স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা __________________-এর সকল সিকিউরিটি সেকশনের সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _______________ ইং, রোজঃ __________ দুপুর _______ ঘটিকায় ________________ এর সিকিউরিটি সেকশনের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিম্নোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণে _________________ এর উল্লেখিত সেকশন এবং বিভাগের সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ সিকিউরিটি গেইট এ নিরাপত্তা প্রটোকল বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষন ।
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১. ভূমিকা, ২. চাকুরীর পূর্ব শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের ইতিহাস যাচাইকরণ, ৩. পরিচয়পত্রের ব্যাপারে নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্ব, ৪. নিরাপত্তা বিভাগের অবস্থানগত দিক নিয়ে আলোচনা ৫. নিরাপত্তা বিভাগের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় করণীয়, ৬. দর্শণার্থীদের জন্য নিরাপত্তা বিভাগের করণীয়, ৭. পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত সচেতনতা কার্যক্রমে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকা, ৭. নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব ও কর্তব্য, ৮. কোভিড-১৯ ৯. উপসংহার।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) সম্পর্কে আলোচনা।
অতএব, উল্লেখিত সেকশ/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
সিকিউরিটি গেইট এ নিরাপত্তা প্রটোকল বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনের উপর আলোচনা
ভূমিকাঃ নিরাপত্তা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ করে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমাজের চারিপাশে বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রের বিস্তৃত হয়েছে। ফলে পোষাক শিল্পে পণ্য আমদানী ও রপ্তানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে দেখা দিয়েছে।
আমাদের ক্রেতাদের আদেশকৃত পণ্যের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা একটি নীতিমালা, নির্দেশনা ও পদ্ধতি প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বৃৃদ্ধি এবং সম্পত্তি রক্ষা ও সর্বোপরি বাস্তবায়নে এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানের অভিপ্রায় হলো নিরাপত্তার বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে চুরি, ধ্বংস ও অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠানের জনবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষইে শ্রেষ্ঠতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নীতি হলো সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল ও কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষইের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা। প্রতিষ্ঠান সব সময় বিশ্বাস করে যে, তাদের পণ্য যেহেতু বিদেশে রপ্তানী হয় তাই ক্রেতাদের নিরাপত্তাকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
_______________________ কর্তৃপক্ষ আশা করে, প্রতিষ্ঠান যে নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তাহা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীবৃন্দ মানিয়া চলিবে। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের সাথে যাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কর্তৃপক্ষ এ নীতিমালা বাস্তবায়নে তাদেরও সহযোগীতা কামনা করে। কারণ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো Supply Chain Security ব্যবস্থা প্রয়োগ করে পণ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাস করার মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদেরও নিরাপদে রাখা।
চাকুরীর পূর্ব শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের ইতিহাস যাচাইকরণঃ
ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ
কর্তৃপক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করার সময় সকল সম্ভাব্য কর্মচারী তাদের আসল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্থানীয় চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক প্রাপ্ত সনদ দেখা হয়।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আসল সনদ এর সত্যতা যাচাই করে এর একটি প্রতিলিপি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করে।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার পূর্ব ইতিহাস যাচাই করে ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করে থাকে।
চাকুরী পূর্ব তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি গ্রহণযোগ্য ফরমের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার চাকুরীর পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে।
