স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা _____________________________-এর সকল শ্রমিগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _____________ইং, রোজঃ _______________ সকাল __________ টা থেকে _________ ঘটিকা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেকশনের শ্রমিকদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিমোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণে উল্লেখিত বিভাগ/সেকশনের সকল শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ শিল্প কারখানায় নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ।
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১. বর্জ্য সম্পর্কে জানা, ২. ক্ষতিকারক ও অক্ষতিকারক বর্জ্য সম্পর্কে জানা এবং আলাদা করান, ৩. বর্জ্য হ্যান্ডিলিং এর সময় পিপিই এর ব্যবহার, ৪. বর্জ্য হতে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে, ৫. সঠিকভাবে বর্জ্য হ্যান্ডিলিং না করা হলে কিভাবে পরিবেশের উপর প্রভাবে ফেলতে পারে, ৭. বর্জ্য সঠিকভাবে হ্যান্ডিলিং হলে পরিবেশের জন্য কি ভালো হবে তা জানা, ৮. বর্জ্য কিভাবে ল অনুযায়ী নিস্পত্তি করা যায় তা জানা, ৯. বর্জ্য হ্যান্ডেলিং এর সময় কোন ধরনের আঘাত প্রাপ্ত হলে, তাৎক্ষনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন সম্পর্কে জানা ।
অতএব, উল্লেখিত সেকশ/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
শিল্প কারখানায় নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর ম্যানুয়ালঃ
বর্জ্য কি: যে কোন তরল, বায়বীয়, কঠিন, তেজস্ক্রিয় পদার্থ যাহা নির্গত, নিক্ষিপ্ত, বা স্তূপীকৃত হইয়া পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তন সাধন করে।
# ঝুঁকি: যে কোন নির্দিষ্ট সংকট ঘটার সম্ভাবনা এবং ফলে সৃষ্ট অবস্থার পরিণতির সমন্বিত অবস্থাকেই ঝুঁকি বলা হয়।
# ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য: যে কোন বর্জ্য যাহা নিজস্ব ভৌত বা রাসায়নিক গুণগত কারণে অথবা অন্য কোন বর্জ্য বা পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে বিষক্রিয়া, জীবাণুসংক্রমন, দহন, বিস্ফোরণক্রিয়া, তেজস্ক্রিয়া, ক্ষয়ক্রিয়া বা অন্য কোন ক্ষতিকর ক্রিয়া দ্বারা পরিবেশের ক্ষতিসাধনে সক্ষম।
# ঝুঁকি মূল্যায়ন করা: প্রতিটি ঝুঁকি অবশ্যই মূল্যায়ন/যাচাই করতে হবে। অর্থাৎ সংকটময় কাজের স্বাস্থ্যে ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যে ঝুঁকি দেখা দিতে পারে তা মূল্যায়ন করতে হবে।
# ঝুঁকি মূল্যায়ন করা উৎস: সংকট, ঝঁকি এবং সম্ভাবনার উৎস ও রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতির কারন রোধ করার জন্য আন্তজাতিকভাবে বিভিন্ন ঝুঁকির সংকেত আছে, তার মাধ্যেমে ঝুঁকির মূল্যায়ন করা হয়, তাকে (এমএসডিএস) বা লেবেলিং বলা হয়।
# সংকট: সংকট হলো একটি সম্ভাবনার উৎস বা পরিস্থিতি যা মানুষের ক্ষতি বা মন্দ স্বাস্থ্য, কর্মপরিবেশের ক্ষতির কারন কিংবা ঐ সমস্ত কিছুর মিলিত রূপই হলো সংকট।
# দূষণ: বায়ু, পানি বা মাটির তাপে, স্বাদ, গন্ধ, ঘনত্ব বা উহাদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনসহ বায়ু, পানি বা মাটির দূষিতকরণ বা উহাদের ভৌতিক, রাসায়নিক বা জৈবিক গুনাবলীসমূহের পরিবর্তন, অথবা বায়ূ, পানি, মাটি বা পরিবেশের অন্য কোন উপাদানের তরল, গ্যাসীয়, কঠিন, তেজস্ক্রিয় বা অন্য কোন পদার্থের নির্গমনের মাধ্যমে বায়ূ, পানি, পশু, পাখি, গাছপালা বা অন্য সব ধরনের জীবনসহ জনস্বাস্থ্যের প্রতি ও গৃহকর্ম বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি, বিনোদন বা অন্যান্য ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক এবং ধ্বংসাত্মক কার্য।
