জীব বৈচিত্র্য হল- সুস্থ্য মানুষের সাথে একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহের মূল উপাদানসমূহ।পৃথিবীর ভারসাম্য সমান্তরাল রাখার জন্য জীববৈচিত্র্য সুষ্ঠু ভাবে টিকিয়ে রাখা খুবই জরুরী।জীবের আচরনকে পরিবর্তন করে এমন প্লাটফর্ম সহ বিভিন্ন উপকরণ এবং স্কেল গুলির ভিন্নতাকে গ্রহন করে এমন একাধিক পদ্ধতি জীব বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। .................. এর কার্য প্রক্রিয়া এবং ব্যবহারিক কাজের দ্বারা জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের সর্বনি¤œ বা একেবারেই ক্ষতি না করা আমাদের লক্ষ্য/নীতি।কারখানার সকলেই জীববৈচিত্র্য বিষয়ক পলিসির বিষয়ে অবগত এবং পালনে বদ্দপরিকর।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির নেতিবাচক প্রভাবগুলির জন্য বর্তমান মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলি পর্যাপ্ত নয়।সকলের কাছে জীব বৈচিত্র্যের একাধিক মূল্যবোধকে বোধগম্য করার জন্য যথাযথ মূল্যায়ন ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির বিকাশ ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি সঠিক আচরণ নিশ্চিত করাই হল এই পলিসির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।ফ্যাক্টরিতে কর্মরত সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের যে কোন ধরনের কেমিক্যাল নিরাপদে গুদামজাতকরণ,ব্যবহার ও পরিচালনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা একান্ত বাঞ্চনীয়। এ ব্যপারে সকলকে প্রশিক্ষণ,মনিটর বা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরো সুদৃঢ় করার জন্যই ফ্যাক্টরীতে জীববৈচিত্র্য বিষয়ক নীতিমালা কার্যক্রম সঠিক সুনিয়ন্ত্রিত করা একান্ত প্রয়োজন ।পরিবেশ বান্ধব অথবা ঝুঁকিমুক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা। প্রতিষ্ঠানে কেমিক্যাল ব্যবহার কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করে, কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কমকর্তাগনের ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ, স্বাভাবিক কর্ম পরিবেশ অব্যাহত রাখা।
নীতিমালাঃ
.................. এ যা কারখানার সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিক,কর্মচারী,কর্মকর্তা সহ সকলের জন্য প্রযোজ্য। ফ্যাক্টরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পাদন করার নিমিত্তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কাজকর্ম সম্পাদন করা হয় সেগুলো যেনো পরিবেশ প্রতিবন্ধি না হয় বা পরিবেশের কোন ধরনের ক্ষতি না করে সেটির প্রতি সচেতন থেকে কাজ পরিচালনা করা।কারখানায় বিভিন্ন কাজ সম্পাদন ও নানা কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারীদের যে কোন ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে, জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক অবস্থা নিশ্চিত করতে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। কেমিক্যাল ব্যবহার সঠিক এবং সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য কারখানায় এর একটি তত্ত¦াবধায়ক দল বা কমিটি রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম নিয়ে নিরক্ষন করে থাকে,যা সঠিকভাবে কার্যপরিচালনা করতে, ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সমস্যা উৎঘাটন, চিহ্নিত করন এবং প্রতিরোধে,সমাধানে নিরলস ও সচেষ্ট। সর্বোপরি নিরাপদ, শঙ্কামুক্ত ভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় এবং সার্বিক নিরাপত্তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর যা পরিবেশের জন্য বিরুপ প্রকাশ না করে।
জীববৈচিত্র্য বিষয়ক নির্দেশনাঃ
ক্স কারখানার কাজকর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনরুপ পরিবেশ পরিপন্থি কাজ না করা।
ক্স কাজের কোন প্রক্রিয়ায় যেন পরিবেশ/জীবজন্ত্রু/প্রানীকূলের কোনরূপ ক্ষতি না হয় সেই বিষয়ে সচেতন থাকা।
ক্স কারখানা থেকে উৎপন্ন বর্জ্য যেন পরিবেশ বা জীববৈচেত্র্যের জন্য হুমকির কারন না হয় সেই বিষয়ে সচেতন থাকা।
ক্স পানি অপচয় রোধ করা।
ক্স রিইউজ বিষয়ে সচেতন থাকা এবং যে সকল জিনিসগুলোর রিইউজ করা যায় সেগুলোর রিইউজ করা। এনার্জি সমূহের যথাযথ ব্যবহার করা ও অপচয় রোধ করা।
ক্স যে কোন কেমিক্যাল ব্যবহারে সচেতন থাকা ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার না করা।
ক্স শুষ্ক বর্জ্য বাতাসে কিংবা বৃষ্টির পানিতে যেন অন্যত্র চলে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে।
ক্স শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কাজের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ।
ক্স নিয়োগকর্মীদের স্বাস্থ্যগত ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞা না করা।
ক্স ইটিপি থেকে ঊৎপাদিত বর্জ্য পরিবেশ আইন মোতাবেক নিষ্ক্রিয় করা।
ক্স নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্রকিদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করা ।
ক্স নিজেকে/অন্যকে/পরিবেশ বিপন্ন করে কোন কিছু করা যাবে না।
ক্স পরিবেশ সংরক্ষন আইন এ বর্ণিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক আইনগুলো অনুসরন করা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগনের অর্গানোগ্রামঃ
পলিসি কার্যকর করতে নিয়োজিত কর্মকর্তাগনের দায়িত্বও ও কর্তব্যঃ
মহাব্যবস্থাপক (কমপ্ল্যায়েন্স ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেফটি) ঃ