প্রতিটি নিরাপত্তা প্রহরী এবং সংরক্ষিত এলাকায় যারা কর্মরত আছেন এদের সকলের স্থানীয় থানা থেকে তাদের চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাই করা হয়।
যদি কোন কর্মচারীর ব্যাপারে কারো নিকট থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায় তবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঐ কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য আবার যাচাই করবে।
যদি কোন শ্রমিকের প্রদত্ত তথ্যে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে সাথে তার চাকুরীর অবসান করা হবে।
________________________-এর কর্তৃপক্ষ আশা করে প্রতিটি শ্রমিক তাদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। যদি কোন তথ্য সংযোজন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তবে শ্রমিকগণ স্বেচ্ছায় তা মানব সম্পদ বিভাগে জানাবে। এর পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ মাঝে মাঝে প্রতিটি শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য পূণঃযাচাই করবে।
পরিচয়পত্রের ব্যাপারে নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্বঃ
একজন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তার জন্য পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি শ্রমিকের একটি পরিচিতি নম্বর থাকে, যার মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শ্রমিকের এককভাবে তার পরিচিতি চিহ্নিত করা এবং কারখানার অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিচয়পত্র এবং কারখানায় আগত সকল দর্শণার্থীদের ভিজিটর পাস প্রদান করে থাকে।
শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ পরিচয়পত্র পরিধান করে কারখানায় প্রবেশ করেন।
নিরাপত্তা কর্মীগণ কারখানায় প্রবেশের সময় প্রতিটি শ্রমিকের পরিচয়পত্র চেক করে থাকে।
কারখানায় অবস্থানকালীন প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।
প্যাকিং এরিয়া, উৎপাদিত পণ্য এলাকা এবং লোডিং এরিয়ার যারা প্রবেশ করতে পারবে তাদের জন্য আলাদা পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে, যাহা অন্যদের থেকে সহজে পৃথক করা যায়।
দর্শনাথীগণ অবশ্যই কারখানায় অবস্থানকালীন সময় পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকবেন এবং কারখানা ত্যাগের আগে তার পরিচয়পত্রটি নিরাপত্তা বিভাগে ফেরত দিয়ে যাবেন।
কোন দর্শনাথী যদি ভিজিটর পাস পরিহিত অবস্থায় না থাকেন তবে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীগণ তাকে যেকোন মুহুর্তে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
প্যাকিং এরিয়া এবং লোডিং এরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে নিরাপত্তা কর্মীকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হয়।
মালিক কর্তৃক অবসান, কর্মচূত্যি, বরখাস্ত বা পদত্যাগের কারণে যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান ঘটে থাকে তবে তিনি তার পরিচয়পত্র অবশ্যই মানব সম্পদ ব্যবস্থা বিভাগে জমা দিয়ে থাকে।
যদি কোন শ্রমিক পরিচয় পত্র হারিয়ে ফেলে তবে সে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাবে এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে নতুন কার্ড ইস্যু করবে।
পুরাতন পরিচয় পত্র পাওয়া গেলে সাথে সাথে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিতে হবে।
যদি কোন দর্শনার্থী তার কার্ডটি হারিয়ে ফেলে তবে তা অবশ্যই নিরাপত্তা বিভাগে জানাবে এবং নিরাপত্তা বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগকে ব্যাপারটি অবহিত করবে।
তিনি শ্রমিকের পরিচয় সনাক্ত করার পর শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা বিভাগের অবস্থানগত দিক নিয়ে আলোচনাঃ
কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা হল কারখানার আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা। কারখানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উদ্দেশ্য হলো বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ রোধ করার মাধ্যমে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
ক) বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়াল; খ) গেইট এবং গেইট পোষ্ট;
ক) বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়ালঃ নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো দেওয়াল সৃষ্টির মাধ্যমে অন্যের অবস্থান থেকে নিজস্ব অবস্থানকে পৃথক করা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি নির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানকে সুদৃঢ় করার প্রধান ভিত্তি হলো প্রাচীর বা দেওয়াল তৈরীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে অন্যদের থেকে আলাদা করা। এর মাধ্যমে যেমন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সহজেই সনাক্ত করা যায়, তেমনি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর প্রবেশাধীকার রোধ করা যায়। নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রতিদিন বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়াল ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখবে কোথাও কোন ভাঙ্গা স্থান দেখা যায় কিনা।
