.......................................... -এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানে সচেষ্ট। একটি কার্যকর অভিযোগ উত্থাপন ও সমাধানের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীগণ অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ, অসন্তোষ ও পরামর্শ সরাসরি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে পারবে এবং তার প্রতিকার চাইতে পারে। .........................................-এ কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ, অনুযোগ এবং পরামর্শ নীতি অনুসরণের মাধ্যেমে একটি সোহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী করে সুন্দর কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করবে।
কোম্পানী নীতিমালাঃ
.........................................-একটি ১০০% রপ্তানীমূখী পোশাক প্রস্তুতকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল শ্রমিক কর্মচারীর যাবতীয় অধিকার ও সুযোগ সুবিধা ওখঙ কনভেনশন, বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬, শ্রম বিধিমালা ২০১৫ ও সম্মানিত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি (ইুঁবৎ ঈড়ফব ড়ভ ঈড়হফঁপঃ) অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
উদ্দেশ্যঃ
......................................... এ নিয়োজিত প্রত্যেক শ্রমিক ও কর্মচারীকে সম্মান ও মর্যাদার পরিবেশে কাজ করতে দেয়ার লক্ষ্যে এমন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা যা শ্রমিক ও কর্মচারীগণের জন্য দৈহ্যিক, মৌখিক, মানসিক এবং যৌন হয়রানীসহ যেকোন ধরনের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করে একটি সুন্দর সু-শৃংখল কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করা।
নীতিমালার আওতাঃ
......................................... এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। একই সাথে ......................................... এর সাথে যারা ব্যবসায়িক বিভিন্ন কর্মকন্ডে জড়িত তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সূত্রঃ
এই নীতিমালা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রমবিধিমালা ২০১৫, সম্মানীত ক্রেতাগণের আচরণ বিধি এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ খধনড়ৎ ঙৎমধহরুধঃরড়হ (ওখঙ) কনভেনশন বিবেচনা পূর্বক গৃহীত হয়েছে।
প্রতিশ্রæতিঃ
.........................................এ নিয়োজিত সকল শ্রমিক ও কর্মচারী যেন স্বেচ্ছায়, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে ......................................... কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করে। আর এ জন্যেই ......................................... এর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ নিয়ন্ত্রণের একটি কমিটি গঠন করা হয় যা অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ করার সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে ......................................... এর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
Organogram
নীতিমালা বাস্তবায়ন পদ্ধতিঃ
নি¤œলিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযোগের সকল সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
অভিযোগ পদ্ধতিঃ কোন শ্রমিক বা কর্মচারী কোন রকমের হয়রানী এবং গালমন্দের স্বীকার/সম্মুখীন হোন অথবা কোন ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে তার/তাদের অভিযোগের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে এনে সমস্যার প্রতিকার/ সমাধানের সুযোগ থাকতে হবে। কর্তৃপক্ষেরও এ বিষয়ে দ্রæত জানা এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা করার অবশ্য কর্তব্য রয়েছে। যেহেতু প্রকাশ্যে অনেকেই অভিযোগ জানানোর বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বা অসুবিধা বোধ করে, সেহেতু এ ধরনের অভিযোগ গোপনীয়ভাবে করার নি¤েœাক্ত পদ্ধতিসমূহ ......................................... কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করে থাকেন।
অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিঃ গোপনীয়ভাবে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে ......................................... কর্তৃপক্ষ যতœশীল। নি¤œলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে শ্রমিক-কর্মচারীগণ তাদের অভিযোগসমূহ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনতে পারেনঃ
১) সরাসরি উপরস্থ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অথবা মৌখিকভাবে জানানোর মাধ্যমে;