# পরিবেশ: পানি, বায়ূ, মাটি ও ভৈত সম্পদ ও ইহাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কসহ ইহাদের সহিত মানুষ, অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ ও অনুজীবের বিদ্যমান পারস্পারিক সম্পর্ক।
# পরিবেশ দূষণ: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা ক্ষতির সহায়ক হতে পারে এমন কঠিন, তরল, বা বায়বীয় পদার্থ এবং তাপ, শব্দ ও বিকিরণও অন্তর্ভূক্ত।
# পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের গুনগতমান ও পরিমানগত মান উন্নয়ন এবং গুনগত ও পরিমানগত মানের অবনতি রোধ।
# ব্যবহার: কোন পদার্থের ক্ষেত্রে, ইহার উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্রিয়াশীলকরণ, মোড়ক বাধাঁই, গুদামজাতকরণ, পরিবহন, সংগ্রহ, বিনষ্ট, রূপান্তর, বিক্রয়ের প্রস্তাব, হস্তান্তর এইরূপ কোন ব্যবস্থা সম্পর্কিত অনূরূপ কোন ব্যবস্থা।
# বিপজ্জনক বর্জ্য: এমন কোন বর্জ্য যাহা উহার প্রাক ৃতিক বা ভৌত (physical), রাসায়নিক (chemical), বিক্রিয়া (reactive), বিষাক্ত (toxic), দাহ্য (flammable), বিস্ফোরক (explosive) বা ক্ষয়কর (corrosive) ধর্মহেতু এককভাবে অথবা অন্য কোন বর্জ্য বা পদার্থের সংস্পর্শ লাভের ফলে স্বাস্থ্যের বা পরিবেশের ক্ষতি সাধন করিতে পারে
# বিপদ জনক পদার্থ: এমন কোন পদার্থ যাহার রাসায়নিক বা জৈবি-রাসায়নিক ধর্ম এমন যে উহার উৎপাদন, মওজুদ, অবমুক্তি বা অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক।
# চিকিৎসা-বর্জ্য মানবকুলের চিকিৎসা, প্রতিষেধক ব্যবস্থা, রোগ নির্ণয় বা রোগ সংক্রান্ত গবেষণার ফলশ্রুতিতে উৎপাদিত যে কোন কঠিন, তরল, বায়বীয় ও তেজষ্ক্রিয় পদার্থ যাহা নির্গত, নিক্ষিপ্ত বা স্তুপীকৃত হইয়া পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তন সাধন করে।
# সাধারণ বর্জ্য (অক্ষতিকারক/ জীবাণুমুক্ত/ অসংক্রামিত): ব্যবহার্য কাগজ/মোড়ক, প্লাস্টিক বা ধাতব কৌটা, ঔষধের স্ট্রিপ, খালী বাক্স ও কার্টুন, প্যাকিং বাক্স, পলিথিন ব্যাগ, মিনারেল পানির বোতল, কাঁচের খালী বোতল, বিস্কিটের মোড়ক, ইনজেকশনের খালী ভায়েল, অসংক্রামিত ব্যবহার্য স্যালাইন ব্যাগ ও সেট, অসংক্রামিত ব্যবহার্য সিরিঞ্জ, অসংক্রামিত কাপড়/গজ/তুলা, অসংক্রামিত রাবার দ্রব্য/কর্ক, ফলমূলের খোসা, উচ্ছিষ্ট খাবার, রান্না ঘরের আবর্জনা, ডিমের খোসা, ডাবের মালা, প্রেশারাইজ খালী কৌটা ইত্যাদি।
# পুনঃব্যবহারযোগ্য সাধারণ বর্জ্য (অক্ষতিকারক/জীবাণমুক্ত/অসংক্রামিত) : ব্যবহার্য কাগজ/মোড়ক, প্লাস্টিক বা ধাতব কৌটা, ঔষধের স্ট্রিপ, খালী বাক্স ও কার্টুন, প্যাকিং বাক্স, পলিথিন ব্যাগ, মিনারেল পানির বোতল, কাঁচের খালী বোতল, বিস্কিটের মোড়ক, ইনজেকশনের খালী ভায়েল, অসংক্রামিত ব্যবহার্য স্যালাইন ব্যাগ ও সেট, অসংক্রামিত ব্যবহার্য সিরিঞ্জ, অসংক্রামিত কাপড়/গজ/তুলা, অসংক্রামিত রাবার দ্রব্য/কর্ক।
# ধারাল বর্জ্য (সংক্রামিত ও অসংক্রামিত): সকল প্রকার সুই , সকল প্রকার বেøড, ভাঙ্গা ¯øাইড, ব্যবহৃত এ্যম্পুল, ভাঙ্গা বোতল/কাঁচ/টেস্ট টিউব/পিপেট/জার, নেইল, স্টীল এর তার, অর্থোপেডিক কাজে ব্যবহৃত স্ক্রু, স্টীল প্লেট, পিন ইত্যাদি।
বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদঃ প্রতিটি ক্ষতিকর এবং অক্ষতিকর বর্জ্য আলাদা আলাদা করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোন প্রকার বর্জ্য এক সাখে না হয়।
