নিরাপত্তা নীতিমালা
Internal Security Policy


ভূমিকাঃ

নিরাপত্তা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ করে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমাজের চারিপাশে বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রেও 
বিস্তৃত হয়েছে। ফলে পোষাক শিল্পে পণ্য আমদানী ও রপ্তানী ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে দেখা দিয়েছে।

আমাদের ক্রেতাদের আদেশকৃত পণ্যের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা একটি নীতিমালা, নির্দেশনা ও পদ্ধতি প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বৃৃদ্ধি এবং সম্পত্তি রক্ষা ও সর্বোপরি বাস্তবায়নে এই নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সম্পদ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিষ্ঠানের অভিপ্রায় হলো নিরাপত্তার বিভিন্ন দিককে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে চুরি, ধ্বংস ও অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠানের জনবল, সম্পদ এবং তথ্যাদি সংরক্ষইে শ্রেষ্ঠতর এবং কার্যকরী কর্মপন্থা প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নীতি হলো সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল ও কর্মরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষইের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে উচ্চ নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা। প্রতিষ্ঠান সব সময় বিশ্বাস করে যে, তাদের পণ্য যেহেতু বিদেশে রপ্তানী হয় তাই ক্রেতাদের নিরাপত্তাকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

কোম্পানির নাম  কর্তৃপক্ষ আশা করে, প্রতিষ্ঠান যে নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তাহা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীবৃন্দ মানিয়া চলিবে। তদুপরি প্রতিষ্ঠানের সাথে যাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে কর্তৃপক্ষ এ নীতিমালা বাস্তবায়নে তাদেরও সহযোগীতা কামনা করে। কারণ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য হলো Supply Chain Security  ব্যবস্থা প্রয়োগ করে পণ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাস করার মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদেরও নিরাপদে রাখা।  

চাকুরীর পূর্ব শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের ইতিহাস যাচাইকরণঃ
ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নি¤েœাক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ
    কর্তৃপক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করার সময় সকল সম্ভাব্য কর্মচারী তাদের আসল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্থানীয় চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক প্রাপ্ত সনদ দেখা হয়।
    মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আসল সনদ এর সত্যতা যাচাই করে এর একটি প্রতিলিপি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করে।
    মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার পূর্ব ইতিহাস যাচাই করে ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করে থাকে। 
    চাকুরী পূর্ব তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ একটি গ্রহণযোগ্য ফরমের মাধ্যমে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তার চাকুরীর পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে।
    প্রতিটি নিরাপত্তা প্রহরী এবং সংরক্ষিত এলাকায় যারা কর্মরত আছেন এদের সকলের স্থানীয় থানা থেকে তাদের চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাই করা হয়।
    যদি কোন কর্মচারীর ব্যাপারে কারো নিকট থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায় তবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঐ কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য আবার যাচাই করবে।
    যদি কোন শ্রমিকের প্রদত্ত তথ্যে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে সাথে তার চাকুরীর অবসান করা হবে।

কোম্পানির নাম -এর কর্তৃপক্ষ আশা করে প্রতিটি শ্রমিক তাদের সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি সুসম্পর্ক বজায় রাখবে। যদি কোন তথ্য সংযোজন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় তবে শ্রমিকগণ স্বেচ্ছায় তা মানব সম্পদ বিভাগে জানাবে। এর পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ মাঝে মাঝে প্রতিটি শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য পূণঃযাচাই করবে। 

 

নিয়োগকরণ ক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক নির্দেশিকাঃ
    মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। অন্য কোন বিভাগ কোন নিয়োগের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
    নিয়োগের পূর্বে প্রার্থীর নিকট থেকে আবেদনপত্র ও বায়োডাটা নিতে হবে।
    প্রার্থী যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় নির্বাচিত হবার পর তার নিকট থেকে আসল জাতীয়তা সনদ/জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মসনদ বা স্থায়ী ঠিকানার চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্র দেখতে হবে।
    প্রত্যয়নপত্র সঠিক বলে প্রতীয়মান হলে তাকে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে, অন্যথায় তার নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।
    স্বহস্তে লিখিত কোন প্রত্যয়ন পত্র সঠিক বলে গণ্য হবে না।
    সঠিক প্রত্যয়ন পত্রের একটি অনুলিপি ব্যক্তিগত ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে।
    শ্রমিক নিয়োগের পর তার বর্তমান ঠিকানা ও শেষ চাকুরী স্থলে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত ইতিহাস যাচাই করতে হবে।
    নিরাপত্তা প্রহরী ও সংরক্ষিত এলাকায় কর্মরত সকল শ্রমিকের স্থানীয় থানা থেকে পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ জ্ঞানত কোন দাগী অপরাধীকে কারখানায় নিয়োগ করবে না বা কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারে কোন অপরাধী শ্রমিককে নিয়োগ দেওয়া হলে, পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ
    কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী শ্রমকি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাবে।
    মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ চাহিদা মোতাবেক লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিবে বা তাদের নিজস্ব ঠিকাদারের নিকট থেকে লোক সংগ্রহ করবে।
    নিয়োগের পূর্বে প্রার্থীর নিকট থেকে আবেদন পত্র ও জীবন বৃত্তান্ত নেওয়া হবে বা যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রমিক নেওয়া হবে তাদের নিকট থেকে সবার জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হবে।


    প্রার্থীদের নিকট থেকে জীবন বৃত্তান্তের সাথে প্রতিটি শ্রমিককে তাদের আসল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্থানীয় কমিশনার/চেয়ারম্যানের প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
    মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ আবেদনপত্র, জীবন বৃত্তান্ত ও জাতীয়তা সনদপত্র যাচাই করে শ্রমিক নিয়োগ করবে।
    অস্থায়ী শ্রমিকগণের জন্য কর্তৃপক্ষ আলাদা ধরনের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করবেন এবং শ্রমিকগণ কারখানায় অবস্থানকালীন সময় সার্বক্ষণিক পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করিবেন।
    কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী শ্রমিকদের গতিবিধির উপর নজর রাখবেন এবং কোন ধরনের অসামঞ্জ্যসতা পাওয়া গেলে সাথে সাথে উক্ত শ্রমিককে কারখানা থেকে বাহির করে দেওয়া হবে।
    সাধারণত স্বল্পকালীন কাজের জন্য অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।
    অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়োগের পর প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দেওয়া হবে এবং তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
    প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্তৃপক্ষ যে নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন অস্থায়ী শ্রমিকগণ তা মানিতে বাধ্য থাকিবে।

 

চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ভিবাগের দ্বায়িত্বঃ
শ্রমিকগণ যেকোন সময় স্বেচ্ছায় তার চাকুরী থেকে অবসর নিতে পারেন, তেমনি যে কোন কর্মচারীকে কর্তৃপক্ষ চাকুরী অবসান বা বরখাস্ত করতে পারেন। শ্রমিকের চাকুরী অবসান স্বেচ্ছায় হোক বা বরখাস্ত অথবা মালিক কর্তৃক অবসানের কারণে হোক এ সমস্ত শ্রমিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। যেমনঃ
    শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা যারাই চাকুরী ত্যাগে আগ্রহী, প্রত্যেকেই কর্তৃপক্ষের নিকট পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। 
    স্বেচ্ছায় পদত্যাগ, বরখাস্ত, কর্মচ্যুতি বা মালিক কর্তৃক অবসান যে কোন কারণেই চাকুরীর অবসান হোক না কেন কর্মচারী কারখানা ত্যাগ করার পূর্বে তার নিকট রক্ষিত প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত পোষাক, পরিচয়পত্র, প্রতিষ্ঠানের মালামাল বা মূল্যবান কাগজপত্র মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিবেন।
    যদি কোন শ্রমিকের চাকুরীচ্ছেদ বরখাস্ত বা মালিক কর্তৃক অবসানের কারণে হয়ে থাকে তবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তার নিকট থেকে প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত মালামাল পাওয়ার পর তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের তত্ত¡াবধানে গেটে পৌছে দিবেন। এক্ষেত্রে তাকে কোনভাবেই উৎপাদন কক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের অন্যত্র কোথাও যেতে দেওয়া যাবে না।
    প্রতিমাসের শেষ দিন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ চলতি মাসের চাকুরী থেকে পদত্যাগকৃত কর্মচারীদের তালিকা নিরাপত্তা বিভাগে প্রেরণ করবে এবং জরুরী ভিত্তিতে পদত্যাগকৃতদের তালিকা তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণ করবে।
    প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ব্যক্তিদের তালিকা ও ছবি নিরাপত্তা বিভাগের নিকট রক্ষিত বোর্ডে প্রদর্শন করা হবে, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।
     যদি কোন কারণে কোন চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্বাবধানে তিনি শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। 
    চাকুরী অবসানের সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কম্পিউটার থেকে শ্রমিকের কার্ড নম্বরটি মুছে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার বন্ধ করে দিবে।

 

পরিচয়পত্রের ব্যাপারে নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্বঃ
একজন শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তার জন্য পরিচয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি শ্রমিকের একটি পরিচিতি নম্বর থাকে, যার মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি শ্রমিকের এককভাবে তার পরিচিতি চিহ্নিত করা এবং কারখানার অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
    কর্তৃপক্ষ সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিচয়পত্র এবং কারখানায় আগত সকল দর্শণার্থীদের ভিজিটর পাস প্রদান করে থাকে। 
    শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাগণ পরিচয়পত্র পরিধান করে কারখানায় প্রবেশ করেন।
    নিরাপত্তা কর্মীগণ কারখানায় প্রবেশের সময় প্রতিটি শ্রমিকের পরিচয়পত্র চেক করে থাকে। 
    কারখানায় অবস্থানকালীন প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।
    প্যাকিং এরিয়া, উৎপাদিত পণ্য এলাকা এবং লোডিং এরিয়ার যারা প্রবেশ করতে পারবে তাদের জন্য আলাদা পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে, যাহা অন্যদের থেকে সহজে পৃথক করা যায়। 
    দর্শনাথীগণ অবশ্যই কারখানায় অবস্থানকালীন সময় পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকবেন এবং কারখানা ত্যাগের আগে তার পরিচয়পত্রটি নিরাপত্তা বিভাগে ফেরত দিয়ে যাবেন।
    কোন দর্শনাথী যদি ভিজিটর পাস পরিহিত অবস্থায় না থাকেন তবে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীগণ তাকে যেকোন মুহুর্তে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।