২) “অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স”-এর মাধ্যমে লিখিতভাবে জানানোর মাধ্যমে;
৩) অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের লিখিত অথবা মৌখিকভাবে জানানোর মাধ্যমে;
৪) অভ্যন্তরীণ কমপ্লায়েন্স অডিটরের নিকট মৌখিকভাবে জানানোর মাধ্যমে;
৫) সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অথবা মৌখিকভাবে জানানোর মাধ্যমে;
৬) কারখানা কর্তৃপক্ষকে হট লাইন/মেইলের মাধ্যমে জানানা;
৭) শ্রম আদালতে লিখিতভাবে (লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য যেকোন কারণে চাকুরীর অবসান হইলে/চাকুরী বকেয়া পাওয়ানাদি ইত্যাদি)।
উপরস্থ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ নিরসন পদ্ধতিঃ
প্রথম ধাপ (ঝঃবঢ়-১)ঃ যেকোন শ্রমিক/কর্মী, অভিযোগ সমাধানের জন্য তার উপরের ধাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করতে পারবেন। যেমন-অভিযোগকারী অপারেটর হলে তার সুপারভাইজারকে জানাবেন। উক্ত কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ফ্লোর বা সেকশনের অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করে সমাধানের অনুরোধ করবেন।
দ্বিতীয় ধাপ (ঝঃবঢ়-২)ঃ যদি উক্ত অভিযোগ কর্মকর্তা বা কমিটির সদস্য সমাধান না করতে পারেন অথবা সমাধান মনঃপুত হয়নি বলে মনে করেন, তবে অভিযোগকারী ম্যানেজার (এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগের বিস্তারিত বিষয়ে লিখিত দরখাস্ত বা মৌখিকভাবে দাখিল করবেন।
অভিযোগ/পরামর্শ বাক্সের অভিযোগ নিরসন পদ্ধতিঃ কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থিত ফ্লোরের প্রতিটি মহিলা ও পুরুষ টয়লেটে পরামর্শ বাক্সসমূহ এমনভাবে স্থাপন করা আছে যার মাধ্যমে একজন শ্রমিক তার অভিযোগ/অসন্তুষ্টি লিখিতভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে দাখিল করতে পারেন।
অভিযোগ/পরামর্শ বাক্সের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নি¤œলিখিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করে থাকেনঃ
পরামর্শ/অভিযোগ বাক্সসমূহ এমনভাবে স্থাপন করা আছে যাতে শ্রমিকবৃন্দ কোন রকম দ্বিধা-দ্বন্ধ ছাড়াই সহজে ও নির্বিঘেœ তাদের অভিযোগ বাক্সে জমা দিতে পারেন।
পরামর্শ/অভিযোগ বাক্স সব সময় তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় এবং চাবি শুধুমাত্র এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের নিকট রক্ষিত থাকে।
নি¤œলিখিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স প্রতি ৭ দিনে একবার-শনিবার খুলবেন, যদি ছুটি থাকে পরবর্তি কর্মদিবসে খুলবেন। প্রত্যকটি অভিযোগ/পরামর্শ পত্রে নম্বর প্রদান করা হবে। যদি কমিটির কোন সদস্য অনুপস্থিত থাকে তা হলে অন্য সদস্যদ্বয় কাজ সম্পাদন করবেন এবং যেকোন ধরনের অভিযোগ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধান করবেন।
ক) মোঃ আবদুর রাজ্জাক-সি. অফিসার (এইচ.আর ও কমপ্লায়েন্স)
খ) শাফিয়া নাজনীন-কল্যাণ কর্মকর্তা।
গ) অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্য-১জন।
অভিযোগ পেলে তা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শ্রমিকদের কেউ ইচ্ছে করলে তার/তাদের পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ পেশ করতে পারে।
অংশগ্রহণকারী কমিটির অভিযোগ নিরসন পদ্ধতিঃ
......................................... শ্রমিক কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত একটি অংশগ্রহণকারী কমিটি বিদ্যমান আছে যার মাধ্যমে প্রত্যেক শ্রমিক তার পরামর্শ/অভিযোগ/অসন্তুষ্টি মৌখিক বা লিখিতভাবে সংশি¬ষ্ট মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের অবহিত করতে পারেন।
মালিক পক্ষের প্রতিনিধিরা পরামর্শ/অভিযোগ/অসন্তুষ্টিসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় উপযুক্ত ব্যবস্থা/সমাধান প্রদান করে থাকেন।
.........................................-এর কর্তৃপক্ষ এবং অংশগ্রহণকারী কমিটি প্রতিনিধিগণ প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একবার বৈঠকে মিলিত হয় এবং প্রতিটি বৈঠকের আলোচ্য সূচি উপস্থিত সকলের স্বাক্ষরসহ নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে সংরক্ষণ করবেন। প্রয়োজন সাপেক্ষ এ বৈঠক মাসে একাধিকবারও হতে পারে।
অভ্যন্তরীণ কমপ্লায়েন্স অডিটর কর্তৃক অভিযোগ নিরসন পদ্ধতিঃ
অভ্যন্তরীণ কমপ্লায়েন্স অডিটর কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক, কর্মচারী ও ব্যবস্থাপনায় বিরাজমান অবস্থার প্রকৃত ও সঠিক অবস্থা জানার জন্য নীরিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। নীরিক্ষণের ক্ষেত্রে অডিটর নি¤œবর্ণিত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করে থাকেন।