খ) গেইট এবং গেইট পোষ্টঃ কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য সাধারনত প্রধান গেইট ব্যবহার করা হয়। ________________________-এর অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য একটি গেইট ব্যবহার করা হয়। গেইটটি অত্যান্ত সুরক্ষিত এবং বাহিরের লোকের অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী সম্পন্ন। গেইট রক্ষা করার জন্য একটি নিরাপত্তা গেইট পোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা প্রহরীগণ শক্তভাবে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষ গেইট এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ঠিকাদার এর সাথে চুক্তি করিয়াছে। চুক্তি অনুযায়ী সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরীগণ পালা করে দায়িত্ব পালন করে থাকে।
নিরাপত্তা বিভাগের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় করণীয়ঃ
কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা চাকুরী থেকে অবসায়নকৃত শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কর্মচারীর অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কর্মচারীদের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিম্নোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ
কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের কারখানায় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছেন।
কারখানায় প্রবেশ, বাহির এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময় সব কর্মচারী তাদের পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।
পরিচয়পত্র ব্যতীত কাউকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয় না। যদি কেহ পরিচয়পত্র ব্যতীত কারখানায় আসে তবে রেজিষ্টারে তার নাম লিপিবদ্ধ করে তাকে প্রবেশ করানো হয়।
সকল দর্শনার্থী যারা কারখানায় বিভিন্ন কাজে আগমন করে তারা সকলেই কারখানায় অবস্থানকালীন সময় ভিজিটর পাস পরিহিত অবস্থায় থাকে।
কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করেছেন, যেখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ চলাচল করতে পারে।
সংরক্ষিত এলাকায় যাতায়াতকারী অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র বহন করে যাহা অন্যান্য পরিচয়পত্র থেকে সহজে পৃথক করা যায়।
সংরক্ষিত এলাকায় কাজ করার সময় কর্মচারীগণ পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করেন।
মালিক কর্তক অবসান, বরখাস্ত , ডিসচার্জ বা পদত্যাগের কারণে যদি কোন শ্রমিকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিচ্ছিন্ন হয় তবে কর্তপক্ষ তার পরিচয়পত্র, তার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এবং মূল্যবান কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর তাকে কারখানার বাহির হবার অনুমতি দেওয়া হয়।
চাকুরীচ্যুত বা রিজাইন না দেওয়া শ্রমিকদের তালিকা ও ছবি নিরাপত্তা বিভাগের নিকট রক্ষিত বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।
যদি কোন কারণে কোন উপরোক্ত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্বাবধানে তাকে শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
যদি কোন শ্রমিক দীর্ঘদিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকে বা দীর্ঘদিনের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করে তবে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনুমতি গ্রহণ ছাড়া প্রোডাকশন ফ্লোরে যেতে পারে না।
কোন ব্যক্তি যদি পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় না থাকে বা কোন অননুমোদিত ব্যক্তিকে সংরক্ষিত এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়মে তাদেরকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট স্থানন্তর করা যাইতে পারে।
দর্শণার্থীদের জন্য নিরাপত্তা বিভাগের করণীয়ঃ
বিভিন্ন সময় দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশ করে থাকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দেখা করার জন্য। ___________________ কর্তৃপক্ষ কারখানায় আগত কোন দর্শনার্থীদের দ্বারা যাতে প্রতিষ্ঠানের কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। _________________ কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য নিন্মোক্ত নীতিমালা মানিয়া চলিবেঃ
কোন দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশকালে প্রবেশদ্বারে তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পরিচয় প্রদান করতে হবে এবং কাঙ্খিত ব্যক্তির নাম ও আগমনের কারণ জানাতে হবে।