    প্যাকিং এরিয়া এবং লোডিং এরিয়ায় প্রবেশের পূর্বে নিরাপত্তা কর্মীকে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হয়।
    মালিক কর্তৃক অবসান, কর্মচূত্যি, বরখাস্ত বা পদত্যাগের কারণে যদি কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান ঘটে থাকে তবে তিনি তার পরিচয়পত্র অবশ্যই মানব সম্পদ ব্যবস্থা বিভাগে জমা দিয়ে থাকে। 
    যদি কোন শ্রমিক পরিচয় পত্র হারিয়ে ফেলে তবে সে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাবে এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে নতুন কার্ড ইস্যু করবে।
    পুরাতন পরিচয় পত্র পাওয়া গেলে সাথে সাথে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জমা দিতে হবে।
    যদি কোন দর্শনার্থী তার কার্ডটি হারিয়ে ফেলে তবে তা অবশ্যই নিরাপত্তা বিভাগে জানাবে এবং নিরাপত্তা বিভাগ প্রশাসনিক বিভাগকে ব্যাপারটি অবহিত করবে। 
    যদি কেউ পরিচয়পত্র ভুলে না নিয়ে আসে সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানকে গেটে ডেকে আনবেন।
    তিনি শ্রমিকের পরিচয় সনাক্ত করার পর শ্রমিককে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

কর্তৃপক্ষ আশা করে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং তৃতীয় পক্ষ যাদের সাথে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বা কোন দর্শনার্থী যারা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসেন তার প্রত্যেকে উপরোক্ত নিয়মগুলি মানিয়া চলিবে। 

ব্যক্তি নিরাপত্তাকরণঃ
ব্যক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হলো পূর্ব ইতিহাস যাচাইয়ের মাধ্যমে নতুন ও পূরাতন কর্মচারীদের কাজের যোগ্যতা নিরূপণ করা এবং তাদের সততা নির্ণয় করা। মাঝে মাঝে পুরাতন কর্মচারীদের ইতিহাস যাচাইয়ের মাধ্যমে তাদের দ্বারা ভাল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়। দুর্বল নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলে নিরাপত্তা ভঙ্গের আশংকা, আর্থিক ক্ষতি এবং উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

    কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সম্ভাব্য স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের নিকট থেকে পূর্ব ইতিহাস সংগ্রহ করে থাকে।
    কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য পূণঃযাচাই করবে।
    শ্রমিকগণ কোন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত কিনা তা যাচাই করার জন্য কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে সন্দেহজনক শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনস্তাত্তি¡ক পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন।
    কারখানায় প্রবেশের সময় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিচয়পত্র ভালভাবে পরীক্ষা করা হয়।
    কারও পরিচয় বা পরিচয় পত্র নিয়ে কোন ধরণের সন্দেহের সৃষ্টি হলে দায়িত্ব পালনরত নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
    প্রতিষ্ঠানের সাথে যাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে এদের প্রত্যেকের নিকট থেকে পরিচয় পত্র ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দ্রব্য রেখে দেওয়া হয়, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কোন ক্ষতি না করতে পারে।

কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি কর্মচারীর ইতিহাস যাচাই করা দরকার, কারণ নিরাপত্তা ভঙ্গের একমাত্র প্রধান উপাদান হলো শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তা। 

নিরাপত্তা বিভাগের অবস্থানগত দিক নিয়ে আলোচনাঃ
কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা হল কারখানার আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা। কারখানার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উদ্দেশ্য হলো বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ রোধ করার মাধ্যমে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। 

কারখানার অবস্থানগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নি¤েœাক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ 
ক) বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়াল; খ)    গেইট এবং গেইট পোষ্ট; গ) পার্কিং এলাকা;    ঘ) বিল্ডিং এর গঠন; ঙ) তালার ব্যবস্থা এবং চাবি সংরক্ষণ; চ) আলোর ব্যবস্থা।

ক)    বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়ালঃ নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান শর্ত হলো দেওয়াল সৃষ্টির মাধ্যমে  অন্যের অবস্থান থেকে নিজস্ব অবস্থানকে পৃথক করা। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি নির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। এই অবস্থানকে সুদৃঢ় করার প্রধান ভিত্তি হলো প্রাচীর বা দেওয়াল তৈরীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে অন্যদের থেকে আলাদা করা। এর মাধ্যমে যেমন প্রতিষ্ঠানের অবস্থান সহজেই সনাক্ত করা যায়, তেমনি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর প্রবেশাধীকার রোধ করা যায়। নিরাপত্তা কর্মকর্তা প্রতিদিন বাহিরের প্রাচীর বা দেওয়াল ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখবে কোথাও কোন ভাঙ্গা স্থান দেখা যায় কিনা।

খ)    গেইট এবং গেইট পোষ্টঃ কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য সাধারনত প্রধান গেইট ব্যবহার করা হয়। কোম্পানির নাম-এর অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য একটি গেইট ব্যবহার করা হয়। গেইটটি অত্যান্ত সুরক্ষিত এবং বাহিরের লোকের অনুপ্রবেশ রোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী সম্পন্ন। গেইট রক্ষা করার জন্য একটি নিরাপত্তা গেইট পোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা প্রহরীগণ শক্তভাবে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষ গেইট এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা ঠিকাদার এর সাথে চুক্তি করিয়াছে। চুক্তি অনুযায়ী সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা প্রহরীগণ পালা করে দায়িত্ব পালন করে থাকে। 

গ)    পার্কিং এলাকাঃ কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ পণ্যবাহী কন্টেইনার লোডিং বা আনলোডিং এর জন্য পার্কিং এর জায়গার ব্যবস্থা করিয়াছেন। কন্টেইনার বা কভার্ড ভ্যান কারখানায় আসার পর থেকে পণ্য লোড করে কারখানা এলাকা ত্যাগ করা পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা প্রহরী সর্বক্ষণ পার্কিং এলাকায় অবস্থান করেন।

ঘ)    বিল্ডিং এর গঠনঃ কোম্পানির নাম -এর বিল্ডিং এর গঠন অত্যন্ত মজবুত। বিল্ডিং এর চারিদিকের জানালা উইন্ডো বার দ্বারা সুরক্ষিত করা আছে। প্রতিদিন কারখানা বন্ধ করার পূর্বে নিরাপত্তা প্রহরী সকল জানালা ভালোভাবে চেক করে বন্ধ করে এবং কারখানা খোলার পর ভালোভাবে চেক করে দেখে কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা যায় কিনা।

ঙ)    তালার ব্যবস্থা এবং চাবি সংরক্ষণঃ নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে বহুকাল থেকে তালার ব্যবহার হয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধথাকাকালীন অবস্থায় প্রতিটি গেট তালার সাহায্যে বন্ধ করে রাখে। এছাড়াও কারখানার গেট তালা দেওয়ার পূর্বে প্রতিটি জানালায় তালা লাগানো হয়। তালা বন্ধ করার পর চাবিটি কারখানা ব্যবস্থাপকের বাসায় সংরক্ষন করা হয়। কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জ ও তত্বাবধায়ক প্রতিটি গেট তালা মারার পর তালা সঠিকভাবে লাগানো হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে থাকেন।

চ)    আলোর ব্যবস্থাঃ কর্তৃপক্ষ কারখানার অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছেন। দিনের বেলা সূর্যের আলোর দ্বারা কারখানার অভ্যন্তরে যাতে আলোর ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য কর্তৃপক্ষ বিল্ডিং এর চারিদিকে স্বচ্ছ কাচের জানালার ব্যবস্থা করেছে। রাত্রের বেলা প্রতিটি প্রবেশ ও বাহির পথে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়। বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারনে যাতে আলোর ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য ইমার্জেন্সি পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। লাইটের সুইচ একটি সংরক্ষিত স্থানে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে একমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্য কেউ সুইচ অন অফ না করতে পারে।

নিরাপত্তা বিভাগের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় করণীয়ঃ 
কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা চাকুরী থেকে অবসায়নকৃত শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কর্মচারীর অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কর্মচারীদের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নি¤েœাক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ 
    কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের কারখানায় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছেন। 
    কারখানায় প্রবেশ, বাহির এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময় সব কর্মচারী তাদের পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।
    পরিচয়পত্র ব্যতীত কাউকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয় না। যদি কেহ পরিচয়পত্র ব্যতীত কারখানায় আসে তবে রেজিষ্টারে তার নাম লিপিবদ্ধ করে তাকে প্রবেশ করানো হয়।
    সকল দর্শনার্থী যারা কারখানায় বিভিন্ন কাজে আগমন করে তারা সকলেই কারখানায় অবস্থানকালীন সময় ভিজিটর পাস পরিহিত অবস্থায় থাকে।
    কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করেছেন, যেখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ চলাচল করতে পারে।
    সংরক্ষিত এলাকায় যাতায়াতকারী অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র বহন করে যাহা অন্যান্য পরিচয়পত্র থেকে সহজে পৃথক করা যায়।
    সংরক্ষিত এলাকায় কাজ করার সময় কর্মচারীগণ পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করেন।
    মালিক কর্তক অবসান, বরখাস্ত , ডিসচার্জ বা পদত্যাগের কারণে যদি কোন শ্রমিকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিচ্ছিন্ন হয় তবে কর্তপক্ষ তার পরিচয়পত্র, তার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এবং মূল্যবান কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর তাকে কারখানার বাহির হবার অনুমতি দেওয়া হয়। 
    চাকুরীচ্যুত বা রিজাইন না দেওয়া শ্রমিকদের তালিকা ও ছবি নিরাপত্তা বিভাগের নিকট রক্ষিত বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।


    যদি কোন কারণে কোন উপরোক্ত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্বাবধানে তাকে শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। 
    যদি কোন শ্রমিক দীর্ঘদিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকে বা দীর্ঘদিনের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করে তবে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনুমতি গ্রহণ ছাড়া প্রোডাকশন ফ্লোরে যেতে পারে না।
    কোন ব্যক্তি যদি পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় না থাকে বা কোন অননুমোদিত ব্যক্তিকে সংরক্ষিত এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়মে তাদেরকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা যাইতে পারে।