# কঠিন বর্জ্য পদার্থঃ যে সকল বর্জ্য পদার্থ মূলত বাসা বাড়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে উৎগ্রীহিত হয় তাকে কঠিন বর্জ্য পদার্থ বলা হয়। যেমনঃ প্লাষ্টিক, বোতল, কাগজ, ব্যবহৃত আয়রন মেশিনের দ্রব্যাদি ও ইত্যাদি।
# তরল বর্জ্য পদার্থঃ যে সকল বর্জ তরল পদার্থ জাতীয় তাকে তরল বর্জ্য বলা হয়। যেমনঃ ক্যামিকেল, তেল, ক্যামিকেল মিশ্রিত দুষিত পানি ইত্যাদি।
বর্জ্য হ্যান্ডিলিং এর সময় পিপিই এর ব্যবহারঃ হাতের সুরক্ষার জন্য সবসময় হ্যান্ডস গøভস ব্যবহার করা, চোখের সুরক্ষার জন্য সবসময় চশমা ব্যবহার করা, দূর্গন্ধ কোন বর্জ্য অপসানণের সময় মাস্ক ব্যবহার করা, পায়ের সুরক্ষার জন্য সবসময় গাম বুট ব্যবহার করা, নিজের শরীর রক্ষার জন্য যে কোন বর্জ্য অপসানণের সময় এপ্রোণ ব্যবহার করা, মুখের সুরক্ষার জন্য বর্জ্য অপসানণের সময় ফেস প্রটেক্টর ব্যবহার করা।
নিরাপদ ব্যবহার ও হ্যান্ডলিংঃ বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার পূর্বে যে সকল বিষয় সম্পর্কে সতর্কতা থাকা প্রয়োজন, ভাঙ্গা কাচের গøাস, বিদ্যুতিক বøাস্ট, টিউব লাইট নির্দিষ্ঠ স্থানে রাখার ক্ষেত্রে গøভস ও গাম বুট ব্যবহার করা। ভাঙ্গা ও ব্যবহৃত প্লাসটিক দ্রব্যাদি, কপার তার ও এলমুনিয়াম তার ও ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি ক্যারিয়ার ব্যবহার করা। বজ্য পদার্থগুলো প্রকার ভেদে আলাদা করে, প্রতিটির ওজন পরিমাপ কার ও তা একটি নির্দিষ্ঠ রেজিষ্টারে সংরক্ষন করা। বর্জ্য পদার্থ কোন ক্রমেই মাথায় করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়ার। অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ এক সাথে বহন না করা। কাজের সময় কোন প্রকার খাওয়া, পান করা অথবা ধূমপান না করা।
মানব শরীরে বর্জ্য পদার্থের ক্ষতিকার প্রভাব: নিন্ম জন্মহার, ক্যানসার, জন্মগত বিকালঙ্গতা, স্নায়ুতান্ত্রিক রোগ, বমি করা বা সবসময় বমি বমিভাব হওয়া
বাংলাদেশ আইনগতভাবে বর্জ্য হ্যান্ডেলিং এবং তা অপসারণ নিম্নে দেওয়া হল:
বাংলাদেশ ব্যাটারী ডিসপোজাল এক্ট-২০০৬ বলা আছে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পুরাতন বা অকার্যকর ব্যাটারী বা উহার অংশবিশেষ কোন অবস্থাতেই উন্মুক্ত স্থান মাটি, পানি, আর্বজনা ফেলার স্থান বা অন্য কোন স্থানে সংরক্ষণ বা নিক্ষেপ করিবে না এবং ব্যাটারী ব্যবহারকারীগণকে সকল বা অকর্যকর ব্যাটারীর নিরাপদ অপসারণের উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারী পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বা প্রতিষ্ঠান সহিত চুক্তিবদ্ধ ব্যাটারীর খুচরা বিক্রেতা, ডিলার বা ড্রিস্ট্রিবিউটরের নিকট হস্তান্তর করতে হবে বা পুরাতন বাদ দেওয়া ব্যাটারী অবশ্যই কোন ডিলার, খুচরা বিক্রেতা বা ডিস্ট্রিবিউটরের নিকট হস্তান্তর করতে হবে।
বাংলদেশ চিকিৎসা বর্জ্য রুল-২০০৮ বলা আছে, চিকিৎসা-বর্জ্য” অর্থ মানবকুলের চিকিৎসা, প্রতিষেধক ব্যবস্থা, রোগ নির্ণয় বা রোগ সংক্রান্ত গবেষণার ফলশ্রুতিতে উৎপাদিত যে কোন কঠিন, তরল, বায়বীয় ও তেজষ্ক্রিয় পদার্থ যাহা নির্গত, নিক্ষিপ্ত বা স্তুপীকৃত হইয়া পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তন সাধন করে। চিকিৎসা বর্জ্য প্রতি মাসে বা বেশকিছু চিকিৎসা বর্জ্য হয়ে গেলে তা হসপিটালে বা কোন ক্লিনিকের সাথে চুক্তি করা থাকলে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
বর্জ্য আলাদা করণের সাথে কিভাবে পরিবেশের লাভবান এবং প্রডাক্টের গুনগত মান ঠিক রাখা এবং সর্বোচ্চ রিসাইকেলিং হতে পারে:যদি প্রতিদিন আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ফ্লোরে যেসব বর্জ্য হয়,তা প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেওয়া হয় তাহলে পরিবেশ যেমন ভালো থাকবে, ঠিক তেমন প্রডাক্টের গুনগত মান ও ঠিক থাকবে।