দর্শনার্থী যার কাছে এসেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দর্শনার্থীর পরিচয় ও আগমনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন এবং দর্শনার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন।
দর্শনার্থী তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন, যদি পরিচয়পত্র না থাকে তবে ব্যবসায়িক কার্ড বা অন্য কোন উপায়ে তার পরিচিতি নিশ্চিত করবেন।
এরপর নিরাপত্তা কর্মকর্তা দর্শনার্থীদের দেহ ও ব্যাগ মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা তলাশী করার পর নির্ধারিত রেজিষ্টারে তার সমস্ত বিবরণ (নাম, ঠিকানা, আগমনের সময়, আগমনের কারণ) লিপিবদ্ধ করার পর “ভিজিটর পাস” প্রদান পূর্বক দর্শণার্থীকে কারখানার ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
দর্শনার্থী যার নিকট এসেছেন তার নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই তার সাথে অবস্থান করবেন।
দর্শনার্থীগণ শুধুমাত্র অফিস কক্ষগুলোতেই প্রবেশাধীকার সংরক্ষণ করবেন। যদি কখনো কোন দর্শনার্থীর অফিস কক্ষ ব্যতীত অন্যত্র কোথাও প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে তার সাখে একজন দায়ীত্বশীল কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা প্রহরী অবস্থান করবেন।
দর্শনার্থী পরিদর্শন শেষে কারখানা ত্যাগ করার পূর্বে তার নিকট থেকে “ভিজিটর পাস” টি সংগ্রহ করতে হবে এবং নির্ধারিত রেজিষ্টারে কারখানা ত্যাগের সময় উলেখ করতে হবে।
দর্শনার্থীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীগণ সৌজন্যমূলক আচরণ করবেন।
সন্দেহজনক মেইল চেনার উপায়ঃ
অতিরিক্ত ষ্ট্যাম থাকতে পারে;
বেশী ব্যবহৃত শব্দের ভুল বানান;
কোন ফিরতি ঠিকানা নেই বা অষ্পষ্ট ঠিকানা;
কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা নেই বা ব্যক্তির উপাধি ভুল থাকতে পাওে;
অযথাই ষ্পষ্ট শব্দ যেমন, “ব্যক্তিগত”, “গোপনীয়” বা “এক্সরে করা যাবে না” ইত্যাদি;
বিদেশী চিঠির ক্ষেত্রে ফিরতি ঠিকানার দেশের ষ্ট্যাম্পের সাথে কোন মিল পাওয়া যাবে না।
অন্যান্য সন্দেহজনক যে সব উপাদান থাকতে পারেঃ
চিঠির মধ্যে পাউডার জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে;
তেল জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে;
অন্য ধরনের গন্ধ থাকতে পারে;
অতিরিক্ত টেপ বা ষ্টাপল করা থাকতে পারে;
প্যাকেজেস বা চিঠির চারিদিক অসমান হতে পারে;
এমন মনে হতে পারে চিঠিটি খুলে আবার লাগানো হয়েছে।
সন্দেহজনক মেইল পরীক্ষণের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবে তা হলোঃ
শান্ত থাকতে হবে;
চিঠি বা প্যাকেজ খোলা যাবে না বা ঝাঁকানো যাবে না বা অন্য কাউকে দেখানো যাবে না;
যদি সম্ভব হয় চিঠি বা প্যাকেজটি ঢেকে রাখতে হবে;
ফ্যান বা যাহার দ্বারা বাতাস প্রবাহিত হয় এ সমস্ত যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন;
গন্ধ নিতে চেষ্টা করবেনা না বা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না;
যদি পাউডার জাতীয় পদার্থ আপনার শরীরে লেগে যায় বা হাতের সংষ্পর্শে আসে সাথে সাথে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন;
তাৎক্ষণিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান এবং নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে ফোন করতে হবে;
যদি প্যাকেজের মধ্যে বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায় সাথে সাথে পুরো বিল্ডিংটি খালি করে ফেলুন।
প্যাকিং এরিয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ
_______________________ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে পণ্য প্যাকিং করার সময় যে কোন বস্তু কার্টুনের ভিতর প্রবেশ করিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা বা যে কোন অবৈধ দ্রব্য বিদেশে পাচার সম্ভব। এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্যাকিং এরিয়াকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে সকলের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্যাকিং এলাকার জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা গ্রহণ করেছেঃ
সম্পূর্ণ প্যাকিং এলাকাকে আলাদা করে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্যাকিং এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
প্যাকিং এরিয়ায় যাদের প্রবেশাধীকার রয়েছে তাদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের নামের একটি তালিকা ছবিসহ নোটিশ বোর্ডে লাগানো আছে।
প্যাকিং এরিয়ার প্রবেশ পথে নিরাপত্তা প্রহরী কর্মকালীন সময় পাহারা দিয়ে থাকে এবং যারা ভিতরে প্রবেশ করে তাদের সকলের পরিচয়পত্র চেক করে থাকেন।
অননুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেহই প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণপূর্বক ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
অননুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদেরকে চেক করার পর ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং একজন লোক সবসময় তার সাথে অবস্থান করে।
