অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতিমালা
১.১) মূলনীতিঃ
....................................-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানে সচেষ্ট। একটি কার্যকর অভিযোগ পদ্ধতির মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীগণ অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ, অসন্তোষ ও পরামর্শ সরাসরি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে পারবে এবং তার প্রতিকার চাইতে পারে। ....................................-এ কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অভিযোগ, অনুযোগ এবং পরামর্শ নীতি অনুসরণের মাধ্যেমে একটি সোহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিক সম্পর্ক তৈরী করে সুন্দর কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এই নীতিমালা ................................ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মস্থলে বা পণ্য উৎপাদন এলাকার জন্য এবং ভবিষ্যতে যদি .................................. ব্যবস্থাপনায় নতুন কোন প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানেও সমভাবে প্রযোজ্য হবে।
১.২) উদ্দেশ্যঃ
.....................................-এর সকল শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে কোম্পানীর অব্যাহত উন্নতি এবং উৎদপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্চনার স্বীকার হন তবে তার প্রতিকার কামনা করা।
১.৩) লক্ষ্যঃ
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষোভ দানা বেধে সৃষ্টি হয় বড় ধরনের সংঘাত। সঠিক সময়ে তাই যথাযথ অনুযোগ, অভিযোগ ও পরামর্শ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে উক্ত ক্ষোভ নিরসন করাই অভিযোগ ও অনুযোগ নীতির লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীগণ তাদের কার্যক্ষেত্রে উদ্ভূত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য যেকোন ধরনের অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ তাদের উপরোক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা এবং সমস্যার নিরসন ও প্রতিকার করা।
১.৪) অঙ্গীকারঃ
কর্মক্ষেত্রে কোন শ্রমিক-কর্মচারী তার উর্ধ্বতন বা অধঃস্তন বা সহকর্মী দ্বারা কোন মানসিক বা শরীরিক নির্যাতন, হয়রানি ও লাঞ্চনার স্বীকার হলে তার বিরুদ্ধে কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ বা অনুযোগ উত্তাপিত হলে ...........................-এর কর্তৃপক্ষ তা প্রতিকারের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গিকারবদ্ধ। ............................. এই নীতি কার্যকর করতে বায়ারগণের আচরণবিধি (ঈঙঈ), আইএলও কনভেশন ও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
১.৫) ................................-এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, শ্রমিক কর্মচারীদের সকল প্রকার অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি অবসান ঘটানোর জন্য একটি নির্ধারিত ও ফলপ্রসু অভিযোগ পদ্ধতি থাকা প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ পদ্ধতি একটি ফলপ্রসু যা একজন কর্মচারীকে তার অসন্তোষ বা অন্যায় ব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করার অধিকার দেয়। তাই কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে অভিযোগসমূহের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। কলকারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে নানাবিধ অভিযোগের কথা সচারচর শোনা যায়। ঐসব অভিযোগগুলিকে তাদের প্রকৃতিগত বিবেচনায় তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। যেমনঃ
মানসিক নির্যাতনঃ
সুপারভাইজার বা সহযোগী শ্রমিকদের কাছ থেকে লক্ষণীয়ভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ, গালাগাল, ইত্যাদি।
ওভারটাইম বন্টনে পক্ষপাতিত্ব।
ইচ্ছাকৃতভাবে কঠিন কাজের দায়িত্ব প্রদান করে হেয় করার প্রবণতা।
আইন সঙ্গত এং স্বাভাবিক পাওনা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা।
শারীরিক নির্যাতনঃ
