ভূমিকাঃ (কোম্পানির নাম) -এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ সবাই আমাদের সীমিত সামর্থের মধ্যে আমাদের কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার প্রতি অংগীকারাবদ্ধ। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিবেশ, আমাদের দেশ এবং সমগ্র বিশ্বের প্রতি যৎসামান্য অবদান রেখে যেতে চাই। এ জন্য একটি পরিবেশগত নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা সঠিকভাবে কার্য্যে পরিণত করা।
পরিবেশগত নীতিমালাসমূহ সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা হিসেবে বিবেচ্য হবে এবং অত্র কোম্পানীর সকল প্লান্ট এর জন্য প্রযোজ্য হবে। নীতিমালাসমূহ নিন্মে উল্লেখ করা হলঃ
পরিবেশগত ছাড়পত্রঃ
ক) প্রতিটি প্লান্ট/কারখানা চালুর পূর্বেই যথাযথ আবেদনপূর্বক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর হতে পরিবেশগত ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
খ) পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র জারির তারিখ হতে ০১ (এক) বৎসর বা পরিবেশ অধিদপ্তর হতে যে দিন পর্যন্ত পরিবেশ ছাড়পত্র দিবে সেই দিন পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্ততঃ ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে। নবায়নের জন্য পেশকৃত আবেদন পত্রের সাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্য্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স জমা দিতে হবে।
বায়ু দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালাঃ
ক) কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সম্মত গ্রহণযোগ্য মাত্রার পর্যাপ্ত বায়ু সঞ্চালন নিশ্চিত করতে হবে।
খ) কারখানার সৃষ্ট দূষিত ধোঁয়া দ্বারা পারিপার্শ্বিক বায়ু দূষণ করা যাবে না।
গ) একান্তই দূষিত ধোঁয়া নিঃসরণের প্রয়োজন হলে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যে, উহা যেন কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় জন সাধারণের স্বাস্থ্য হানির কারণ না হয়।
ঘ) গার্মেন্টস ও ওয়াশ প্লান্টের বর্জ্য ধোঁয়া স্বাস্থ্য-সম্মতভাবে কর্মরত শ্রমিকদের নিকট থেকে যথাসম্ভব নিরাপদ দুরত্বে নির্গমন করতে হবে।
ঙ) কারখানার বর্জ্য কেমিক্যাল হতে নিঃসরিত গ্যাস মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর বিধায় তা নিয়মিতভাবে অপসারণ করার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ) লোকালয় বা জন সমাগমের স্থানে কোন কেমিক্যাল বা পচনশীল বর্জ্য ফেলা যাবে না।
ছ) শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সম্মত বাতাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কারখানার ভিতরে বা কোন বদ্ধ স্থানে পর্যাপ্ত এক্সজাষ্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে।
জ) দূর্ঘটনাজনিত কারণে কখনো বায়ু দূষণ ঘটলে তা কারখানা ও স্থানীয় লোকজনকে দ্রুত অবগতকরণের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে দূর্ঘটনার স্থান থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
ঝ) গার্মেন্টস কারখানার সুইং সেকশনে উড়ন্ত তন্তুজ কণা ব্যাপকভাবে বায়ু দূষণ ঘটায়, বিধায় কার্যরত সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
ট) এছাড়া গার্মেন্টস বিভাগের সকল সেকশন, নিটিং, ডাইং, লিংকিং ও ফিনিশিং বিভাগে কাজের সময় সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