প্যাকিং এর প্রয়োজনীয় মালামাল ছাড়া অন্য কোন দ্রব্যাদি প্যাকিং এরিয়ায় রাখা যাবে না।
প্যাকিং এর পূর্বে প্যাকিং এর মালামাল যেমন, কার্টুন, পলিব্যাগ ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয় যাতে কোন সন্দেহজনক বস্তু পূর্বেই এর ভিতরে না রাখা হয়।
প্যাকিং এর সময় কার্টুন এর শিপিং মার্ক এর বিষয়বস্তু, যেমন ষ্টাইল, কালার, পরিমাণ, পণ্যের ওজন ইত্যাদি ভালভাবে পরীক্ষা ও যাচাই করা হয়।
কার্টুন কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানে লোডিং এর পূর্বে কোন কার্টুন খোলা নেই তা নিশ্চিত করা হয়।
যদি কোন কার্টুন কোন কারণে খোলার দরকার হয় তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়া হয়।
প্যাকিং এরিয়ায় যারা প্রবেশ করে থাকে প্রত্যেকের নাম প্রবেশ সময়সহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
প্যাকিং এলাকায় কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির দেখা পাওয়া গেলে অথবা আশংকাজনক দ্রব্য সামগ্রী পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। এ ধরনের ঘটনা ভালভাবে তদন্ত করা শেষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত সচেতনতা কার্যক্রমে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলার লক্ষ্যে ___________________ কর্তৃপক্ষ একটি সুদক্ষ ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল দ্বারা অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা হুমকি দেওয়া হতে পারে, সেগুলো হলোঃ
বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা হামলাঃ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে পারে। এ ব্যাপারে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। _____________________ কর্তৃপক্ষ বহিরাগত প্রবেশ রোধকল্পে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রাখে। কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ কেউ তার সঠিক পরিচয় প্রদান ব্যতিরেকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। ভুয়া পরিচয় দিয়ে কেউ যেন কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় কারখানায় প্রবেশ করতে হয় এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময়ে পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকতে হয়। বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শ্রমিক অথবা নিরাপত্তা কর্মীগণ যদি কোন ধরনের হুমকির সম্মূখীন হয়, তবে তা অবিলম্বে প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করবে।
টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকিঃ সন্ত্রাসীরা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করতে পারে। টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি পাওয়া মাত্র ঘটনাটি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।
কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক রাখিয়া হুমকিঃ কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে কারখানার অভ্যন্তরে বোমা রাখিয়া কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা কোন অপরিচিত ব্যক্তি হুমকি দিতে পারে। এটিকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। এ ধরনের হুমকি পাওয়া মাত্র নিরাপত্তা বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে। বিষয়টি গুজব না সত্যি তা জানার জন্য নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক বিভাগ প্রথমে এর অবস্থান সনাক্ত করবে। অবস্থান সনাক্ত করার পর যত দ্রত সম্ভব কারখানা খালি করে সকলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় থানা, র্যাব অফিস এবং দমকল বিভাগে জানাতে হবে। বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ ব্যতীত অন্য কেউ বোমা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করবে না। বিষ্ফোরক দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং তা প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা প্রহরী প্রতিটি পরিদর্শনকারীর ব্যাগ দ্বারা চেক করার পর তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগত জিনিষপত্র কারখানার অভ্যন্তরে আনা নেওয়ার সময় ভালভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ দ্বারা নিশ্চিত করা হয় আনীত বস্তু দ্বারা কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্ভব নয়।
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আগুন ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা যায়, এমন কিছু ক্ষতিকারক দ্রব্য, যেমন-ম্যাচ বাক্স ও গ্যাস লাইট জাতীয় দাহ্য পদার্থের ব্যবহার কারখানার অভ্যন্তরে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