দর্শণার্থীদের জন্য নিরাপত্তা বিভাগের করণীয়ঃ
বিভিন্ন সময় দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশ করে থাকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে দেখা করার জন্য। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ কারখানায় আগত কোন দর্শনার্থীদের দ্বারা যাতে প্রতিষ্ঠানের কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য নিন্মোক্ত নীতিমালা মানিয়া চলিবেঃ
    কোন দর্শনার্থী কারখানায় প্রবেশকালে প্রবেশদ্বারে তাকে নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে পরিচয় প্রদান করতে হবে এবং কাঙ্খিত ব্যক্তির নাম ও আগমনের কারণ জানাতে হবে।
    দর্শনার্থী যার কাছে এসেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দর্শনার্থীর পরিচয় ও আগমনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন এবং দর্শনার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইবেন।
    দর্শনার্থী তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন, যদি পরিচয়পত্র না থাকে তবে ব্যবসায়িক কার্ড বা অন্য কোন উপায়ে তার পরিচিতি নিশ্চিত করবেন।
    এরপর নিরাপত্তা কর্মকর্তা দর্শনার্থীদের দেহ ও ব্যাগ মেটাল ডিটেক্টর মেশিন দ্বারা তল­াশী করার পর নির্ধারিত রেজিষ্টারে তার সমস্ত বিবরণ (নাম, ঠিকানা, আগমনের সময়, আগমনের কারণ) লিপিবদ্ধ করার পর “ভিজিটর পাস” প্রদান পূর্বক দর্শণার্থীকে কারখানার ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
    দর্শনার্থী যার নিকট এসেছেন তার নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই তার সাথে অবস্থান করবেন।
    দর্শনার্থীগণ শুধুমাত্র অফিস কক্ষগুলোতেই প্রবেশাধীকার সংরক্ষণ করবেন। যদি কখনো কোন দর্শনার্থীর অফিস কক্ষ ব্যতীত অন্যত্র কোথাও প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে তার সাখে একজন দায়ীত্বশীল কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা প্রহরী অবস্থান করবেন।
    দর্শনার্থী পরিদর্শন শেষে কারখানা ত্যাগ করার পূর্বে তার নিকট থেকে “ভিজিটর পাস” টি সংগ্রহ করতে হবে এবং নির্ধারিত রেজিষ্টারে কারখানা ত্যাগের সময় উলে­খ করতে হবে।
    দর্শনার্থীদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যবস্থাপক, কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীগণ সৌজন্যমূলক আচরণ করবেন।

যদি কোন দর্শনার্থী এই নীতিমালা মানতে অনাগ্রহী হন তবে কর্তৃপক্ষ তাকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য নন।

চাবি সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বিভাগের করণীয়

কারখানার চাবি সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ নি¤েœাক্ত নীতিমালা অবলম্বন করবেঃ 
    কারখানার সকল চাবি (মূল ও অতিরিক্ত) চাবির বাক্সে সংরক্ষিত থাকবে। 
ক)    মূল চাবিগুলো দিয়ে সংশ্লিষ্ট তালা খোলা হবে এবং কার্য্য শেষে পূণরায় চাবির বাক্সে সংরক্ষিত থাকবে। আদান প্রদানের রেকর্ড রেজিষ্টারে রাখা হবে।
খ)    অতিরিক্ত চাবিগুলি চাবির বাক্সে সর্বদা বন্ধ থাকবে। পরিচালক এর অনুমতি ব্যাতিরেকে খোলা হবে না।
    সকল তালা কারখানা/ফ্লোর বন্ধ সাপেক্ষে সিল গালা করতে হবে। 
    কারখানা বন্ধ ও সিল গালা লাগানোর পর সকল চাবি নিরাপত্তা সেকশনে রক্ষিত মূল চাবির বাক্সে সংরক্ষিত হবে।
    চাবি বাক্সের মূল চাবি কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে থাকবে। অতিরিক্ত চাবিগুলো (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) কাছে থাকবে।
    নিরাপত্তা সেকশন সকল চাবির নম্বর লিখে রাখতে হবে। 

 

    অসামঞ্জস্যতাঃ
ক)    চাবি হারানোঃ যদি কখনো কোন চাবি হারিয়ে যায় বা খুজে না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে একটি তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। পুরাতন তালা পরিবর্তন করে নতুন তালার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুরাতন তালাগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। পরিচালক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) এর নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম নিতে হবে। চাবি হারানো গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খ)    তালা নষ্ট হয়ে গেলেঃ নিরাপত্তা পরিচালক/ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের এর আদেশ মোতাবেক পুরানো তালা ভেঙ্গে নতুন তালা সরবরাহ করতে হবে। 
গ)    বন্ধের পর জরুরী কাজে তালা খোলাঃ  যদি কোন কারনে কারখানা বন্ধের পর কারখানার তালা খোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই ফ্যাক্টরী ম্যানেজারের এর অনুমতি সাপেক্ষে কোন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কারখানার তালা খোলা হবে। এক্ষেত্রে যে তালাটি খোলা দরকার শুধুমাত্র সেই তালাটি খোলা হবে। 
    যদি কোন কর্মচারী তার রুম বা টেবিলের চাবি হারিয়ে ফেলে, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানাতে হবে এবং পুরাতন তালা বদলিয়ে নতুন তালার ব্যবস্থা করতে হবে।
    যদি কোন কর্মচারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করে চলে যায়, তবে তার অধীনে থাকা চাবিটি তিনি প্রশাসনিক বিভাগে জমা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন।
    কারখানা খোলার সময় এবং বন্ধের সময় নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হবে।
    সকল পরিস্থিতিতে আসল চাবি ব্যবহার করা হবে।

ডকুমেন্টস আদান প্রদানে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ 
প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ডকুমেন্টস আদান প্রদান একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এই ডকুমেন্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত করা অসম্ভব কিছু নয়। কারণ অতীতে উন্নত বিশ্বে ডকুমেন্টস বা চিঠির মাধ্যমে এ্যানথ্রাক্স জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো ডকুমেন্টস আদান প্রদান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্টস আদান প্রদানের ক্ষেত্রে নি¤œলিখিত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ
    ডকুমেন্টস আনা বা নেওয়ার জন্য কোন ডেলিভারী ম্যান কারখানায় প্রবেশের পূর্বে নিরাপত্তা প্রহরীদের নিকট প্রবেশের উদ্দেশ্য জানাবে। 
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রবেশের কারণ সম্পর্কে জানার পর যার নিকট ডকুমেন্টসটি আসিয়াছে তার সাথে যোগাযোগ করে ডকুমেন্টসটির আগমন সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।
    যদি ডকুমেন্টটির আগমনের ব্যাপারে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে তা গ্রহণ করা হবে না।
    নাম পরিচয়বিহীন বা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নাম না থাকলে কোন ডকুমেন্টস গ্রহণ না করে ফেরৎ দিতে হবে। 
    যদি নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তবে ডকুমেন্টস গ্রহণ করার পর আলাদা একটি স্থানে নিয়ে ডকুমেন্টসটি ভালভাবে চেক করতে হবে।
    যদি চেক করার সময় মনে হয় ডকুমেন্টস দ্বারা কোন ক্ষতির আশংকা আছে তবে তা না খুলে অবশ্যই একটি নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    চেক করার পর যদি কোন অসামঞ্জস্যতা না পাওয়া যায় তবে তা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করার পর নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট পৌছিয়ে দেওয়া হবে।
    ডকুমেন্টস চেক করার ক্ষেত্রে ডকুমেন্টস চেকিং পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে হবে।
    ডকুমেন্টস প্রেরণ করার পূর্বে অবশ্যই ডকুমেন্টটি চেকিং এরিয়াতে চেক করার পর হস্তান্তর করতে হবে।
    যে কোন ডকুমেন্টস প্রেরণ করার পূর্বে অবশ্যই ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ও গন্তব্যস্থল ভালভাবে লিখতে হবে।


ইনকামিং মেইল বা প্যাকেজ পরিক্ষা করার নিরাপদ পদ্ধতি

সন্দেহজনক মেইল চেনার উপায়ঃ
    অতিরিক্ত ষ্ট্যাম থাকতে পারে;
    বেশী ব্যবহৃত শব্দের ভুল বানান;
    কোন ফিরতি ঠিকানা নেই বা অষ্পষ্ট ঠিকানা;
    কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা নেই বা ব্যক্তির উপাধি ভুল থাকতে পাওে;
    অযথাই ষ্পষ্ট শব্দ যেমন, “ব্যক্তিগত”, “গোপনীয়” বা “এক্সরে করা যাবে না” ইত্যাদি;
    বিদেশী চিঠির ক্ষেত্রে ফিরতি ঠিকানার দেশের ষ্ট্যাম্পের সাথে কোন মিল পাওয়া যাবে না।

অন্যান্য সন্দেহজনক যে সব উপাদান থাকতে পারেঃ
    চিঠির মধ্যে পাউডার জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে;
    তেল জাতীয় পদার্থ লাগানো থাকতে পারে;
    অন্য ধরনের গন্ধ থাকতে পারে;
    অতিরিক্ত টেপ বা ষ্টাপল করা থাকতে পারে;
    প্যাকেজেস বা চিঠির চারিদিক অসমান হতে পারে;
    এমন মনে হতে পারে চিঠিটি খুলে আবার লাগানো হয়েছে।

সন্দেহজনক মেইল পরীক্ষণের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবে তা হলোঃ
        শান্ত থাকতে হবে;
        চিঠি বা প্যাকেজ খোলা যাবে না বা ঝাঁকানো যাবে না বা অন্য কাউকে দেখানো যাবে না;
        যদি সম্ভব হয় চিঠি বা প্যাকেজটি ঢেকে রাখতে হবে;
        ফ্যান বা যাহার দ্বারা বাতাস প্রবাহিত হয় এ সমস্ত যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন;
        গন্ধ নিতে চেষ্টা করবেনা না বা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না;
    যদি পাউডার জাতীয় পদার্থ আপনার শরীরে লেগে যায় বা হাতের সংষ্পর্শে আসে সাথে সাথে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন;
        তাৎক্ষণিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান এবং নিকটস্থ পুলিশ ষ্টেশনে ফোন করতে হবে;
    যদি প্যাকেজের মধ্যে বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায় সাথে সাথে পুরো বিল্ডিংটি খালি করে ফেলুন।

কন্টেইনারের উপর নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্বঃ 
তৈরী পোষাক শিল্পে পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে কন্টেইনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পোষাক শিল্পের বেশিরভাগ পণ্যই সমুদ্র পথে প্রেরণ করা হয়। সমুদ্র পথে বেশীর ভাগ পণ্যই জাহাজীকরণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানো হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় কন্টেইনারের ভিতরে করে অবৈধ পণ্য বিদেশে পাচারের সম্ভাবনা থাকে। তাই কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

কোম্পানির নাম  কর্তৃপক্ষ কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নি¤েœাক্ত নীতিমালা গ্রহণ করেছেঃ

