০১) পলিসি নীতিমালাঃ
রাসায়নিক পদার্থের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে নানা প্রকার জটিল রোগব্যধি সৃষ্টি হচ্ছে এবং নানা প্রজাতির উদ্ভিদ-প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। তাই এই নীতিমালা ও পদ্ধতির মৌলিক ও মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্ঠানের জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার সংরক্ষণ এবং অপসারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও দায়িত্ব ও কর্তব্য বিস্তারিত বর্ণনা ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া যাতে সুরক্ষিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কর্তৃপক্ষ বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় না করা ও ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আইনের সূত্রঃ কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ ও অপসারণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), বাংলাদেশ এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০২, দেশের প্রচলিত পরিবেশ আইনের সাথে সম্পূরক জাতি সংঘের পরিবেশ নীতিসমূহ, গণপ্রজন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ন্বাক্ষরিত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রবিধ, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল কর্পোরেশন কর্তৃক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুসরণ করে থাকেন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ কর্তৃপক্ষ এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, কারখানার অভ্যন্তরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে পরিবেশ দুষণমুক্ত রাখা। এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখাই এর মূল লক্ষ্য।
০২) অর্গানাইজেশন (Organization)ঃ
নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসাযনিক দ্রব্য ক্রয় না করা ও ব্যবহার না করা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া যাহাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন হয় সে জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক কর্মধারা ও কর্ম পদ্ধতি দ্বারা পরিচালীত হয়ে থাকে।
২.১) অর্গনোগ্রামঃ “রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ, ব্যবহার, সংরক্ষণ, অপসারণ নীতিমালা ও পদ্ধতি” নিম্নোক্ত চার্টে বর্ণিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা বাস্তবায়ন ও তদারকি করে থাকে।
২.২) দায়ীত্ব ও কর্তব্যসমূহঃ
ব্যবস্থপানা পরিচালকঃ নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়সিনক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করা বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা প্রদান করবেন।
মহা-ব্যবস্থাপকঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করা এবং প্রশিক্ষণ ও অপসারণের বিষয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাবেন।
ইসিআর এবং এইচ.আর এন্ড কমপ্লায়েন্সঃ
ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্যে ও তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবেন। রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহের সাথে জড়িত কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য যাতে কারখানায় সরবরাহ না করে সে ব্যাপারে অবহিত করবেন।
রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়ের সাথে জাড়িত কর্মকর্তাবৃন্দদেরকে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়ের জন্য রিকুইজিশন না দেওয়ার জন্য অবগত করা।
এক্সিকিউটিভ (প্রকিরউম্যান্ট)ঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করার জন্য পদাধিকারী।
ব্যবস্থাপক (স্টোর)ঃ
নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য মজুদ না করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
জনশক্তি বিভাগঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করা সম্পর্কে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করার জন্য অবগত করে থাকেন।
০৩) রুটিন এন্ড প্রোসেডিউরঃ
অত্র প্রতিষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে নিম্নের নিয়ম মাফিক কর্মধারা ও কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
বাস্তবায়ন ও যোগাযোগ (Implementation & Communication)
আলোচ্য অনুচ্ছেদের কর্মপ্রনালী রুটিন ও প্রসিডিউর অংশে আলোচিত হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া ও নিয়ন্ত্রণ (Feedback & Control)
ইন্টারনাল অডিট এর মাধ্যমে আমরা পলিসির ফিডভ্যাক অংশটি নিশ্চিত করি।
ব্যবস্থাপনা সভা (Management Meeting)
* প্রতি ০২ (দুই) মাস অন্তর ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে উক্ত বিষয়ের উপর ম্যানেজমেন্ট মিটিং করা হয়।
* মিটিং এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
* সিদ্ধান্তে ভিওিতে একশন প্লান কার্যকর করা হয়।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পর্যবেক্ষণ (Monitoring by the Authorities)
* নির্বাহী পরিচালক;
* উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচ.আর, এডমিন এন্ড কমপায়েন্স);
* ম্যানেজার (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপায়েন্স)।