অংগীকারঃ
(কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং শ্রমবিধি ২০১৫-এর সকল ধারা, আন্তর্জাতিক সকল নিয়মনীতি এবং পরিবেশ স¤পর্কিত সকল আইন বা বিধি নিষেধ এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিভিন্ন ক্রেতা/বায়ারের উক্ত নীতিমালার স্বপক্ষে মতামতের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে সকল শ্রমিক কর্মচারীর রাসায়নিক পদার্থ থেকে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিশ্চিতকরণের ঘোষণা করেছেন। এই মর্মে কারখানায় এ নীতিমালাটি বাস্তবায়নে অত্র কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আইনের সূত্রঃ
(কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের সকল প্রকার আইন, বিধি ও নিষেধ মোতাবেক তাদের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে ¯পষ্ট ও উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলাদেশ শ্রমবিধি ২০১৫, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ (সংশোধন ২০১০), পরিবশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭, এসিড কন্ট্রোল এক্ট-২০০২, UN Standard-সহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সময় স্বাক্ষর করা বিভিন্ন পরিপত্র বা অধ্যাদেশ প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মানতে বাধ্য থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ কেমিক্যাল কর্পোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর ও বিভিন্ন বায়ার কর্তৃক জারিকৃত নিয়মনীতি অনুযায়ী সকল প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ও সংরক্ষণ করবে।
উদ্দেশ্যঃ
কারখানাতে ব্যবহৃত সকল প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে বা সংরক্ষণে কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন। তাই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারে বা সংরক্ষণে যেকোন প্রকার দূর্ঘটনা বা অব্যবস্থাপনা যেন না হয় তা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে এ নীতিমালা প্রণীত।
লক্ষ্যঃ
(কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিক-কর্মচারিদের যেকোন নিরাপত্তার ব্যাপারে আপোষহীন। একইভাবে কারখানার অভ্যন্তরীণ এবং চারপাশের পরিবেশকে নিয়ে। আর তাই সকল রাসায়নিক পদার্থ ক্রয় থেকে শুরু করে বর্জ্যতে রূপান্তরিত হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা এত নীতির লক্ষ্য।
০২) অর্গানাজাইশন চার্ট এবং তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যঃ
সুষ্ঠু রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নি¤েœাক্ত অর্গানাজাইশন চার্ট মোতাবেক সকল দায়িত্ব বন্টিত হবেঃ
তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিন্মে দেওয়া হলঃ
নির্বাহী পরিচালকঃ
সকল প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার ও সংরক্ষণে দিক নির্দেশনা প্রদান করা;
বাংলাদেশ সরকারের সকল আইন-কানুন, বিধি-নিষেধ মোতাবেক রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
রাসায়নিক পদার্থ ক্রয়, ব্যবহার ও সংরক্ষণের সাথে যে সমস্ত কর্মী জরিত তাদেরকে সাথে নিয়ে নিয়োমিত সভা বা আলোচনার মাধ্যমে বাস্তব-সম্মত ও টেকসই রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
ইএমএস দায়িত্বপ্রাপ্তঃ
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সরকারের সকল আইন-কানুন, বিধি-নিষেধ ও সংশোধনের হালনাগাদ কপি সংযোজনের মাধ্যমে একটি রেজিস্টার তৈরি করা। অতঃপর সকলের সাথে শেয়ার করা;
সময়ে সময়ে চেকলিস্ট অনুযায়ী রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করা ও প্রতিবেদন তৈরি করা;
সুষ্ঠু রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় সকলের সচেতনতা ও মেধা বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয়সমূহ, যেমন-রাসায়নিকের এমএসডিএস (MSDS), প্রতিটি রাসায়নিক দ্রব্যের গায়ে লেবেলিং দেওয়া, রাসায়নিক দ্রব্য তৈরীকৃত কোম্পানীর সার্টিফিকেট Manufacturing Restricted Substance List (MRSL), বায়ার কর্তৃক সাটিফিকেট Restricted Substance List (RSL), এপিও, এনপিও ক¤িপটিবিলিটি, পিপিই ইত্যাদি সমন্ধে সঠিক তথ্য সংরক্ষণ। অতঃপর সকলের সাথে শেয়ার করা
স্টোর ইনচার্জঃ
যেকোন রাসায়নিক পদার্থ ক্রয়ের পূর্বে বায়ার বা সরকারের কোন নিষিদ্ধ রাসায়নিক উপাদান নেই তা নিশ্চিত করতে হবে;
