পটভূমি (Introduction)ঃ
কোম্পানির নাম, একটি ১০০% রপ্তানীমুখী পোশাক প্রস্তুতকারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান যেখানে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়সমুহ সুনিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট সচেতন এবং প্রতিশ্রতিবদ্ধ। কর্মীদের মানবাধিকার ক্ষুন্ন করে উৎপাদন কার্যক্রম যেন পরিচালিত হতে না পারে তা নিশ্চিতকরণের জন্য মানবাধিকার ও ব্যবসায়িক তত্ত্ব সংক্রান্ত নীতিমালাটি (Policy on Human Rights & Business Principles) গ্রহন করা হয়েছে।
উদ্দেশ্য (Objectives)ঃ
উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ক্ষেত্রে UNGP Guideline অনুসারে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মীদের মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ।
নীতিমালার বিবরণ (Policy Statement)ঃ
১. কোম্পানির নাম -এ কর্মরত সকলের মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রতিবদ্ধ। কর্মরত অবস্থায় যেন কারও মানবাধিকার ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
২. অতীব মাত্রায় সংঘটিত শ্রম অধিকার লংঘন সংক্রান্ত বিষয়সমুহ সম্পর্কে কর্মীদেরকে অবহিত করা হবে। এগুলি হলোঃ- সংগঠন করার স্বাধীনতা, কাজের স্বাধীনতা, দাসত্ব/বলপূর্বক শ্রম, শিশু শ্রম, অ-বৈষম্য বিষয়ক স্বাধীনতা, সমপরিমান কাজের জন্য সমপরিমান মজুরী, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পারিবারিক জীবনের অধিকার, বিশ্রামের স্বাধীনতা, অবৈষম্যমূলক পারিশ্রমিক বিষয়ক অধিকার ইত্যাদি।
৩. প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মীর জন্য সংগঠন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে, এছাড়া এ সংক্রান্ত নীতিমালার সবগুলি ধারার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
৪. দাসত্ব/বলপূর্বক শ্রম এবং শিশু শ্রমকে নিরুৎসাহিতকরণের পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হবে। এছাড়া এ সংক্রান্ত নীতিমালার সবগুলি ধারার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
৫. সমপরিমান ও একই ধরনের কাজের জন্য পুরুষ ও মহিলা কর্মীকে সমপরিমানের মজুরী প্রদান নিশ্চিত করা হবে।
৬. কর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যাতে কর্মপরিবেশ বিষয়ক মানবাধিকার বিঘ্নিত না হয়।
৭. বিশ্রামের জন্য কর্মীদেরকে কাজের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সময় প্রদান করা হবে এবং অবৈষম্যমূলক পারিশ্রমিক প্রদান নিশ্চিত করা হবে।
৮. কর্মঘন্টা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে যাতে কর্মীরা তাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় প্রদান করতে পারে।
৯. যে কোন ভাবে কর্মীদের মানবাধিকার লংঘিত হলে তা তারা স্বাধীনভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে এবং এর জন্য তার/তাদের উপর কোন প্রকারের চাপসৃষ্টি করা হবে না। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান স্বাপেক্ষে এ সংস্ক্রান্ত উত্থাপিত বিষয়সমুহ তদন্ত করে সমাধান করা হবে।
১০. যথাযথ মনিটরিং এর মাধ্যমে মানবাধিকার বিষয়ক দিকনির্দেশনা সমুহ যেন বিঘ্নিত হতে না পারে সেটি নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
১১. কর্মীদেরকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালাটি সম্পর্কে জানানো এবং এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।
পরিধি(Scope)ঃ
উক্ত নীতিমালাটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সেকশনে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। নীতিমালাটির সঠিক প্রয়োগ তথা বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্ব বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন) এর উপর ন্যাস্ত থাকিবে।