করবেন।
খ) ফিডব্যাক পদ্ধতিঃ নি¤েœাক্ত উপায়ে ফিডব্যাক এবং নিয়ন্ত্রন কার্যসূচী পরিচালনা করা হয়-
শ্রমিক, কর্মচারীদের জন্য ফিডব্যাকঃ লিখিতভাবে বা মেীখিকভাবে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত যে কোন পরামর্শ, অভিযোগ রেকর্ড করা হবে। কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অংশগ্রহণ কমিটির মিটিং এ আলোচনার মাধ্যমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালা সম্পর্কে কোন ধরনের পরামর্শ কিংবা অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। ওয়েলফেয়ার অফিসারকে অবহিত করার মাধ্যমে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত কোন পরামর্শ কিংবা অসংগতি জানানো হলে ওয়েলফেয়ার অফিসার পরামর্শ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কর্তৃপক্ষীয় নিয়ন্ত্রণঃ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতি ছয় মাস পরপর শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট রিভিউ মিটিং আয়োজন করবেন। উক্ত মিটিংয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিগত ছয় মাসের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা সংক্রান্ত সকল লিখিত ইস্যুগুলো রিভিউ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
অভ্যন্তরীণ অডিটের মাধ্যমে ফিডব্যাক ও নিয়ন্ত্রণঃ .......................................এ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নীতিমালার কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণের জন্য ইন্টারনাল অডিট টীম ইন্টারনাল অডিট করবে। অডিটে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে লিখিত রিপোর্ট ম্যানেজম্যান্ট রিভিউ করবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
রির্পোটিংঃ ইন্টারনাল অডিট সম্পন্ন করার পর অডিট হতে প্রাপ্ত বিষয়াদি নিয়ে একটি রির্পোট তৈরী করা হবে এবং উক্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
নিয়ন্ত্রণঃ কল্যাণ কর্মকর্তাসহ এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের সকল সদস্যবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
গ) বাস্তবায়নের সময়সীমাঃ সংগঠনের ব্যক্তিগণ এ প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট কাজগুলো সম্পাদন করবে। ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোল সিস্টেমের জন্য নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
উপসংহারঃ উপরোউক্ত আলোচনা হতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিত প্রাণ শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সবার জন্য যথাযথ সম্মান নিয়ে কাজ করার ব্যবস্থা করলে তা শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে। এ লক্ষ্যেই....................................... এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর যে পরিবেশ হবে একটি সু-শৃংখল ও নিয়মতান্ত্রিক পরিবেশ।