ভূমিকাঃ জীব বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে। বিশ্বায়নের যুগে মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য একদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করেছে অন্য দিকে শিল্প কারখানায় বিভিন্ন প্রকার মারাত্মক রাসায়নিক পর্দাথ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ইকো সিস্টেমকে করে তুলছে বিপন্ন। রাসায়নিক পদার্থের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে নানা প্রকার জটিল রোগ-ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে এবং নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণী ধ্বংস হচ্ছে। তাই এই নীতিমালা ও পদ্ধতির মৌলিক ও মূখ্য উদ্দেশ্য হল প্রতিষ্টানের জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং অপসারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী ও দায়িত্ব ও কর্তব্য বিস্তারিত বর্ণনা ও বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া যাতে সুরক্ষিতভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আইনের সূত্রঃ সঠিকভাবে রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ, ব্যবহার, সংরক্ষণ, অপসারণের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০), দেশের প্রচলিত পরিবেশ আইনের সাথে সম্পূরক জাতি সংঘের পরিবেশ নীতিসমূহ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষরিত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রবিধ, রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ক্রয় তাদের নির্দেশনা, বাংলাদেশ ক্যামিক্যাল করপোরেশন কর্তৃক রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, জীববৈচিত্রের জন্য ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ রাসায়নিত দ্রব্য ব্যবহার না করা, ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য সমূহ বিধি সম্মতভাবে ব্যবহার, সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও অপসারণ করার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যহত রেখে রাসায়ানিক দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী ব্যবস্থাপনা তৈরীই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতিমালা বাস্তবায়নে সহায়তা করা ও সবার জন্য বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী তৈরী করা এবং ক্রেতাদের (ZDHC& REACH) বাস্তবায়নে সহায়তা করা। কর্তৃপক্ষ এই নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, ক্রেতা কর্তৃক প্রদত্ত Manufacturing Restricted Substances List (MRSL) এবং Restricted Substances List (RSL) এর অর্ন্তভুক্ত কেমিক্যাল কারখানায় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা। এই নীতি মালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পণ্যের গুনগত মান ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখাই এর মূল লক্ষ্য।
অর্গানাইজেশনঃ
রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় সংরক্ষণ, ব্যবহার ও অপসারণ প্রক্রিয়া যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন হয় সে জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক কর্মধারা ও কর্ম পদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।
অর্গানোগ্রামঃ
কোম্পানির নাম -এর কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় না করা ও ব্যবহার না করা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া যাহাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন হয় সে জন্য প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক কর্মধারা ও কর্ম পদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।
দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহঃ
* ব্যবস্থাপনা পরিচালকঃ
নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় বন্ধকরণ, অন্যান্য নিষেধাজ্ঞামুক্ত রাসায়নিক কেমিক্যাল ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহার, প্রশিক্ষণ ও অসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের নির্দেশ প্রদান করবেন।
* ব্যবস্থাপকঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত দেশের এবং আর্ন্তজাতিক বিধি অনুসারে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করা এবং প্রশিক্ষণ ও অপসারণের বিষয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাবেন।
* অফিসার (ই.এম.এস)ঃ
ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী রাসায়নিক দ্রব্যের তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করবেন। রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহের সাথে জড়িত কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানের সকল কমকর্তা এবং কর্মচরীবৃন্দকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সঠিকভাবে কেমিক্যাল স্ট্রোরেজ করা।
* ব্যবস্থাপক (প্রকিউরম্যান্ট)ঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় না করার এবং সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য মজুত করা না করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত।
* সহকারী ব্যবস্থাপক (ষ্টোর)ঃ
রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়ের সাথে জড়িত কর্মকর্তাবৃন্দদেরকে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়ের জন্য রিকিউজিশন না দেওয়ার জন্য অবগত করা। ক্রয়কৃত রাসায়নিক দ্রব্যের চালান মোতাবেক দ্রব্য ইনভেনটরি করা, মজুত করা, বিতরণ করা, অপসারণ করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত।
* অফিসার (মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ)ঃ
বায়ার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয় ও ব্যবহার না করা সম্পর্কে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষেধাজ্ঞা আরোপকৃত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করার জন্য অবহিত করা।
রুটিন এন্ড প্রোসেডিউরঃ
অত্র প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক দ্রব্য ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহার ও অপসারণের ক্ষেত্রে নিন্মের নিয়ম মাফিক কর্মধারা ও কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
বাস্তবায়ন ও যোগাযোগঃ
আলোচ্য অনুচ্ছেদেও কর্মপ্রনালী রুটিন ও প্রসিডিউর অংশে আলোচিত হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া ও নিয়ন্ত্রণঃ
ইন্টারনাল অডিট এর মাধ্যমে আমরা পলিসির ফিডভ্যাক অংশটি নিশ্চিত করি।
ব্যবস্থাপনা সভাঃ
* প্রতি ০২ (দুই) মাস অন্তর ইন্টারনাল সামারী অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে উক্ত বিষয়ের উপর ম্যানেজমেন্ট মিটিং করা হয়।
* মিটিং এর উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
* সিদ্ধান্তে ভিওিতে একশন প্লান কার্যকর করা হয়।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পর্যবেক্ষণঃ
* নির্বাহী পরিচালক;
* উপ-মহাব্যবস্থাপক (এইচ.আর, এডমিন এন্ড কমপায়েন্স);
* ম্যানেজার (এডমিন, এইচ আর এন্ড কমপায়েন্স)।