কর্মরত শ্রমিক দ্বারা দাঙ্গা হাঙ্গামাঃ কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণও অনেক সময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে কারখানার অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটাতে পারে। এজন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের সময় প্রতিটি শ্রমিকের চারিত্রিক সনদপত্র যাচাই পূর্বক নিয়োগ প্রদান করে থাকে এবং প্রত্যেকর ব্যক্তিগত ফাইলে চারিত্রিক সনদপত্রের ফটোকপি সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি শ্রমিকের ইতিহাস খোঁজ নিয়ে ব্যক্তিগত ফাইলে সংগ্রহ করে থাকে। কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে যেন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা সংগঠিত না হয় কর্তৃপক্ষ সব সময় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।
বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিক দ্বারা হুমকিঃ বরখাস্তকৃত বা মালিক কর্তৃক অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারাও কারখানা কর্তৃপক্ষ অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিকবৃন্দ তাদের বরখাস্তের কারণস্বরূপ কর্তৃপক্ষ বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দিতে পারে। বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারা কারখানার অভ্যন্তরে ক্ষতি সাধনের সম্ভাবনা থাকতে পারে বিধায় তাদের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এজন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিটি বরখাস্তকৃত এবং অবসানকৃত শ্রমিকের ছবি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের তাদের সম্পর্কে অবগত করে থাকে। কেউ এ ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলে সাথে সাথে বিষয়টি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।
ই-মেইলের মাধ্যমে হুমকিঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুল প্রচলিত একটি মাধ্যম। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কর্তৃপক্ষ ই-মেইল ব্যবহার করে থাকে। ই-মেইলের মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। ই-মেইলের ব্যবহারকারীগণ কখনো এই ধরনের হুমকি পেলে সাথে সাথে আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে।
মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমেঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মেইল বা পার্সেলের ব্যবহারও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। পার্সেলের মধ্যে এ্যানথ্রাক্স দ্বারা অনেক দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমে যাতে কোন দুর্ঘটনা না থেকে সে লক্ষ্যে সকল মেইল বা পার্সেল আসার পর ভালভাবে চেক করার পর সঠিক ব্যক্তির নিকট পাঠানো হয়।
উপরোক্ত মাধ্যমগুলো দ্বারা আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ___________________ কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করে তুলে, যাতে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।
নিরাপত্তা পহরীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
নিরাপত্তা প্রহরী হলো একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। _________________ কর্তৃপক্ষ তাদের সুদক্ষ ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা ২৪ ঘন্টা প্রহরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করে চলছে। নিরাপত্তা প্রহরীগণ যে সমস্ত কার্যাবলীসমূহ সম্পাদন করে থাকবে তা হলোঃ
নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকিবে।
তারা বাহিরের লোক থেকে শ্রমিক এবং প্রতিষ্ঠানের মালামাল রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবে।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের সাথে সবসময় সৌজন্যমূলক আচরণ করবে। তারা যদি কারো নিকট থেকে অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয় তবে সাথে সাথে তা কর্তৃপক্ষকে জানাবে।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। কার্যকালীন সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা ব্যতীত অন্যত্র কোথাও যাওয়া যাবে না।
যে কোন পণ্য কারখানার বাহিরে নিয়ে যাওয়া এবং কারখানায় নিয়ে আসার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
কারখানার কর্মচারীদের কারখানায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
প্রত্যেক শ্রমিকেকে চেকিং এর মাধ্যমে কারখানার যে কোন দ্রব্য সামগ্রী চুরি প্রতিরোধ করতে হবে।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ বহির্গমন এবং আত্বঃগমন যে কোন বস্তু নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকিবে এবং নিশ্চিত করবে যেকোন অনাকাঙ্খিত বস্তু কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিবে না এবং নির্দিষ্ট কাগজপত্র ব্যতীত কোন পন্য কারখানার বাহিরে যাবে না।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রধান দরজায় নজর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সময় মোতাবেক দরজা খুলবে।
বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের সময় তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না জেনারেটর চালু হয় এবং চারিদিকে তী² নজর রাখবে।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ কারখানার অভ্যন্তরে যে কোন সন্দেহভাজনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
ফ্যাক্টরীতে আগত কোন অতিথি/দর্শনার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানাতে হবে এবং স্বল্প সময়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদেরকে যথাযথ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সাক্ষাৎ প্রার্থীর নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই দর্শনার্থীর সাথে অবস্থান করবে।
পণ্য লোডিং/আনলোডিং করার সময় কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যাতে কভার্ডভ্যান/কন্টেইনারের আশেপাশে আসতে না পারে সেদিকে তী² নজর রাখতে হবে।
কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে কারখানার অভ্যন্তরে পাওয়া গেলে তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার না করে সাথে সাথে তাকে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।
রপ্তানী পণ্য উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় সঠিক হিসাব রাখতে হবে।
কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যেন প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য যারা প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় প্রবেশ করতে চায় তাদের প্রত্যেকের পরিচয়পত্র সঠিকভাবে চেক করতে হবে এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে তাদের নাম লিখে রাখতে হবে।
মাঝে মাঝে প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় আকষ্মিক পরিদর্শন করতে হবে যাতে কোন বৈধ প্রবেশকারী ব্যক্তির দ্বারা কোন ক্ষতিকর কিছু না ঘটে থাকে।
প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে কি কি পণ্য বাহির হবে, তা চালান দেখে ভালভাবে জেনে নিতে হবে, চালানে লিপিবদ্ধ পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পণ্য বাহির হয় কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
কারখানায় প্রবেশ ও বাহির হবার সময় শ্রমিক, কর্মচারীগণ পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা এবং পরিচয়পত্র ব্যতীত কারখানায় প্রবেশকারীদের তালিকা মানব সম্পদ বিভাগে দেওয়া।
কারখানায় প্রবশের সময় নিজস্ব ব্যক্তিগত দ্রব্যাদি ছাড়া অন্য কোন দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা।
কারখানায় প্রবেশের সময় যদি কাউকে সন্দেহ হয় তবে তার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি তথা, হাত ব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিয়ার ইত্যাদি খুলে পরীক্ষা করতে হবে, যদি কোন অবৈধ দ্রব্যাদি পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।
কারখানা বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় বা রাত্রীবেলা দায়িত্ব পালন করার সময় মাঝে মাঝে কারখানার চতুর্দিকে ঘুরে দেখতে হবে। কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানাতে হবে। দুর্ঘটনার প্রকৃতি অনুযায়ী স্থানীয় থানা ও র্যাব অফিসেও খবর দিতে হবে।
কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময় কারখানার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যদি জোরপূর্বক কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে বা কারখানার ভিতরে কোথাও পাওয়া গেলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ অফিসেও জানাতে হবে।
কারখানা বন্ধকালীন অবস্থায় কোন পণ্য আসলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেট খুলতে হবে এবং পণ্যটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিতে হবে।
পরিচয়পত্র ব্যতীত কোন শ্রমিক/কর্মচারীর প্রবেশাধীকার ও বহির্গমণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সময়মতো প্রতিবেদন পেশ করবেন।
নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবে না।
নিরাপত্তা বিভাগ যেকোন ধরনের জরুরী প্রয়োজনে উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের সাথে যোগাযোগ করবে।
আমাদের কারখানায় পুরুষ শ্রমিকদের জন্য পুরুষ চেকার চেক করে এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য মহিলা চেকার চে করে থাকে।
কোভিড-১৯ বিসষয়ক নির্দেশনা ঃ
ভিজিটর ম্যানেজমেন্টঃ
১. ভিজিটিং পলিসি এবং গাইড লাইন কোভিড-১৯ এর জন্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
২. কারখানার গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় সকল ভিজিটরের তাপমাত্রা চেক করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. যদি কোন ভিজিটরের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায় তাহলে ঐ ভিজিটরকে কারকানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