বর্জ্য যদি একসাথে রাখা হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশের বা মানুষের ক্ষতি হতে পারে। বর্জ্য যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলা হয় তাহলে প্রতিটি ফ্লোরে বা যে কোন জায়গায় দূর্গন্ধ ছরাবে এবং পরিবেশের ক্ষতি হবে এবং মানুষের ক্ষতি হবে, এতে করে প্রডাক্টের গুনগত মান ঠিক থাকবে না। প্রতিটি বর্জ্য নিদিষ্ট স্থানে রেখে তা আলাদা আলাদাভাবে রেখে প্রতিটি বর্জ্যরে উপর লেবেলিং করা হয় তাতে আপনার প্রতিটি বর্জ্যের হিসাব রাখতে পারবেন এবং এর মধ্যে অনেক বর্জ্য আছে যা আপনি রিসাইকেলিং করতে পারবেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লক্ষনীয় ও করনীয় বিষয়াবলিঃ সঠিক যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরন ব্যবহার করা। বর্জ্য পদার্থটি কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি, এবং তার থেকে কি ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে। অনিরাপদ বর্জ ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ক্ষতিকারক দিকসমূহ ও আইনগত বিধি-নিষেধ। নিরাপদ ও সঠিক বর্জ পৃতকীকরন ও পরিশোধনে পরিবেশের সুফলসমূহ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও তা নিস্পত্তিতে আইনগত বিধান।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যদি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হয় তাহলে করণীয় বিষয়ঃ সাপর্স টুলসে (সুঁচ, সিরিঞ্জ বা মেডিকেল বর্জ্য) আঘাত প্রাপ্ত হলেঃ সার্পস টুলস বলতে বুঝায় যেমনঃ নিডেল, মেডিকের সুঁচ, এবং অন্যান্য মেডিকেল বর্জ।যথাযথভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে, রেজিষ্ট্যারকৃত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যাতে দেখতে হবে কোন প্রকার অন্যান্য কোন প্রকার সমস্যা হতে পারে কি না, এই সামান্য আঘাতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এবং বড় ধরনের ব্যয় হতে পারে, যেমনঃ এইচ,আইভি-এইডস, হেপাটাইটিস বিওসি, রক্ত জমাট বাধাঁ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
ইলেক্ট্রিক্যাল বর্জ্য আঘাত প্রাপ্ত হলেঃ ইলেক্ট্রিক্যাল বর্জ্য বলতে বুঝায় যেমনঃ ক্যাবেল, মেশিন, এসি, কম্প্রেসার, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ল্যাম্প, রড লাইট, বাল্ব লাইট, স্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি যদি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে যথাযথভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে এবং রেজিষ্ট্যারকৃত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, তবে কোন কেমিক্যালযুক্ত বা এসিড যুক্ত কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে ।
অন্যান্য বর্জ্যের আঘাত প্রাপ্ত হলেঃ অন্যান্য বর্জ্য যেমনঃ খালি ড্রাম (প্লাস্টিক বা টিন), টিন, রড, কাঠ, খাবারের উচ্ছিস্ট, অন্যান্য মেটাল জাতীয় দ্রব্য, পেপার, কার্টুন ইত্যাদি যদি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে যথাযথভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে এবং রেজিষ্ট্যারকৃত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শিল্প কারখানায় নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর সচেতনতামূলক প্রশিক্ষনের স্থীর চিত্রঃ
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
শিল্প কারখানায় নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর সচেতনামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ কারী কর্মীদের নামের তালিকাঃ
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(প্রশিক্ষক) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)