ক্স জীববৈচিত্র্য বিষয়ক নীতিমালা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিয়মিত প্রতিবেদন সংগ্রহ করে নির্বাহী পরিচালক সহ উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
ক্স নীতিমালা পরিবর্তন ও সংযোজন করার প্রয়োজন হলে তা স¤পন্ন করা।
ক্স সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সহ-মহাব্যবস্থাপক (এইচ আর এন্ড এডমিন) ঃ
ক্স জীববৈচিত্র্য বিষয়ক নীতিমালা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিয়মিত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা। যে কোন প্রয়োজনে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের ব্যবস্থা করা।
ক্স নীতিমালা পরিবর্তন ও সংযোজন করার প্রয়োজন হলে তা স¤পন্ন করা।
ক্স সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন সংগ্রহ করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
ব্যবস্থাপক (কমপ্ল্যায়েন্স)ঃ
ক্স ব্যবস্থাপক এর প্রধান দায়িত্ব কারখানার কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন কাজে পরিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করা ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা ।
ক্স জীববৈচিত্র্য বিষয়ক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কারখানার সকল কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ক্স নিয়মিত তদারকি করা।
ব্যবস্থাপক (সাসটেইনেবিলিটি)ঃ
ক্স ব্যবস্থাপক এর প্রধান দায়িত্ব কারখানার কাজের সাথে সম্পৃক্ত কোন কাজে পরিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করা ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা ।
ক্স পরিবেশ ও কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাম্যক সচেতনতা অনুসরন করা ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করা।
ক্স জীববৈচিত্র্য বিষয়ক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং কারখানার সকল কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ক্স নিয়মিত তদারকি করা।
সকল বিভাগীয় নির্বাহীঃ
ক্স কাজের ক্ষেত্রে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় এমন কোন বিষয় দেখলে দ্রæত উর্ধতন কর্র্তপক্ষকে জানানো ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।
ক্স সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা।
ক্স জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনে সবসময় সচেতন থাকা।
নীতিমালা বাস্তবায়নঃ
............................................. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব ও ঝুকিমুক্ত কেমিক্যাল ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ ও অপসারণ এবং জিরো ডিসচার্জ অব হ্যাজারডাস কেমিক্যাল-২০২১ মিশণকে সফল করার লক্ষ্যে কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের জন্য কারখানার প্রশাসন/মানব স¤পদ/কমপ্লায়েন্স/ প্রকিউরমেন্ট/ এনভায়রনমেন্ট/ সেফটি বিভাগের কর্মকর্তারা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। কেমিক্যালের নিরাপদ ব্যবহার ও প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাহী (পরিবেশ ব্যবস্থাপনা/ কমপ্লায়েন্স) কে ক্ষমতা প্রদান করা হল এবং নীতিমালা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন পদাধিকার ক্ষমতা বলে দায়িত্ব পালন করবেন ।
তথ্য মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রনঃ
ক্স ইন্টারনাল অডিট এর বিষয়াদি নিয়ে রিপোর্ট তৈরী করতে হবে এবং রির্পোট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
ক্স হিট ওর্য়াক কর্ম সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে এই মর্মে রিপোর্ট তৈরী করতে হবে এবং উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা অবগত করতে হবে।
ক্স প্রতিদিন শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তাগনের সাক্ষাৎকার গ্রহন করতে হবে যে কাজ করতে গিয়ে তারা কোন ধরনেরর অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা । তাছাড়া কর্ম প্রক্রিয়া আরো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদের কোন উন্নত উপলব্দি থাকলে তা নোট করতে হবে।
ক্স কোন ধরনের ক্রটি বা গড়মিল পরিলক্ষিত হলে দ্রæত যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
ক্স জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষন সম্পর্কে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ক্স প্রশিক্ষনের পর তাদের ফিডব্যাকের ব্যবস্থা করেত হবে।
ফিডব্যাক ও কন্ট্রোলঃ
পলিসি বাস্তবায়নে সংগঠনের সদস্যরা সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে কিনা, পলিসি বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও রুটিন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের সকল মাধ্যম সক্রিয় আছে কিনা, পলিসি বাস্তবায়নে অঙ্গিকার, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়েছে কিনা প্রভূতি বিষয়ের উপর অভ্যন্তরীন অডিট পরিচালিত হয়। এছাড়াও পলিসি বাস্তবায়নে যোগাযোগ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারন শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনোভাব, তাদের জানার পরিধি এবং প্রায়গিক ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের মাত্রা নিরুপনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পত্রের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।