নীরিক্ষক দল কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার তত্তাবধান বা হস্তক্ষেপ ব্যতীত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কর্মচারীদের ব্যক্তিগত স্বাাক্ষাৎকার গ্রহণ করে বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ করেন।
পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর পরীক্ষকদল প্রাপ্ত সকল অভিযোগ নথিভূক্ত করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় বিষয়সমূহের সত্যতা যাচাইপূর্বক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করে তা সরাসরি কোম্পানীর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা/উপযুক্ত ব্যবস্থা/সিদ্ধান্তের জন্য দাখিল করেন এবং পরবর্তীতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।
অডিটর অভিযোগসমূহ সমাধান হয়েছে কি না তা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।
সরাসরি কল্যাণ কর্মকর্তার মাধ্যমে তার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনতে পারেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষকে হট লাইন/মেইলের মাধ্যমেঃ
অত্র কারখানা কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল ংধরভঁফফরহ@ঢ়ৎবঃঃুমৎড়ঁঢ়নফ.পড়স অথবা মোবাইলের মাধ্যমে (মোবাইল-০১৯৮৫৭৭০৪০০) নাম্বারে ফোন করে তার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনতে পারেন।
শ্রমিকরা ইচ্ছে করলে সরাসরি প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান এর নিকট তার অভিযোগ জানাতে পারেন।
এছাড়া পরিচালক মহোদয় এবং মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধানের ঠিকানা (যেমন- ডাক ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি) শ্রমিকদের জানাতে পারেন যদি কোন শ্রমিক তার উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারখানার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহিত ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হন তবে তিনি সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর যোগাযোগ করে অভিযোগ/অসন্তুষ্টির সুরাহা পেতে পারেন বা যেকোন শ্রমিক তার অভিযোগ যেকোন মাধ্যমে জানাতে পারেন।
শ্রম আদালতে অভিযোগ নিরসন পদ্ধতিঃ
লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারন অথবা অন্য যেকোন কারণে চাকুরীর অবসান হইলে শ্রমিক মালিকের নিকট প্রতিকার পাওয়ার জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ করতে পারিবেন এবং মালিকের সিদ্ধান্তে গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে শ্রম আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ পেশ করতে পারিবেন। এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিষয়টি বাংলাদেশ প্রচলিত শ্রম আইন ২০০৬ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের ধারা-৩৩/প্রচলিত বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি হইবে।
গোপণীয় অনুযোগ পদ্ধতিঃ
যদি কোন শ্রমিক ও কর্মচারী এ নীতিমালার পরিপন্থী কোন আচরণের সম্মূখীন হন তবে তিনি নিজে বা টয়লেটে সংরক্ষিত অভিযোগ বাক্স, কারখানায় কর্মরত কল্যাণ কর্মকর্তা, কারখানায় উচ্চপদস্থ যেকোন কর্মকর্তা (যাকে তিনি নির্ভরযোগ্য মনে করেন) অথবা কোম্পানীর মানবসম্পদ, প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স বিভাগে সরাসরি অথবা হটলাইনের মাধ্যমে (২৪ ঘন্টা) অথবা পত্র (চিঠি) মারফত জানাতে পারেন। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ অঙ্গিকারাবদ্ধ।
এছাড়াও হয়রানী, গালাগালি অথবা অন্য যেকোন বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ বা অভিযোগ থাকলে যে কেউ ইচ্ছা করলে এক্ষেত্রে কোন শ্রমিক যদি মনে করেন যে, তিনি তার অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বহিরাগত কোন স্টেক হোল্ডারের সাহায্য প্রয়োজন তবে তিনি কমিউনিটি মেম্বার বা লোকাল ব্রান্ড প্রতিনিধি অথবা স্থানীয় দায়িত্বশীল যেকোন প্রতিনিধির শরণাপন্ন বা অন্য কোন বেসরকারী সংস্থার সহযোগীতা নিতে পারবেন।
সর্বোপরি যদি কোন শ্রমিক কারখানা ছুটির পরে বাসায় বা বাহিরে কোথাও যেকোন প্রয়োজনে বা বিপদগ্রস্ত হয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা চায় তাহলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সহয়োগিতা করে থাকেন। এ ব্যপারে সাইফুদ্দিন মিয়া (প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) প্রধান মোবাইল নাম্বার-০১৯৮৫৭৭০৪০০ অথবা মোঃ শাহ জাহান (সহঃ ব্যবস্থাপক এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) মোবাইল-০১৯৮৫৭৭০৪৩৫ এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলা হইল।