    কর্তৃপক্ষ পণ্য রপ্তানীর জন্য প্রস্তুত করার পর কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান নিয়ে আসেন যাতে বেশী সময় কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান কারখানায় অবস্থান না করে।
    কন্টেইনার কারখানার নিচে একটি সংরক্ষিত স্থানে রাখা হয়।
    কন্টেইনার সংরক্ষণের স্থানটি রশি দ্বারা আলাদা করে একজন নিরাপত্তারক্ষীকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
    কন্টেইনার নির্দিষ্ট স্থানে রাখার পর কন্টেইনারের দরজা এবং সীলটি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    যদি সীলটি ভাঙ্গা পাওয়া যায় তবে কন্টেইনারটি না খুলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কোন অবস্থাতেই দরজা খোলা যাবে না।
    কন্টেইনার নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করার পর অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক কন্টেইনারের ১১টি স্থান ভালভাবে চেক করা হয়। 


যে ১১ টি স্থান চেক করা হয় সেগুলো হলোঃ
০১)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর সম্মুখ ভাগ (Front);
০২)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর বাম দিকে (Left side);
০৩)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর ডাক দিকের অংশ (Right side);
০৪)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর নীচের অংশ (Outside of Undercarriage);
০৫)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর ভিতরের অংশ (Inside);
০৬)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর পেছনের অংশ (Back side);
০৭)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর ছাদের অংশ (Ceiling/Roof);
০৮)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর মেঝের অংশ (Floor Inside);
০৯)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর চাকা (Tires);
১০)    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান-এর পাশের দেয়াল (Side Wall);
১১)    তালা অবস্থা (সীল গালা) (Locking Mechanism);

    কন্টেইনার লোড করার পর কন্টেইনারটি ভালভাবে ISO Pass বোল্ট সিল দ্বারা সিল করা হয়।
    কন্টেইনার সিলগালা করার সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে উপরোক্ত নীতিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে কন্টেইনার বা কভার্ড ভ্যানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কর্তৃপক্ষ আশা করে কোম্পানির নাম-এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ এই নীতিমালা মানিয়া চলিবে। 

ইনকামিং পণ্য পরীক্ষণের উপর নিরাপত্তা বিভাগের করণীয় ঃ 
কোম্পানির নাম এর পোশাক প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বাহির থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানী করে থাকে। আমদানীকৃত পণ্য কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রেরণ করা হয়। কর্তৃপক্ষ ইনকামিং পণ্যের ক্ষেত্রে নিন্মোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

    পণ্যবাহী কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার কারখানায় আসার পর কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী চালান দেখে দ্রব্যাদি অত্র কারখানার কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর গাড়ী কারখানার লোডিং/আনলোডিং স্থানে নিয়ে আসতে হবে।
    একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন স্টোর অফিসার ও নিরাপত্তা প্রহরীদের সামনে কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারের সীলটি ভালভাবে চেক করতে হবে, যদি খোলা বা ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায় তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে কভার্ড ভ্যানের দরজা কোনভাবেই খোলা যাবে না। 
    সীলে কোন সমস্যা না পেলে সীলটি চালানের সাথে প্রদত্ত নম্বর ও সি.এন্ড.এফ কর্তৃক প্রদত্ত গোপন নম্বরের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় কিনা। যদি নম্বরের সাথে মিল পাওয়া যায় তবে দরজা খোলে আগ্নেয়াস্ত্র/বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য বা অবৈধ দ্রব্যাদি আছে কিনা তা ভালভাবে চেক করতে হবে এবং কোন সন্দেহজনক বস্তুর অস্তিত্ব না পাওয়া গেলে পণ্য নামানো হবে।
    পণ্য প্রথমে চেকিং করার নির্দ্দিষ্ট জায়গায় নামাতে হবে। এর পর পণ্যের সাথে প্রদত্ত চালান অনুযায়ী পণ্য ঠিক আছে কিনা তা তালিকা অনুযায়ী ভালভাবে গণনা করতে হবে।
    যদি পণ্য চালানের চেয়ে কম বা বেশী হয় সাথে সাথে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণপূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    পণ্য নামানোর পর গুদামজাতকরণের পূর্বে বা উৎপদান স্থানে নেওয়ার পূর্বে ভালভাবে চেক করতে হবে। চেক করা ছাড়া কোন পণ্য গুদামজাতকরণ করা যাবে না বা উৎপাদন স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে না।


তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ
Information Technology বহুল ব্যবহৃত একটি মাধ্যম। বহির্বিশ্বের সাথে দ্রুত যোগাযোগের লক্ষ্যে পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ও ই-মেইল ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ই-মেইল এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ই-মেইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক সময় কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয় বা ই-মেইলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে সন্ত্রাসীরা কম্পিউটার আক্রান্ত করতে পারে। ফলে কম্পিউটারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট হবার আশংকা থাকে। এ জন্য কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ Information Technology -এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিন্মোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করেছেঃ
    প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যবহারকারীগণ কমিম্পউটারে প্রবেশের জন্য পৃথক খড়ম ওহ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন।
    প্রতি ৩০ দিন পর পর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়, এক পাসওয়ার্ড পূণরায় ব্যবহার করা হয় না।
    ইন্টানেট ব্যবহারকারীগণ কোন কোন Website ব্যবহার করিতেছে আইটি অফিসার তাহা পর্যবেক্ষণ করে।
    কম্পিউটার ব্যবহারের অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্য কাহারো কম্পিউটার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
    যদি ব্যবহারকারী ব্যতীত অন্য কাহারো কম্পিউটার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই ব্যবহারকারীর অনুমতি নিতে হয়।
    অননুমোদিত কোন ব্যক্তিকে যদি কম্পিউটার ব্যবহার করতে দেখা হয় তবে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
    কর্তৃপক্ষ কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী কম্পিউটার ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে এবং পরিবর্তন প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করে।
    ই-মেইলে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা হয়।
    কোন অবাঞ্ছিত বা অপরিচিত মেইল আসলে তা না খুলে সাথে সাথে আই.টি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানাতে হয়।
    ব্যবহারকারী যদি দীর্ঘ দিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকেন তবে সাময়িকভাবে তার ই-মেইল একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
    ব্যবহারকারী যদি স্থায়ীভাবে চাকুরীর অবসান ঘটান তবে স্থায়ীভাবে তার ই-মেইল একাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় বা অন্য কোন ব্যবহারকারীর প্রয়োজনে সাথে সাথে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা হয়।
    উন্নতমানের ভাইরাস স্ক্যানার দ্বারা প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ ১ বার প্রতিটি কম্পিউটার চেক করা হয়।
    প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যবহারকারী তাদের ড্রাইভগুলো শেয়ার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, যাতে অন্য কেউ তাদের কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতে না পারে।
    অন্যের ড্রাইভ ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ব্যবহারকারীর পূর্বানুমতি নিতে হয়।
    আই.টি কর্মকর্তা মাঝে মাঝে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সব কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের নিয়ে মিটিং করেন এবং নতুন নতুন ভাইরাসের আগমন এবং ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।
    আই.টি কর্মকর্তা নতুন ভাইরাস ধরা পড়ার সাথে সাথে সকল ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেন।
    নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী, কর্মকর্তা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে, আই.টি কর্মকর্তা তাদেরকে কম্পিউটার ব্যবহারের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের আই.টি নিরাপত্তার ব্যাপারে অবহিত করে থাকেন।
    আই.টি কর্মকর্তা একটি রেজিষ্টারে প্রতিটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড, পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং রেজিষ্টারটি একটি সুরক্ষিত স্থানে সংরক্ষণ করেন।  
    আই.টি কর্মকর্তা প্রতি ১৫ দিন পর পর প্রতিটি কম্পিউটার পরীক্ষা করে দেখবেন কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় কিনা। যদি কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করবেন এবং কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।


 

প্যাকিং এরিয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ  
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে পণ্য প্যাকিং করার সময় যে কোন বস্তু কার্টুনের ভিতর প্রবেশ করিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করা বা যে কোন অবৈধ দ্রব্য বিদেশে পাচার সম্ভব। এই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ প্যাকিং এরিয়াকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে সকলের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্যাকিং এলাকার জন্য নি¤েœাক্ত নীতিমালা গ্রহণ করেছেঃ 
    সম্পূর্ণ প্যাকিং এলাকাকে আলাদা করে সুরক্ষিত করা হয়েছে।
    নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি প্যাকিং এরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
    প্যাকিং এরিয়ায় যাদের প্রবেশাধীকার রয়েছে তাদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাদের নামের একটি তালিকা ছবিসহ নোটিশ বোর্ডে লাগানো আছে।
    প্যাকিং এরিয়ার প্রবেশ পথে নিরাপত্তা প্রহরী কর্মকালীন সময় পাহারা দিয়ে থাকে এবং যারা ভিতরে প্রবেশ করে তাদের সকলের পরিচয়পত্র চেক করে থাকেন। 
    অননুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেহই প্যাকিং এরিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণপূর্বক ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। 
    অননুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদেরকে চেক করার পর ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং একজন লোক সবসময় তার সাথে অবস্থান করে।
    প্যাকিং এর প্রয়োজনীয় মালামাল ছাড়া অন্য কোন দ্রব্যাদি প্যাকিং এরিয়ায় রাখা যাবে না।
    প্যাকিং এর পূর্বে প্যাকিং এর মালামাল যেমন, কার্টুন, পলিব্যাগ ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয় যাতে কোন সন্দেহজনক বস্তু পূর্বেই এর ভিতরে না রাখা হয়।
    প্যাকিং এর সময় কার্টুন এর শিপিং মার্ক এর বিষয়বস্তু, যেমন ষ্টাইল, কালার, পরিমাণ, পণ্যের ওজন ইত্যাদি ভালভাবে পরীক্ষা ও যাচাই করা হয়।
    কার্টুন কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানে লোডিং এর পূর্বে কোন কার্টুন খোলা নেই তা নিশ্চিত করা হয়।
    যদি কোন কার্টুন কোন কারণে খোলার দরকার হয় তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়া হয়।
    প্যাকিং এরিয়ায় যারা প্রবেশ করে থাকে প্রত্যেকের নাম প্রবেশ সময়সহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়।
    প্যাকিং এলাকায় কোন সন্দেহজনক ব্যক্তির দেখা পাওয়া গেলে অথবা আশংকাজনক দ্রব্য সামগ্রী পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। এ ধরনের ঘটনা ভালভাবে তদন্ত করা শেষে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লোডিং ও আনলোডিং এরিয়ায় নিরাপত্তা বিভাগের করণীয়ঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ সকল পন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকায় লোডিং এবং আনলোডিং সম্পন্ন করে থাকে কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ পণ্য লোডিং করার সময় যাতে কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি না হয় বা লোডিং এর সময় যাতে কোন অবৈধ দ্রব্য কন্টেইনারের ভিতরে করে পাচার না হতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে। সেই দিক লক্ষ্য রেখে এই নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ লোডিং এর সময় সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নি¤েœাক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