ঠ) বায়ু দূষণ ও এর প্রতিরোধ সম্পর্কে সকল স্তরের কর্মচারীদের অবহিত করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল সেকশন ইনচার্জগণ এ ব্যাপারে মূখ্য ভুমিকা পালন করবেন এবং নিয়মিত প্রচার ও প্রেষণার ব্যবস্থা করবেন ।
ড) ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে।
ঢ) কারখানা চত্ত্বরে উপযুক্ত প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়ে সবজুায়ন করতে হবে।
পানি দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালাঃ
ক) কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয় এবং তা পানির সুপেয়তা পরীক্ষা আইসিডিডিআরবি (ICDDRB), বুয়েট (BUET) ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে সংগ্রহ করা হয়।
খ) কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ইউনিট হতে সৃষ্ট তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি)-পরিশোধিত পানি অবশ্যই পরিবেশ দপ্তর (উঙঊ) বা বিভি হতে বছরে ৪বার পরীক্ষা করতে হবে এবং নির্ধারিত ড্রেনেজ লাইন ব্যতিত অন্য কোন বাইপাস লাইনের মাধ্যমে নির্গমন করা যাবে না। যেকোন সময় তাৎক্ষণিক সংগৃহীত নমুনার মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এ উল্লেখিত মানমাত্রার মধ্যে হতে হবে। যেকোন সময় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) বা এর কোন ইউনিট অকার্যকর হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ইউনিট (যেমন-ডাইং, ফিনিশিং ইত্যাদি) বন্ধ করতে হবে। তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) সংস্কার করে এর কার্যক্ষমতা সম্পন্ন নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে বন্ধ ইউনিট পূণরায় চালু করা যাবে।
গ) কখনো স্থানীয় জনসাধারন বা সরকারী কর্তৃপক্ষ হতে অত্র কোম্পানীর বিরুদ্ধে পানি দূষণের অভিযোগ উত্থাপিত হলে পরিচালক তা দ্রুত রোধ করার ব্যবস্থা করবেন এবং পরবর্তীতে একটি তদন্ত পর্ষদ গঠনের মাধ্যমে উহার সঠিকতা, কারণ ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ঘ) জেনারেটর ঝঢ়বহঃ খঁনৎরপধঃরহম ঙরষ এবং ঙরষ ঋরষঃবৎ বর্জ্য চুক্তি কারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যটারী বিক্রেতাকারী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির বা অন্য কোন ঠবহফড়ৎ এর কাছে বিক্রয় করা যাবে না।
শব্দ দূষণ রোধ সংক্রান্ত নীতিমালাঃ
ক) কারখানার যে সকল মেশিন উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে সেগুলো এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন সেস্থানে কর্মরত বা আশে-পাশের লোকদের ক্ষতিগ্রস্থ না করতে পারে।
খ) যে সকল মেশিন চালনার সময় মানব দেহের শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রার (৮০ ডিবি) চেয়ে বেশী শব্দ সৃষ্টি করে, সে সকল মেশিনের অপারেটরদের উক্ত শব্দ মাত্রা প্রতিরোধকারী এয়ারম্যাফ (ঊধৎ গঁভভ) বা এয়ার প্লাগ (অরৎ চষঁম) ব্যবহার করতে হবে এবং বাংলাদেশ শব্দদূষণ বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী মেনে চলতে হবে।
গ) উক্ত মেশিন সন্নিবেশিত কারখানায় পরিদর্শনকারী দর্শণার্থী বা কর্মকর্তাগণের জন্য অতিরিক্ত আরো ৫ (পাঁচ) টি এয়ারম্যাফ (ঊধৎ গঁভভ) বা এয়ার প্লাগ (অরৎ ঢ়ষঁম) সংরক্ষণ করতে হবে।
ঘ) সকল কারখানার ফ্লোরগুলোতে কোন ভারী যন্ত্র চালনা, ব্যবহার, সরানো বা প্রতিস্থাপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, সৃষ্ট শব্দ যেন মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ না ঘটাতে পারে।