৪. যেহেতু কারখানায় প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন কাজ অব্যাহত থাকে তাই নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সেসাথে কারখানার শ্রমিকদের সংস্পর্শে যাতে তারা না আসে এজন্য তাদের প্রবেশ এবং বাহিরের আলাদা সময় দেয়া হয়েছে। অন্যান্য শ্রমিকের মত তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয় এবং আশঙ্কাজনক মনে হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৫. হাত ও পা জীবানুমুক্ত করার পর ফ্যাক্টরীতে ঢুকার অনুমতি দেওয়া হয়।
নিরাপত্তা কর্মীঃ
১. কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান করা এবং উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
২. ডিউটি রুম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়।
৩. কর্মস্থলে হাত জীবানুমুক্ত রাখার বিধিমালা মেনে চলুন।
৪. কর্মস্থলের পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন; নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে কাপড় পরিস্কার করুন।
৫. যেসব নিরাপত্তা কর্মী বহিরাগত মানুষের তাপমাত্রা মাপা ও রেকর্ড রাখার কাজে নিয়োজিত তাদের থেকে ন্যুনতম ১ মিটার বা তার বেশী দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬. কাজের সময় যদি কোন কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি পাওয়া যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ মালিক প্রতিনিধিকে অবগত করুন এবং ব্যক্তিগত সূরক্ষামূলক শিষ্টাচার গ্রহণ করুন।
৭. নিরাপত্তা কর্মী যারা মেডিকেল বা কোয়ারেন্টাইন ক্ষেত্রে দায়িত্বরত তারা অবশ্যই নির্দেশ অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষা নীতিমালা মেনে চলুন।
৮. যথাসম্বব জনসমাগম এড়িয়ে চলুন এবং দলবদ্ধভাবে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরতি থাকুন।
কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের সুরক্ষাঃ
১. কারখানার মেইন ফটোক এর পাশে ৫ (পাঁচ) ফুট পরপর হাত ধৈত করন কল এ রক্ষিত স্যাভলন/তরল সাবানের পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত পরিস্কার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২. সামাজিক দূরুত্ব ও শারীরি দূরুত্ব মেইন্টেইন করে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশের আগে, লাঞ্চ বিরতির সময়, লাঞ্চ বিরতি শেষ করার সময়, অফিস ত্যাগ করার সময় তাদের কাজের জায়গা জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করা হয়। যেমন (কাজের ট্রলি) শিড়ি, হ্যান্ডরিল, যে কান সুইচ বাটন, সকল দরজা, সকল প্রকার হান্ডেল, ফায়ার দরজা, ফোটকপি ম্যাশিন, ফাস্ট এইড বক্স, ডাইনিং টেবিল এবং কিচেন রুম।
৪. কারখানায় প্রবেশ করার সময় সিকিউরিটি গার্ড দ্বারা স্ক্যানার মেশিন দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা চেক করা হয়।
৫. যদি কোন শ্রমিকের শরীরে কোভিড-১৯ সিমটম পাওয়া যায় তাহলে মেডিকেল এ পাঠানোর পর মেডিকেল স্টাফরা স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা চেক করবে যদি তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে তা রেজিস্টার এ সংরক্ষণ করে বাসায় প্রেরন করতে হবে।
৬. যে যে কর্মকর্তা অফিসের গাড়িতে আসেন তাদের গাড়িতে নামার সাথে সাথে হ্যান্ডসেনিটাইজার দিয়ে হাত ও পায়ের জুতা জীবানুমুক্ত করার পর অফিসে যেতে উৎসাহিত করা হয়।
৭. সকল কর্মীদের কোভিড-১৯ ঝুকি থেকে রক্ষার জন্য ফিঙ্গার পাঞ্চ এর পরিবর্তে ফেচ পাঞ্চ করা হয়েছে।
৮. কারখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে প্রবেশ করতে হবে, যদি কেউ মাস্ক আনতে ভুলে যায় তাহলে গেইট থেকে নতুন মাস্ক পরিধান করে কারখানায় প্রবেশ করে থাকে।
যদি কোন কর্মী মাস্ক ব্যবহার করার পরে যদি পরিবর্তন করা দরকার হয় তাহলে ব্যবহারকৃত মাস্ক ফ্লোরে ওয়েস্ট বিন এ ফেলা হয়, এবং স্ব স্ব সুপারভাইজার এর কাছ থেকে নতুন মাস্ক নিয়ে পরিধান করানো হয়।
উপসংহার
_______________________ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক কারখানার নিরাপত্তা এবং পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা কর্মীদল দ্বারা ২৪ ঘন্টা তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রহরা দিয়ে যাচ্ছে। এই নীতিমালার কার্যকারীতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং দর্শনার্থী বা ক্রেতা, প্রত্যেকে এই নীতিমালা মানিয়া চলিবে। প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা মূলক নীতিমালাকে সুসংগঠিত করবে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ সা¤প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এই নিরাপত্তা নীতিমালা পরিবর্তন, সংযোজন বা পরিবর্ধন করবে।
সিকিউরিটি গেইট এ নিরাপত্তা প্রটোকল বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনের স্থীর চিত্র
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের নামের তালিকাঃ
তারিখঃ স্থানঃ________
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(প্রশিক্ষক) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)