স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা ________________________-এর সকল গর্ভবতী মহিলা শ্রমিকগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _________ইং, রোজঃ _______ সকাল _____ ঘটিকায় ______________ এর বিভিন্ন বিভাগ এর গর্ভবতী শ্রমিকদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিম্নোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণে ____________________ এর সকল গর্ভবতী মহিলা শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা শ্রমিকদের ঝুঁকি ও যত্ন সম্পর্কে ও করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ
ভেন্যু/স্থান ঃ মেডিকেল কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(মেডিকেল অফিসার)
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১. ভূমিকা, ২. সন্তান সম্ভাব্য মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ৩. গর্ভবস্থায় ৫ টি ঝুঁকি বা বিপদচিহ্ন, ৪. গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনার কারণসমুহ, ৫.ঝুঁকি বা বিপদ এড়াতে করনীয়, ৬. গর্ভকালীন যত্ন, ৭. প্রসূতিকালীন যত্ন, ৮. উপসংহার।
অতএব, উল্লেখিত সকল বিভাগের গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা শ্রমিকগনকে নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা শ্রমিকদের ঝুঁকি ও যত্ন সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণঃ
_______________________-এর কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে “শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ” এ কথা মাথায় রেখে কর্মরত সকল সন্তান সম্ভব্যা মায়েদের সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। ফ্যাক্টরীতে কর্মরত মহিলা কর্মীদের আইনানুগ ও মান সম্মত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। কারখানায় কর্মরত নতুন মাতা ও সম্ভাব্য মাতাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কর্মক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন সময় মহিলা শ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও সে অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নতুন মাতা ও সম্ভাব্য মাতাদের ঝুঁকি নির্ধারণ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
_________________-এর কর্তৃপক্ষ সন্তান সম্ভাব্য মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ বা নীতিমালা গ্রহণ করেছেনঃ
* আমাদের সার্বক্ষণিক চেষ্টা দ্বারা গর্ভবতী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্য-সম্মত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা;
* আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে সকল গর্ভবতী শ্রমিক কর্মরত আছে তাদের জন্য ভারী কাজ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ;
* ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে কমপক্ষে ১ বার চেক করা এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়;
* গর্ভবতী মহিলার কাজের সময় সমস্যা দেখা দিলে সাময়িক বিশ্রাম অথবা প্রয়োজনে ছুটির ব্যবস্থা করা হয়;
* অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ;
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে প্রচন্ড শব্দ হয় এমন জায়গায় কাজ করানো হয় না;
কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত গরম এমন জায়গায় কাজ করানো হয় না;
* ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করানো হয় না;
* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করানো হয় না;
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে দিয়ে রাতের বেলায় কাজ করানো হয় না;
* অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের উপরে উঠার জন্য লিফট ব্যবহার করতে হবে;
* দেশের প্রচলিত শ্রম আইন, কারখানা আইন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে মেনে চলার চেষ্টা করি;
* শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করে থাকি;
* মার্তৃত্বকালীন ছুটির জন্য প্রাপ্য সমূদয় পাওনা যথাযথভাবে পরিশোধ করা হয় এবং এ ধরনের সকল কার্যক্রম লিপিবদ্ধ রাখা হয় এবং পরিদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করা হয়;
* আমরা সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকি।
গর্ভবতী মহিলাদের ৫টি প্রধান ঝুঁকি (বিপদ চিহ্ন)ঃ গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন ঝুঁকি বা বিপদসমূহ নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের সচেতন করা হয়ে থাকে। যেমন-
০১) রক্তস্রাব;
০২) খিঁচুনী;
০৩) বিলম্বিত প্রসব;
০৪) মাথা ব্যাথা এবং
০৫) চোখে ঝাঁপসা দেখা।
অস্তঃস্বত্তা (Pregnant Woman) মহিলাদের সম্ভাব্য দূর্ঘটনার কারণসমূহঃ
* বিপদজনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অস্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
* ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অস্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কাজে অস্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত করা।
* অসাবধান বা বেপরোয়াভাবে সিড়িঁতে চলাচল করা।
* কোন অস্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত করা।
* কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত করা।
* পিচ্ছিল ফ্লোরে কাজ করানো।
* পিচ্ছিল টয়লেট ব্যবহার করা।
ঝুঁকি থেকে মুক্তি বা প্রতিকারসমূহঃ
প্রসবের জন্য পরিকল্পনা করুনঃ
* নিরাপদ প্রসবের জন্য গর্ভাবস্থায় কিছু প্রস্ততি নিয়ো রাখা প্রয়োজন।
* প্রসবের জন্য একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ ডাক্তার বা নার্স ঠিক করে রাখুন।
