স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা _____________________________-এর সকল শ্রমিগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _____________ইং, রোজঃ _______________ সকাল __________ টা থেকে _________ ঘটিকা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেকশনের শ্রমিকদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিমোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণে উল্লেখিত বিভাগ/সেকশনের সকল শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(মেডিক্যাল অফিসার)।
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
ভুমিকা, ২. সংক্রামক ব্যাধি কি? ৩. বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগের কারণ ৪.কিভাবে এগুলো ছড়ায় ৫. এর প্রভাব এবং চিকিৎসা, ৬. সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের উপায় ৭. সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায় ৮. করোনা ভাইরাস : সচেতনতা ও করণীয় ৯. উপসংহার।
অতএব, উল্লেখিত সেকশন/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ
ভূমিকাঃ রোগহীন জীবনই হলো সুস্থ্য জীবন। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কি কেউ আছে যে তার কোন রোগ নেই ,এমনটা পাওয়া অসম্ভব। জীবনযাপন করতে গিয়ে প্রত্যেককেই কোন কোন অসুখ - বিসুখের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে। আর এই অসুখ বা রোগ গুলো বড় ধরনের হতে পারে আবার ছোট খাটোও হতে পারে। তারপরেও তার পরিচয় অসুখ বা রোগই। এই রোগ গুলো থেকে মানুষ রেহাই পাওয়ার জন্য এবং বেঁচে থাকার তাগিদে বিভিন্ন ঔষুধ পত্র সেবন করছে। হয়ত কোন সময় রোগ সেরে যাচ্ছে আবার অনেক সময় নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরেও মানুষের জীবন থেমে নেই।
সংক্রামক রোগ কি? সংক্রামক রোগ হল কোন জীবের দেহকোষে রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্টের অনুপ্রবেশ, আক্রমণ, সংখ্যা বৃদ্ধি, আশ্রয়দাতার সাথে সংঘটিত বিক্রিয়া এবং এর ফলে উৎপন্ন বিষক্রিয়া। অর্থাৎ কিছু রোগ একজনের থেকে অন্য জনে ছড়ায় তাই সংক্রামক রোগ। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ,ছত্রাক ইত্যাদি সংক্রামক রোগ, সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট রোগ যা ছোঁয়াচে রোগ নামেও পরিচিত।
বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ, রোগের কারণ, এবং কিভাবে এগুলো ছড়ায়ঃ
(ক) বায়ুবাহিত রোগঃ হাম, হাঁচি-কাশি, গুটি বসন্ত ,যক্ষা ইত্যাদি।
(খ) পানিবাহিত রোগঃ কলেরা, ডায়রিয়া, জন্ডিস, কালাজ্বর, টাইফয়েড ইত্যাদি দুষিত পানি পান করার মাধমে ছড়ায়।
(গ) প্রাণী ও পোকামাকড় বাহিত রোগঃ বাদুর ভাইরাস জনিত রোগ সৃষ্টি করে, মশা ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়, কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্গ রোগের সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় রোগাক্রান্ত রোগীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীর শ্বাস - প্রশ্বাস, রক্ত, মল- মূত্র, থুথুর মাধ্যমে ও এ রোগ ছড়ায়। অবাধ যৌন সঙ্গমের ফলে ও বিভিন্ন যৌনবাহিত অসুখ এবং এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ও দুধ, মাছ, মাংস, ডিম জীবানুমুক্ত না করে খেলে এদের থেকে সংক্রামক রোগের জীবানু আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
সংক্রামক রোগের প্রভাব এবং গবেষণা কেন্দ্র ঃ
সংক্রামক একটি ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস অথবা ছত্রাক ঘটিত মারাত্মক রোগ যা প্রানি থেকে মানুষে আসে এবং প্রাণি বা অন্যান্য পোকামাকড় এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মানুষ যে সকল সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় তার প্রতি ১০টি রোগের ৬টি প্রাণি ছড়ায়। যার ক্ষতির প্রভাব সুদূরপ্রসারী হলেও আমাদের দেশে এ রোগের সম্পর্কে তেমন কোন গবেষণা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ জানে না এ রোগের থেকে বাঁচার উপায় বা এ রোগে আক্রান্ত হলে আধুনিক চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা তেমন নেই। ফলে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক রোগের ক্ষতির চেয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ রোগের আতঙ্কই লক্ষ্য করা গেছে বেশি। তবে বর্তমানে ইউরোপ ভিত্তিক সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল - ইউ কে (বাংলাদেশ শাখা) এই প্রকল্পের মাধ্যমে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে দেশের প্রথম সংক্রামক রোগ গবেষণা কেন্দ্র।
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের উপায়ঃ
(ক) রোগাক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।
(খ) সময় মত প্রয়োজনীয় টিকা নেয়া।
(গ) হাঁচি / কাশির সময় টিস্যু বা রুমাল নেয়া।
(ঘ) সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার না করা।
(ঙ) সুষম খাদ্য গ্রহণ , নিরাপদ পানি পান করা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিহার করা।
সংক্রামক রোগ প্রতিকারের উপায়ঃ
সংক্রামক রোগ যাতে ছড়িয়ে পরতে না পারে সেজন্য রক্ত দান করার আগে রক্ত দাতার রক্তে ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস - বি, এইডস এর জীবানু আছে কিনা তা যাচাই করা। আর সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা যাতে করে এই রোগ ছড়িয়ে পরতে না পারে। পতঙ্গ দমন করার মাধ্যমে অনেক সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
উপসংহারঃ রোগ - শোক নিয়েই মানবজীবন। আর তাই প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু আমাদের সচেতনতাই পারে বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে দূরে রাখতে। সুস্থ শরীর ও মন সুন্দর কর্মপরিবেশ গঠনে সহায়তা করে। আর সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে _______________________এর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জীবনের মান্ন্য়োনে বদ্ধ পরিকর।
সংক্রামক ব্যাধি ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের স্থির চিত্র
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
সংক্রামন ব্যধি বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের নামের তালিকা ঃ
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(প্রশিক্ষক) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)