    শুধুমাত্র পণ্য লোডিং বা আনলোডিং করার জন্য যে এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে সে এলাকায় লোডিং/আনলোডিং করা হয়।
    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান লোডিং/আনলোডিং এলাকায় প্রবেশের পূর্বে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানটি সঠিক কিনা তা যাচাই পূর্বক ড্রাইভারের লাইসেন্স ভালভাবে পরীক্ষা করা হয়।
    পণ্য লোডিং এর পূর্বে কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার লোডিং/আনলোডিং এর জন্য সংরক্ষিত স্থানে রাখা হয়।
    পণ্য লোডিং করার সময় কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারের দরজার সামনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর ইনচার্জ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সর্বক্ষণ উপস্থিত থাকেন।
    যে সমস্ত পণ্য রপ্তানীর জন্য তৈরী করা হয়েছে তা আলাদাভাবে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয় যাতে খুব দ্রুত লোডিং সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। 
    উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে কার্টুন নামানোর আগে কোন কার্টুন খোলা, ভাঙ্গা বা ছিড়া আছে কিনা তা ভালভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং কোন অসামঞ্জস্যতা পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে লোডিং বন্ধ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।
    কার্টুন কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে উত্তোলনের পূর্বে পরিমাপক যন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করা হয়। যদি কোন কার্টুনে লেখা পরিমাপ থেকে কোন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় তবে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে লোডিং বন্ধ করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।

    উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে নিরাপত্তা বিভাগ ও ফিনিশিং বিভাগের তত্বাবধানে একমাত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত লোডার দ্বারা মালামাল কভার্ড ভ্যানে উঠানো হয়।
    যে সমস্ত লোডার লোডিং এর কাজে নিয়োজিত আছে তারা প্রত্যেকে লোডিং করার সময় পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকেন।
    পণ্য লোডিং করার সময় কোন সব কার্টুন সরাসরি কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানের ভিতরে নামাতে হবে, নীচে কোন পণ্য সারিবদ্ধ করে রাখা যাবে না। 
    রপ্তানীকৃত পণ্য লোডিং করার সময় যদি কোন শ্রমিক বা লোডারের মধ্যে কোন অস্বাভাবিক আচরণ ও গতিবিধি পরিলক্ষিত হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে লোডিং বন্ধ করে দিয়ে তদন্ত করতে হবে এবং পূর্বে লোডিংকৃত সমস্ত পণ্য কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার থেকে নামিয়ে পরীক্ষা করার পর পুনরায় লোডিং করতে হবে।
    পণ্য লোডিং বা আনলোডিং করার সময় লোডিং বা আনলোডিং এর সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোন ব্যক্তি যাতে নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। এর জন্য কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার লোডিং এরিয়ায় প্রবেশ করার পর থেকে লোডিং সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা প্রহরী এলাকাটি পাহারা দিয়ে থাকেন এবং কোন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে সাথে সাথে তাকে চ্যালেঞ্জ করে থাকেন।
    লোডিং সম্পন্ন হবার পর এক্সপোর্ট সুপারভাইজার ও ষ্টোর কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেন সব কাগজপত্র এবং তথ্য সঠিক আছে কিনা।
    লোডিং শেষ হওয়ার পর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ষ্টোর ইনচার্জ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনার চেক করার পর তাদের সম্মুখে নিরাপত্তা কর্মকর্তা কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানটি সীল গালা করে থাকেন।
    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান লোডিং শেষ হবার পর গাড়ীটি রওয়ানা হবার পূর্বে নিরাপত্তা প্রহরী সব কাগজপত্র এবং সীলটি ভালভাবে পরীক্ষা করে থাকেন।

বস্ত নিরাপত্তায় নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্বঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ পণ্য পরিবহন, আনা নেওয়া এবং পণ্য সংরক্ষণে সাপ্লাই চেন সিকিউরিটির নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো পণ্য অর্ডার সংগ্রহ থেকে শুরু করে পণ্য রপ্তানীর মাধ্যমে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাজে পৌছানো পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। 

কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বস্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নি¤েœাক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ
    কারখানার সকল মূল্যবান মালামাল শ্রেনীবিন্যাস করে নির্ধারিত ষ্টোরে রাখা হয় এবং কারখানা বন্ধ করার প্রাক্কালে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত সীলাগালার মাধ্যমে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় এবং অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় পরপর নিরাপত্তা প্রহরী কর্তৃক তালার সত্যতা পরীক্ষা করা হয়। 
    কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি পত্র ছাড়া কোন বস্তু কারখানার ভেতরে প্রবেশ বা বাইরে যেতে দেয়া হয় না।
    নিরাপত্তা কর্মীরা স্ব-শরীরে যাচাই-বাছাই ব্যতীত কোন বস্তু কারখানায় প্রবেশ কিংবা কারখানা থেকে বাইরে যেতে দেয় না। 
    কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক বা কারখানার স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকান্ড সর্তকতার সাথে প্রতিহত করা হয়।
    কারখানার অভ্যন্তরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক বা কারখানার স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকান্ডের কোন পরিকল্পনা বা তথ্য জানতে পারলে তা সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং এ ব্যাপারে সকল শ্রমিক কর্মচারী এবং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।
    কারখানা ছুটির পর শ্রমিকগণ বের হয়ে যাবার সময় মহিলাদের শ্রমিক মহিলা চেকার দ্বারা এবং পুরুষদের শরীর পুরুষ চেকার দ্বারা ভালভাবে তল্লাশি করা হয়। 

বস্তু নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান মালামাল রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। 

কন্টেইনার/কার্গো অনুসরণে নিরাপত্তা বিভাগের দ্বায়িত্বঃ
কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানের গতিবিধি অনুসরণের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে পণ্য ক্রেতার নিকট পৌছে দেওয়া এবং পণ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা। 
 


কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে নিন্মোক্ত নীতিমালা গ্রহণ করেছেঃ
    রপ্তানীযোগ্য পণ্য কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে পণ্য লোডিং করার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এবং মোবাইল নম্বরটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন এবং চালককে পণ্যের চালান প্রদান করে  গাড়ি ছাড়ার অনুমতি প্রদান করবেন এবং গাড়িটির লোডিং এরিয়া ছেড়ে যাবার সময় লিপিবদ্ধ করবেন।
    কারখানা ত্যাগের পূর্বে চালককে গন্তব্যস্থলে পৌছানোর একটি গ্রহণযোগ্য সময় নির্ধারণ করে যাতায়াতের রোড ম্যাপ প্রদান করতে হবে, যেখানে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান কোথায় থামানো যাবে তা চিহ্নিত করা থাকবে। 
    গাড়িটি কারখানা ত্যাগ করার সাথে সাথে গাড়ির গন্তব্যে অপেক্ষমান সি এন্ড এফ এজেন্টকে গাড়ি ছাড়ার সময়, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, চালকের নাম, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর ও চালকের মোবাইল নম্বর অবহিত করতে হবে এবং গাড়িটি গন্তব্যে পৌাছানোর পর সি.এন্ড.এফ এজেন্ট গন্তব্যস্থলে পৌছানোর সময় জানাবেন এবং নির্ধারিত রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
    চালক অনুমোদিত স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান থামাতে পারবে না। তবে যদি কখনো কোন কারণে নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান থামানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে তা করতে হবে।
    পথিমধ্যে যদি কখনো পুলিশ চেকিং এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তবে তা অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত রোড ম্যাপ ব্যতীত অন্য কোন স্থান দিয়ে যাতায়াত করা যাবে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে যানযটের কারণে বা রাস্তা বন্ধের কারণে অন্য কোন রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানে অন্যত্র কোথাও থেকে কোন পণ্য নিতে পারবে না, যদি অন্যত্র কোথাও থেকে কোন পণ্য পরিবহন করে তবে কেরিয়ার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।
    যদি পণ্যবাহী গাড়িটির যাত্রাকালীন সময়ের মধ্যে কোন অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় অর্থাৎ গন্তব্যে পৌঁছাতে গ্রহণযোগ্য সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগে তবে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি কারখানার ব্যবস্থাপককে অবহিত করতে হবে এবং ঘটনাটি তদন্ত করতে হবে। তদন্তে গ্রহণযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত কোন উত্তর না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে সি.এন্ড.এফ এজেন্টের গুদামে গিয়ে কার্টুনগুলো পুণরায় পরীক্ষণপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অধিকার থাকবে।
    কারখানা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানে পণ্য পরিবহনের সময় ড্রাইভারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে থাকবেন এবং কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

রপ্তানীযোগ্য পণ্য পরিমাণে বেশী-কম হওয়া চিহ্নিতকরণ ও প্রতিবেদন পেশকরণঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্য সামগ্রী রপ্তানীর সময় সেগুলোর সংখ্যা এবং অন্যান্য তথ্যগত যথার্থতা নির্ণয়ে এবং প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নিন্মোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবেঃ 

    রপ্তানীর সময় ষ্টোর কর্তৃপক্ষ রপ্তানীর জন্য তৈরি মালামালের সর্বোমোট ৩ (তিন) কপি চালান তৈরি করবেন। চালান তৈরি করার পর চালানের তিনটি কপি কারখানা ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ষ্টোর কর্মকর্তার নিকট থেকে স্বাক্ষর করাতে হবে।
    রপ্তানীযোগ্য পণ্য বহনের জন্য সরবরাহকৃত কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারটি লোডিং এরিয়ায় আসার পর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে হবে।
    গাড়ি লোডিং এরিয়াতে পার্ক করার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা সেখানে সশরীরে চালানসহ উপস্থিত থাকবেন এবং উৎপাদিত পণ্য গুদামে কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরীকে কার্টুন ছাড়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন।
    উৎপাদিত পণ্য গুদামে কর্তব্যরত প্রহরী চালান অনুযায়ী কার্টুন ছাড়বেন এবং প্রতিটি কার্টুন গুদাম হতে বের করার সময় কার্টুনের হিসাব রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। গুদাম হতে কার্টন বের করার সময় কর্তব্যরত প্রহরী কার্টুনের গায়ে লেখা ষ্টাইল নম্বর, ক্রেতার নাম, কার্টুন নম্বর ইত্যাদি চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে তা সাথে সাথে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক বিভাগে অবহিত করতে হবে।
    সকল কার্টুন কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে তোলার পূর্বে ভালভাবে ওজন পরীক্ষা করতে হবে। যদি কার্টুনে লেখা ওজনের সাথে খুব বেশী তারতম্য দেখা যায়, তবে সব তারতম্যকৃত কার্টুন খুলে ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
    উৎপাদিত পণ্য গুদাম থেকে কার্টুন লোডিং এরিয়াতে এসে পৌছালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং স্টোর কর্মকর্তা কার্টনের গায়ে লিখা ষ্টাইল নম্বর, পিও নম্বর, বায়ারের নাম, কার্টুন নম্বর, সঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করবেন এবং চালানের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। চালানের সাথে কার্টুনের যে কোন তথ্যের সামান্যতম অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা কারখানা ব্যবস্থাপককে অবহিত করতে হবে। 

    কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে কার্টুনগুলো লাইন করে সাজিয়ে উঠাতে হবে এবং প্রতি লাইনে কয়টি করে কার্টুন আছে, মোট কতটি লাইন করা হয়েছে সেই হিসাব নির্ভুলভাবে রাখতে হবে।
    কভার্ড ভ্যান/কন্টেইনারে কার্টুন উঠানো শেষ হলে শেষবারের মত মোট কার্টুনের সংখ্যা এবং চালান মিলিয়ে দেখতে হবে। যদি চালানে উলে­খিত কার্টুনের সংখ্যা এবং গাড়িতে উঠানো কার্টুনের সংখ্যার সাথে সামান্যতম কম-বেশি পরিলক্ষিত হয় তবে পণ্যবাহী গাড়িকে লোডিং এরিয়া ত্যাগের অনুমতি দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে সকল কার্টুন পূণরায় নামিয়ে আবার গণনা করে গাড়িতে তুলতে হবে।
    যদি পূণরায় গণনার পর পণ্য কম হয় তবে উৎপাদিত পণ্য এলাকা ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে এবং কার্টুন যদি অন্যত্র কোথাও পাওয়া যায় তবে তা ভালভাবে পরীক্ষার পর গাড়ীতে তোলা যাবে।
    সকল কার্টুন সঠিক সংখ্যায় এবং সঠিক নিয়মে গাড়িতে উঠানো হলে লোডিং এরিয়ায় কর্তব্যরত নিরাপত্তা গাড়িতে উচ্চ নিরাপত্তা সীল লাগিয়ে দেবেন। এরপর নিরাপত্তা কর্মকর্তা সীলটি ভালভাবে পরীক্ষা করবেন এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে গাড়ীটি কারখানা ত্যাগের অনুমতি দিতে হবে।
    পণ্য কম বা বেশী যাই হোক না কেন অবশ্যই প্রতিটি ব্যাপার সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে। 

রপ্তানিযোগ্য পণ্য-সামগ্রী রপ্তানীর সময় সেগুলোর সঠিক সংখ্যা এবং তথ্যগত যথার্র্থতা নির্ণয়ে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো সতর্কতার সাথে পালন করতে হবে।

অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, ক্ষতিকারক বস্ত এবং কোন অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে রিপোর্ট পেশঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে কারখানার অভ্যন্তরে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর আগমন বা কোন ক্ষতিকারক বস্তু নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু যদি দৈবক্রমে এধনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে এবং কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তার নজরে আসে তবে জরুরীভিত্তিতে করণীয় বিষয় সম্পর্কে সকলকে ধারনা দেওয়া হয়েছে। যদি কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোন অস্বাভাবিক কার্যক্রম লক্ষ্য করেন তবে নিন্মোক্ত পদ্ধতিতে রিপোর্ট করতে হবেঃ 
    যদি কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গেট দিয়ে ঢুকার চেষ্টা করে তবে সাথে সাথে প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।
    সংরক্ষিত এলাকায় সর্বসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এর পরও যদি কেউ সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করে, তবে তাকে দেখামাত্র তার নিকট থেকে প্রবেশের বৈধ অনুমতিপত্র দেখতে হবে। যদি তিনি বৈধ অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তবে তাকে সসম্মানের সহিত প্রসাশনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।
    যদি কেহ সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে তবে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক বিভাগে হাজির করতে হবে এবং প্রশাসনিক বিভাগ ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করিবেন। যদি কথাবার্তায় কোন অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তবে তাকে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করতে হবে।
    কোন বস্তু যদি অনেক দিন পরে থাকতে দেখা যায় এবং কোন মালিকানা পাওয়া না যায় তবে অবশ্যই বস্তুটির অবস্থান সম্পর্কে প্রশাসনিক বিভাগে জানাতে হবে। এছাড়াও কোন বস্তুর ব্যাপারে যদি কোন সন্দেহের সৃষ্টি হয় তাহলেও তা প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।
    পণ্য লোডিং বা আনলোডিং এর সময় কোন অননুমোদিত ব্যক্তিকে উক্ত এলাকায় পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাকে প্রশাসনিক বিভাগে হস্তান্তর করতে হবে। 
    যদি উৎপাদিত পণ্য এলাকায় রাখা কোন কার্টুন ভাঙ্গা পাওয়া যায় অথবা কোন কার্টুন এ লাগানো টেপ খোলা অবস্থায় পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে।
    যদি কোন কার্টুনে লাগানো টেপ অন্য কোন কার্টুনে লাগানো টেপের থেকে পৃথক হয় বা অন্য কোন রং এর হয় সেক্ষেত্রেও বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে।

আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও পণ্যের সততা রক্ষাকরণ সম্পর্কে রির্পোট পেশঃ 
প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো এর জনবল। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ যদি আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ যাতে আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে না পারে বা তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে প্রতিষ্ঠানের যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হতে পারে এজন্য প্রতিটি শ্রমিকের ধারণা থাকতে হবে। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, যে কোন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকগণ ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং যদি কোন ষড়যন্ত্রের তৎপরতা কারো দৃষ্টিগোচরে আসে তবে সে তাৎক্ষণিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

আভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও পণ্যের সততা রক্ষার ব্যাপারে নিন্মোক্তভাবে রিপোর্ট পেশ করতে হবেঃ
    যদি দুই বা ততোধিক শ্রমিককে একত্রিত হয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা শুনতে পাওয়া যায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। 

    যদি কোন শ্রমিককে অন্য কোন শ্রমিক বা শ্রমিকগণ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য আহŸান জানায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। 
    যদি কোন শ্রমিক বা শ্রমিকবৃন্দকে কারখানার অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র-সস্ত্র (ছুরি, চাকু, পিস্তল) বা বোমা নিয়ে প্রবেশ করতে দেখলে বা এই জাতীয় পণ্য নিয়ে কারখানার অভ্যন্তরে অবস্থান করলে তাৎক্ষণিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    যদি কোন শ্রমিক বা শ্রমিকবৃন্দ সংরক্ষিত এলাকায় মাদকদ্রব্য, অস্ত্র-শস্ত্র (ছুরি, চাকু, পিস্তল) বা বোমা নিয়ে অবস্থান করলে বা গোপনে কোন কার্টুনের ভিতরে এগুলো রাখতে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারখানার অভ্যন্তরস্থ কোন দেওয়াল, জানালা, প্রতিষ্ঠানের কোন মেশিনারী বা গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি নষ্ট করতে দেখলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
    যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে কারখানার অভ্যন্তরে রপ্তানীর জন্য সংরক্ষিত কোন কার্টুন ছিড়তে বা খুলতে দেখতে পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে বিভাগীয় প্রধানকে জানাতে হবে।
    যদি কোন শ্রমিককে প্রতিষ্ঠানের কোন মূল্যবান সম্পদ বা কোন প্রস্তুতকৃত পোষাক চুরি করতে দেখা যায় তবে সাথে সাথে নিরাপত্তা প্রহরী ও চেকারকে জানাতে হবে।

যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা বা ক্ষতিকারক কোন কর্মকান্ড আমাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা উচিত এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সকলের সহযোগীতা আশা করে। উপরোক্ত যে কোন কর্মকান্ডের ব্যাপারে যদি কোন শ্রমিক কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে কর্তৃপক্ষ তাকে উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করবে।

শ্রমিকদের নিরাপত্তা আচরণবিধিঃ
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার্থে সদা সচেষ্ট থাকে। তাই কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নি¤েœাক্ত আচরণ বিধি তৈরী করেছেনঃ

    প্রতিটি শ্রমিক কর্মচারী অবশ্যই কারখানায় প্রবেশ, অবস্থান ও বাহির হবার সময় তাদের পরিচয় পরিহিত অবস্থায় থাকবে যাতে সহজেই নিরাপত্তা বিভাগ তাদের সনাক্ত করতে পারে।
    শ্রমিকগণ যে কোন ধরনের অবৈধ দ্রব্য, যেমন-সিগারেট, মদ, গাজা, অস্ত্র, বোমা ইত্যাদি দ্রব্যাদি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি এই জাতীয় পণ্য নিয়ে কাউকে কারখানার অভ্যন্তরে পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে তাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সোপর্দ করা হবে।
    যদি কোন কর্মচারীর প্রবেশাধীকার কার্ড হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে সাথে সাথে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাতে হবে। একইভাবে প্যাকিং সেকশন, উৎপাদিত পণ্য সেকশন এবং লোডিং আনলোডিং এর সাথে জড়িত কেউ পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেললে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানাবে।
    ব্যক্তিগত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি কারখানার উৎপাদন স্থানে নিয়ে যাওয়া নিষেধ। এগুলো কারখানার অভ্যন্তরে প্রতিটি শ্রমিকের জন্য নির্ধারিত স্থানে রেখে দিতে হবে।
    প্রতিটি কর্মচারী কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির হবার সময় তাদের জন্য নিধারিত প্রবেশাধীকার কার্ডটি প্রদর্শন করবে। অন্য কারো কার্ড প্রদর্শন করা দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।
    কার্য্যকালীন সময় শ্রমিকগণ তাদের নির্দিষ্ট বিভাগে অবস্থান করবেন। প্রয়োজন ব্যতিরেকে এক বিভাগের শ্রমিক অন্য কোন বিভাগে যেতে পারবে না। যদি কোন শ্রমিককে অপ্রয়োজনে অন্য কোন বিভাগে পাওয়া যায় বা নিষিদ্ধ এলাকায় পাওয়া যায়, তবে অনত্র যাওয়ার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে।
    অসুস্থতা ছুটি ব্যতীত অন্য যে কোন ছুটির ক্ষেত্রে প্রতিটি শ্রমিক ছুটিতে যাবার পূর্বে কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করবেন। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ সময় উক্ত শ্রমিকের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
    কোন শ্রমিকের চাকুরী অবসান হলে তার চুড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধের পূর্বে তিনি তার তার অধীনে থাকা পরিচয়পত্র ও মূল্যবান দ্রব্যাদি জমা দিবেন। 
    সকল শ্রমিকের চাকুরী পূর্ব ইতিহাস যাচাই করা হবে। কোন শ্রমিক কোন ধরনের অবৈধ কার্য কলাপের সাথে জড়িত হবে না। যদি কোন শ্রমিকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্য কলাপের  সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয় এবং তদন্তে যদি তা প্রমাণিত হয়, তবে কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে তাকে চাকুরীচ্যুতসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট হস্থান্তর করবে।
 


ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নির্বাচনে নিরাপত্তা নির্দেশিকাঃ 
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হতে পারে। ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নিয়োগে প্রতিষ্ঠান নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করবেঃ

    ঠিকাদার ও সরবরাহকারী নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ভালভাবে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।
    ঠিকাদার বা সরবরাহকারী নিয়োগের পূর্বে কর্তৃপক্ষ প্রথমে প্রতিষ্ঠানের সুনামের বিষয়টি বিবেচনা করবে। অতঃপর প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, আর্থিক সঙ্গতি ও জনবলের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।
    ঠিকাদার ও সরবরাহকারীর সাথে কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে একটি লিখিত চুক্তি করবে, যাহাতে দুই পক্ষই স্বাক্ষর করবেন। 
    চুক্তি নামায় লিখিত চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
    কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের নিকট থেকে লোক নিয়োগের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নীতিমালা ও নিয়োগপত্র পরীক্ষা করে দেখবে।
    কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিটি লোকের জীবনবৃত্তান্ত ও জাতীয় সনদপত্র বা চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র যাচাইপূর্বক এর একটি প্রতিলিপি সংগ্রহ করবে।
    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিক বা কর্মচারী যারা অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকবে, তাদের যে কোন কর্মকান্ডের ব্যাপারে যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে কর্তৃপক্ষ গোপনে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। 
    কর্তৃপক্ষ সকল ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রণীত নিরাপত্তা নীতিমালা সম্পর্কে জানাবেন এবং ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এগুলো মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে।  
    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যদি লিখিত চুক্তির কোন নিয়মাবলী পালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় চুক্তি বাতিল করার অধিকার রাখবে।

নিরাপত্তা উন্নয়ন পরিকল্পনাঃ 
কোম্পানির নাম  কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকে। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়াছে। কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে সুসংগঠিত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরোও যুপোগযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে নি¤েœাক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করিয়াছেঃ

    কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নিরাপত্তা নীতিমালা তৈরী করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কার্যক্রম এই নীতিমালার উপর ভিত্তি করে সংগঠিত হবে।
    কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছে।
    নিরাপত্তা কমিটি সঠিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করবে।
    নিরাপত্তা কমিটি প্রতিমাসে একটি মাসিক সাধারন সভার আয়োজন করবেন এবং সভায় নিরাপত্তার দুর্বল দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। 
    সভায় কমিটির সদস্যগণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলোর উন্নয়নে তাদের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং কর্তৃপক্ষ কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা উন্নয়নে সচেষ্ট থাকবে।
    কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত ব্যক্তি প্রতি মাসে Security Assessment এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করবেন।
    এছাড়াও নিরাপত্তা কমিটির সদস্যগণ কর্তৃক মনোনীত সদস্য/সদস্যগণ দ্বারা প্রতিমাসে ১ বার করে অঘোষিতভাবে Internal Audit এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করবেন এবং কর্তৃপক্ষকে Corrective Action Plan প্রদান করবেন।
    প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা কমিটির সাধারন সভায় Security Assessment Internal Audit এর ফলাফল পর্যালোচনা করা হবে এবং Auditor কর্তৃক প্রদত্ত Corrective Action Plan কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে তাও আলোচিত হবে।
    এছাড়াও নিরাপত্তা কমিটি তাদের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত Auditor দ্বারা প্রতিষ্ঠানের Supplier এবং Contractor এর প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার জন্য Auditor করবে এবং যদি Corrective Action Plan থাকে তবে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখবে।

পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা সংক্রান্ত সচেতনতা কার্যক্রমে নিরাপত্তা বিভাগের ভূমিকাঃ
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানও বর্তমানে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলার লক্ষ্যে কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ একটি সুদক্ষ ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা দল দ্বারা অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রেখে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানে যে সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা হুমকি দেওয়া হতে পারে, সেগুলো হলোঃ

    বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা হামলাঃ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে পারে। এ ব্যাপারে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। এস সুহি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পাক লিঃ কর্তৃপক্ষ বহিরাগত প্রবেশ রোধকল্পে কারখানার নিরাপত্তা প্রহরীদের সর্বদা সতর্ক অবস্থানে রাখে। কারখানার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ কেউ তার সঠিক পরিচয় প্রদান ব্যতিরেকে কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। ভুয়া পরিচয় দিয়ে কেউ যেন কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি কর্মকর্তা, কর্মচারী  ও শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় কারখানায় প্রবেশ করতে হয় এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময়ে পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকতে হয়। বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শ্রমিক অথবা নিরাপত্তা কর্মীগণ যদি কোন ধরনের হুমকির সম্মূখীন হয়, তবে তা অবিলম্বে প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করবে।

    টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকিঃ সন্ত্রাসীরা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করতে পারে। টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি পাওয়া মাত্র ঘটনাটি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।

    কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক রাখিয়া হুমকিঃ কারখানার অভ্যন্তরে বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে অনেক সময় এমন ঘটনা ঘটতে পারে যে কারখানার অভ্যন্তরে বোমা রাখিয়া কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা কোন অপরিচিত ব্যক্তি হুমকি দিতে পারে। এটিকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। এ ধরনের হুমকি পাওয়া মাত্র নিরাপত্তা বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে। বিষয়টি গুজব না সত্যি তা জানার জন্য নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক বিভাগ প্রথমে এর অবস্থান সনাক্ত করবে। অবস্থান সনাক্ত করার পর যত দ্রত সম্ভব কারখানা খালি করে সকলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় থানা, র‌্যাব অফিস এবং দমকল বিভাগে জানাতে হবে। বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ ব্যতীত অন্য কেউ বোমা নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করবে না। বিষ্ফোরক দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং তা প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা প্রহরী প্রতিটি পরিদর্শনকারীর ব্যাগ দ্বারা চেক করার পর তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগত জিনিষপত্র কারখানার অভ্যন্তরে আনা নেওয়ার সময় ভালভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ দ্বারা নিশ্চিত করা হয় আনীত বস্তু দ্বারা কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্ভব নয়।

সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আগুন ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা যায়, এমন কিছু ক্ষতিকারক দ্রব্য, যেমন-ম্যাচ বাক্স ও গ্যাস লাইট জাতীয় দাহ্য পদার্থের ব্যবহার কারখানার অভ্যন্তরে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

    কর্মরত শ্রমিক দ্বারা দাঙ্গা হাঙ্গামাঃ কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণও অনেক সময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে কারখানার অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটাতে পারে। এজন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ নিয়োগের সময় প্রতিটি শ্রমিকের চারিত্রিক সনদপত্র যাচাই পূর্বক নিয়োগ প্রদান করে থাকে এবং প্রত্যেকর ব্যক্তিগত ফাইলে চারিত্রিক সনদপত্রের ফটোকপি সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি শ্রমিকের ইতিহাস খোঁজ নিয়ে ব্যক্তিগত ফাইলে সংগ্রহ করে থাকে। কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে যেন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা সংগঠিত না হয় কর্তৃপক্ষ সব সময় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।

    বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিক দ্বারা হুমকিঃ বরখাস্তকৃত বা মালিক কর্তৃক অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারাও কারখানা কর্তৃপক্ষ অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিকবৃন্দ তাদের বরখাস্তের কারণস্বরূপ কর্তৃপক্ষ বা কোন শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি দিতে পারে। বরখাস্তকৃত ও অবসানকৃত শ্রমিকদের দ্বারা কারখানার অভ্যন্তরে ক্ষতি সাধনের সম্ভাবনা থাকতে পারে বিধায় তাদের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এজন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিটি বরখাস্তকৃত এবং অবসানকৃত শ্রমিকের ছবি নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শনের মাধ্যমে সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদের তাদের সম্পর্কে অবগত করে থাকে। কেউ এ ধরনের হুমকির সম্মুখীন হলে সাথে সাথে বিষয়টি প্রশাসনিক বিভাগকে জানাতে হবে।


    ই-মেইলের মাধ্যমে হুমকিঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুল প্রচলিত একটি মাধ্যম। দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কর্তৃপক্ষ ই-মেইল ব্যবহার করে থাকে। ই-মেইলের মাধ্যমেও প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। ই-মেইলের ব্যবহারকারীগণ কখনো এই ধরনের হুমকি পেলে সাথে সাথে আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রশাসনিক বিভাগকে অবহিত করতে হবে।

    মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমেঃ পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে মেইল বা পার্সেলের ব্যবহারও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। পার্সেলের মধ্যে এ্যানথ্রাক্স দ্বারা অনেক দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। মেইল বা পার্সেলের মাধ্যমে যাতে কোন দুর্ঘটনা না থেকে সে লক্ষ্যে সকল মেইল বা পার্সেল আসার পর ভালভাবে চেক করার পর সঠিক ব্যক্তির নিকট পাঠানো হয়।

উপরোক্ত মাধ্যমগুলো দ্বারা আমাদের পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসী কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সচেতন করে তুলে, যাতে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।  

নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ 
    সমস্ত কারখানার নিরাপত্তা প্রধান হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন এবং আভ্যন্তরীণ পরিদর্শক হিসাবে কাজ করবেন।
    তিনি সপ্তাহের প্রথমে তার নিরাপত্তা প্রহরীদের কার্যস্থান বন্টন করে দিবেন এবং তার একটি প্রতিলিপি প্রশাসনিক বিভাগে জমা দিবেন।
    তিনি তার অধীনস্থ প্রহরীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কারখানার যে কোন দ্রব্য সামগ্রী/যন্ত্রপাতি চুরি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করবেন।
    তিনি নিরাপত্তা মহড়া যেমন, তল­াসী, গাড়ী চেকিং কর্মচারীদের যাতায়াত ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবেন।
    তিনি বিভিন্ন গেট পাসে প্রতি স্বাক্ষর করবেন এবং গেট পাস ও চালান পরীক্ষা করে মাল বাহির হবার অনুমতি দিবেন।
    বিশেষ অতিথি/পরিদর্শকদের সাদরে গ্রহণ করবেন এবং তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন করে যথাযথ স্থানে নিয়ে যাবেন।
    তিনি বিভিন্ন দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাদের পরিচয়পত্র বা অন্য কোন মাধ্যম দ্বারা তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পর নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে এন্ট্রি করে সঠিক সময় লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর রেখে দিয়ে দর্শনার্থীকে পরিচয়পত্র প্রদান করে ক্ষেত্র বিশেষে তিনি নিজে বা তার অধীনস্থদের দ্বারা দর্শনার্থীকে যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিবেন।
    নির্দিষ্ট সময় পর পর গার্ডদের প্রেষণা প্রদান এবং শিক্ষণীয় ক্লাস পরিচালনা করবেন।
    নির্দিষ্ট রেজিষ্টারের মাধ্যমে ফ্যাক্টরীতে আগত এবং ফ্যাক্টরী হতে বহির্গত দ্রব্য সামগ্রীর রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।
    তিনি প্রতিদিন বিভিন্ন পোষ্টে গিয়ে তার অধীনস্তদের কার্যাবলী প্রত্যক্ষ করবেন এবং পেট্রোল ডিউটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন। 
১১)    তিনি প্রতিদিন অন্তত একবার সমস্ত কারখানার চারিপাশে ঘুরে দেখবেন এবং পেট্রোল ডিউটি রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
    রপ্তানীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান এ পণ্য লোডিং করার পূর্বে সমস্ত কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যানটি চেক করবেন এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
    আমদানী পণ্য নিয়ে কন্টেইনার/কভার্ড ভ্যান কারখানায় আসার পর তিনি প্রথমে গাড়ীটির সীল চেক করবেন এবং কোন অসামঞ্জস্যতা পেলে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। 
    তিনি প্রতি সপ্তাহে একদিন তার অধীনস্থ প্রহরীদের নিয়ে আধা ঘন্টা ব্যাপী প্যারেড পরিচালনা করিবেন।
    তিনি সাপ্তাহিক সভার মাধ্যমে তার অধীনস্থ প্রহরীদের কর্তব্য ও কার্য্যাবলী, বিভিন্ন ধরনের হুমকির ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় ও আভ্যন্তরীণ যে সমস্ত ষড়যন্ত্র হতে পারে সে স¤পর্কে ধারণা দিবেন।
    তিনি প্রতি সাপ্তাহিক সভার মাধ্যমে তার অধীনস্ত প্রহরীদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়মাবলী সম্পর্কে ধারণা দিবেন।

    তিনি প্রতি মাসে কারখানার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করবেন এবং উক্ত মাসে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ভঙ্গের একটি প্রতিবেদন প্রশাসনিক বিভাগে পেশ করবেন।
    রাত্রীকালীন প্রহরার সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তা কর্মকর্তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
    কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বিশেষ ব্যক্তিদের তালিকা ব্যতীত যে কোন ব্যক্তিকে কারখানায় অবস্থানকালীন সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।
     কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ন্যায় সঙ্গত আদেশ অনুযায়ী অন্যান্য দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে।


নিরাপত্তা পহরীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

নিরাপত্তা প্রহরী হলো একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ তাদের সুদক্ষ ও সুশৃঙ্খল নিরাপত্তা কর্মী দ্বারা ২৪ ঘন্টা প্রহরার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা করে চলছে। নিরাপত্তা প্রহরীগণ যে সমস্ত কার্যাবলীসমূহ সম্পাদন করে থাকবে তা হলোঃ

    নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকিবে।
    তারা বাহিরের লোক থেকে শ্রমিক এবং প্রতিষ্ঠানের মালামাল রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবে।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও দর্শনার্থীদের সাথে সবসময় সৌজন্যমূলক আচরণ করবে। তারা যদি কারো নিকট থেকে অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হয় তবে সাথে সাথে তা কর্তৃপক্ষকে জানাবে। 
    কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে হবে। কার্য্যকালীন সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা ব্যতীত অন্যত্র কোথাও যাওয়া যাবে না।
    যে কোন পণ্য কারখানার বাহিরে নিয়ে যাওয়া এবং কারখানায় নিয়ে আসার রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে। 
    কারখানার কর্মচারীদের কারখানায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
    প্রত্যেক শ্রমিকেকে চেকিং এর মাধ্যমে কারখানার যে কোন দ্রব্য সামগ্রী চুরি প্রতিরোধ করতে হবে।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ বহির্গমন এবং আন্তঃগমন যে কোন বস্তু নিয়ন্ত্রণের জন্য পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকিবে এবং নিশ্চিত করবে যে কোন অনাকাঙ্খিত বস্তু কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করিবে না এবং নির্দিষ্ট কাগজপত্র ব্যতীত কোন পন্য কারখানার বাহিরে যাবে না।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রধান দরজায় নজর রাখবে এবং প্রয়োজনীয় সময় মোতাবেক দরজা খুলবে।
    বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের সময় তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না জেনারেটর চালু হয় এবং চারিদিকে তী² নজর রাখবে।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ কারখানার অভ্যন্তরে যে কোন সন্দেহভাজনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
    ফ্যাক্টরীতে আগত কোন অতিথি/দর্শনার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানাতে হবে এবং স্বল্প সময়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদেরকে যথাযথ স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সাক্ষাৎ প্রার্থীর নিকট যাওয়া পর্যন্ত একজন নিরাপত্তা কর্মী অবশ্যই দর্শনার্থীর সাথে অবস্থান করবে।
    পণ্য লোডিং/আনলোডিং করার সময় কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যাতে কভার্ডভ্যান/কন্টেইনারের আশেপাশে আসতে না পারে সেদিকে তী² নজর রাখতে হবে।
    কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে কারখানার অভ্যন্তরে পাওয়া গেলে তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার না করে সাথে সাথে তাকে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।
    রপ্তানী পণ্য উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় সঠিক হিসাব রাখতে হবে।
    কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যেন প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এজন্য যারা প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় প্রবেশ করতে চায় তাদের প্রত্যেকের পরিচয়পত্র সঠিকভাবে চেক করতে হবে এবং নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে তাদের নাম লিখে রাখতে হবে।


    মাঝে মাঝে প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকায় আকষ্মিক পরিদর্শন করতে হবে যাতে কোন বৈধ প্রবেশকারী ব্যক্তির দ্বারা কোন ক্ষতিকর কিছু না ঘটে থাকে।
    প্যাকিং বা উৎপাদিত পণ্য এলাকা থেকে কি কি পণ্য বাহির হবে, তা চালান দেখে ভালভাবে জেনে নিতে হবে, চালানে লিপিবদ্ধ পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পণ্য বাহির হয় কিনা সেদিকে নজর রাখতে হবে এবং কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
    কারখানায় প্রবেশ ও বাহির হবার সময় শ্রমিক, কর্মচারীগণ পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করছে কিনা তা দেখা এবং পরিচয়পত্র ব্যতীত কারখানায় প্রবেশকারীদের তালিকা মানব সম্পদ বিভাগে দেওয়া। 
    কারখানায় প্রবশের সময় নিজস্ব ব্যক্তিগত দ্রব্যাদি ছাড়া অন্য কোন দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা।
    কারখানায় প্রবেশের সময় যদি কাউকে সন্দেহ হয় তবে তার ব্যক্তিগত ব্যবহার্য্য দ্রব্যাদি তথা, হাত ব্যাগ, লাঞ্চ ক্যারিয়ার ইত্যাদি খুলে পরীক্ষা করতে হবে, যদি কোন অবৈধ দ্রব্যাদি পাওয়া যায় তবে সাথে সাথে প্রশাসনিক বিভাগে নিয়ে আসতে হবে।
    কারখানা বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় বা রাত্রীবেলা দায়িত্ব পালন করার সময় মাঝে মাঝে কারখানার চতুর্দিকে ঘুরে দেখতে হবে। কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানাতে হবে। দুর্ঘটনার প্রকৃতি অনুযায়ী স্থানীয় থানা ও র‌্যাব অফিসেও খবর দিতে হবে।
    কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময় কারখানার সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যদি জোরপূর্বক কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে বা কারখানার ভিতরে কোথাও পাওয়া গেলে সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ অফিসেও জানাতে হবে।
    কারখানা বন্ধকালীন অবস্থায় কোন পণ্য আসলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেট খুলতে হবে এবং পণ্যটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিতে হবে।
    পরিচয়পত্র ব্যতীত কোন শ্রমিক/কর্মচারীর প্রবেশাধীকার ও বহির্গমণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সময়মতো প্রতিবেদন পেশ করবেন।
    নিরাপত্তা প্রহরীগণ প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিবে না।
    নিরাপত্তা বিভাগ যে কোন ধরনের জরুরী প্রয়োজনে উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের সাথে যোগাযোগ করবে।
         আমাদের কারখানায় পুরুষ শ্রমিকদের জন্য পুরুষ চেকার চেক করে এবং মহিলা শ্রমিকদের জন্য মহিলা চেকার চে করে থাকে।

উপসংহারঃ 
কোম্পানির নাম কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা নীতিমালা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক কারখানার নিরাপত্তা এবং পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নিরাপত্তা কর্মীদল দ্বারা ২৪ ঘন্টা তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রহরা দিয়ে যাচ্ছে। এই নীতিমালার কার্যকারীতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তা যারা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং দর্শনার্থী বা ক্রেতা, প্রত্যেকে এই নীতিমালা মানিয়া চলিবে। প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা মূলক নীতিমালাকে সুসংগঠিত করবে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ সা¤প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পর্যালোচনা করে এই নিরাপত্তা নীতিমালা পরিবর্তন, সংযোজন বা পরিবর্ধন করবে। 

 


 

Related Template

Follow us on Facebook


rmgjobs.com-Free Job Posting Website


Declaration:

RMGJobs.com is so excited to announce that, Here You get most latest update Government & Bank jobs Circular in Bangladesh. You Can also find here all types of private sector jobs circular for all sector & worker jobs circular for RMG sector. Most Common compliance issues in rmg sector of bangladesh & HR Policy Manual - Human Resource Solutions are also available here.


Related Search Tags:

নিরাপত্তা নীতিমালা, Internal Security Policy, Internal Security Policy template, Internal Security Policy template download, free download Internal Security Policy, Internal Security Policy template bangla, germents textile Internal Security Policy bangla, Internal Security Policy pdf, Internal Security Policy example, Internal Security Policy of a company, importance of Internal Security Policy, types of Internal Security Policy, Internal Security Policy sample, Internal Security Policy and procedures manual, Internal Security Policy guidelines, Internal Security Policy for garments, Internal Security Policy for textile