* প্রসবকালীন খরচের জন্য প্রতি সপ্তাহেই কিছু টাকা জমিয়ে রাখুন।
* প্রয়োজন হলে প্রসবের জন্য হাসপাতালে যেতে হবে।
* প্রয়োজনে হাসপাতালে যাবার জন্য আগে থেকেই যানবাহনের ব্যবস্থা করে রাখুন।
* প্রসবকালীন জটিলতায় রক্তের দরকার হতে পারে, প্রয়োজনের সময় রক্ত দিতে পারেন এমন ২/৩ জন ব্যক্তির সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলে রাখুন।
গর্ভাবস্থায় বিশেষ যত্ন প্রয়োজনঃ গর্ভাবস্থায় একটি বিশেষ অবস্থা। এই সময়ে প্রত্যেক মহিলার বিশেষ যতেœর প্রয়োজন হয়। কারণ একজন মহিলা যতবারই গর্ভধারণ করেন ততবারই জটিলতা দেখা দিয়ে তার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই গর্ভধারণ করলে মহিলার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের উচিত তার শরীরের প্রতি যত্ন নেয়া ও প্রসবের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করা।
গর্ভাবস্থায় সঠিক যত্ন নিয়ে ও কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলে অনেক জটিলতা এড়ানো যায়। ফলে-
* মা সুস্থ থাকেন ও তার মৃত্যু ঝুঁকি কমে।
* সুস্থ সবল শিশুর জন্ম হয় এবং নবজাতকের মৃত্যু ঝুঁকি কমে।
* দিনের বেলা কমপক্ষে ১ ঘন্টা শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।
* ভারী কাজ করা থেকে বিরতু থাকুন।
গর্ভাবস্থায় শরীরের যত্ম নিনঃ
* গর্ভাবস্থায় ৮ বার ক্লিনিকে এসে শারীরিক পরীক্ষা করান।
* টিটি ইনজেকশন নিন।
* সুষম খাবার ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবার খান।
* সেবা দানকারীর পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ ট্যাবলেট খান।
অন্যান্যঃ
* বিপজ্জ্বনক বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে প্রচন্ড শব্দ হয় এমন জায়গায় কাজ না করানো।
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে অতিরিক্ত গরম এমন জায়গায় কাজ না করানো।
* ভার উত্তোলন বা বহন করার কাজে কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
* দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কাজে অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে নিয়োজিত না করা।
* অসাবধান বা বেপরোয়াভাবে সিড়িঁতে চলাচল না করা।
* অন্তঃস্বত্তা মহিলাদের উপরে উঠার জন্য লিফট ব্যবহার করা।
* কোন অন্তঃস্বত্তা মহিলা শ্রমিককে রাতের বেলা কোন কাজে নিয়োজিত না করা।
* কঠোর পরিশ্রমের কাজে নিয়োজিত না করা।
* অন্তঃস্বত্তা শ্রমিকদের টয়লেটে ব্যবহারের জন্য কমোড এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
* কাজের মাঝে একটু সময় হাঁটাহাঁটি করা।
* নিচু সম উচ্চতার স্যান্ডেল ব্যাবহার করা।
* পা ফুলে গেলে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা উঁচু করে ঘুমানোর অভ্যাস করা।
* প্রত্যেক দিন সুষম খাবার, দেশী ফলমূল ও প্রচুর পরিমাণে ফুটানো বিশুদ্ধ পানি পান করার চেষ্টা করা।
* প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু পরিমাণ শাক রাখার চেষ্টা করা।
* সাধারণ নিয়মের তুলনায় প্রত্যেকদিন ১/২ বার বেশি খাওয়া।
* পান, গুল ও অন্যান্য নেশা জাতীয় খাবার গ্রহণে বিরত থাকা।
* বাচ্চা ঠিকমত নড়ছে কিনা খেয়াল রাখা, সম্ভব হলে গুণে রাখা।
* ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া, পরীক্ষা ও পরামর্শের জন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে আসা।
* বাচ্চার ওজন ঠিকমত বাড়ছে কিনা খেয়াল রাখা।
* সময় মত টি, টি, ইনজেক্শন নেওয়া।
* ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ না খাওয়া ইত্যাদি।
প্রসূতিকালীন যত্ম / প্রসূতিকালীন যত্নের প্রয়োজনীয়তাঃ মূলত একটি শিশু জন্মের সাথে সাথে জন্ম
হয় এক নতুন মায়েরও। সন্তান প্রসবকালীন সময়ে মায়ের শারীরিক ও মানসিক অনেক চাপ পড়ে এবং তার শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। আর তাই নতুন মায়ের ঘাটতি পূরণ, পুষ্টি সাধন এবং
দেহকে সুস্থ সবল ও নিরোগ রাখার জন্য গর্ভবতী মায়ের মতো প্রসূতিমাকে ও পুষ্টিকর খাবার দিতে
হবে। আমরা জানি সন্তান জন্মের ছয়মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে শুধুমাত্র বুকের দুধ খেতে দিতে হয়। কারণ, নবজাতকের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য উৎস হলো মায়ের বুকের দুধ। মায়ের দেহ থেকে বুকের দুধের উপাদান তৈরি হয়। শিশুর জন্য মায়ের বুকে প্রয়োজনীয় দুধ তৈরি হওয়ার জন্য মায়ের অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এছাড়া প্রসবকালীন মুহূর্তে প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। তাই প্রসূতি মায়ের নিজের স্বাস্থ্য ও বুকের দুধ তৈরি করার জন্য মাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এতে করে প্রসূতি মা যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে একটি শিশু।
উপসংহারঃ একটি সুস্থ মা পারে একটি সুস্থ সবল সন্তান জন্ম দিতে। আর এই কথার উপর ভিত্তি করে মহিলা শ্রমিকদের আইনগত অধিকার ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে ____________________-এর কর্তৃপক্ষ গর্ভবতী মহিলা শ্রমিদের বিভিন্ন ঝুঁকি ও দূর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানে বদ্ধ পরিকর ।
গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা শ্রমিকদের ঝুঁকি ও যত্ন সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের চিত্রঃ
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলা শ্রমিকদের ঝুঁকি ও যত্ন সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের নামের তালিকাঃ
তারিখঃ স্থানঃ________
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(মেডিকেল অফিসার) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)