সুপারভাইজার কিংবা তার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে অন্য শ্রমিক দ্বারা শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা।
ভারী কাজ নিয়মিতভাবে অর্পণ করে শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা।
যেকোন ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গায়ে হাত তোলা বা প্রহার করা।
যৌন নিপিীড়নজনিতঃ
অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদনমূলক আচরণ (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিত) যেমন- শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা।
প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠনিক বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বা চেষ্টা করা।
অশালীণ অঙ্গভঙ্গি করা এবং যৌন আবেদন সম্বলিত পর্নোগ্রাফী প্রদর্শন।
যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা।
০২) অর্গানাইজেশনঃ
২.১) বাস্তবায়নকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গঃ
২.২) ব্যবস্থাপনা কর্র্তপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
এস.সুহি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিঃ-এর প্রশাসনিক প্রধান, ব্যবস্থাপক (এইচ আর, এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স) অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ নীতি বাস্তবায়নের প্রধান দায়িত্বে থাকবেন।
অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ সংক্রান্ত প্রাপ্ত সকল রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান এবং শাস্তি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
ব্যবস্থাপক ও তার চেয়ে উর্ধ্বতন পদাধীকারী কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক/মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস) মহোদয়ের পরামর্শ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
লিখিত, মৌখিক, ব্যক্তিগত ও গোপনীয় যেকোন অভিযোগ সমাধানের জন্য ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গকে দায়িত্ব প্রদান এবং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুপারভাইজার, অফিসার ও ইনচার্জ পর্যন্ত পদাধীকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
২.২.৩) ব্যবস্থাপক (এডমিন এন্ড এইচ আর)ঃ
অনুযোগ, অভিযোগ ও পরামর্শ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
শ্রমিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা পর্যালোচনা করা।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ।
কমিটি প্রদত্ত তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষন।
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত, শাস্তি ও পরামর্শ প্রদান।
কারখানার অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং তার পদ্ধতিগত উন্নতিকরণ।
মাসিক ভিত্তিতে সাজেশন বক্স ব্যবস্থাপনা এবং হট লাইন পরিচালনা করা।
২.২.৪) ব্যবস্থাপক/সিনিঃ নির্বাহী (কমপ্লায়েন্স)ঃ
অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ নীতির সঠিক বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা অবগত করা।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ ও অনুমতি সাপেক্ষে অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ পদ্ধতি সম্পর্কে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ ও প্রচারণায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
নিয়মিত মিডলেবেল মেনেজম্যান্ট এবং সুপারভাইজারদের সাথে মত বিনিময় করা।
প্রতি দুই মাস অন্তর ট্রেড শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করা এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট মতামত ও সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য প্রেরণ করা।
২.২.৫) নির্বাহী (এডমিন এন্ড এইচ আর)ঃ
ফ্লোর মনিটরিং করা।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা এবং প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ।
অভিযোগের সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত সকলকে অবগত করা।
