স্মারক নং-______/এইচ.আর.ডি/০৮/২০__ইং তারিখঃ ___/__/___ইং
এতদ্বারা _____________________________-এর সকল শ্রমিগণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী _____________ইং, রোজঃ _______________ সকাল __________ টা থেকে _________ ঘটিকা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেকশনের শ্রমিকদের নিয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং (সংশধিত শ্রম আইন ২০১৩ এবং সংশধিত শ্রম আইন ২০১৮) এর নিমোক্ত বিষয়সমুহের আলোকে এক সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত প্রশিক্ষণে উল্লেখিত বিভাগ/সেকশনের সকল শ্রমিকদেরকে অংশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
তারিখঃ _________________ইং
প্রশিক্ষণের বিষয় ঃ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষন ।
ভেন্যু/স্থান ঃ প্রশিক্ষণ কক্ষ
প্রশিক্ষণের সময়ঃ সকাল ____ঘটিকা
প্রশিক্ষকঃ _____________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
পরিদর্শকঃ _____________________(এ্যাডমিন, এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
১. ভূমিকা, ২. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরজ্জামাদির ব্যবহারের নিয়ম, ৩. উপসংহার।
* বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত-২০১৩) সম্পর্কে আলোচনা।
অতএব, উল্লেখিত সেকশন/ বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণের নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ কক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হইল।
ধন্যবাদান্তে,
_______________________ এর পক্ষে-
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
(এ্যাডমিন,এইচ আর এন্ড কমপ্লায়েন্স)
অনুলিপিঃ
০১) সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় প্রধান;
০২) অফিস ফাইল;
০৩) নোটিশ বোর্ড
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষনের উপর আলোচনা
ভূমিকাঃ নিরাপদ কর্মক্ষেত্রে গড়ে তুলার জন্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামুলক সরঞ্জামাদির ব্যবহার করতে হবে। _________________ কতৃপক্ষ নিরাপত্তামুলক সরঞ্জামাদির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি পালন করে থাকে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরজ্জামাদির ব্যবহারের নিয়ম ঃ
১। যে সমস্ত মেশিনে নিডেল গার্ড ব্যবহার করা হয়, সে সমস্ত মেশিনে নিডেল গার্ড লাগাতে হবে।
২। অপারেটরগন নিশ্চিত করবে তাদের মেশিনে নিডেল গার্ড লাগানো আছে। যদি কোন মেশিনে নিডেল গার্ড লাগানো না থাকে অপারেটর সাথে সাথে সুপারভাইজার ও মেকানিকের দৃষ্টি আকর্ষন করবে। মেকানিকগন তাৎক্ষনিক নিডেল গার্ড প্রতিস্থাপন করে দিবেন।
৩। প্রতিটি ওভারলক, ফ্লাটলক ও অন্্যান্য কিছু মেশিনে আইগার্ড ব্যবহার করতে হবে। যদি কোন মেশিনে আইগার্ড না থাকে বা ভেঙ্গে যায় তবে সাথে সাথে সুপারভাইজার ও মেকানিককে জানাতে হবে। মেকানিক তাৎক্ষনিক ভাবে অইগার্ড প্রতিস্থাপন করে দিবে।
৪। নিডেল গার্ড ও আইগার্ড ব্যতিত মেশিন চালানো সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ।
৫। প্রতিটি মেশিনের সাথে মটর পুলি থাকে এবং এই পুলি একটি রাবার দ্বারা মেশিনকে পরিচালনা করে। অনেক সময় এই রাবারের ওড়না বা চুল পেচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাই এই পুলি এবং রাবার কভার দ্বারা আবৃত থাকে। যদি কোন মেশিনে পুলি কভার না থাকে তবে সাথে সাথে মেকানিক বা ইলেক্ট্রিশিয়ানকে জানিয়ে তা প্রতিস্থাপন করে নিতে হবে।
৬। সাধারনত ওভারলক ও ফ্লাটলক মেশিন দ্বারা কাপড় সেলাই করার সময় এক ধরনের হালকা ময়লা বের হয়, যা সহজেই স্বাস-প্রস্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পরবর্তীতে দেখা দেয় স্বাস কষ্ট, যক্ষা ও ক্যানসারের মত মারাত্বক রোগ। সম্ভাব্য এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিটি অপারেটর ও হেলপারকে বাধ্যতামুলক ভাবে মাস্ক পরিধান করে কাজ করতে হবে।
৭। সকল কেমিক্যাল এক ধরনের দাহ্য কেমিক্যাল। কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তবে কাজ করার সময় অবশ্যই কেমিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। কেমিক্যাল কক্ষে কোন মহিলা বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের প্রবেশ সম্পূর্ন নিষিদ্ব।
১১। হ্যান্ড ট্যাগ গানে অবশ্যই ব্যবহারকারীর নাম লিখে রাখতে হবে। ট্যাগ গানের নিডেল নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সংরক্ষন করতে হবে এবং সঠিক হিসাব রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
১২। আয়রন মেশিন দ্বারা কাজ করার সময় সম্ভাব্য ইলেট্রিক্যাল শক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পায়ের নিচে রাবার ম্যাট ব্যবহার করতে হবে। আয়রন করার পর আয়রনটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে এবং সাবধানে নাড়াচড়া করতে হবে যাতে শরীরের কোথাও গরম ছাকা না লাগে। আয়রন যখন ব্যবহার হবে না তখন সুইচ টি বন্ধ করে রাখতে হবে।
১৩। আয়রনের জন্য সঠিক তারটি ব্যবহার করতে হবে এবং ইলেকট্রিশিয়ানগন তার স্থাপনের সময় এদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন।
১৪। সকল ইলেকট্রিক্যাল বোর্ডের নিচে সব সময় রাবারম্যাট রাখতে হবে সম্ভাব্য ইলেকট্রিক্যাল শক এড়াতে।
১৫। শুধু মাত্র ইলেকট্রিশিয়ান ব্যতীত অন্য কেহ কোন অবস্থায় ইলেক্ট্রিক্যাল পেনেল বোর্ডে হাত দিতে পারবে না।
১৬। জেনারেটর রুমে সাধারনতঃ উচ্চ শব্দমাত্রা বিদ্যমান থাকে। এই উচ্চ শব্দমাত্রা শ্রবনশক্তির ক্ষতি করতে পারে বিধায় জেনারেটর রুমে কাজ করার সময় ্এয়ারপ্লাগ ব্যাবহার বাধ্যতামুলক।
১৭। কাপড় কাটার কেঁচি এবং সুতা কাটার যন্ত্র কাজ করার সময় টেবিলের সাথে বেধে রাখতে হবে।
১৮। সকল নিরাপত্তামুলক সরমঞ্জাদি কর্তৃপক্ষ বিনামুল্যে সরবরাহ করবে এবং এতদসংক্রান্ত তথ্য রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে।
উপসংহারঃ কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও দুর্ঘটনা হ্রাস কারার লক্ষ্যে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার সচেতন থাকতে হবে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার কর্মক্ষেত্রে ঝুকি মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষনের স্থিরচিত্র
চিত্রঃ ০১ চিত্রঃ ০২ ( সংযুক্ত করতে হবে)
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদির ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকাঃ
সহ: মহাব্যবস্থাপক
(প্রশিক্ষক) (এ্যাডমিন এন্ড এইচ আর)