এ ছাড়াও যদি কোন শ্রমিক কোন বিষয় বা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ বা অনুযোগ করেন তাহলে কোন ব্যবস্থাপক বা বিভাগীয় প্রধান উক্ত শ্রমিককে কোন কিছু বলা বা তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না এবং ব্যবস্থাপক বা প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানগণ অভিযোগকারী উপর কোন ধরনের ভয়/ভীতি/হয়রানী প্রদর্শন না করে সেই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত প্রধান করবেন। এ ব্যপারে এস.সুহি ্ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিঃ-এর কর্তৃপক্ষ সদা দৃষ্টি থাকেন।
নোটঃ অভ্যন্তরীণ যেকোন অভিযোগের সমাধানের সময় কোনক্রমে ৬০ (ষাট) দিনের অধিক হইবে না।
এ জন্যেই ......................................... এর কর্তৃপক্ষ অভিযোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ হচ্ছে কমিটির সভা প্রতি ০৩ (তিন) মাস অন্তর অন্তর অনুষ্টিত হবে। তবে, জরুরী মহুর্তে যেকোন সময় সভা আহ্বান করা যাবে। কমিটির সকল প্রতিবেদন ও সভার কার্যবিবরণীর কপি সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী/ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
সরাসরি পর্যবক্ষণঃ কল্যাণ কর্মকর্তা, মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স), প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান।
প্রশিক্ষণ ও নথিবদ্ধকরণঃ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীগণকে “অভিযোগ নীতিমালা” সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং শ্রমিকদের মৌলিক মানবধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন এবং কর্মক্ষেত্রে এর প্রয়োগের দিকনির্দেশনা দিবেন এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
দলিলাদী সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ শ্রমিক কর্মচারীদেরকে “অভিযোগ নীতিমালা” সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের পর প্রশিক্ষণের যাবতীয় দলিলাদী যেমন প্রশিক্ষণের বিষয়বস্ত, প্রশিক্ষণের ছবি, প্রশিক্ষণে উপস্থিতির স্বাক্ষর প্রভৃতি মানবসম্পদ বিভাগ ফাইল আকারে সংরক্ষণ করবে।
নীতিমালা বাস্তবায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিঃ
ক) কল্যাণ কর্মকর্তা এই নীতিমালা সম্পর্কে সকলকে সচেতন কারার জন্য ইহা নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিবেন।
খ) কারখানার মানবসম্পদ এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এই নীতিমালা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
গ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
ঘ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং গোপনীয় অনুযোগের ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঙ) এছাড়া ফ্লোরের সুপারভাইজারদেরকে ট্রেনিং ও মিটিং এ অবগত করা হয় তারা যেন মৌখিকভাবে শ্রমিকদেরকে তাদের যেকোন অভিযোগ জানানোর ব্যপারে এবং অভিযোগ পদ্ধতি সম্পর্কে উৎসাহিত করে।
ফলাবর্তন ও নিয়ন্ত্রণঃ
ক) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি চেকলিস্ট তৈরী করা হয়েছে। কারখানার মানবসম্পদ এবং কল্যাণ কর্মকর্তাগণ এই চেকলিস্ট অনুসরণ করে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ফিডব্যাক গ্রহণ করবেন।
খ) এই নীতিমালা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসেই প্রশাসন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স প্রধান কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি কারখানা পরিদর্শন করবেন ও উক্ত চেকলিস্ট থেকে ফিডব্যাক নিবেন ও রিপোর্ট পেশ করবেন।
গ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক, কল্যাণ কর্মকর্তা এবং গোপনীয় অনুযোগের ভিত্তিতে বা অভিযোগ বাক্স হতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘ) কারখানা হতে এ সংক্রান্ত যেকোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই করে অভিযোগকারীকে তার অভিযোগের সত্যতা জানানো এবং কেউ মিথ্যা অভিযোগ প্রদান করে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপসংহারঃ রপ্তানীমুখী গার্মেন্টস শিল্পে উৎসাহী ও নিবেদিতপ্রান শ্রমিক ও কর্মচারীবৃন্দ সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই শিল্পে নিয়োজিত সবার জন্য যথাযথ সম্মান নিয়ে কাজ করার ব্যবস্থা করলে তা শিল্পের বিকাশে প্রভূত সহায়ক হবে। ব্যবস্থাপকদের দায়িত্ব এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা যেখানে সবাই সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে। এ লক্ষ্যেই ......................................... এমন একটি উৎপাদন সহায়ক কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি এবং বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।