শুধুমাত্র রাসায়নিক পদার্থের সঠিক এমএসডিএস অনুযায়ী রাসায়নিক পদার্থ পরিবহন ও সংরক্ষণ করা নিশ্চিত করতে হবে;
রাসায়নিক স্টোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, কর্মী ও অবস্থানরত অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে।
রাসায়নিক খরিদ/ক্রয়কারীঃ
যেকোন রাসায়নিক পদার্থ খরিদ/ক্রয় করার পূর্বে তার উৎপাদনকারীর নিকট থেকে প্রথমেই ঐ রাসায়নিকের কেমিক্যালের অরিজিনাল এমএসডিএস-এর ১৬ (ষোল) পয়েন্টযুক্ত রাসায়নিকের গ্যারান্টি সার্টিফিকেটস (Manufacturing Restricted Substance List (MRSL) ও Restricted Substance List (RSL) অনুযায়ী কোন উপাদান নেই), ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে;
রাসায়নিক পদার্থটির অবশ্যই অরিজিনাল লেবেলিং নিশ্চিত করতে হবে;
রাসায়নিক পদার্থটির ধারণকারী পাত্রটি, রাসায়নিক পদার্থটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে কিনা তা খেয়াল করতে হবে।
কমপ্লায়েন্স-এর দায়িত্বপ্রাপ্তঃ
সকল রাসায়নিক পদার্থ বায়ার বা সরকারকর্তৃক নিষিদ্ধ কোন রাসায়নিক উপাদান নেই তা গ্যারান্টি সার্টিফিকেটস্-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে;
যেকোন রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণে সকল প্রকার নিরাপত্তা চেক লিস্ট অনুযায়ী নিশ্চিত করতে হবে;
রাসায়নিক ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট সকলকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করা এবং তার ব্যবহার বিধির উপর প্রশিক্ষণ দেয়া;
এমারজেন্সী ¯িপলেজ ড্রিল পলিসি ও তা অনুযায়ী ড্রিল পরিচালনা করতে হবে;
যেকোন রাসায়নিক পদার্থ ক্রয়ের পর তা যখন কারখানায় প্রবেশ করবে তাতে যথাযথ লেবেলিং ও সংক্ষিপ্ত, পরিমার্জিত বাংলা এমএসডিএস নিশ্চিত করতে হবে;
সকল রাসায়নিক পদার্থের সেকেন্ডারি কন্টেনমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে;
সকল রাসায়নিক পদার্থের জন্যে এমারজেন্সী ¯িপলেজ কীট (ফোম, বালু, বেলচা ইত্যাদি) মজুদ রাখতে হবে;
কোন উচ্ছিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ সম্মত উপায় ছাড়া ফেলা হবে না তা নিশ্চিত করা;
বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্টোরে কর্মরত অথবা ব্যবহারকারী বা সকল পরিচ্ছন্ন কর্মী ও লোডারদেরকে রাসায়নিক কেমিক্যাল/দ্রব্য সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
স্টোর কিপারঃ
যেকোন রাসায়নিক পদার্থ খরিদ করার পুর্বে তার উৎপাদনকারীর নিকট থেকে প্রথমেই ঐ রাসায়নিকের অরিজিনাল এমএসডিএস-এর ১৬ (ষোল) পয়েন্ট রাসায়নিকের গ্যারান্টি সার্টিফিকেটস (বায়ারের Manufacturing Restricted Substance List (MRSL) ও Restricted Substance List (RSL) অনুযায়ী কোন উপাদান নেই), ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে।
কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
সকল রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারকারী শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত করতে হবে;
রাসায়নিক পদার্থের নিরাপত্তা তথা এমএসডিএস-এর উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
পরিচ্ছন্নকর্মী/ভার বহনকারীঃ
যে সকল পরিচ্ছন্নকর্মী/ভার বহনকারী কর্মীগণ কেমিক্যাল স্টোরে অথবা রাসায়নিক পদার্থ বহন করে অথবা ব্যবহারকারী অথবা পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করতে হবে;
কাজ করার পূর্বে অবশ্যই তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী যেমন-হ্যান্ড গ্লাভস, চশমা, মাস্ক, এপ্রোণ, গামবুট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
০৩) নীতিমালা প্রয়োগ ও মূল্যায়ন পদ্ধতি/প্রয়োগঃ
(কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ কারখানার অভ্যন্তরে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার ও সংরক্ষণে নি¤œলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করে থাকে। যেমন-
০৪) ইমপ্লিমেনটেশন ও কম্যুনিকেশনঃ অনুচ্ছেদের আলোচ্য বিষয়ের মাধ্যমে (কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ ইমপ্লিমেনটেশন ও কমনিকেশন অংশটি নিশ্চিত করে।
০৫) ফিডব্যাক ও কন্ট্রোলঃ অনুচ্ছেদে আলোচ্য বিষয়ের মাধ্যমে (কোম্পানির নাম)-এর কর্তৃপক্ষ ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল অংশটি নিশ্চিত করে।