অভিযোগ সাপেক্ষে নোটিশ প্রদান করা।
প্রতিষ্ঠনের শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ প্রদানে উৎসাহিত করা এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সভার আয়োজন করা।
২.২.৬) কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
অডিট ডিপার্টমেন্টের উপস্থিতিতে অভিযোগ বক্স খোলা এবং বিভাগীয় প্রধানের নিকট প্রেরণ করা।
ফ্লোর মনিটরিং করা।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)/ডিজিএম (প্রশাসন)-কে অবহিত করা।
ফ্লোর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অভিযোগ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা এবং তা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)-কে অবহিত করা।
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ, অনুযোগ ও পরামর্শ নীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
শ্রমিক-কর্মচারী, মিডলেভেল মেনেজমেন্ট ও প্রশাসনের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করা।
প্রতি দুই মাস অন্তর ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করা।
২.২.৭) ইউনিয়ন প্রতিনিধিঃ
নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থিত শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এই নিয়ে আলোচনা করা।
সমস্যাগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা।
ফ্লোর থেকে বিভিন্ন অভিযোগ ও অনুযোগ ব্যবস্থাপক (প্রশাসন)-কে অবহিত করা।
২.২.৮) বিভাগী প্রধানঃ
অভিযোগ প্রদান ও সমাধান সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধানগণ ও কর্মকর্তারা কোম্পানীর অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর এন্ড কমúøায়েন্স)-কে সহযোগীতা করবেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলে নিশ্চিত করবেন যে কারখানায় সকল ধরনের অভিযোগ, অনুযোগ ও বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয় এবং প্রতিকারের দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
২.৩) অভিযোগ ও অনুযোগ প্রদান প্রদ্ধতিঃ
২.৩.১) ১ম ধাপঃ অধঃস্থন উর্ধ্বতন শৃংখলা পদ্ধতিঃ
কোন শ্রমিক কর্মচারী তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তথা সুপাভাইজার, অফিসার, এপিএম ও সেকশন হেডকে সরাসরি তাহার সমস্যা, অভিযোগ ও অনুযোগ অবহিত করিয়া প্রতিকার চাইতে পারেন।
২.৩.২) ২য় ধাপঃ কল্যাণ কর্মকর্তার মাধ্যমেঃ
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সেকশন হেডের কাছ থেকে অভিযোগের যথাযথ সমাধান না পেলে বা সরাসরি সেকশন হেডের বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কল্যাণ কর্মকর্তাকে লিখিত বা মৌখিকভাবে অবহিত করার মাধ্যমে প্রতিকার চাইতে পারেন।
২.৩.৩) ৩য় ধাপঃ শ্রমিক প্রতিনিধির মাধ্যমেঃ
কোন সমস্যা, অভিযোগ ও অনুযোগ ও অনুযোগের কারণ ঘটলে ফ্লোরে থাকা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধির মাধ্যমেও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চাওয়া যাবে।
২.৩.৪) ৪র্থ ধাপঃ অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমেঃ
এমন কোন সমস্যা, অভিযোগ বা অনুযোগ রয়েছে যা সেকশন প্রধান/কল্যাণ কর্মকর্তা/ইউনিয়নের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতিকার চাইলে সমাধান নাও হতে পারে। সমস্যা হতে পারে এমন কোন বিশ্বাসের কারণ ঘটিলে যেকোন শ্রমিক-কর্মচারী অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে তার প্রতিকার চাইতে পারবে।
২.৩.৫) ৫ম ধাপঃ খোলা দরজা নীতি পদ্ধতিঃ
উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সেকশন হেডের কাছ থেকে অভিযোগের যথাযথ সমাধান না পেলে বা কল্যাণ কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ও অনুযোগ থাকলে মহাববস্থাপক/ উপ-মহাববস্থাপক/পরিচালক/ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লিখিত বা মৌখিকভাবে অবহিত করার মাধ্যমে প্রতিকার চাইতে পারেন।
২.৪) অভিযোগ/অনুযোগ পদ্ধতির প্রবাহ চিত্রঃ
০৩) নীতি বাস্তবায়ন করার রুটিন ও কর্মপদ্ধতিঃ
কাজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাস্তবায়নের সময় সময় সীমা
সমগ্র প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ/অনুযোগ সুষ্ঠ ও ন্যায় ভিত্তিক সমাধান প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ/ অনুযোগ নীতি সঠিক প্রয়োগ ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বিভাগীয় প্রধান (এডমিনি, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) সর্বদা নীতিমালা প্রণয়ন হওয়ার পর
শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তাবৃন্দও মৌখিক অভিযোগ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধকরণ। ছোট সমস্যাসমূহ সাথে সাথে এবং অন্যান্য সমস্যা সমূহ ৩ দিনের মধ্যে সমাধান কারার চেষ্টা করবেন এবং অভিযোগকারীকে বিষয়টি অবহিত করিবেন। ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও কল্যাণ কর্মকর্তা সর্বদা প্রয়োজন-কালীন সময়
অভিযোগ/পরামর্শ বাক্স পদ্ধতিঃ যেকোন সমস্যা, অভিযোগ বা অনুযোগ এর কারন ঘটিলে যাহা শ্রমিক প্রতিনিধি/কল্যাণ কর্মকর্তা বা অন্য কোন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রতিকার চাইলে অভিযোগকারীর সমস্যা হইতে পারে সেই ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারী অভিযোগ/ পরামর্শ বাক্সে তাহার সমস্যা, অভিযোগ বা অনুযোগ এর প্রকৃত কারণসহ যাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাহার পরিচয়সহ লিখিতভাবে প্রতিকার চাইবে। প্রতি সপ্তাাহে ১ (এক) বার অভিযোগ বাক্স খোলা হয় এবং অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে প্রতিকার করা হয়। বিভাগীয় প্রধান (এডমিন, এইচ.আর, এন্ড কমপ্লায়েন্স), ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কল্যাণ কর্মকর্তা) নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে
অধঃতন-উর্দ্ধতন শৃংখলা পদ্ধতিঃ যেকোন শ্রমিক-কর্মচারী তাহার উর্ধ্বতন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তাহার সমস্যা, অভিযোগ, অনুযোগ অবহিত করিয়া প্রতিকার চাইতে পারিবেন। সেই ক্ষেত্রে কর্মকর্তাবৃন্দ অভিযোগ, অনুযোগের গুরুত্বানুসারে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। বিভাগী প্রধান (এইচ.আর এন্ড এডমিন), ব্যবস্থাপক (প্রশাসন), বিভাগীয় প্রধান (সংশ্লিষ্ট বিভাগ), ও কল্যাণ কর্মকর্তা নিয়মিত সব সময় বলবৎ থাকবে।
যেকোন সমস্যা, অভিযোগ বা অনুযোগের কারণ ঘটিলে যেকোন শ্রমিক-কর্মচারীর জন্য সরাসরি অভিযোগ/ অনুযোগ প্রদানের জন্য সব সময় ইউনিট প্রধান/সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রাশাসনিক প্রধান/ কর্পোরেট অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দের কাছে সরাসরি অভিযোগ করতে পারিবেন। সেই ক্ষেত্রে কর্মকর্তার অভিযোগ, অনুযোগের গুরুত্বনুসারে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। বিভাগীয় প্রধান (এইচ.আর, এডমিনি এন্ড কমপ্লায়েন্স) সর্বদা সব সময় বলবৎ থাকবে।
হট লাইনে প্রদত্ত ফোন নাম্বারে ফোন করিয়া অভিযোগ, অনুযোগ জানানো যাইবে। সেই ক্ষেত্রে কর্মকর্তাবৃন্দ অভিযোগ, অনুযোগের গুরুত্বানুসারে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। সকল প্রকার অভিযোগের বিবরণ সমাধানের লিখিত রিপোর্ট সংরক্ষণ করতে হবে। বিভাগীয় প্রধান (এডমিনি, এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্স) সর্বদা সবসময় বলবৎ থাকবে।
০৪) যোগাযোগ পদ্ধতিঃ
কাজ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাস্তবায়নের সময় সময় সীমা
ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ (সহকারী মহাব্যবস্থাপক থেকে পরিচালক পর্যন্ত) জেনারেল মিটিং এ আলোচনার মাধ্যমে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে অথবা ই-মেইলের অবহিত করতে হবে অবহিত করতে হবে এবং সভার কার্য বিবরণী সংযোজন করে তা সংরক্ষণ করতে হবে বিভাগীয় প্রধান
(এইচ আর, এডমিন এন্ড কমúøায়েন্স) নিয়মিত নীতি নির্ধারণের পর বলবৎ হবে
দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাথে যোগাযোগ সাধারণ মিটিং এর মাধ্যমে সবাইকে অবগত করণ এবং প্রত্যেকে এই নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত হয়েছে এই মর্মে স্বাক্ষর গ্রহণ বিভাগীয় প্রধান (এইচ আর, এডমিন এন্ড কমúøায়েন্স) নীতিমালা প্রণয়ন হওয়ার পর নীতি নির্ধারণের পর বলবৎ হবে
কারখানার সকল কর্মকতা ও উৎপাদন স্টাফদের উক্ত নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তাছাড়াও অভিযোগ অনুযোগ নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা। সাধারণ মিটিং এর আয়োজনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করা এবং প্রত্যেকে উক্ত নীতিমালা বুঝে পেয়েছে বা অবগত হয়েছে এই মর্মে স্বাক্ষর গ্রহণ করা এবং প্রশ্ন-উত্তর পর্বসহ সভার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ। ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স)
ও
কল্যাণ কর্মকতা প্রতি ছয় মাসে
কমপক্ষে একবার সব সময় বলবৎ থাকবে
পুরাতন শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ সচেনতামূলক ট্রেণিং এর মাধ্যমে প্রতি ছয় মাসে একবার শ্রমিকদের সাথে অভিযোগ প্রদান ও সমাধান নীতি বিষয়ে আলোচনা করবে উল্লেখ্য উক্ত মিটিং এ ইহ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করা হবে। নির্বাহী
(এডমিন এন্ড এইচ.আর) ও
কল্যাণ কর্মকতা
প্রতি ছয় মাসে
কমপক্ষে একবার সব সময় বলবৎ থাকবে
নোটিশ বোর্ড ও পিএ সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ পিএ সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ অনুযোগ নীতি সম্পর্কে অবহিত করা। এবং ইহাসহ অন্যান নীতি নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে ব্যবস্থাপক (প্রশাসন), ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স) কল্যাণ কর্মকর্তা/ নির্বাহী নিয়মিত সব সময়
০৫) ফিডব্যাক এবং কন্ট্রোলঃ
ফিডব্যাক এবং কন্টোল কার্য পদ্ধতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সময় সীমা
ইন্টারনাল অডিট ১) শ্রমিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ;
২) ডকুমেন্ট রিভিউ; যেমন-শ্রমিকের ব্যক্তিগত নথি, ট্রেণিং রেকর্ড, গ্রিভেন্স রেজিস্টার, লিভ রেজিস্টার, বেতন ও ওভার টাইম শিট, নিয়োগ নীতিমালা ইত্যাদি)।
৩) মিড লেভেল মেনেজমেন্টের সাক্ষাৎকার।
৪) সম্পূর্ণ নিয়োগ পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোন ধাপে বলপ্রয়োগ কোন কিছ করা হয় নি। যেমনঃ মূল সনদ জমা রাখা, বন্ড পেপারে স্বাক্ষর নেয়া ইত্যাদি। ইন্টারনাল অডিট টিম প্রতি তিন মাসে একবার।
রিপোর্টিং ইন্টারনাল অডিট হতে প্রাপ্ত বিষয়াদি নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরী করা হবে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে উক্ত বিষয় জানাতে হবে। প্রত্যেকটি সমস্যার প্রকৃতি ও কারণ অনুসন্ধান করতে হবে)। ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স)
ও
ইন্টারনাল অডিট টিম ইন্টারনাল অডিট সম্পন্ন করার পর
নিয়ন্ত্রণ অভিযোগের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা ও তার সমাধান হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কল্যাণ কর্মকর্তা এক মাসের মধ্যে অভিযোগ রেজিস্টারে ঐ ঘটনার বাদী ও বিবাদী ফ্লোরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের নিকট হইতে সংঘটিত অভিযোগ, তার সমাধান ও তার পরবর্তী অবস্থার বিবরণ নিবেন এবং আর যেন ঐ ঘটনার পূণরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ক্ষেত্রে প্রাপ্ত যেকোন সমস্যার প্রকৃত কারণ পর্যালোচনা কওে এবং সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবস্থাপক (কমপ্লায়েন্স) ও
কল্যাণ কর্মকতা সব সময়
প্রতিকার এ ক্ষেত্রে মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সকল রকম শিশু শ্রম বন্ধের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় বিদ্যমান নীতিতে যদি সিস্টেম বা প্রক্রিয়াগত কোন পরিবর্তন প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সকল দেশীয় আইনের সাথে সঙ্গতি রাখিয়া যেকোন ধরনের পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সংযোজন অথবা বিয়োজন করিতে পারিবে। বিভাগীয় প্রধান (এইচ.আর, এডমিন এন্ড কমপ্লায়েন্স) সব সময়