ঙ) কাজের সময় কর্মীরা অযথা গল্প, কথাবার্তা বা চেঁচামেচি করবে না। এতে উক্ত ফ্লোরে শব্দ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ব্যাপারে সেকশন ইনচার্জ, লাইনচীফ, সুপারভাইজারগণ প্রতিনিয়ত দৃষ্টি রাখবেন।
চ) কারখানা এলাকায় যানবাহনসমূহের হর্ণ বাজানো সীমিত রাখতে হবে এবং মেইন গেটের পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যতিত অন্যান্য এলাকায় হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ।
ছ) একই বিল্ডিং বা ইমারতের বিভিন্ন ফ্লোরে গার্মেন্টস কারখানা ও শব্দ সৃষ্টিকারী কোন ইউনিট অবস্থান করলে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এগুলো যেন শব্দ দূষণ সৃষ্টি করে অন্যান্য কারখানার কর্মীদের কাজে কোনরূপ অসুবিধা সৃষ্টি না করতে পারে।
জ) কারখানার শব্দ এবং বায়বীয় বর্জ্যরে নিঃসরণ/নির্গমন মাত্রা যথাক্রমে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এ বর্ণিত মানমাত্রার মধ্যে থাকতে হবে।
ঝুট ও অন্যান্য পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যরে অপসারণ সংক্রান্ত নীতিমালাঃ
ক) সকল গার্মেন্টস কারখানায় ছেড়া/অবশিষ্ট বর্জ্য কাপড় বা ঝুট, পলিব্যাগ, কার্টুন ও অন্যান্য আবর্জনা বর্র্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে জমা করতে হবে।
খ) সকল ঝুট বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট অন্তর অন্তর অনুমোদিত ঠিকাদারের নিকট সরবরাহ করতে হবে।
গ) পলিথিন জাতীয় কোন বর্জ্য পোড়ানো যাবে না বা নদীতে ফেলা যাবে না।
ঘ) যেকোন ধরনের বর্জ্য, পচনশীল বা অপচনশীল বর্জ্য খোলামেলাভাবে ফেলে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট ঢাকনাযুক্ত ডাষ্টবিনে সংরক্ষণ করতে হবে।
ঙ) ঝুট বিক্রির পর অবশিষ্ট বিক্রয় অযোগ্য আবর্জনা/বর্জ্য পদার্থ বর্জ্যবাহী গাড়ীতে করে বর্জ্য ডাম্প করার স্থানে ফেলে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।
চ) বিভিন্ন নির্মিতব্য বিল্ডিং/ইমারত অথবা কারখানার সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর উচ্ছিষ্টাংশ আবর্জনা নির্মাণকারী কোম্পানী/সংস্থার নিজ দায়িত্বে অপসারণ করতে হবে।
অপচয় রোধ নীতিমালাঃ
ক) পানিঃ
০১) বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং পানি যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। গ্যাস বা প্লেট ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত পানি নষ্ট করা যাবে না। কাজ শেষে পানির টেপ অবশ্যই ভালভাবে বন্ধ রাখতে হবে;
০২) বাথরুম বা টয়লেটের পানির টেপগুলো ব্যবহারের পর অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে এবং কোথাও পানির পাইপে লিকেজ হলে তা মেইনটেন্যান্স বিভাগকে জানাতে হবে।
০৩) হাত ধোঁয়ার বেসিনে এবং ডাইনিং হলে ব্যবহারের পর অবশ্যই পানির টেপ ভালভাবে বন্ধ করতে হবে।
খ) বিদ্যুৎঃ
০১) যেখানে যতটুকু বিদ্যুতের প্রয়োজন, ততটুকু বিদ্যুতই ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনে বাতি, ফ্যান বা এসি চালু/খোলা রাখা যাবে না;
০২) কখনো মেশিনের সুইচ অন করে মেশিন ত্যাগ করা যাবে না। মেশিন হতে উঠে গেলে অবশ্যই মেশিনের বিদুৎ কানেকশন অফ করে দিতে হবে;
০৩) ছুটির পরে বা আহার বিরতির সময় অবশ্যই বাতি, ফ্যান, এসি, কম্পিউটার এবং ইউপিএস-এর পাওয়ার অফ করে দিতে হবে যাতে অযথা বিদুৎ ব্যয় না হয়;
০৪) প্রয়োজনে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করে বিদুৎ ব্যয় কমানো যেতে পারে।
গ) এক্সেসরিজঃ
০১) কাপড়ে এক্সেসরিজ লাগানোর পূর্বেই এর সঠিক রং, সাইজ ও অন্যান্য জিনিস নির্ধারণ করে এক্সেসরিজ লাগাতে হবে যাতে ভুল না হয় এবং বেশী না লাগে বা পরিবর্তন করতে না হয়;
০২) অতিরিক্ত এক্সেসরিজগুলো যাতে এখানে সেখানে না পরে থাকে এবং এগুলো নির্দিষ্ট একটি পাত্রে রেখে পুণঃ ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ) বস্তুর পুণঃ ব্যবহারঃ
০১) ফ্যাক্টরীর অনেক জিনিস বা বস্তু আছে যা পুণঃ ব্যবহার করা যায়। সুতরাং ঐগুলি যাতে পুণঃ পুণঃ ব্যবহার করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন-সূতা, গামটেপ, পলিথিন ইত্যাদি।
০২) কাগজ অবশ্যই উভয় পৃষ্ঠা ব্যবহার করবে (যখন সম্ভব)।
পরিবেশ দূষণরোধে বর্জ্য অপসারণঃ
কারখানার বিভিন্ন প্রকার বর্জ্য যেমন-জুট, কাগজ, পলি বা প্লাষ্টিক, কাঠ, কার্টন, ড্রাম, গ্যাসসহ সকল লৌহ, ইলেকট্রিক এবং তৈল জাতীয় বর্জ্যরে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেমনঃ-
ক) নির্দিষ্ট লোক নির্দিষ্ট সময় পর পর কারখানার জুটসহ অনান্য উচ্ছিষ্টাংশ সংগ্রহ করে প্রয়োজন অনুসারে পৃথক করে।
খ) দৈনিক সংগ্রহীত বর্জ্য পরিমাপ করে একটি নির্দিষ্ট ঘরে সাজিয়ে রাখা হয়।
গ) বর্জ্যরে পরিমাণ বেশি হলে তা একটি চুক্তি ভিত্তিক নির্ধারিত পরিবেশ বান্ধব প্রতিষ্ঠানের নিকট রিসাইক্লিং এর জন্য প্রেরণ করা হয়।
আবর্জনা বাক্স ও ওয়াস বেসিনঃ
কারখানাটির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক আবর্জনা বাক্স ও ওয়াস বেসিন স্থাপন করা হয়েছে, যাতে কেহ যেখানে সেখানে থু থু-কাশি এবং আর্বজনা ফেলে নোংরা করতে না পারে।
রাসায়নিক বর্জ্যঃ
ফ্যাক্টরীতে কাপড়ের দাগ উঠানোর জন্য পানিতে দ্রবণীয় ধৌত সামগ্রী ও অনান্য রাসায়নিক দ্রব্যের যথাযথ ব্যবহার ও সীমিতকরণে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
পরিবেশ নিরাপত্তা লক্ষ্যে করণীয়ঃ
ফ্যাক্টরীর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য অগ্নি নির্বাপনকল্পে কারখানায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থাদি, যথাঃ-ফায়ার এক্সিটিংগুইসার, কার্বন ডাই অক্সাইড, ফোম, অটো ড্রাই পাউডার, ট্রলি টাইপ পানি, ফায়ার হাইড্রেন্ট, ইমারজেন্সী লাইট স্থাপন, ভূ-গর্ভস্থ বা উপরিস্থ জলাধারে সর্বদা পর্যাপ্ত পানি সংরক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থাদি সার্বক্ষণিক কার্যকরী রাখতে হবে।
পর্যবেক্ষণঃ
ক) ফ্যাক্টরীর অভ্যন্তরে যেহেতু বহু সংখ্যক লোক কাজ করে থাকেন সেহেতু দ্রুত পরিবেশ বিনষ্ট হবার আশংকা থাকে বিধায় পরিবেশকে সাজানো গুছানো রাখতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সব সময় সচেতন ও তদারকি করতে।
খ) প্রতিটি প্লান্ট বা ফ্যাক্টরী দূর্ঘটনাজনিত কারণে পরিবেশ বিপর্যয় এড়াতে বিস্তারিত নির্দেশাবলী প্রণয়ন করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে তা নিয়মিত অবহিত রাখতে হবে।
গ) যেকোন বিভাগীয় প্রধান যদি কখনো খেয়াল করেন যে তার দায়িত্বাধীন এলাকা কোন পরিবেশ দূষণ করছে তবে তৎক্ষণাৎ তিনি তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করবেন।
ঘ) সরকার অনুমোদিত ৩জ (জবফঁপব, জবঁংব ্ জবপুপষব) নীতি ও সকল প্রকার জবংড়ঁৎপব ঈড়হংবৎাধঃরড়হ চষধহ বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
উপসংহারঃ
শুধু প্রশাসনের পক্ষে এককভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। পরিবেশকে বসবাসযোগ্য রাখতে হলে সকলকে মনোযোগী ও আন্তরিক হতে হবে।